Thursday, September 16, 2010

অন্য আলোয় দেখা -২ : জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

by Kulada Roy on Wednesday, September 15, 2010 at 1:16am
জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা নীলমণি ঠাকুর ছিলেন ব্যবসায়ী। তার পুত্র রামলোচন ঠাকুর বিরাহিমপুর পরগনা (যার সদর কাছারি ছিল শিলাইদহে) জমিদারী কিনেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রখর বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি। জমিদারী কিনে পীরালী ঠাকুরদের মধ্যে তিনি কিছুটা আভিজাত্য অর্জন করেছিলেন।
রামলোচন ঠাকুর মৃত্যুর আগে তার দত্তকপুত্র দ্বারকানাথ ঠাকুরকে ১৮০৭ সালে এ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে যান। তখন তাঁর বয়স মাত্র তের বছর। তার বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পত্তি রামলোচন ঠাকুরের স্ত্রী অলকা দেবী ও দ্বারকানাথের জেষ্ঠ্য ভ্রাতা রাধানাথ দেখাশুনা করতেন। সে সময় শিলাইদহ এলাকাটির সুনাম ছিল না। প্রজারা ‘দুর্বৃত্ত বলিয়া প্রসিদ্ধ’ ছিল। এ জন্য জমিদারী পরিচালনার আইন-কানুন সুপ্রীম কোর্টের ব্যারিস্টার ফার্গুসনের কাছে ভাল করে জেনে নেন। 

আইন বিশেষজ্ঞ হওয়ার কারণে ১৮১৮ সালে তিনি চব্বিশ পরগনার কালেক্টরের শেরেস্তাদার নিযুক্ত হন। ১৮২৮ সালে শুল্ক ও আফিং বোর্ডের দেওয়ান হন।
১৮৩০ সালে কালীগ্রাম পরগনা কিছিলেন। এ ছাড়া উড়িষ্যার পাণ্ডুয়া ও বালিয়া তালুক তাঁর ছিল।

সাজাদপুরের জমিদারিটি কিনেছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, রানী ভবানীর নাটোরের জমিদারীর নীলাম থেকে। দাম পড়েছিল ১৩ টাকা ১৩ আনা। এর আসল মালিক ছিলেন গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তার অবর্তমানে গগনেন্দ্র সমরেন্দ্র অবনীন্দ্র। কিন্তু গিরীন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুর পরে দেবেন্দ্রনাথ, এবং তারও পরে গগন্দ্রেনাথরা নাবালক ছিলেন বলে রবীন্দ্রনাথ এই জমিদারী দেখাশুনা করেছেন ১৯০৩ সাল পর্যন্ত।

দ্বারকানাথের  পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ধর্মাচরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ব্যবসাপাতি ও জমিদারী পরিচালনায় অমনোযোগী ছিলেন। তখন আয়ের উৎস দাঁড়িয়েছিল শুধুমাত্র প্রজাপ্রদত্ত খাজনা ও অন্যান্য আদায়। বাড়ির পুরুষরা প্রায় কেউই জমিদারী পরিচালনায় অংশ নেন না, কালে ভদ্রে মহালে যান। সেখান থেকে অর্থ আসে। তাঁরা ছিলেন জমিতে অনুপস্থিত জমিদার। পরিবারের সদস্যদের অনেকে সে সব অঞ্চল চোখে পর্যন্ত দেখেন নি। তাঁরা বিলাসী জীবন আর নানাপ্রকার সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালবাসতেন। তবে দেবেন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে জমিদারী দেখতে গেছেন।

১৮৪৬ সালে দ্বারকানাথের মৃত্যুর পরে তাঁদের হাউসের দেনা এক কোটি টাকা, পাওনা সত্তর লক্ষ টাকা। ৩০ লক্ষ টাকার খবর নাই। ঠাকুর পরিবার গরীব হয়ে গিয়েছিল। সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী লিখেছেন—যাঁহার পিতার ডিনার তিনশত টাকার কমে হইত না, তিনি চারি আনা মূল্যের ডিনার খাইয়া তৃপ্ত হইতেন। সেসময় ১৮৫৫ সালে ঋণের দায়ে দেবেন্দ্রনাথ কারারুদ্ধ হওয়ার পথে। তিনি সংকল্প করলেন দেনা তিনি শোধ করবেন। দেউলিয়া ঘোষিত হবেন না। ছয়মাসের মধ্যেই অবস্থা সামলে ওঠেন। তাঁদের কোনো ব্যবসা বানিজ্য রইল না। শুধু জমিদারীটি টিকে ছিল। তিনি গরীব হওয়ার কারণে বিষয় সম্পত্তিতে মনোযোগী হলেন। শিলাইদহে গিয়ে নিজেই জমিদারী পরিচালনা করা শুরু করলেন। সম্পত্তি এজমালি হওয়ায় সবগুলোই তাঁকে দেখা শুনা করতে হত।
সমীর সেনগুপ্ত লিখছেন—দেবেন্দনাথের চরিত্রের মধ্যে দার্শনিকতা ও বৈষয়িকতার অদ্ভুত পরস্পরবিরোধী সহাবস্থান ছিল। সব কিছু থেকে দূরে থেকেও তিনি তাঁর জমিদারী, আদি ব্রাহ্মসমাজ ও পরিবারকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

১৯০৫ সালে দেবেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরে জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়ির সমস্ত জমিদারী সম্পত্তির মোট খাজনা আসত ৩৬৮,৫০৯ টাকা এবং রাজস্ব ও আদায় খরচ বাদে তা থেকে মোট আয় ছিল ২৩৪,৩১০ টাকা।
১৮৬১ সালের দিকে দেবেন্দ্রনাথ জমিদারির প্রত্যক্ষ কার্যভার ক্রমে ছেড়ে দিলেন, প্রথমে পঞ্চমপুত্র জ্যোতিরিন্দ্রনাথের উপর। তারপর জ্যেষ্ঠ জামাতা সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর। রবীন্দ্রনাথ যেদিন বিয়ে করেন সেদিন সারদাপ্রসাদ আকস্মিকভাবে মারা যান। এরপর জমিদারির দায়িত্ব পড়ে রবীন্দ্রনাথের উপর।

এডওয়ার্ড সাহেব নামে জমিদারির এক ম্যানেজার ছিলেন। তিনি শিলাইদহ ছেড়ে যাওয়ার সময় আমলাবাবুদের করমর্দন করে বিদায় অভিবাদন জানিয়ে বলেছিলেন, পোয়েট টেগোরের জমিদারিটা মোটেও তাঁর কবিতার মত নয়। এ বড় বিষম ঠাঁই, এখানে কবিকে খুব ভুগতে হবে।

তিনি প্রথমে এসেই তার কাছারি থেকে হিন্দুদের জন্য আলাদা হুকো—মুসলমানদের আলাদা হুকো এটা বাতিল করে দেন। সবাইকে এক সঙ্গে বসালেন তার কাছারিতে। কখনো তিনি একা, কখনো তিনি সপরিবারে শিলাইদহে, সাহাজাদপুরে থেকেছেন, বোটে করে ঘুরেছেন—পদ্মায়, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। কুষ্টিয়ার গড়ুই নদীটি তখন শুকিয়ে গিয়েছিল। লোকজনের চলাচলের জন্য কুষ্টিয়া থেকে শিলাইদহ পর্যন্ত ৬ মাইল রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। প্রজাদের সঙ্গে মিশতেন সহজ মানুষের মত। বাউল ফকিরদের ডেকে গান শুনতেন। আলোচনা করতেন। লালন ফকিরের গান তিনিই সংগ্রহ করেছিলেন। কাঙাল হরিনাথের বন্ধু গগণ হরকরার কাছ থেকে আমি কোথায় পাব তারে/ আমার মনের মানুষ যে রে –গানটি শুনে লিখলেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গানটি।

তখন ছিল সাহাবাবুদের সুদের ব্যবসা। তার জমিদারীর দরিদ্র প্রজাদের অধিকাংশই ছিল জোলা বা তাঁতী সম্প্রদায়ভুক্ত। তিনি সাহাদের হাত থেকে শেখদের বাজানোর জন্য পতিসরে কৃষি ব্যাংকের পত্তন করেছেন। মহাজনদের কাছ থেকে মাসে ১০ টাকা হার সুদে ঋণ নিত চাষীরা—আর রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত কৃষি ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিত বার্ষিক ১২ টাকা সুদে। (আজ ডঃ ইউনুসেরগ্রামীন ব্যাংক কৃষকদের কাছ থেকে বার্ষিক ৩৭ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদান করে।) রবীন্দ্রজীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ আত্মীয়-বন্ধুদের এখানে টাকা জমা রাখতে প্ররোচিত করতেন, নিজেও নোবেল প্রাইজের বৃহদংশ নিয়োগ করেছিলেন এই ব্যাংকে। কৃষি ব্যাংকের অর্থ প্রজাকল্যাণ ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহার হোক রবীন্দ্রনাথ আদৌ ইচ্ছা করেন নি।

   ১৯০৫ সালে খ্রীস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও বিলিতি  জিনিস বর্জন আন্দোলনের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ প্রতিযোগী দেশীয় শিল্প গড়ে তোলার চিন্তাও করেছিলেন। তারই একটি প্রকাশ হল কুষ্টিয়ায় তাঁতের কারখানা স্থাপন। কুষ্টিয়ায় তাতেঁর কারখানা স্থাপন করেন। দুটি ‘কুষ্টিয়া উইভিং স্কুল’ স্থাপন করে গ্রামের লোকজনদের তাঁতকৌশল শেখানো হত। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—নিম্নমানের সুতো সরবরাহ করা থেকে আরম্ভ করে বহু রকম অসাধুতার সঙ্গে যুদ্ধ করে কয়েক বছরের মধ্যেই উদ্যোগটির অপমৃত্যু ঘটে। ছেলে রথীন্দ্রনাথকে মার্কিন দেশ থেকে কৃষিবিদ্যায় শিক্ষিত করে এনে ১৯০৯ সালে রবীন্দ্রনাথ পুত্রকে সদর শেরেস্তার জমিদারী কাজ বুঝিয়ে দিলেন। বাবার সঙ্গে ছেলে বোটে তখন ঘুরেছেন। রথীন্দ্রনাথ  লিখেছেন—মাঝে মাঝে যখন তিনি ( রবীন্দ্রনাথ) নিজে কিছু বলতেন, তাঁর বিষয় হত দেশের প্রজাসাধারণের সামাজিক ও আর্থিক দুরাবস্থা এবং তার প্রতিকার কল্পে তাঁর অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান।…
শিলাই দহে আমার নতন জীবন শুরু হল--আমি যেন ইংলন্ডের-আমেরিকার পল্লী অঞ্চলের একজন সম্পন্ন কৃষাণ। অনেকখানি জায়গা জুড়ে ক্ষেত তৈরি হল, আমেরিকা থেকে আমদান হয়ে এল ভুট্টার বীজ ও গৃহপালিত পশুর জাব খাবার মত নানাবিধ ঘাসের বীজ, নৈনিতালের আলু। এ দেশের উপযগী করে নানারকম লাঙল, ফলা ও কৃষির অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি করা হল—এমন কি, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করার জন্য ছোটোখাটো একটি গবেষণাগার পত্তন হল। পতিসরে ট্রাক্টরও আনা হয়েছেল। বাংলাদেশে ট্রাক্টর এর আগে কেউ আনে নি। রেশম চাষের ব্যবস্থাও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ ১৯১১ সালে ১৮ ডিসেম্বর একটি উইল করে প্রায় সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির নির্ব্যূঢ় স্বত্ব দান করেন রথীন্দ্রনাথকে। তিনি উইলের সঙ্গে একটি চিঠিতে পুত্রকে লেখেন—
‘’জমিদারী সম্পত্তির আয় নিজের ভোগে না লাগাইয়া প্রজাদের হিতার্থে যাহাতে নিযুক্ত করেন রথীকে সে সম্বন্ধে বারবার উপদেশ দিয়াছি। তদনুসারে এইরূপ মঙ্গল অনুষ্ঠানে তিনি যদি তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি প্রসন্নচিত্তে উৎসর্গ করিতে পারেন তবে আমার বহুকালের একান্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয়।…’’।

যে-সমাজে রবীন্দ্রনাথ জন্ম নিয়েছিলেন, ধনী জমিদারদের সেই উনিশ-শতকী সমাজের প্রথাই ছিল জমিদারীতে না যাওয়া, কলকাতার প্রাসাদে শুয়ে বসে, টাকার দরকার হলে (অথবা না হলেও) দরিদ্র প্রজাদের শোষণ করে টাকা সংগ্রহ করা, অলস, উদ্দেশ্যহীন, শিশ্নোপরায়ন জীবন যাপন করে যাওয়া –তাদের নিজেদের পরিবারেই এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। অথচ রবীন্দ্রনাথ কেমনভাবে জমিদারি চালাতেন তাঁর বর্ণনা আছে আই.সি.এস ও’মালি সাহেবের লেখা গেজেটিয়ারে, যেখানে তিনি ঠাকুর জমিদারির পরিচালনব্যবস্থার সপ্রশংস বর্ণনা দিয়ে তারপর বলেছেন, বেশির ভাগ বাঙালি জমিদার যদি ‘কবি রবীন্দ্রনাথের’ মতো করে জমিদারি চালাতেন, তাহলে বাংলাদেশের চেহারা আমূল বদলে যেতে পারত। কোনো দরকার ছিল না তার সমস্ত সঞ্চিত অর্থ, পত্নীর গহনা, শখ করে তৈরি করা পুরীর বাড়ি, নিজের লাইব্রেরী, এমন কি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পিতামহের সোনার ঘড়ি, নিজের বইয়ের সত্ব—সব বিক্রি করে গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু তার অর্ধেক জীবন অতিবাহিত করা।

জমিদার রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ :
…………………………………………………………………………….
রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগটি এনেছিলেন প্রয়াত প্রফেসর আহমদ শরীফ। তিনি বলেছিলেন—তিনি প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। ফরহাদ মজহার  মশকরা করে বলেছিলেন—
আমাদের রবিবাবু মস্তবড় কবি, সাহেবেরা
নোবেল প্রাইজ দিয়ে হক তার সাহিত্য কীর্তির
 করেছে কদর। ইংরেজের ঘেঁটু হয়ে তার বাপ-দাদা
মালপানি কামিয়েছে, বনেছে স্বঘোষে জমিদার (দৈনিক ইনকিলাব,৬ আগস্ট, ২০০০।

তার তালেবান শিষ্য সাদ কামালী তাদের তালেবানী পত্রিকা অগ্রবীজের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যায় (ডিসম্বর, ২০০৭) ”রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে ও গদ্যে মুসলমানের কথা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’’ প্রবন্ধে আহমদ শরীফের উল্লিখিত প্রবন্ধের অন্তর্ভূক্ত একটি ব্যক্তিগত চিঠি পুরোটা তুলে দিয়েছেন। আহমদ শরীফ লেখক আবুল আহসান চৌধুরীকে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ যে প্রজাপীড়ক ছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলেছিলেন। কুষ্টিয়ায় অবস্থান জনাব চৌধুরী সে চিঠির উত্তরে প্রথমেই জানাচ্ছেন—ঠাকুর জমিদারদের প্রজাপীড়নের সংবাদ কাঙাল হরিনাথের গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা’র কোন বর্ষে কোন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল তা আমাদের সঠিক জানা নেই। আমাদের কাছে ‘গ্রামবার্তার যে ফাইল আছে, তাতে এই সংবাদ নেই। কাঙাল হরিনাথ কুমারখালি বাংলা পাঠশালার প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৮৬৩ সালে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটি মাসিক, পাক্ষিক, সাপ্তাহিক ইত্যাদির চেহারায় অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে লুপ্ত হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের প্রজাপীড়ণের কোন সংবাদ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নি। কিন্তু ধারণার উপর ভিত্তি করে গুরুকে খুশী করে লেখা চিঠির উত্তর থেকে সাদ কামালী এই যুগে এটা তার প্রবন্ধে ব্যবহার করে বলেছেন—রবীন্দ্রনাথ প্রজাপীড়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আবুল আহসান চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একাধিক প্রবন্ধ-বই লিখেছেন। তিনি কোথাও দাবী করেন নি যে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আনীত প্রজাপীড়নের অভিযোগটি সঠিক।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গোলাম এবনে সামাদ দৈনিক সংগ্রামে মাঝে মাঝে এ ধরনের কলাম লিখে থাকেন। তিনিও প্রজাপীড়ক জমিদার হিসাবে রবীন্দ্রনাথকে চিহ্ণিত করে থাকেন। এবনে সামাদ একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর ছিলেন। একাত্তরের পরে এই অপরাধে তাঁকে চাকরীচ্যুত করা হয়। জিয়াউর রহমান তাঁকে চাকরী ফিরিয়ে দেয়। সুতরাং এই প্রজাপীড়কের অপপ্রচারকরা কী মাল সেটা জানানোর জন্যই এই সব ছোট খাট তথ্য বলা হল।


লিংক--
সচলায়তনে প্রথব পর্ব— http://www.facebook.com/notes/kulada-roy/anya-aloya-rabindranatha-1/10150263212500338]
ফেসবুকে প্রথম পর্বhttp://www.facebook.com/notes.php?id=1573787229&notes_tab=app_2347471856#!/note.php?note_id=10150263212500338--http://www.facebook.com/notes.php?id=1573787229&notes_tab=app_2347471856#!/note.php?note_id=10150263212500338
সচলায়তনে দ্বিতীয় পর্ব --জমিদার রবীন্দ্রনাথ--http://www.sachalayatan.com/porimanob/35085
ফেসবুকে দ্বিতীয় পর্ব-http://www.facebook.com/note.php?note_id=10150270351295338&comments#!/notes/kulada-roy/anya-aloya-dekha-2-jamidara-rabindranatha-thakura/10150270351295338
· · Share




    • Roi Raj
      ‎''...দ্বারকানাথ ঠাকুরকে ১৮০৭ সালে এ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে যান। তখন তাঁর বয়স মাত্র তের বছর। তার বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পত্তি দ্বারকানাথের স্ত্রী অলকা দেবী ও দ্বারকানাথের জেষ্ঠ্য ভ্রাতা রাধানাথ দেখাশুনা করতেন।''
      ------দ্বারকানা...থের স্ত্রী কি সাবালিকা ছিলেন যখন দ্বারকানাথ নাবালক ছিলেন?See More
      Tuesday at 2:56pm · · 1 personLoading... ·


    • Kazi Mamun লাইক দিয়ে শুরু করি। দাদা- লেখায় তথ্যগুলো অধিকাংশই এসেছে বৈষয়িক। আমি যেমন জানি এই জমিদারী নিয়ে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ সুখী ছিলেন কিছুতেই। তাঁর মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দিতে পারেন নি। এরপর এ কারণে শশুর বাড়িতে মেয়ের লাঞ্চনা...মেয়ের মৃত্যু..."আজ জোছনারাতে সবাই গেছে বনে" গান লেখা...রবীন্দরনাথ এর লেখার ইতিহাসের সাথে সাথেও পাওয়া যায় তাঁর জমিদারীর দুর্দশা'র কথা। আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল আর বই পত্তর সব দেশে। আমি অসহায়...যারা সহায় আছেন তাঁরা আলোচনা দিয়ে এই লেখাটাকে আরো পূর্ণ করে তুলবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
      Tuesday at 3:05pm · ·


    • Hosne Ara Begum Dhonno bad....nutun alo ke alokito korer jonno
      Tuesday at 3:06pm · ·


    • Kazi Mamun ‎"এই জমিদারী নিয়ে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ সুখী ছিলেন কিছুতেই"-> "এই জমিদারী নিয়ে ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ সুখী ছিলেন না কিছুতেই। " পড়তে হবে। সচলে কমেন্ট এডিট করার অধিকার নেই এখনো।
      Tuesday at 3:20pm · ·


    • Rasel Pervez
      ‎"তিনি ১৮৬৩ সালে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটি মাসিক, পাক্ষিক, সাপ্তাহিক ইত্যাদির চেহারায় অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রজাপীড়ণের কোন সংবাদ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নি। "

      কুলদা রায় সবিনয়ে বলি..., আমার ক্ষীণ ধারণা সনটা ১৮৯৩ থেকে ১৮৯৫ হলে ভালো হতো। রবীন্দ্রনাথ জন্মেছেন ১৮৬১ সালে, তিনি ২ বছর বয়েসে জমিদারী দেখাশোনা শুরু করেছেন তথ্যটা সাধারণ পাঠক হিসেবে হজম করতে কষ্ট হচ্ছে।

      ১৮৯০ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত জমিদারী দেখাশোনা করলেও এর পরেও পরবর্তী ১২ বছরে, নোবেল পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি জমিদারি তদারকিতে এসেছেন নিয়মিত।
      See More
      Tuesday at 4:20pm · · 1 personLoading... ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Roi Raj@ আপনার এবং সাগর কান্তির উত্থালিত বিষয়টিতে আমিও প্রথমে হোঁচট খাই। ঠাকুর পরিবারের সব বৌ-ই গ্রহণ করা হতো সাধারণত স্বামীর অর্ধেকেরও বেশি কম বয়েসি এবং নিরক্ষর। এ ব্যপারে রবিবাবুর স্ত্রীও ব্যতিক্রম ছিলেন না।
      কুলদা রায়@ ১। সাদ কামালীর 'গুরু...' প্রয়াত প্রফেসর আহমদ শরীফ ও কি তাহলে তালেবানপন্থি বা তালেবানদের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলেন?
      ২। জমিদারি সামন্ততান্ত্রিক প্রথা ভারতবর্ষে যা আগে কখনও ছিল না। ১৭৮০'র দিলে লর্ড কর্ণওয়ালিস 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে এটা প্রবর্তন করেন। সমাজতাত্ত্বিক দিক থেকে প্রজা আর জমিদারের যে স্বার্থবৈরীতা (Conflict of Interests) সেটা কি রবিঠাকুরের জামানায় বিদ্যমান ছিল নাকি তিনি অপসৃত করেছিলেন এটা?
      ৩। শিলাইদাহ-এ জমিদার কর্তৃক প্রজাপীড়নের কোন সংবাদ কখনও কি কাঙাল হরিনাথ প্রকাশ করেছেন তার পত্রিকায় বা তিনি কোন প্রজাপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন কিংবা কাঙাল হরিনাথ নিজে জমিদার কর্তৃক হুমকিগ্রস্ত হয়েছেন কি?
      ৪। এখানে একটি বাক্যে '১৯০৫ সালে খ্রীস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও বিলিতি জিনিস বর্জন আন্দোলনের পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় তাতেঁর কারখানা স্থাপন করেন' ৩টি তথ্য এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে সব লেপ্টেলুপ্টে গেছে। ১৯০৫ এর বঙ্গভঙ্গ কলকাতা কেন্দ্রীক এলিটদের (মূলতঃ হিন্দু) স্বার্থবিরোধী ছিল এবং রবিঠাকুর এর বিরুদ্ধবাদিদের সঙ্গে জুটেছিলেন, যা ছিল তাঁর সারা জীবনের মাত্র ২টা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের একটি। কিন্তু প্রশ্ন হল তিনি কত দিন পর্যন্ত এর সঙ্গে ছিলেন? কারণ এই আন্দোলন ১৯১১ পর্যন্ত চলেছিল।
      See More
      Tuesday at 4:42pm · · 1 personLoading... ·


    • Roi Raj
      পুং তন্ত্রের অন্ধকার যুগে দ্বারকানাথের বউ অলোকাকে দেখার ভার দেয়া হোলো ক্যান সেটাতেই আটকে পড়েছি
      ১ অলোকা কি অতীব বুদ্দিমতী ছিলেন
      ২ অলোকা কি সাবালিকা ছিলেন
      ৩ অলোকা কি বয়সে বড়ো ছিলেন বেনে বাড়ীর ধরণে?
      ---উত্তরকালে দ্বারকনাথের কিছু বেশ্যালয় হইয়া ধ...নবৃদ্ধি
      হ্য়... যাহার প্রভাব দেবেন্দ্রনাথের স্ত্রী-র ওপরে বরতায়
      ৪ অলোকা কি দ্বারকনাথের বেশ্যালয়ের টেকাপয়সা নাড়াচাড়া করিতেন?
      উৎসুক
      See More
      Tuesday at 4:48pm · ·


    • Roi Raj ‎''ঠাকুর পরিবারের সব বৌ-ই গ্রহণ করা হতো সাধারণত স্বামীর অর্ধেকেরও বেশি কম বয়েসি এবং নিরক্ষর। এ ব্যপারে রবিবাবুর স্ত্রীও ব্যতিক্রম ছিলেন না।''
      ---আরে মশাই পাওয়াই যেতনি তো...কম বয়েস হলে প্রচার কম যে মেয়েটা বা পোলাডা গেলো কৈহানে
      Tuesday at 4:52pm · ·


    • Roi Raj জ়োতির বয়স বাড়ছিল অথচ মেয়ে নো মিলতি--হেভি পড়েশান হোতি ইন রবি হাউস... একটা সারটেন সমতা রক্ষার জন্য...আদ্দেক বয়স হোলেও
      Tuesday at 4:59pm · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Rasel Pervez@ রবিবাবু নিশ্চিত রূপে ১৮৯২/৯৩ থেকে ১৯০০ পর্যন্ত শাহজাদপুর ও শিলাইদহে জমিদারি তদারকি করেছেন। ১৯০০ সনে জমিদারি ভাগবাতোয়ারা হলে শিলাইদহ তার ভাইয়ের মালিকানায় চলে যায় এবং তিনি পান বীরভূমের বোলপুর কাছের জমিদারি। এর পর আর কখনই তিনি এক...টিবারের জন্যও শিলাইদহে যাননি।
      Kazi Mamun@ ১। 'আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে' গানটি তাঁর ছেলের মৃত্যুর রাতে রচিত বলেই আমার জানা। দোলপূর্ণিমার রাত ছিল সেটা।
      ২। রবিঠাকুর তার ২ মেয়ের বিয়েতেই যৌতুক দিয়েছিলেন। পরে এক জামাতার দাবি মেটাতে না পারায় কবির সম্পর্ক নষ্ট হয় তার সঙ্গে।
      See More
      Tuesday at 5:09pm · · 2 peopleLoading... ·


    • Sandeep Shukla Onek tothyoi dekhchi bhul dharonai bhora.. Prashanta Kumar Pal er Rabijibani boi ta ektu consult kore likhle bhalo hoito. Ar Bongobhongo ke hindu swarther andolon bolar oitihasik bhitti ki sudhu bangladeshei likhito?
      Tuesday at 10:37pm · ·


    • Kulada Roy কোন তথ্যগুলো ভুল--সেটা নির্দেশ করুন এবং কেন ভুল ভুল সেটা বলুন।
      Yesterday at 12:08am · ·


    • Kulada Roy
      ১) ১৯০৫ সালে খ্রীস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও বিলিতি জিনিস বর্জন আন্দোলনের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ প্রতিযোগী দেশীয় শিল্প গড়ে তোলার চিন্তাও করেছিলেন। তারই একটি প্রকাশ হল কুষ্টিয়ায় তাঁতের কারখানা স্থাপন।
      ২) রামলোচন ঠাকুর উইলে শর্ত দেন যে, দ্বারক...ানাথ বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সম্পত্তির রক্ষণাবক্ষেণ করবেন রামলোচনের স্ত্রী অলকাদেবী এবং দ্বারকানাথের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রাধানাথ। মূল পোস্টে ভুলবশত অলকাদেবীকে দ্বারকানাথের স্ত্রী লেখা হয়েছিল--এটা প্রিন্টিং মিস্টেক। অলকা দেবী রামলোচনের স্ত্রী। তিনি বিষয়বুদ্ধি সম্পন্না ছিলেন।
      ৩) গ্রামবার্তা পত্রিকা ১৯৬৩--১৯৬৫ সাল পযর্ন্ত গ্রামবার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। সুতরাং সে সময়ে ঐ পত্রিকায় তৎকালীন জমিদার দেবেন্দ্রনাথের প্রজাপীড়নের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ থাকে। রবীন্দ্রনাথের নয়। সুতরাং কিন্তু দেবেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তার পুত্র রবীন্দ্রনাথের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাঙাল হরিনাথের কোন বিসম্বাদ জানা যায় না। তবে হরিনাথ জমিদারদের উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। কিন্তু কাঙাল হরিনাথের সখা গগণহরকরাকে তিনি হরিনাথের মাধ্যমেই ডেকে আনিয়েছিলেন কাছারিবাড়িতে। তার গান শুনেছিলেন। ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের উপর হরিনাথের উপর কোন ক্ষোভ ছিল বলে জানা যায় না।
      ঠাকুর-জমিদারদের প্রজা-পীড়নের বিষয়ে আবুল আহসান চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ জীবনের নিপুণ ভাষ্যকার শ্রী শচীন্দ্রনাথ অধিকারীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তিনি এ অভিযোগকে সমর্থন করেন নি বলে জনাব চৌধুরীর পত্রে উল্লেখ করা আছে।
      See More
      Yesterday at 1:01am · ·


    • Nuruzzaman Manik ‎"এবনে সামাদ একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর ছিলেন। একাত্তরের পরে এই অপরাধে তাঁকে চাকরীচ্যুত করা হয়। জিয়াউর রহমান তাঁকে চাকরী ফিরিয়ে দেয়।"
      রেফারেন্স দরকার ।
      Yesterday at 1:49am · · 2 peopleLoading... ·


    • Rasel Pervez ‎@ হৃৎকমল Hrithkomol, রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র কিন্তু আলাদা সাক্ষ্য দেয়, কিংবা তার কবিতা। তিনি গিয়েছেন শিলাইদহ, তবে এটা বিতর্কের বিষয় নয় এখানে।
      Yesterday at 2:16am · ·


    • Harabindu Halder লালন ফকির ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছু পড়াশুনা করেছি কিন্তু কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রজাপীড়ক একথাটি পাই নি।
      Yesterday at 5:33am · · 1 personLoading... ·


    • Novera Hossain Nelly
      কুলদা বাবু এ কথাটা আপনার জানা থাকা দরকার যে শ্রেণী একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যে যেই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত তার মনস্তত্ত্ব সে শ্রেণীর মূল্যবোধেই গড়ে ওঠে....তবে ব্যতিক্রম ঘটে! রবীন্দ্রনাথ সে ব্যতিক্রম। তিনি কবি, লেখক....কিন্তু তাই বলে... সব সময় যে তিনি জমিদার হয়ে প্রজাকে জমিদারের চোখ দিয়ে দেখেন নি তা বলা যাবে না। তাহলে তো তিনি জমিদার প্রথা তুলে দেয়ার জন্য কথা বলতেন এবং নিজে অন্তত ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতেন। ভাল জমিদার কথাটা ছেলে ভোলানোর মতো। এসব সিস্টেম তৈরি করাই হয়েছে প্রজাকে চোখ নীচু করে রাখার জন্য। এখনও তাই চলছে..
      আর এসব নিয়ে কথা থাকবেই। তবে আমার মনে হয় একজন কবিকে কেন একই সাথে নবীও হতে হবে? তিনি তা না হয়েও কালজয়ী সাহিত্য, শিল্প রচনা করতে পারেন। যাক
      গল্প লেখক সাদ কামালীকে কেন তালেবান বল্লেন আর অগ্রবীজ পত্রিকাকেই বা কেন তালেবানী পত্রিকা বল্লেন বোধগম্য নয়। শব্দগুলো প্রয়োগের আগে অনেক ভাব্বেন। আলটপকা বলে দেবেন না। হয়তো তাদের অনেক কথা আপনার সাথে মেলে না তাই বলে যা ইচ্ছা লিখবেন! এটা তো মগের মুল্লুক না। আপনি একজন লেখক হয়ে লেখক, শিল্পীদের সম্মান করতে শেখেন। দু:খিত অনেক কথা বলে ফেল্লাম, মানে বলতে বাধ্য হলাম।
      See More
      Yesterday at 5:44am · · 4 peopleLoading... ·


    • Abdul Momen আমার কেনজানি রবিন্দ্রনাথকে লালনের অনুসারি বলে মনে হয় ।
      Yesterday at 6:48am · ·


    • Sandeep Shukla ‎@Kulada ..apnar tothyey bhul bolini..
      Yesterday at 7:43am · ·


    • Kulada Roy
      নভেরা, শ্রেণী কথাটাতে আমারও ভক্তি বিশ্বাস ছিল। কিন্তু অগ্রবীজ চিন্তকদের এবং গুরুদের শ্রেণী প্রাকটিসটা দেখে গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।
      যে সময়ে যারা শ্রেণী কথাটাকেই হাস্যকর তুলেছেন--তাদের জন্য শ্রেনী কথাটার আড়াল নেওয়ার দরকার আছে কি?

      শ্রেণী কথাটা দেখি... আমাদের বদরুদ্দিন উমর, ফরহাদ মজহাররা জপতে জপতে মুখ ফেনা তুলে ফেলেন। কিন্তু তারা কোন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করেন? কোন শ্রেণীর লোকজনের সঙ্গে মেশেন? কোন শ্রেণীর হয়ে লড়াই করেন? এই প্রশ্নগুলো সলভ করলেই বাইরে ফটাফট ভেতরে সদরঘাট কাহিনীটা বেরিয়ে পড়ে।

      ধরা যাক ভাবান্দোলন এবং মোকাবেলা গ্রন্থ রাজি এবং হযরত সাদ কামালীর প্রবন্ধ সকলে প্রচুর শ্রেণীর তত্ত্ব পাই। কিন্তু তারা নিজেরা সাহেব সংস্কৃতিতে জীবনযাপন করেন। অবশ্য মাথার পেছনে বান্দর লেজ পুষে আর লুঙ্গি পিন্দে তিনি অবশ্য গরীব শ্রেণী না-শ্রমিক শ্রেনী না সর্বহারা শ্রেণী-র প্রতিনিধিত্ব করার ভেকটা ধরেন বোঝা মুশকিল। কারণ তিনি কোটি কোটি টাকা নাড়াচাড়া করেন। বিরাট গাড়িতে চড়েন। বিশাল বাড়িতে থাকেন। বিদেশ বিভূঁইতে সফর করেন। শিল্পপতি মাহমুদুর রহমানের জিগরি দোস্ত বনে যান। মার্কিন দেশের সবুজ কার্ড পকেটে রাখেন, বিবি রাখেন, মেয়ে রাখেন--তিনি কোন শ্রেণীর দায়িত্ব পালন করেন বাহে? খালোদা জিয়ার সফর সঙ্গী হন, বিএনপি-জামাতের জোটের নির্বাচনী প্রচার কমিটি দ্বিতীয় ব্যক্তি হন, সংগ্রামে, নয়াদিগন্তে লেখেন--তখন তিনি কোন শ্রেণীর মুখপাত্র হন--নভেরা?
      শ্রেণী কথাটাকে পচিয়ে দিচ্ছেন কেন? আপনি তো এরকম নন।
      দেখে শুনে মনে হচ্ছে--শ্রেণীর মা মইরা গেছে।

      একটি লেখায় জনাব সেবাদাসনামা লিখেছিলেন নেতৃত্ব কাহারা দেবে বিপ্লবের? নাদান উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা? তিনি উত্তরে মার্কসো সাহেবের উদ্ধৃতি দিয়ে কহিয়াছিলেন--না, না, নাদান শ্রমিক হইবে কেন? উহার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত উন্নততর লোকজন নেতা হইবেন। নাইলে বিপ্লব মাঠে মারা যাইবে। হা হা হা। শ্রেনী! একা রবীন্দ্রনাথের দোষ দিয়ে লাভ কি? তিনি তো বিপ্লবী নহেন।

      আর আমি লেখকদের মর্যাদার ব্যাপারে অতীব সচেতন। কালাকে কালা ধলাকে ধলা বলা আমার স্বভাব। আর তালেবান তো তালবেলেম শব্দ থেকে উদ্ভুত। তালবেলেম শব্দটির অর্থ ছাত্র। অগ্রবীজ এবং সাদকামালীরা বান্দর লেজপোষা গুরুসাহেবের ছাত্র মাত্র।

      রবীন্দ্রনাথ নবী হতে যাবেন কেন। লালনকে তো বান্দর লেজা মজহার নবীতুল্য করে তুলেছেন--এবং তার কবিতাকে পবিত্র কালাম হিসাবে অভিহিত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথই।
      See More
      Yesterday at 7:56am · ·


    • Novera Hossain Nelly
      কুলদা বাবু যে কোনো ক্লাসিফিকেশনকেই শ্রেণী-বিভাজন বলা হয়। তা প্রজাতি, ধর্ম, রাজনৈতিক যা কিছু হতে পারে। এর সম্পর্কে উচ্চ ধারনা করার কিছু নাই, নিরপেক্ষ থাকাটা দরকার। আমার আলোচ্য শ্রেণী একটি সমাজতাত্ত্বিক বিভাজন। সাধারণত: বিত্তের উপর নির্ভর... করে এ শ্রেণী বিভাজন করা হয়ে থাকে...উচ্চ, মধ্য, নিম্ন..এই তিন শ্রেণীর আরো হাজারটা বিভাজন করা যায়....তো রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিত্তের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের রুচি অনুযায়ী গান, কবিতা, লিখেছেন....কখনো দেখবেন না যে বস্তির ঘরে বা গ্রামের কৃষক রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনছে বা তাদের লেখা পড়া দিয়ে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পড়তে পারে....এ বিষয়টাকে দোষণীয়ভাবে বদরুদ্দীন ওমররা বা বাম রাজনীতির অনেকে দেখেছেন...তা অর্থহীন। কোনো কবি বা লেখক...স্বতস্ফূর্তভাবেই তার শিল্প রচনা করেন...কবিতা মানুষের উপকার করার জন্য লেখেন.... তা দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখা যাবে বা যাওয়া উচিত-এ ধারনাটা অর্থহীন। তবে কবি যেহেতু সমাজে বাস করে...তার নিজের শ্রেণী বা ধর্ম বা জাতির ক্রান্তিকালে অথবা কোনো বৈষম্য দেখলে তার মনে প্রতিক্রিয়া ঘটে এবং সে তার সাহিত্যে কখনো কখনো বিপ্লবকে নিয়ে আসে...তবে .একেক জনের ভাষা একেক রকম তা বেঝার দরকার আছে।
      ফরহাদ মজহার বা সাদ কামালী তাদের নিজ উচ্চবিত্তীয় ঘেরাটোপে থেকেই তাদের কাজ করেন.. মুখে অন্য শ্রেণীর কথা বললেও নিজ শ্রেণী ত্যাগ করা অতো সহজ নয.বা করলেও মন-মগজ বদলানো কঠিন বা অসম্ভবও হতে পারে।
      See More
      Yesterday at 10:25am · ·


    • Kulada Roy ভাল বিশ্লেষণ নভেরা। আপনাকে ধন্যবাদ।
      Yesterday at 10:38am · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      কুলদা রায়বাবু@ আপনাকে আমি সুনির্দষ্ট ৪টি প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি আমার প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেলেন নাকি বুঝলাম না। আরও ২টা সম্পূরক প্রশ্ন ছিল। ভেবেছিলাম করে করবো। কিন্তু মনে হচ্ছে অর্থহীন। শুধু একটিমাত্র, কাঙাল হরিনাথ সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব দিয়েছেন প...ারভেজের করা প্রশ্নের জবাবে তাও আরও বিভ্রান্তিকর ‘১৮৬৩-১৮৬৫ সাল’ যায়গায় ‘১৯৬৩--১৯৬৫ সাল’ লিখে। যাইহোক, ‘১৮৬৩-১৮৬৫ সাল’ বা আপনার পরে দেওয়া ‘১৯৬৩-১৯৬৫ সাল’ যেটাই ধরতে চান (আপনার দয়ার উপর) তাতে রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ কোন কার্যকলাপেরই, তা প্রজানিপীড়ন বা প্রজাপালন হোক, থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ রবীন্দ্রনাথ ১৮৯২ এর আগে শিলাইদহ যাননি এবং ১৯৬৩ সনের আগেই তিনি গত হয়েছেন।
      এখন মনে হচ্ছে এসব প্রশ্নে আপনি এতটাই বিরিক্ত যে ভুলভাল লিখতে শুরু করেছেন। এর মূল কারণ যা আমি আগেও অনেক বার বলেছি, এবং আপনার সর্বশেষ জবাবেও তা সুস্পষ্ট, এই লেখার উদ্দেশ্য বা হিডেন এজেন্ডা একটাই তা হল ফরহাদ মজহার, সলিমুল্লাহ খানদের উপর ঝাল ঝাড়া বা তাদের মুর্খ প্রমাণ করা। সে জন্য তারা যা যা বলেছে তার উল্টোটা প্রমাণ করতেই এত সব! কিন্তু দুঃখজনক হলেও বলতেই হচ্ছে এখান থেকে সেখান থেকে পপুলার প্রকাশনার কিছু লাইন নিয়ে বা রেফারেন্স দিয়ে যা লিখেছেন তার মান আহামরি কিছু হয়েছে মনে হয় না। এটা প্রচারণামূলক লেখাই হয়েছে। ফরহাদ মজহার’র সঙ্গে আমার কোন ঘনিষ্টতা ছিল না। তার হঠাৎ দক্ষিণপন্থায় ঈমান আনায়নের করণও বুঝিনা। কিন্তু সলিমুল্লাহ খানকে চিনি বহু বছর ধরে। তাঁর সঙ্গে আড্ডা মেরেছি মধুতে, টিএসসি’তে এবং শাহবাগে। তার রাজনৈতিক চিন্তার সঙ্গে আমি কোনদিনই সহমত ছিলাম না। কিন্তু একথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি যে তাঁর মেধা-মনন, পড়াশোনা ও রচনা শৈলী অনেক উন্নত। একথা তাকে সমর্থন করতে বলছি না। বলছি এজন্য তাদের মোকাবেলা করতে হলেও ঘটে সেই পরিমাণ মাল বা রেফারেন্স থাকা জরুরি।
      See More
      Yesterday at 11:06am · · 1 personLoading... ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Kulada Roy@ নভেরা যে কথা বলেছে আমি সেটাই ভিন্ন ভাষায় স্বার্থবৈরীতা বা Conflict of Interests হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। ‘শ্রেণী’ কথাটা বদরুদ্দীন উমর, ফরহাদ মজহাররা জপতে জপতে মুখে ফেনা তুলেছে বলে ‘শ্রেণী’ মিথ্যে প্রমাণ হয় না। আপনি আপনার নিজের বক...্তব্য দিয়ে শ্রেণী মিথ্যে প্রমাণের বদলে স্পষ্টতই তাদের আক্রমণের লক্ষবস্তু করেছেন। সাহিত্য আমার অধীত বিষয় নয়। আমি সমাজবিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা, গবেষণা যতটুকু তা ঐ বিষয়েই। এবং প্রতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বলতে পৃথিবীর প্রথম ৫শো’র তালিকায় নাম নেই যে প্রতিষ্টানকে বুঝাইনি। আর্থ-সমাজতাত্বিক বিশ্লেষণে শ্রেণী ও শ্রেণীস্বার্থ অবশ্যই নিয়ামক বিষয়। আর যদি সাহিত্যের দৃষ্টিকোন থেকেও সমাজ-সাহিত্যে শ্রেণীর তাৎপর্য বুঝতে চান তাহলে E P Thompson এর The Making of the English Working Class বা Raymond Williams এর যে কোন বই পড়ুন। আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি E P Thompson এর বাবা E J Thompson রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ঘনিষ্টজনদের একজন এবং তাঁর লেখা বই Rabindranath Tagore: His Life and Work এখনও বিলাতের বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিগুলোতে পাওয়া যায়। আপনি যে সব ব্যক্তি ও লেখকের রেফারেন্স দিয়ে ‘শ্রেণী’ মিথ্যে প্রমাণ করেতে চেয়েছেন গবেষণা-ক্ষেত্রে সেগুলর ফুটোপয়াসাও দাম নেই।
      লিখেছেন রবিঠাকুর 'যেন ইংলন্ডের-আমেরিকার পল্লী অঞ্চলের একজন সম্পন্ন কৃষাণ'; কিন্তু আপনার ধারণা আছে শিল্পবিপ্লবোত্তর ইংলন্ডের-আমেরিকার 'কৃষাণ' কারা হয়? বাংলাদেশের বাসে ট্রেনে চটি বই বিক্রি করতে দেখেছি 'কোন আমারিকার প্রেসিডেন্ট বাদাম বিক্রি করতেন'? জিমি কার্টার!! হাজার হাজার একরের পি-নাট ফার্ম আছে বটে তার!!!
      ‘কালাকে কালা ধলাকে ধলা বলা আমার স্বভাব’ জানিয়েছেন. ভাল কথা। এখন এই ‘কাল’ আর ‘ধলা’ কে কি ভাবে ডিফাইন করেন বা এর সংজ্ঞাটা কি জানাবেন? কিন্তু জগতের সব প্রাণী আপনি যেটা ‘কালো’ বা ‘ধলা’ দেখেন সেটা সে ভাবে দেখে না। মানুষ বহু রঙ দেখতেই পারে না যা অন্য প্রাণীরা পারে।
      তালেবানদের নিয়ে আপনার মাত্রারিক্ত প্রতিক্রিয়ায় এটাও উল্লেখ করাই হচ্ছে যে, আজ যারা বিশ্বব্যাপী তালেবান-আল কায়েদা বিরোধী অভিযানের জিগিরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালেবান-আল কায়েদা’র পিতৃত্ব, মাতৃত্ব ও প্রতিপালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই। তাদের নাম কি ডঃ ফ্রাঙ্কেনস্টাইন?
      See More
      Yesterday at 11:06am · · 1 personLoading... ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Rasel Pervez@ হ্যঁ, বিষয়টা হয়ত প্রাসঙ্গিক বা গ্রুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু হতেও পারে বা আমি আমার নিজের সংশুদ্ধির জন্যই নিশ্চিত হতে চাই। আমার জানা মতে তিনি ১৯০০ পর আর শিলাইদহ যাননি। আপনি কি নিজে শিলাইদহ গেছেন বা সেখানকার নথিপত্র ঘেটেছেন? আমি ২/৩ বা......র গিয়েছি এবং সেখান থেকেও এমনটা জেনেছি। শেষ দিকে রবিঠাকুর সপরিবারে শিলাইদাহতে বাসও করেছেন। ১৯০০ সনে তার স্ত্রী'র মৃত্যু ও জমিদারি ভাগাভাগিতে শিলাইদাহ কবির ভাই সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগে পড়েলে ঐ বছরই তিনি বোলপুরে তাঁর নিজের প্রাপ্ত জমিজারিতে চলে যান। এর পর তিনি আর শিলাইদাহ আসেননি বা আসার সুযোগ হয়নি বলে যানি। তবুও যদি অনুগ্রহ করে আপনার তথ্য উৎসটা জানান হয়ত আমার ভুল কিনা যাচাই করতে পারতামSee More
      Yesterday at 11:21am · ·


    • Kulada Roy
      হৃৎ কলম, আপনাকে ধন্যবাদ আপনার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য।
      প্রথমত বলা দরকার--আমি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে এই সব লেখালেখি করি। কাজের ফাক ফোকর খুজে এগুলো করি। এ কারণে আমার লেখাগুলোতে কিছু তাড়াহুড়ার ব্যাপার থাকে। থাকে মুদ্রণপ্রমাদ। এবং মন্তব্য অনু...সরণ করে তার উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আমার পক্ষে সব সময় হয়ে ওঠে না। সুতরাং কিছু ত্রুটি থেকেই যায়। এটা ইচ্ছাকৃত নয়।
      আমি গবেষক নই। আমি শুরু থেকে বলছি--আমি আলোচনার সূত্রপাত করি। আশা করি আমার বন্ধুরা এখানে নেবেন--এবং অনেক মিথ উল্টেপাল্টে দেখোর সুযোগ করে দেবেন। এ ধরনের নোটের উদ্দেম্য খুব পরিস্কার যে, রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে জামাতিচক্রের যে সব অপপ্রাচার রয়েছে ( ভুয়া মিত) সেগুলো একটু নাড়াচাড়া করা। রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে গবেষণার কাজ গবেষকগণ করবেন। আমি আম জনতার লোক। আমার উদ্দেশ্য পরিস্কার।
      আপনার উত্তরগুলো আমি দেব না কেন? সময় করে তো দিচ্ছি।
      সলিমুল্লাহ খানদের বিদ্যাবিবেচনা নিয়ে আমার ক্ষোভ বা ঈর্ষা বা হীনমন্যতা নাই। আমি শুধু এই মানের জ্ঞানী লোকদের ভীমরতিদশাটাকে তুলে ধরতে চেয়েছি। বলতে চাই যে, এনারা অনেক জাকা লাকার ভিতর দিয়ে জাতিকে মিথ্যে গেলাচ্ছেন। জাতি এটা অপছন্দ করে।
      'যেন ইংলন্ডের-আমেরিকার পল্লী অঞ্চলের একজন সম্পন্ন কৃষাণ'--এটা আমার নিজের কথা নয়। এটা রথীন্দ্রনাথের নিজের বয়ান।
      তালেবানদের গুহ্যতত্ব বিষয়ে যা বলেছেন সে বিষয়ে তো আমার অমত নেই। শুধু তালেবানদের বাপের দোষ দিয়ে আবার তালেবানপক্ষে অংশ নেওয়াটা আমার কাছে ভণ্ডামি মনে হয়।
      See More
      Yesterday at 11:33am · ·


    • Novera Hossain Nelly
      কুলদা বাবু ধন্যবাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ বিষয়টা নিয়ে সন্ধ্যায় ভাবছিলাম, এখন শরীর খারাপ ভাবার অবকাশ অনেক। আমার মনে হল আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যেমন একটা মহানুভবতার ধারনা করেন... বেশিরভাগ মানুষই কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক বা সৃজনশীলদের... সম্পর্কে এমন ধারনা করেন বা বলা যায় আশা করেন, তাদেরকে কল্পনায় এমন উচ্চ আসনে বসিয়ে দেখতে চান........যা লৌকিক নয়, অবাস্তবও বটে....এই যে চিন্তার কাঠামো একে বলা যায় একরৈখিক চিন্তা পদ্ধতি, প্রচলিত বিদ্যা এমনভাবেই ভাবতে শেখায়। এবং এর কারণ হতে পারে এমন যে সেই কবির বা লেখকের লেখায় হয়তো এমন কোনো ভাব বা দর্শন থাকে যা পাঠককে ওই লেখক, কবি সম্পর্কে এমন উচ্চ ধারনা করতে শেখায়; অর্থাৎ যেহেতু কবি বা লেখক অমন সূক্ষ্ম মানবিক দিক নিয়ে কাজ করেন বা তার লেখা পড়ে কেউ সম্পূর্ণ নতুন মানুষে পরিণত হল। এটা ঘটে.. লেখার সে ক্ষমতা আছে....সে ক্ষেত্রে লেখাকে মহান করে দেখাটাই স্বাভাবিক কিন্তু লেখক কিন্তু একজন মানুষ তার সব দোষ গুণ থাকতে পারে এবং যে লেখা পাঠকের মনে ওই উচ্চ ভাবের জন্ম দিল লেখকও রচনাকালে ওই ভাবের মধ্যে ছিলেন.... কিন্তু পরে কিন্তু তার সে ভাবের পরিবর্তন ঘটে....কিন্তু একজন পাঠক যখন লেখাকে পড়েন তাকে স্থির ধরে নিয়ে পড়েন...এবং এজন্যই এই বিপত্তিটা ঘটে....।
      পঞ্চাশ বছর, পাঁচশো বছর পর পাঠক লেখা পড়ে উজ্জিবিত হন..আর লেখক ততক্ষণে মুসোলিনীর মতো চৌরাস্তার মাথায়, এমন হতে পারে....তাতে অবশ্য লেখার কিছু যায় আসে না।
      See More
      Yesterday at 1:44pm · ·


    • Goutam Guha Roy robindronath nea ei thothyo bohul lakhatir jonyo dhonyobad, Sadi bhaier lakhati ameo porechi, kintu amer kokhono mone hoynai uddeswmulok hewo korerjonyo tini oti likhechi, ekjon manush kokhonoi dosth trutir urdhe hote paren na, Robindronath amader chetoner obhibhabok, amader bhasha, sonskritir amor purush, kintu somalochoner urdhe rakhle take bastober thake tule nea protimay rupantorito kora hobe, ja hoyto teneo chaiten na
      Yesterday at 1:52pm · ·


    • Preonty Hossain
      ‎@কুলাদা রায়: আওয়ামীলীগের পা চাটা বুদ্ধীজীবিদের সমস্যা হল এদের দৌড় বিএনপি- জামাতের পা চাটা বুদ্ধীজিবী পর্যন্ত। বিএনপি- জামাতের পা চাটা বুদ্ধীজিবীদের সাথেই তর্কে এরা বেশ বুক ফুলিয়ে কথা বলে কিন্তু এর বাইরে কোন চিন্তাশীল লোক কোন প্রশ্ন করলেই... এরা মিউ মিউ করে, কথা কাটিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায় এবং আর উওর দিতে পারে না। ফলে ডিলিট করে,,,,,,,,,,, না হয় ব্লক করে। রবীন্দ্রনাথকে আমি রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকেই বুঝতে চাই। ফলে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আপনার লেখার প্রতি আমার আগ্রহ নাই তবে এই লেখার উপর যে কমেন্টগুলো হয়েছে সেগুলো পড়ে বেশ লাগল। আপনারে কয়েকটা সোজাসুজি প্রশ্ন করব সাহস থাকলে উওর দিবেন।

      ১. "হৃৎকমল Hrithkomol" সাহেব আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন, সেসবের উওর না দিয়ে আপনি তার নাম নিয়ে মশকরা করলেন যেটা সত্যিই লজ্জার। আপনার মত লোকের কাছে এটা আশা করি নাই। এইটা করলেন কেন্?

      ২. আপনি কার্ল মার্কস নিয়ে নানা রকম স্বপ্ন দেখেন। কিন্ত শেখ মুজিবরে নিয়া কোন কিছু দেখেন না। দেখবেন কেমনে মুজিব তো নিরাকার। না কি?

      ৩. ফরহাদ মাযহার জামাতের পা চাটা লোক এই ব্যাপারে আমারও কোন সন্দেহ নাই। তারে ছাগু বলেন ভাল কথা। আল মাহমুদরে বাল মাহমুদ বলেন ভাল কথা.....তো নূরুজ্জামান মানিক, কাজী মামুন, শরীফ এ কাফী এদের মত আওয়ামীলীগের পা চাটা লোকদের তো হাগু বলতে পারেন নাকি? নাকি এনারা ফেরেশতা?

      ৪. আপনি বলেছিলেন সলিমুল্লাহ খান যে জামাতী তা প্রমান করার জন্য যথেষ্ট তখ্য আপনার কাছে, কই?

      খালি কইতাসেন দেখি নাতো। শোনেন একটা কথা বলি আপনি কেন কেউই সলিমুল্লাহ খানেরে জামাতী প্রমান করতে পারবে না কারন তিনি জামাতী নন। সলিমুল্লাহ খানের সাথে বহু ব্যাপারে আমিও একমত নই যেমন একমত নই হুমায়ন আজাদের সাথে। কিন্তু তাই বইলা হুমায়ান আজাদরে আমি আওয়ামীলীগের পা চাটা দালাল বলব না কারন তিনি তা ছিলেন না। তার মধ্যে ভনিতা কিংবা দালালী ছিল না। যেমন নাই সলিমুল্লাহ খানের ভেতর।তাই সলিমুল্লাহ খানরে জামাতী বইলা উপরে থুথূ মারবেন না প্লিজ।
      See More
      Yesterday at 2:35pm · · 1 personLoading... ·


    • Preonty Hossain আরেকটা কথা ফরহাদ মাযহার এর সাথে বদরুদ্দিন উমরের নাম নিবেন না। আপনি নিজে কিভাবে জীবন যাপন করেন। আপনার কোন ধারনা অছে বদরুদ্দিন উমরের কাজকর্ম আর তার জীবন যাপন সম্পর্কে? তিনি চাইলেই অনেক বিলাসিতার সাথে, র্নিভেজাল জীবনযাপন করতে পারতেন কিন্তু তিনি সেটা না করে এই বৃদ্ধাবয়সেও রাজপথে আছেন। আপনাদের মত খালি ফেসবুকের চিপায়চাপায় না !
      Yesterday at 2:43pm · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      কুলদা@ আপনার লেখালেখির আগ্রহের উপর সহানুভূতি/শ্রদ্ধা আছে বলেই আপনার সঙ্গে মতভিন্নতা সত্বেও এতকথা লেখা। জামায়াত কি বলে বা বলেছে সেটা নিয়ে পাছার কাপড় মাথায় তুলে নাচানাচি করে সুস্থ শরীর ব্যস্ত করা জ্ঞানী বা জ্ঞান অন্বেষকের কাজ হওয়া উচিৎ নয়। আজ...কের যুগেও তথাকথিত উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে আমেরিকায় অনেক মানুষ আছে যারা ডারউইনের তত্ত্বকে শয়তানের মতবাদ মনে করে, এবং বাইবেলের ঈশ্বরের ৬ দিনে বিশ্ব সৃষ্টির ‘ক্রিয়েশনিস্ট’ তত্বে বিশ্বাসী ও সেটাই স্কুল-কলেজে পড়ানোর দাবিও করে। তাতে কি ডারউইন ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়ে যায় নাকি? ডারউইনের বই প্রকাশের পর ইংল্যান্ডের উইস্টারশায়ারের বিশপের বউ বলেছিলেন ‘Descended from the apes! My dear, let us hope that it is not true, but if it is, let us pray that it will not become generally known.’ এটা বললাম এজন্য যে সমাজের এলিট ও ভেস্টেড-ইন্টারেস্ট শ্রেণী কখনওই তাদের স্বার্থ বিরোধী সত্য বা তথ্য সাধারণ মানুষ জানুক সেটা চায় না। আর সেখান থেকেই সেন্সরশীপের শুরু এবং সেন্সর করতে সেই পারে যার ক্ষমতা আছে। ক্ষমতাবানরা শ্রেণী বিশেষ।কিন্তু জ্ঞান-মনস্ক ব্যক্তিদের কাজ নির্মোহ ভাবে সঠিক সত্যানুসন্ধান করা। এজন্য যেমনটা আগেই বলেছি একাজে always try to leave your personal convictions behind when entering the library or the study. আপনি হত জানেন আমি ধর্ম বা পরকালে আস্থাহীন কনফর্ম এথিইস্ট, তবু জানাই ইসলামের নবী বলেছেন ‘জ্ঞানী ও বিদ্যানের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র’। তবু আজ তারা মানুষকে জ্ঞানী হওয়ার থেকে শুধু ‘শহীদ’ হতেই প্রেরণা দিচ্ছে। এটাও শ্রেণীস্বার্থ। এটা রাজনীতি। আর আপনারাও তাদের বিরুদ্ধে ‘ইতিহাস’ বলে যা বলছেল তা খুবই স্থুল ও প্রচারণামূলক। আমিতো আপনার বা যে কারুর নয়া তথ্য মানতে রাজী কিন্তু সেটা নির্ভরযোগ্য সলিড তথ্য হতে হবে।
      আপনি ডঃ আহমেদ শরীফ সংক্রান্ত আমার প্রশ্নের জবাব দেননি। আশা করি দেবেন। তার আগে এইটুকুই বলব আমি Novera Hossain Nellyর সঙ্গে ১০০% একমত। আমাদের দেশে এটা নতুন কিছু নয়, কেউ ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করলেই তাকে জামায়াতী-তালাবান লেবের আঁটা হয়, একই ভাবে ব্যক্তি শেখ মুজিবের কেউ সমালোচনা করলে তাকে রাজাকার হিসে চিহ্নিত করা হয়। কাউকে শুধু ব্যক্তিগত অপছন্দের জন্য যে কোন লেবেল দেওয়াটা বিদ্যামনস্কতার পরিচয়ক নয়।
      এদেশে রবীন্দ্রসাহিত্যের সব থেকে সংকটজনক দিনে যাঁরা রবীন্দ্রনাথকে ডিফেন্ড করেছিলেন ডঃ শরীফ তাঁদের পুরধা। স্বাধীতার ৭বছর আগে ১৯৬৫ সনে ‘অপূর্ব সংসদের’ সময়ে ডঃ শরীফ প্রথম ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয়সংগীত করার প্রস্তাব করেছিলেন। বিশ-বাইশ বছর আগে ডঃ শরীফের ‘রবীন্দ্র-উত্তর তৃতীয় প্রজন্মের রবীন্দ্রমূল্যায়ন’ গবেষণাধর্মি বই প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলীয়-বুদ্ধিজীবি ‘সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব’দের সমালোচনা ও বিষোদ্গার-বিবৃতির বণ্যায় দেশের সংবাদপত্র ভেসে গিয়েছিল। একটা উদাহরণঃ আলী যাকের নামক একজন ‘সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব’, যিনি সম্প্রতি ‘দৈনিক সমকাল’-এর কলামে ভারতের ৭২ বছর বয়স্ক ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্ত কিশোরী আমোনকারকে ‘একজন উদীয়মান উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী’ হিসেবে তার পাঠকদের জানিয়েছেন’, তিনি ঐ ডঃ শরীফকে তখন ‘শতাব্দীর কলঙ্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন! অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে ডঃ সিরাজুল ইসলাম, সহ দেশের অসংখ্য শিক্ষক বুদ্ধিজীবি বিবৃতি দিয়ে একজন লেখকের গবেষণালব্ধ লেখার জবাবে তাকে গালাগালি করার বদলে গবেষণা করে খন্ডন করতে আহবান জানিয়েছিলেন। ডঃ শরীফ কতটা রবীন্দ্রসাহিত্যে সমঝদার ও অনুরাগী তা তাঁর বই পড়লে বোঝা যায়। ডঃ সেলিম আল-দীন সহ এযাবত ডঃ শরীফের ভক্ত ও ছাত্র যতগুলো চিনেছি জেনেছি সবাই প্রবল রবীন্দ্রসাহিত্যানুরাগী। আসল কথা মুদ্রার দুপিঠ দেথতে পারাটা খুবই অপরিহার্য।
      See More
      Yesterday at 3:28pm · · 1 personLoading... ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      কুলদা@ আপনার উদ্ধৃত ১৯০৫ সনে 'বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও বিলিতি জিনিস বর্জন' ও 'পাশাপাশি দেশীয় শিল্প গড়ে তোলার এই বাক্য যে লিখেছেন সে আংশিক সত্যের সঙ্গে অসত্যকে ‘কুকুকড আপ’ করেছেন। রবিন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন খুবই স্বল্প সময়ের জ...ন্য এবং তিনি কখনই বিলিতি জিনিস বর্জনের সমর্থক ছিলেন না। এই বঙ্গভঙ্গ’র প্রেক্ষাপটে বাংলার ইতিহাসের প্রথম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর তিনি এর সঙ্গে আর সম্পৃক্ত থাকেননি। ১৯০৭ সনের শুরুতে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘জীবনে আর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত না হওয়ার’ ঘোষণা দেন। আমি তাঁর মিশনারি বন্ধু C.F. Andrews কে লেখা অনেক চিঠি পড়েছি যেগুলো থেকে সহজেই প্রমাণ করা যায় তিনি কি পরিমান ‘ইংরেজপ্রেমী’ ও ‘রাজনীতি’ তথা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিরোধী ছিলেন। তিনি গান্ধীর ‘অসহযোগ-আন্দোলন’ ও স্বদেশী কাপড় ব্যবহারের ডাকের বিরোধীই শুধু ছিলেন না এমন কি গান্ধীর ‘চক্র’ কে ব্যাঙ্গবিদ্রুপও করছেন।
      ‘ইংলন্ডের পল্লী অঞ্চলের একজন সম্পন্ন কৃষাণ’ রথীন্দ্রনাথের নিজের বয়ান আমি কেন গ্রহণ করতে যাব? রবীন্দ্রনাথ বা রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক আত্মীয়তা বা শত্রুতা কোনটাই নেই। তারা তাঁদের অবস্থান থেকে বলবেন। it is a case of profound misrepresentation of a 100% industrialised society. সবাই তাদের ব্যক্তি ও শ্রেণী স্বার্থের অবস্থান থকেই নিজেদের ইমেজ তৈরি করেন। সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তিও শ্রেণীস্বার্থ-নিরপেক্ষ কেউই নয়, রবীন্দ্রনাথও নয়। তা হতে হলে তাঁকে তাঁর জমিদারি টিকত না। তাঁর ভাইদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত তাঁর জমিদারিই টিকেছিল। আর সবাই দেউলে হয়েছিল। তাঁর নাতি সুভঠাকুরের ভাষায় – কাব্য প্রতিভার মতই প্রখর ছিল রবীন্দ্রনাথের বিষয়বুদ্ধি।
      সগর্বে জানাচ্ছেন তাঁর ‘ছেলে রথীন্দ্রনাথকে মার্কিন দেশ থেকে' শিক্ষিত করে আনার কথা। কিন্তু তাঁর মেয়েদের খবর কি? সে সময়ের সব থেকে প্রাগ্রসর ও শিক্ষা-দীক্ষার পথিকৃত পরিবারের শীরোমণি রবিবাবু তাঁর একটি মেয়েকেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেননি ও তাঁদের ১০-১২ বছর বয়েসে যৌতুক দিয়ে বিদায় করেছেন! এ তালিকা আরও দীর্ঘ করা যায়। কিন্তু তার প্রয়োজন নেই। কারণ এত কিছুর পরেও, শত সীমাবদ্ধতা সত্বেও রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর তালিকায় এক নম্বর না হলেও তার পরের ক্রমিকে স্থান পাবেন। ভয় নেই আমার ‘এক নম্বর’-এ কোন রাজনৈতিক নেতার স্থান নেই।
      যে অভিধা রবীন্দ্রনাথের প্রাপ্য তা থেকে তাঁকে যেমন বঞ্চিত করে তাঁর সম্মানহানি করা যেমন অসম্ভব তেমনি যে অভিধা নয় প্রাপ্য নয় তা দিয়েও তাঁকে সম্মানিত করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অগুনতি মানুষ এখনও বঙ্কিমসাহিত্য পড়েন এবং তিনি মুসলমানবিদ্বষী ছিলেন জেনেই পড়ে। কারণ তারা তার সাহিত্য-রসটুকুই গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাঁর ধর্মচিন্তা বা যবনবিদ্বেষ নয়।
      পরিশষে আপনার ‘তালেবানদের বাপের দোষ দিয়ে' তাবানপক্ষ নেওয়ার বাণীর জবাবে জানাই। জন্ম থেকেই আমরা ধর্মিয় রাজনীতি বিরোধী রাজাকার তালেবান’র পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আপনি আপনার না পছন্দের লোকের ভন্ডামি দেখতে গলদ্ঘর্ম কিন্তু যারা তালেবান’র পিতা, মাতা ও প্রতিপালক তাদের ভন্ডামিটা দেখেন না। এখনও সারা দুনিয়ায় (বাংলাদেশ সহ) এই সেলফস্টাইল্ড তালেবান-বিরোধীদের কার্যকলাপ তালেবানদের নয়া রিক্রুটিং-এর নিয়ামকের কাজ করছে না, তাদের তৎপরতাকে দখলদারির বিরুদ্ধে লেজিটিমেসিও দিচ্ছে। আমি কোন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি নই যে আমাকে তালেবান-আলকাইদার তৎপরতাকে ডিসপ্রোপশেনেট করে সেটা প্রচার করতে হবে। এটা রাষ্ট্রের কর্ণধরেরা করেন, প্রয়োজনে তালেবান-আতঙ্ক বা phobia cultivate-ও করা হয়। সবই রাষ্ট্রক্ষমতা সুসংহত করতে ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারহরণকরতে।
      হৃৎকমল আমার নাম হৃৎ কলম নয়!
      See More
      Yesterday at 4:14pm · · 1 personLoading... ·


    • Roi Raj মান্তেই হবে বাংলাদেশি বাঙ্গালিরা অনেক ভাল জুতসই বাংলা জানেন লেখেন বোঝেন...।আপ্নাদের থিকা টুক্লিফাই করার জন্য...বা ভদ্রভাষায়, শেখবার জন্য
      Yesterday at 5:07pm · ·


    • Rasel Pervez
      আমার তথ্যের উৎস গোলাম মুরশিদের "রবীন্দ্রবিশ্বে পূর্ববঙ্গ- পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রচর্চা" সেখানে পরিশিষ্টে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গে যেসব সাহিত্য রচনা করেছেন এবং চিঠি লিখেছেন তাদের নাম ও সংখ্যা তারিখ সহ উল্লেখিত আছে।
      মৃণালীনি দেবী মৃত্যুবরণ করেন ১৩১...০ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ন, যে হিসেবে ১৯০৩ সালে। ১৩১০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন চৈত্র এমন কি ১৩১১ বঙ্গাব্ধের বৈশাখ মাসেও শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মবিদ্যালয় পুরোপুরি শিলাইদহে অবস্থিত ছিলো , সে সময় তিনি শিলাইদহে অবস্থান করেন।
      এরপর রথীন্দ্রনাথ ফার্মিং শিখতে আমেরিকা যাওয়ার পর ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর পুনরায় তিনি প্রায় ৫ মাসের জন্য শিলাইদহে থাকেন। আরও অনেক তালিকা আছে, তবে নোবেল পাওয়ার পর তার শিলাইদহ আগমন এমন কি পূর্ববঙ্গে আগমন ও এখানে বসবাসের সময়সীমা কমে যায়।
      See More
      Yesterday at 5:08pm · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Rasel Pervez@ ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য। ইংরেজি তারিখ দিলে আমার বুঝতে সুবিধে হত। with due respect গোলাম মুর্শিদের সব বয়ের দেওয়া তথ্যে আমার আস্থা কম। একমাত্র ব্যতিক্রম 'আশার ছলনে ভুলি। কারণ তার 'হাজার বছরের ইতিহাস'-এ আমি অনেক ভুল তথ্য বের কর...ছি। তবুও বিবেচনায় রাখছি আপনার দেওয়া তথ্য ক্রসচেক করব। আমার জানা মতে ১৯০১ এ রবীন্দ্রনাথ শিলাইদাহ থেকে বোলপুর চলে যান এবং আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন যা পরে শান্তিনিকেতন ১৯২১ এ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হয়। এটা ১৯০১ এ প্রতিষ্ঠিত তা আমি ৯৯.৯% নিশ্চিত। এবং ১৯০২ এ তাঁর স্ত্রী ভবতারিনী মারা যান। সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারিতে কেন যাবেন বোঝা কঠিন!See More
      Yesterday at 5:54pm · ·


    • Dwaitadwaita Biswas দ্বৈতাদ্বৈত বিশ্বাস Abdul Momen@ আমারো এখন মনে হতেছে তিনি বাউল লালন এর অনুসারি আছিলেন। তবে মনে হয় বিলাতি বাউল বললে বেশি খোলতাই হইত। বিলাত আমরিকার কিষান আমাদের দেশি বাউল হবেন ক্যান? মজার বায়হাস, সব পড়ুয়া পাবলিক। কিন্তু কেউ দেখি এক খান বাংলা বইয়ের নাম কয়না জেইডা আমরা একটু দেইখ্যা বুঝতে পারি। Harabindu Halde আপনি এই এট্টা বইর নাম কন ভাই।
      21 hours ago · ·


    • Roi Raj
      ‎''...বাউল লালন এর অনুসারি আছিলেন
      --very much so and at the same time Robi was a compiler of what he saw n experienced
      ..nirod c n raj shekor bosu always complained bengalis cannot convey mesg as it is--why the need to say ''mrinalini mrittub...oron korechlen''--as if it was her own will--not at all--mrinalini mara giyechilen bolle ki hoi?See More
      18 hours ago · ·


    • Nuruzzaman Manik
      ‎"বিশ-বাইশ বছর আগে ডঃ শরীফের ‘রবীন্দ্র-উত্তর তৃতীয় প্রজন্মের রবীন্দ্রমূল্যায়ন’ গবেষণাধর্মি বই প্রকাশের পর রাজনৈতিক দলীয়-বুদ্ধিজীবি ‘সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব’দের সমালোচনা ও বিষোদ্গার-বিবৃতির বণ্যায় দেশের সংবাদপত্র ভেসে গিয়েছিল।"
      ধন্যবাদ @হৃৎকমল H...rithkomol
      শরীফ স্যারের ঐ প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমির উত্তরাধিকারে । শরীফ স্যারের বক্তব্য খন্ডন না করে বরং তাকে ব্যক্তি আক্রমন নামেন হায়াৎ মামুদ, সৈয়দ হক প্রমুখ । রাবীন্দ্রিক মোল্লাদের চ্রম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় । এর আগে মুজিবামলেও এরা শরীফ স্যারের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন যখন তিনি মত প্রকাশ করেন "রবীন্দ্রনাথ আমাদের ঐতিহ্য , সম্পদ নন" ।
      ২১ অক্টোবর ১৯৯২ তারিখে স্বদেশ চিন্তা সংঘের সেমিনারে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে মত প্রকাশের জন্য তিনি মোল্লাদের দ্বারা মুরতাদ আখ্যায়িত হন ( দেখুন ইনকিলাব ২৪ অক্টোবর ১৯৯২) প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় মোল্লারা এবার শরীফ স্যারের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে ।

      আশির দশকে হায়াৎ মামুদ, সৈয়দ হক ব আলি যাকের প্রমুখ আর নব্বই দশকের মুফতি -শায়খুল হাদিস গং এদের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না ।

      এদেশে রবী বনাম নজরুল চর্চা চালু আছে , আপনাকে যে কোনো একজনকে বেছে নিতে হবে । এর নেপথ্যে কাজ করে সাম্প্রদায়িক মনোভাব, তথাকথিত গবেষণার নামে স্তুতি/নিন্দা ব্যবসার মাধ্যমে বৈষয়িক স্বার্থসিদ্ধি এবং নিজদের মুর্খতার ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা । যেমন অধ্যাপক ড.আহমদ শরীফ যখন বললেন "রবীন্দ্রনাথ আমাদের ঐতিহ্য , সম্পদ নন"কিংবা "তৃতীয় প্রজন্মে রবীন্দ্র-সমালোচনার ধারা" নামে এক প্রবন্ধে নানা কারণে রবীন্দ্রনাথ কে অভিযুক্ত করলেন তখন যারা খুশি হয়েছিলেন এবং বাহবা দিয়েছিলেন তারাই কিন্তু আবার রুষ্ট হন তার নজরুর সমালোচনায় অর্থাৎ আপনাকে হয় রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল একজনের পক্ষে থাকতেই হবে ,তাদের সম্পর্কিত সব প্রচার মানতে হবে , হোক না তা অতি রঞ্জিত। রাজনীতিতেও প্রধান দলগুলোর যে কোন একটা কে সমথর্ন করতেই হবে। নিরপেক্ষ ও নিরংকুশ সত্যের আলোকে সমালোচনা শুনতে কেউই রাজি নয়। অবশ্য ,সবাই তোতা পাখির মত "গঠনমুলক সমালোচনা"র প্রতি তাদের উত্সাহ দেখান।

      সমর্থন থাকা আর অন্ধভক্তি -আবেগ সমার্থক নয়। তবে , কোন ব্যক্তি বা দলের বা গোষ্ঠির প্রতি কারো অন্ধ আবেগ ভালবাসা (ভালবাসা তো অন্ধই!) থাকুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না কিন্তু ইতিহাস (তা’ সাহিত্য-রাজনীতি যাই ই হোক ) এর ঘটনা বা ব্যক্তির মুল্যায়ন করতে হলে আবেগ-কল্পনা-পুর্বনির্ধারিত ধারণা-দলীয় বা গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গি ও আচ্ছন্নতা- ব্যক্তি বা দল এর প্রতি অন্ধভক্তিবাদ-আত্মমহিমার মোহ ইত্যাদির ঊর্দ্ধে উঠে নিরংকুশ সত্যের আলোকে লিখাটা জরুরী।
      See More
      16 hours ago · · 1 personLoading... ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Nuruzzaman Manik@ ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। আপনি যে সব কথা লিখেছেন আমি জানি সবই প্রায়। শরীফ স্যারের সাপ্তাহিক আড্ডা (চিল্লা) বহু বছর আমি নিয়মিত সদস্য ছিলাম। আমি শুধু কাঠের গুড়ি সময়টা ভাল করে পাইনি। এবাদে ইস্কাটন হয়ে ধানমন্ডি বাসায় গিয়েছি, দ...েশান্তরি হওয়ার আগ পর্যন্ত। তাঁর আড্ডায় আমি তাঁকে উন্টো-পালটা প্রশ্ন করে খুবই চেতিয়ে দিতাম। ততোদিনে আমরা জেনে গেছি তাঁকে না উত্তেজিত করলে তার ভেতরের সব কথা বা চিন্তা-ভাবনা বের করা যেতো না। উত্তেজিত হলে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তিনি সে বিষয়ে বলা শুরু করতেন। তাঁর অনেক চিন্তার সঙ্গে আমি তখন একমত ছিলাম না কিন্তু যা জিনিসটা আমাকে তাঁর প্রতি বিপুল শ্রদ্ধা জাগাত তা হল তার জ্ঞান অনুসন্ধিৎসুতা এবং যেটা কে তিনি সত্য বলে জানতেন সেটাকে মেনে নেওয়ার হিম্মত। এরকম হাড়ে হাড়ে দুঃসাহস আর এ্যারোগেন্সওয়ালা মানুষ জীবনে খুব বেশি দেখিনি।আপনি সে আড্ডার কেউ হলে আমকে মুন্ডিত মুখে দেখলে চিনবেন।
      মুক্তচিন্তা বা অপ্রিয় কথা কেউই শুনতে চায় না। সবাই, বিশেষ করে সমাজের ডমিনেন্ট শ্রেণী চায় তাদের অনুগত বুদ্ধিজীবি। আর আমাদের দেশে তার অভাব নেই। আপনার সঙ্গে ষোল আনা একমত যে 'ঈমান আনায়নকারি' চিন্তাবিদরা তা সে ইসলামিক হোক বা আধুনিক রবীন্দ্রস্নব-ই হোক একই মুদ্রার দুই পিঠ।
      আর ঐতিহ্য না সম্পদ বিভ্রান্তিটা বেশি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল কারণ আমাদের 'ঈমানদার' বিদ্ধিজীবিগণ বোঝেনোওনি যে ওটা ইংরেজি 'এ্যাসেট' বলতে প্রয়োগ করা হয়েছিল। আর আমি এখন নিজে এখন সুনির্দিষ্ট কারণে 'ঐতিহ্য' -এর বদলে 'উত্তোরাধিকার' শব্দ ব্যবহার করি। যাই হোক এই ঘটনার পর নিজের মুসলমান আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে টনটনে সচেতন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সরকারের রেডিও টেলিভিশন ডঃ শরীফ কে নিষিদ্ধ করেছিল। এই হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা বিকাশের 'সোল-এজেন্ট'দের কাজ। ফ্যাসিস্ট কারও গায় লেখা থাকার জিনিস?
      রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুলের তুলনা হীনমন্ত্যতাগ্রস্ত মুসলমানিত্বদারি কুপমন্ডুকদের কাজ। একবার নজরুল-জয়ন্তির রিপোরট করতে গিয়ে অনিচ্ছিকৃত ভাবে অনেকটা ফরমায়েশি ভাবে অনুষ্টানের প্রশংসা করেও শুধু ঐ 'রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুলের তুলনা হীনমন্ত্যতা' একটি বাক্যের জন্য মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ'র কোপানলে পড়েছিলাম! আহমেদ শরীফ নজরুলকে 'অর্ধশিক্ষিত কবি'ও বলতেন। ডঃ রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশে নজরুল-এর সোল-এজেন্ট।
      এত সমালোচনা সত্ত্বো ডঃ শরীফের রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসাহিত্য আনুগত্য বোঝার জন্য তারই ছাত্র হুমায়ুন আজাদ-এর লেখা 'সাপ্তহিক বিচিত্রা'র প্রচ্ছদ কাহিনী 'আহমেদ শরীফঃ বয়স্ক বিদ্রোহী' পড়ে দেকতে পারেন। বিষেশ করে যারা জটিল-কঠিন কেতাব এড়িয়ে ইন্সট্যান্ট জ্ঞানার্জনের সহজিয়া পথে বিশ্বাসী।
      সব শেষে আপনার দুই লাইনের সাহসী একটি বাক্যের জন্য বিশেষ ও সশ্রদ্ধ সাধুবাদ জানাই।
      See More
      7 hours ago · ·


    • Kulada Roy
      হৃৎকলম শব্দটি আমার খুব প্রিয়। সৈয়দ শামসুল হক এই নামে দৈনিক সংবাদে একটি ধারাবাহিক লেখা লিখতেন। তাছাড়া বরিশালে আমি একটি ধানের নাম খুজেঁ পাই--দুধকলম।
      আমার নিজের একটি ব্লগ আছে ---হৃৎকলম নামে। সে কারণে হৃৎকমল নামটি অনবধানবশত হৃৎকলম হয়ে গেছে। আমি... নাম বিকৃত করার চেষ্টা করি নি--যা নভেরা বলেছেন। আশা করি পরিস্থিতি বুঝতে পারা যাচ্ছে। তবুও ক্ষমা প্রার্থনা করছি হৃৎকমলের কাছে।
      অধ্যাপক আহমদ শরীফ এবং ফরহাদ মজহার এক জিনিস নন। আহমদ শরীফ অনুসন্ধিুৎসু জ্ঞানী মানুষ। যখন যেটা যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন--সেটা মেনেছেন। এই মানার মধ্যে তাঁর ইতিবাচক আবেগ কাজ করেছে কখনো কখনো। তিনি আমৃত্যু যুক্তিবাদি ছিলেন। কখনো সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকেন নি। কিন্তু কখনো কখনো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী তাদের প্রকল্পে তাঁর কিছু কাজ নেতিবাচক ভাবে ব্যবহার করেছেন। এটা আহমদ শরীফের ইচ্ছেয় হয় নি। তার অজান্তে হয়ে গেছে।
      পাকিস্তান আমলে যখন শাসকগোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথের উপর খড়গ হস্ত তখন তিনি রবীন্দ্রনাথের পক্ষে কলম ধরেছিলেন। সেই তিনি আবার দেশ স্বাধীনের পরে রবীন্দ্রনাথকে শ্রেণীর বিচারে কলম ধরেছিলেন। এই দ্বৈতভুমিকা বিস্ময়কর বটে। এই ধরনের কাজ পশ্চিবঙ্গে নকশালপন্থী লোকজন করেছিলেন।
      জনাব শরীফ মার্কসবাদ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধের আগে পরিচিতি হন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের একটা জরুরী আকাঙ্খা ছিল তাঁর। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র পন্থী কিছু লোকজনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ হয়েছিল। তাদের পথ ছিল ভুল। জনাব সিরাজুল আলম খানকে দেখলেই সেটা টের পাওয়া যায়।
      ডঃ শরীফ এই কট্টর মার্কসবাদের শ্রেণী বিচার বিশ্লেষণের কাজটি কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তানপন্থী রাজাকাররা। সেই রাজাকাররাই তাঁকে মুরতাদ ঘোষণা করেছিল। যখন মার্কসবাদকে যান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করে বিচার করা হয়-তখন তার মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি আসার আশঙ্কা থাকে। সেটাই ঘটেছিল। ডঃ শরীফ বর্তমান জামাতি শক্তির এই ভয়ংকর উত্থান পরিস্থিতিটি আঁচ করতে পারেন নি। করলে তিনি তার মতামতটি পূনর্ববেবেচনা করতেন বলেই ধারণা হয়। কারণ তিনিতো সর্বতোভাবে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ , যুক্তবাদি মানুষ ছিলেন। তিনিতো জামাতি প্রকল্পের কেনা ছিলেন না। যা ফরহাদ মজহাররা হায়েছেন।
      বদরুদ্দিন উমর বিকারগ্রস্থ মানুষ। তিনি তার উন্মেষকাল থেকেই এদেশের ত্যাগী প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধেই অবস্থা্ন নিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে--ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ব্যক্তিগত অসুয়া পোষণ করেন। এই অসুয়াবোধ বর্তমানে বিকারে পরিণত হয়েছে। এজন্য তিনি বর্তমানে জামাতের পক্ষে কলম ধরেছেন। বিএনপির পক্ষে কলম ধরেছেন। উনি আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে পারেন--সেটা ওনার অধিকার আছে--কিন্তু বামপন্থী হয়ে জামাতের পক্ষে যাবেন, সেটা বিকার ছাড়া আর কি? উনি কোনকালে রাজপথে ছিলেন? ছিলেন বটে--তবে সেটা আমজনতা নয়। ওনার হাতে গোনা বিলাসী চিনাবাদামদের সঙ্গেই ছিলেন, আছেন।
      See More
      5 hours ago · ·


    • Kulada Roy
      প্রিয়ন্তি, কে কার পা চাটে? আপনি কার পা চাটলেন ভাই?
      চিন্তার স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা জানাই। সে চিন্তার মধ্যে মানুষের জন্য অহিতকর থাকে---সেটার পক্ষে দাঁড়ানোর দরকার নেই। যখন চিন্তার স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, মানবতা রক্ষার প্রশ্নে জামাতিতের পক্ষে কেউ... দাড়ায় সেটা কি হাস্যকর নয়? আওয়ামী লীগ আর জামাত-বিএনপি কি এক? জামাত-বিএনপি একাত্তরের খুনী--রাজাকার, আর আওয়ামী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছে। অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ প্রগতিশীল মানুষের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ায়--সেটাকে যারা ফ্যাসীবাদি বলে--তারা কি ফ্যাসীবাদের বাপ নয়? সে প্রশ্নে নূরুজ্জামান মানিক, কাজী মামুন, শরীফ এ কাফী আমার প্রগতিশীল বন্ধু-- কোনো ছদ্মজামাতী নয়।See More
      5 hours ago · ·


    • Rasel Pervez
      প্রেজুডিস নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা হয় না, আমি বদরুদ্দীন উমর প্রেক্ষিতে কুলদা রায়ের বক্তব্যের ভেতরে প্রেজ্যুডিস দেখলাম।
      বদরুদ্দীন উমরের পিতার সাথে একদা সুহওয়ার্দি সাহেবের রাজনৈতিক বৈরিতা তৈরি হয়েছিলো, তবে আবুল হাশিম সাহেব সে সময় অন্যান্য মহান নেত...া, খাজা নাজিমুদ্দিনের মতো ঢাকায় বসে গুটিবাজি করেন নি, কিংবা আকরাম খঁ সাহেবের মতো নিজের ক্ষমতার নখর দেখান নি, তিনি নিজেকেই রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, এটা নিয়ে আবুল হাশিমপন্থী ও সূহওয়ার্দি পন্থীদের ভেতরে একটা মনোমালিন্য ভারত ভাগের সময় থেকেই চলে আসছে। বদরুদ্দীন উমর এইসব মান অভিমান মনোমালিন্যের সাথে জড়িয়েছেন সচেতন ভাবে- এমনটা মনে হয় না।
      সুহওয়ার্দিপন্থী মুজিবের সাথে কিংবা সুহওয়ার্দির চ্যালা মুজিবের সাথে বদরুদ্দীন উমর পিতৃদায়ে বৈরি এমন নয়, বরং মুজিব আর বদরুদ্দীন উমর আর মুজিবের রাজনৈতিক পথই আলাদা ছিলো।

      অন্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ পিকিংপন্থী বামদের ভেতরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে প্রথমে সমর্থন জানিয়েছেন বদরুদ্দীন উমর। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে লুণ্ঠনে লিপ্ত রাজনৈতিক দুবৃত্তদের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন, একই সাথে সম্ভবত বাংলাদেশে সমজাতান্ত্রিক বিপ্লবের সম্ভবনা নিয়েও তিনি লিখেছেন কোলকাতার ফ্রন্টিয়ার পত্রিকায়। এইসব লেখালেখি নিয়ে তার সাথে আওয়ামী লীগের পাতিবুদ্ধিজীবী ও অনুগত বুদ্ধিজীবীদের বৈরিতা তৈরি হয়েছিলো, সেখান থেকেই সম্ভবত বদরুদ্দীন উমরকে বাতিল করবার একটা আওয়ামী প্রবনতা শুরু হয়েছিলো স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে। সেই প্রেজ্যুডিস এখনও বহন করছে অনেকেই। তারা বদরুদ্দীন উমরকে অগ্রহনযোগ্য মনে করছেন। তবে আমার মনে হয় রাজনৈতিক বিশ্লেষণ কটু এবং তিক্ত হলেও সেটা মেনে নেওয়া ভালো।

      অন্য কথাটি হলো লেখার খন্ডিতাংশ তুলে তুলে কাউকে ছাগু, জামাতী বানানোর প্রবনতা ভালো তবে সেটা ফোরামে হাততালি জোটাতে পারে ,কিন্তু আরও অনেক মানুষের বিবেচনাবোধকে অগ্রাহ্য করে একটা কুয়ারব্যাঙ প্রজন্মের প্রেজ্যুডিসে চোখে কালো চশমা লাগানো ঠিক না। গো থ্রু হিজ রাইটিংস, দেন মেক ইয়োর জাজমেন্টস। ইট ইজ ইজী টু বি মিসলেড ইফ ইয়্যূ অলওয়েস অয়্যার সামওয়ান এলসেস শ্যুজ
      See More
      5 hours ago · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Kulada Roy@ এবার আর অসহিষ্ণুতা সংবরণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে! সুরে সুর মিললে সে 'প্রগতিশীল' হয়। কুলদাবাবু আপনার 'প্রগতিশীলতার' সংজ্ঞাটা জানাবেন একটু। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আপনার বিদ্যা-বুদ্ধি ও তথ্যভাণ্ডারের সমৃদ্ধির পরিচয় পেয়েছি বার বার। তা সত্ব...েও আপনার লেখার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে ও যদি আমার অংশগ্রহণ আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে ক্রিটিক্যাল করতে সাহায্য করে। কিন্তু হায়, কাক ত কা কা কা-ই করে। কৃষ্ণ ডাকে না! এর আগে একবার জিয়াউর রহমানের উপর ঝাল মেটাতে লিখেছিলেন "মাওলানা ভাসানীরও একটি ভাঙা বাক্স ছিল। ওনার প্রতীকও ছিল ধানের শিষ।" এরকম নীচু স্তরের ও অজ্ঞের মন্তব্যের জবাব দেওয়ার রুচিও হয়নি সেদিন। কিন্তু এখন দিচ্ছি। প্রতীক কারুর বা কোন দলের পৈত্রিক সম্পত্তি হয় না। আর তা যদি হয়ও তা হলে নৌকা মওলানা ভাসানী'রই প্রতীক। আপনার জানা উচিৎ ছিল, বড় বড় মন্তব্য দেওয়ার আগে যে যুক্তফ্রন্টের হক-ভাসানীর প্রতীক ছিল নৌকা। তখন শেখ মুজিব জাতীয় পর্যায়ের এমন কোন নেতাই না। তার গুরু সোহরাওয়ার্দি সবে ভারত থেকে হিজরত করেছেন মাত্র। ভাসানী 'হুজুর' 'হুজুর' করে, তার সেবা করে ও সন্তোষের নাড়া বনে বিড়ি ফুঁকে (উডেন পাইপ আর ডেনিশ টোবাকোর তখনও সময় আসেনি) তখন শেখ মুজিব রাজনীতির তালিম নিচ্ছিলেন।
      যাক আসল কথায় আসি এবার। আপনার প্রগতিশীলতার সংজ্ঞা জানার অপেক্ষায় রইলাম। আর তার আগে আপনার হাঁড়ির ভাত রূপি 'প্রগতিশীল বন্ধু'দের শুধু একটাকে টিপছি কিঞ্চিত। শরীফ এ কাফী তাকে বলেন এসে আমার মোকাবেলা করতে। সে যদি প্রগতিশীল হয় তাহলে আমি জীবনে প্রগতিশীল হতে চাই না। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি সামরিক কায়দায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে অংশ নিয়ে জাল সার্টিফেকেটমূলে এখন একাধিক সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা বনেছেন। ১৯৭৬ যিনি জিয়া জিন্দাবাদ করেছেন, তার ফারাক্কা মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
      তথ্য প্রমাণ সহ এ অভিযোগ সম্বলিত আমার নোট রিলিজ করার সঙ্গে সঙ্গে তা খন্ডনের বদলে তিনি আমার আই ডি ডিলিট ও ব্লকড করে চোরের মত কেচ্ছাকাহিনী লিখেছেন ব্যক্তিগত চরিত্রহননের উদ্দেশ্য। আমাকে ব্রিটীস এজেন্টও তিনি বানিয়েছেন। কিন্তু এই আমি আমার নোট অপেন রেখেছি। কিন্তু তিনি মাদি জন্তু বিশেষের মত লেজগুটিয়ে সেই যে গর্তেঢুকলেন আর বের হলেন না। তিনি আমি কবে কোন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক করেছি সে সব নাকি লিখেছিলেম আমার বাবা সম্পর্কে ১০০% মিথ্যে কথাও। অথচ আমি লিখিন তার কোন ব্যক্তিগত কেলেঙ্কারির কথা। জানা সত্বেও কবে কোন মৃত কমরেডের অসহায় বৌ'কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ভোগ করেছেন। পরে স্থানীয় লোকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে পরিবারের লোক আনার কথা বলে সেই যে ভেগেছিলেন আর সেদিক মুখো হননি। আমার নোটের তৃতীয় খন্ড আসছে শরীফ আব্দুল্লাহেল কাফীর আরও চমকপ্রদ তথ্যসহ।আর কুলদা বাবুকে বলব আপনার 'প্রগতিশীল' বন্ধুকে বলেন আমাদের মত প্রতিক্রিয়াশীলদের এত ভয় পান কেন? বলুন তাকে আমার নোটে এসে জবাব দিতে। মালমসলা হাতে নিয়ে লিখেছি যা লেখার। আর লেখা আসছে। রশুন বুনেছি। এখানে আমার আগের নোটের লিঙ্ক ২টা দিলাম যারা পড়েননি তাদের জন্য।
      http://www.facebook.com/note.php?note_id=154781674533770

      http://www.facebook.com/note.php?note_id=154800461198558
      See More
      3 hours ago · ·


    • Kulada Roy
      রাসেল, 'অন্য কথাটি হলো লেখার খন্ডিতাংশ তুলে তুলে'---এটার প্রমাণ দেন। এই কাজটি ফরহাদ মজহার এন্ড গঙরা করে থাকেন।
      স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দিন হোসেন গ্রন্থে পাওয়া যায়, একাত্তরে বদরুদ্দিন উমর ঢাকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন--পথে দেখা হচ্ছে শহীদ সিরাজু...দ্দিন হোসেনের সঙ্গে চামেলীবাগের রাস্তায়। উমর সাহেব দেশ স্বাধীনের পরে একটা সেক্টরে কাজ করেছিলেন সত্যি---কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন--জানতে মন চায় রাসেল?See More
      3 hours ago · ·


    • Kulada Roy
      হৃৎকলম, শরীফ এ কাফীর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। আমার ভাবনার পথে যদি কেউ কখনো এসে পড়েন---সেটা তার ইচ্ছেতে আসছেন। আমার তখন তাকে বন্ধু বলতে আপত্তি নেই। যদি কেউ আমাকে বাই বলে বিদায় তাহলেও আমার খেদ নেই। আমি তো আমার পথ চলছি। কাউকে তো হায়ার করছি না।
      শর...ীফ কাফির সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত বিবাদ নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আমার মাথা ব্যথা আছে আমার নোটের ভাবনা নিয়ে। আশা করি ব্যক্তিগত কেচ্ছা বাদ দেওয়ার রীতি অনুসরণ করি।
      আমাদের আলোচনায় আসুন।
      See More
      3 hours ago · ·


    • Rasel Pervez
      অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা আর মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করা ভিন্ন প্রেক্ষিত। বদরুদ্দীন উমর ২৫শে মার্চের পরপরই অন্য সকল বাংলাদেশীর মতো স্বাধীনতা যুদ্ধের অনিবার্যতা মেনে নিয়েছেন। সেটা একটা গণ আন্দোলন এবং সেখানে সবার আবেগ জড়িত এই উপলব্ধিটুকু মুজিবনগর প্...রবাসী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক সাহেবের ভেতরে ছিলো না। ছিলো না কোলকাতায় আত্মগোপন করে থাকা এবং পরবর্তীতে কেউকেটা মুক্তিযোদ্ধা সাজা অনেকের ভেতরে।

      জেনারেল ওসমানী, তার পিএস, এ কে খন্দকার তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এরা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন?
      যাই হোক আমি প্রবনতার কথা বলছি, কলামের খন্ডিতাংশ, বক্তব্যের খন্ডিতাংশ তুলে ধরে রাজা উজির মারছেন যারা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হলে আপনার প্রেজ্যুডিস তৈরি হবে আমি এ কথাই স্পষ্ট করে বলেছি- সেখানে কোথাও বলি নি আপনি বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্যের খন্ডিতাংশ তুলে ধরে তাকে জামাতী হিসেবে প্রচার করেছেন।

      আমার ধারণা বদরুদ্দীন উমরের যেসব রাজনৈতিক বিশ্লেষণ রয়েছে গণ আন্দোলন এবং এর পরিবর্তন নিয়ে, সেটা ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলন, দুটো ভবিষ্যতে গবেষকদের কাজে আসবে।
      See More
      3 hours ago · ·


    • Kulada Roy আমি কিন্তু ভাষাআন্দোলনের ইতিহাস, সাংস্কৃতক সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি গ্রন্থের অবদান অস্বীকার করছি না্। কিন্তু তার সম্পর্কে আমার বক্তব্য খণ্ডণ হয় না। তাজদ্দিন তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান ছিলেন, জিয়া সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, সমর দাস শব্দাসৈনিক ছিলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন, শহীদ সিরাজুদ্দিন হোসেন দেশের অভ্যন্তরে থেকে হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে কলম যুদ্ধ করেছেন, সিরাজ সিকদার পেয়ারাবাগানে যুদ্ধ করেছেন--কিন্তু জনাব বদরুদ্দিন উমর কী করেছেন--সেটা কিন্তু বলেন নাই রাসেল।
      3 hours ago · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Rasel Pervez@ আমার মনে হয় আমার একটু বাক্যের উপস্থাপনায় ত্রুটি হয়েছে তাহল আমার বলা উচিৎ ছিল তিনি মুক্তি্যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। কৃতিমান শরীফ এ কাফী ১৯৭১ এর যারা হার্ডলাইন মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের সঙ্গেই শুধু ছিলেন না তিনি মিনিটে ৬শো গ...ুলি নির্গমন সক্ষম লাইট মেশিনগান নিয়ে ১৯৭১ এর নবেম্বরেএ দ্বিতীয় সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লাগাতার ৩দিন ধরে লড়াই করেছেন। এর পরেও ৭২-এ ঐ চীনা সংগঠনের সঙ্গে থাকাকালীন রিভলবার সহ ধরা পড়ে সাড়ে চার বছর হাজতে ছিলেন। এরপর আছে নানা কাহিনী পড়ুন প্রদত্ত লিঙ্কে! fact is indeed suspenseful than fiction.
      এখন কি আমার মত আর কারুর মাথায়ও এই চিন্তাটাও আসছে কিনা- যে কুলদাও কাফীর মত ছদ্মবেশি কিংবা মতলবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিভূ কি না?
      See More
      3 hours ago · ·


    • Preonty Hossain
      ‎@কুলাদা চটছেন কেন? আমি সরাসরি অভিযোগ করেছি, যা বলেছি সরাসরি বলেছি...। কোন ভনিতা করিনি। আমি কার পা চাটা সেটা আপনিই বলেন না কেন? যদিও আপনার বলা না বলায় আমার কিছু এসে যায় না। । আর পরের কথাগুলোর জন্য একটু হেসে নেই দাঁড়ান। শোনেন আওয়ামী লীগ আর .........বিএনপি জামাত এক নয়। বিএনপি-জামাত প্রকাশ্য চোর-ডাকাত-গনশত্রু আর আওয়ামীলীগ মুখোশধারী চোর-ডাকাত-গনশত্রু, নব্য রাজাকার, যাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার...আর এসব তো বলে শেষ করা যাবে। আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশীই জানেন এসব।

      আমাদের দেশের পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর ভাড়া করা লোকজনকে আপনি আমজনতা বলেন নাকি? হা হা হা ...এই এক সমস্যা আপনাদের, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সে জামাতী হয়ে যায়। বদরুদ্দিন উমর জামাতী !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হাহা হা হা হা হা হাহা হা হা হা হা হা Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl Rofl .....যা বললেন না......ভাল, বলেন,,, আপনার বলা না বলায় কিছু এসে যায় না....বদরুদ্দিন উমর কি করেছেন সেটা তার মৃত্যুর পর ইতিহাস বলবে আর সেই ইতিহাস কোন পা চাটা চামচা বিকৃত করতে পারবে না। ভাল থাকবেন।
      See More
      3 hours ago · ·


    • Kulada Roy হা হা হা। প্রিয়ন্তি, বদরুদ্দিন উমর সাহেব তাজুদ্দিন আহমদের যে ডাইরীগুলো নিয়ে ভাষাআন্দোলনের ইতিহাস লিখেছিলেন--সেগুলো সম্পর্কে যদি একটু বলেন। তাজুদ্দিন আহমদ বদরুদ্দিন সাহেবের কোন অঙ্গ শাখায় কাজ করতেন? আওয়ামী লীগের এই নেতার ডাইরীগুলো কি তিনি ফেরত দিয়েছিলেন?
      3 hours ago · ·


    • Preonty Hossain ‎@হৃৎকমল Hrithkomol : আমার মাথায় চিন্তাটা আসছে :)

      -------------------------
      I've added smileys to this comment. Wanna see them? Go to http://c.facicons.net/
      .........................
      3 hours ago · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Kulada Roy@ খুব ছহি বাংলায় বলছি। ওসব কৌশলের, প্যাচানো কথা ছড়ুন। আমার নোটে কাফী'র কোন ব্যক্তিগত প্রসঙ্গই নেই। ব্যক্তি প্রসঙ্গ সেই টেনে এনেছে। সুতরাং এবার তার ব্যক্তিগত কেচ্ছাকাহিনী আসছে পরের খন্ডে। আমি এখন উপাত্য সংগ্রহ করছি।
      শুনেন আপনার যদি ...বিন্দু মাত্র সততার দায় থাকে তাহলে এটা আপনারও দায় যাকে বন্ধু বলে দাবি করে বাতেলা করে বলছেনে এরা ছদ্ম-জামাতি না বা মুক্তিযোদ্ধা না, তাকে আমি শুধু স্বাধীনতা বিরোধী না, একজন রাজনৈতিক-ছ্যাচ্ছর ও চরিত্রিহীন বহুরুপী হিসেবে বলছি। আওয়ামী লীগ গদী লাভের পরে তারা দুই ভাই দুজনেই একদা আব্দুল হকের স্বাধীনতা বিরোধী দল করেছে তারা রাতারাতি জমজমের পানিতে স্নান করে স্বাধীনতার সৈনিক বনে গেলেন! শুনেন যে সব সেক্টরের কেচ্ছে সে তার প্রফাইলে লিখেছে সেই সেক্টরের বিশুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা লিস্টেও কাফী'র নাম নেই।
      আপনি নিজে করুন বা আপনার মহান বন্ধুকে বলুন আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে।
      এটা না করলে বুঝবো আপনিও এইকই তরিকার হালুয়া-রুটির মুক্তিযুদ্ধপন্থী!
      See More
      3 hours ago · ·


    • Preonty Hossain
      ‎@কুলাদা দাদা আমি বললাম কি আর আপনি বললেন কি? হা হা হা....তা আপনি তো গবেষক মানুষ আপনি বলেন না উমর সাহেব ডায়রীগুলারে কই হামলায়া রাখছে। এই তথ্য তো আমি জানতামই না। হুমায়ন আজাদ তার কোন এক প্রবন্ধে লিখছিলেন বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বদরুদ্দিন উ...মরের "পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন এবং তৎকালীন রাজনীতি"। কিন্তু এই মহান উপন্যাস যে তিনি তাজউদ্দিন সাহেবের ডায়েরী চুরি কইরা লিখছেন তাতো জানাই ছিল না!!!! তো ভাই আপনিই যদি সেগুলো সম্পর্কে বলেন তাইলে আমার মত অর্বাচীনের জ্ঞানের স্বল্পতা খানিক দূর হইতো আরকি? ◄(:-P►

      -------------------------
      I've added smileys to this comment. Wanna see them? Go to http://c.facicons.net/
      .........................
      See More
      2 hours ago · ·


    • Kulada Roy
      প্রিয়ন্তি, আপনি প্রিয়দর্শিনী বটে, আপনি এত চঞ্চলা হচ্ছেন কেন? আমিতো বলি নি--তিনি ডাইরী চুরে করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা তাজুদ্দিন সাহেবের ডাইরীটা নিয়ে বইটার বেশির প্রামাণিত তথ্যগুলো লইছিলেন। নিশ্চয়ই গোলাম আযমের রোজনামচাটা লন নাই। তো, উমর স...াহেব গোলাম আযমের পত্রিকা নয়া দিগন্তে কী মনে করে কলাম লিখছেন--এইটা শুনতে মঞ্চায়। বলেন--শুনি। আপনার হাসিটা হি হি হি করেন। হা হা হা করে নারী দরনকারী পুরুষরা হাসে।

      হৃৎকমল, আপনিও তা ভাই আমার বন্ধু মানুষ--শরীফ সাহেবকে বন্ধু বলায় দোষ হল কোথায়? আমি তো ওনার নাম লই না। প্রিয়ন্তি ওনার নামটা বলেছিলেন। আমি তার সঙ্গে আমার মিলের জায়গাটিতে মাথা নাড়িয়েছি মাত্র। যেমন আপনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পঠন বিষয়ে আমার মিল আছে। কিন্তু সলিমুল্লাহ সাহেবের বিষয়ে নাই। আপনি বলেছেন--তিনি খুব জ্ঞানী মানুষ--আমি তার কাছে নস্যি, এই ধারনার সঙ্গে একমত। কিন্তু তিনি যে জামাতী সেই প্রসঙ্গে আমার মিল নাই আপনার সঙ্গে।
      See More
      2 hours ago · ·


    • Preonty Hossain
      তবে কুলাদাদাদা ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন, একটি কথা বলতে চাই ......সেটা হলো উমর মিঞায় ডায়েরি ফেরত না দিলে তাজউদ্দীন সাহেবের কন্যা "তাজুদ্দীন এর ডায়েরি" বই আকারে বাইর করলেন কেমনে? মোল্লা মোলভীদের থেইকাও দেখি ছোট প্রবৃত্তি আপনার দাদাজান। এইসব ছো...ট প্রবৃত্তি নিয়ে কাইন্ডলী ইন্টেলেকচুয়াল সাজার চেষ্টা কইরেন না, ভাষাজ্ঞান যখন আছে, তখন আপনে বরং আওয়ামী দলীয় প্যামফ্লেট-লিফলেট লিখেন! ভাল হবে। গুড বাই। ◄(:-P►

      -------------------------
      I've added smileys to this comment. Wanna see them? Go to http://c.facicons.net/
      .........................
      See More
      2 hours ago · ·


    • Preonty Hossain
      দাদা আর বইলেন না যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন প্রায় রাস্তায় মোল্লা মৌলভীরা, কখনো কখনো চেংরা ছেলে ছোকরা রা আপনার মত পাশ থেকে বলত আমি নাকি ব্যাটাদের মত হাসি! কি কথা ভাবেন !!!! তা এই কথা আমি আগেও বহুবার শুনছি কুলাদাদাদা। তো আপনি বুদ্ধিজীবি মানুষ, আ...পনি কাইন্ডলী মোল্লা মৌলভীদের মতো আমার হাসি লইয়া মাথা ঘামাইয়েন না তাহাতে আপনার মাখায় নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমি কেমনে হাসব তা আপনার কইতে হবে না। আপনাকে যে প্রশ্ন করা হইয়াছে সাহস থাকিলে তাহার উওর দেন আর উওর দেয়ার সাহস না থাকলে গান গান !!! আপনি ইতিমধ্যে উওর না দিয়া ,,না দিয়া অনেক দূর আসছেন। আর রুচি হচ্ছে না। বাই বা্ই !!!See More
      2 hours ago · ·


    • Rasel Pervez
      কুলদা রায়, তাজউদ্দীনের ডায়েরী সংক্রান্ত মন্তব্য পড়বার পরে আসলে আপনাকে কিছু বলবার আগ্রহ পাচ্ছি না। বিষয়টি আলোচনা না হয়ে কুতর্কের দিকে চলে গেলে আসলে বলবার মতো কথা কম থাকে।

      ৬ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশে ছিলেন সে সময়ে, তাদের অনেকে আশংকার দিন কা...টিয়েছেন, তাদের অনেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহায়তা করেছেন এবং তাদের অনেকেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্দেশে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ করতে বাধ্য হলেও গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন।
      বদরুদ্দীন উমর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের সমর্থক ছিলেন না- আমার কাছে তথ্য হিসেবে এটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, তিনি সে সময়ে ৯ মাসে ভারতে গিয়ে বসবাস করে প্রবাসী'হাওয়াই যোদ্ধা' ছিলেন না দেশের অভ্যন্তরে 'মুক্তিযুদ্ধ সেবক মুক্তিযোদ্ধা' ছিলেন সেটা অবান্তর প্রশ্ন। বদরুদ্দীন উমরের ক্ষেত্রে আমার কাছে যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে সেটুকু জানবার পর তার তত্ত্ব-তালাশের আগ্রহ আমার হয় নি।
      আর অন্য যেটা বলে ফেলা ভালো- আমার সাথে বদরুদ্দীন উমরের ব্যক্তিগত পরিচয় নেই, সুতরাং তার পরিচয় আমার কাছে তার লেখাই আর সেসব বিস্তর লেখা এখানে সেখানে আছে- সুতরাং সেখানে 'আমার জীবন' অংশে ১৯৭১ এ তার কর্মকান্ড লিপিবদ্ধ আছে বলে আমার অনুমাণ, সেটা এখনও আমার হাতে আসে নি, আসলে আপনাকে জানিয়ে যাবো, তার আগে তার গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো পড়ে নেন।
      See More
      about an hour ago · ·


    • Kulada Roy
      আমারও তাই ধারণা যে আমার প্রবৃত্তি খুবই ছোট। কিন্তু প্রিয়ন্তি, একটু বললেন না তো উমর সাহেব কেন আওয়ামী লগের নেতার ডাইরী ব্যবহার করছিলেন--এবং এ মজলুম নেতা নয়া দিগন্তে লেখেন ও কোন সেক্টরে যুদ্ধ করছিলে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে তার গবেষণা মূলক গ...্রন্থটির নামও জানার ইচ্ছ জাগে। তিনি ছাত্র জীবনে কোন পার্টি করতেন? মাহমুদুর রহমান কোন মেহনতী শ্রমিক শ্রেণীর লোক--তার বিষয়ে মহান লেলিন কি বলে গেছেন-- এই সব। আমি কিন্তু আপনার, রাসেলের কাছে অপার হয়ে বসে আছি এইসব প্রশ্নের উত্তর চাহিয়া।

      আরেকটি প্রশ্ন মাঝে মাঝে রাতে ঘুম ভেঙে গেলে জাগে--তিনি তার পিতৃপ্রদত্ত বিষয়সম্পত্তি কোন কোন বিপ্লবে দান করেছেন? কোন কোন ভবন তার পার্টির জন্য লিখে দিয়েছেন? কোন কোন মহান শ্রেনী আন্দোলনে রক্ত দান করেছেন? শুনেছি সিপিবি নামের এক সংশোধনবাদি পার্টির লোকজন এই রকম দানখয়রাত করে ফকির হয়ে গেছেন।
      উপনিশবাদি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যুদ্ধ করতে করতে তার প্রাণ জেরবার হয়ে গেছে--কিন্তু ভারতের পত্রিকায় লিখতে লিখতে, বইয়ের পাবলিকেশন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন কেন? ফ্রন্টিয়ার পত্রিকাটি কেন পাকিস্তানে হল না! ফ্রন্টিয়ার কি উপনিবেশবাদী-আধিপত্যবাদি ভারতে নয়?

      এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। তারপর না হয় আরও কিছু প্রশ্ন করা যাবে।
      See More
      about an hour ago · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol
      Kulada Roy@ আমি প্রিয়ন্তিকে চিনিইনি কালকের আগে। তবে সে সম্ভবত সে আমার ঐ নোট -র প্রতিক্রিয়ায় কাফি -র প্রতিক্রিয়ার বরাত দিয়ে বলে থাকবে। কারণ ঐ প্রতিক্রিয়া সবাই দেখেছে।
      না আমি বন্ধু শব্দের অপব্যাবহারের ব্যপারে সচেতন এবং মনেও করি না বন্ধু ইন্ড্র...াস্ট্রিয়াল স্কেলে মাসপ্রডিউস করা যায় বলে। কোন নেতামানা মন, পোষমানা প্রাণ, মগজ বন্ধককারির সঙ্গে আমার প্রকৃত বন্ধুত্ব হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলা চলে।
      শরীফ এ কাফী কোন ভদ্রলোক নয় চরম সুবিধেবাদি। চরিত্রহীন এই মিথ্যাবাদি এখন রাজাকার বিরোধিতার বানিজ্য করে খাচ্ছে। তার সঙ্গেও আমি বন্ধুত্ব শেয়ার করি না। তাকে সম্পূর্ন এক্সপোজড ও তার মাথা মুন্ডন করা হবে,। এ কাজে আমরা বিন্দু মাত্র কার্পণ্য করব না। তাকে শুধু বলেন, তার সঙ্গে আমার যে টেলিফোন আলাপ হয়েছিল, সেটা আমি রেকর্ড করে রেখেছি। সেই আলাপে সে নিজে যে সব লোকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আছে বলেছে তাদের জবানীতেই প্রকাশ হবে সে ৭১ -এর নবেম্বর-এ পেড়লীতে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
      এবার আপনার আগের কিছু মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি। ‘গ্রস্ত’ কে ‘গ্রস্থ’ লেখা অজ্ঞতাজনিত প্রমাদ। টাইপোগ্রাফিক নয়। এটা আপনার লেখায় আগেও দেখেছি। সুতরাং কাউকে ‘বিকারগ্রস্ত’ বলার আগে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করুন। কারুর সঙ্গে মতে না বনলেই তাকে ‘বিকারগ্রস্ত’ বলাটা গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়ক নয়। উমর সাহেবের সঙ্গে আমার কোন পরিচয়ও নেই। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তার সমর্থকও নই। কিন্তু তাকে বা তার লেখায় সে মত দেয় তা অশ্রদ্ধা করি না। ভিন্নমত হলেও না।
      এত্তো রাজাকার ফোবিয়া তুলে আমার কাছে ফয়দা নেই। নিজের চোখে দেখেছি আওয়ামী লীগ কে জামায়াত-রাজাকারদের সঙ্গে হাত মেলাতে বহুবার।
      আহমেদ শরীফকে জাজ করার মত দুঃসাহস আমার নেই আপনাদের মত। যেমন বলেছেন তাঁর সম্পর্কে ‘কিন্তু কখনো কখনো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী তাদের প্রকল্পে তাঁর কিছু কাজ নেতিবাচক ভাবে ব্যবহার করেছেন।’ এগুল ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ মানে আপনার রাজনৈতিক মুরব্বিদের ভাষ্য। কারণ তিনি আওয়ামী লীগ মানেই দেশ বা আওয়ামী লীগ কে ক্রিয়াশীল বা প্রগতিশীল মনে করতেন না। আমিও করি না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপা একই নোংরা দ্রব্যের ভিন্ন পিঠ বিশেষ। আওয়ামী লীগে এক্ষণে অতীতে বিএনপি বা জাপা করা লোক রয়েছে এবং বিএনপি ও জাপাতেও অতীতে অন্যান্য দল করা লোক রয়েছে। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী (রাজাকার?) লোকও আছে আওয়ামী লীগে। ক্ষমতার জন্য এরা ফতোয়াবাজি জায়জ করার প্রতিশ্রুতিও দিতে পারে। সুতরাং এই ইতরদের কাছ থেকে সেক্যুলারইজম এর বাণীও শুনতে রাজী নই।
      রবীন্দ্রনাথের সমালোচনা করে ডঃ শরীফ আপনাদের মত লোকের কাছে ব্লাসফেমি করে থাকতা পারে এবং তার জন্য তাকে স্বাধীনতাত্তোর সরকার করদাতা নাগরিকের পয়সায় চলা রেডিও ও টিভি-তে ব্লাকলিস্টেড করেছিল। যা আগেই বলেছি এবং এটা ফ্যাসিস্ট মানসিকতা। আমি নিজে গণমাধ্যমে কাজও পড়াশোনা করেছি এবং আমি সেন্সরশীপের ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। তাতে সে মত আমার অপছন্দের হলেও। আর ডঃ শরীফ ‘রবীন্দ্রনাথকে শ্রেণীর বিচারে কলম’ ধরে কি লিখেছিলেন সে সব আপনি পড়েননি আমি মোটামুটি নিশ্চিত; আর সেগুল যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার ক্কগমতা আপনার নেই সে ব্যাপারে সন্দেহাতীত ভাবে নিশ্চিত। তাই ঐ এক কাসূন্দি আর ঘাঁটতে ভাল লাগছে না।
      আমি আপনার এই প্রচারণামূলক লেখার থ্রেড থেকে বিদায় নিতে চাই। তার আগে আপনাকে একটা সুজাসাপটা প্রশ্ন করি – 'সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী'র তালিকায় আপনার মতে রবীন্দ্রনাথ আর শেখ মুজিব কে কততম স্থানে জানাবেন আমাদের?
      See More
      about an hour ago · ·


    • Rasel Pervez
      আপনি যে পন্থায় বিতর্ক করবার চেষ্টা করছেন সেটা ছেলেমানুষী প্রক্রিয়া।
      "পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও তৎকালীন রাজনীতি" গ্রন্থে শুধুমাত্র তাজউদ্দীনের ডায়েরী ব্যবহার করা হয়েছে!!! বক্তব্যটি হাস্যকর, আমার ধারণা আপনি ৩ খন্ডের কোনো খন্ডই পাঠ ...করেন নি এবং এটার সাথে ২ খন্ডে ভাষা আন্দোলনের দলিলপত্রে যে তাজউদ্দীনের ডায়েরী থেকে ব্যবহার করা অংশগুলো সংকলিত হয়েছে সেটাও সম্ভবত দেখেন নি। এবং আমার নিজের পাঠ যা বলছে, প্রতিটি তথ্য সূত্র( যদি সেটা ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারও হয়,) সেটা উল্লেখ করেছেন তিনি।

      তবে আপনার অভিযোগ শুনে মনে পড়লো, কেউ একজন বলেছিলো "নজরুলের কবিতা চুরি করে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেয়েছিলেন"- আপনার যুক্তির ধারাবাহিকতা ঠিক এমনটাই নির্দেশ করছে।

      আপনার বক্তব্যের দিক দেখে মনে হচ্ছে বদরুদ্দীন সাহেব নয়া দিগন্তে না লিখলে হয়তো আপনি তাকে পাতে তুলতেন,নেহায়েত তিনি নয়া দিগন্তে কলাম লিখে আপনার জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক সংকট তৈরি করেছেন।

      কোলকাতার ফ্রন্টিয়ার পত্রিকাটি সে সময় পর্যন্ত মাওবাদী পত্রিকাই ছিলো এবং সম্ভবত এখনও তাদের আনতি সেদিকেই। সেটা একটি রাজনৈতিক দলের মুখপত্র , যে রাজনৈতিক মতবাদের অনুসারীরা ভারতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
      আবারও বলছি আপনার আলোচনার তরিকাটি আপত্তিকর এবং একই সাথে হাস্যকর, এই যেমন কোলকাতা থেকে বই ছাপানো প্রসঙ্গ, নয়া দিগন্তে লেখা প্রসঙ্গ জাতীয় "নিওলিবারেশন ওয়ারিয়র", " রাজাকার হেটার্স" ছালটা গায়ে জড়িয়ে একটা কল্কি টেনে বসুন। আরও হাস্যকর কিছু আলোচনার জন্য প্রস্তুত হলাম। তবে আমার ধারণা আলোচনার ন্যুনতম যোগ্যতাটুকু হারিয়েছে এই আলোচনা। সুতরাং চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন নিশ্চয়তা দিতে পারছি না

      আপনার এই নোটে লেখা আরেকটি তথ্য জুগিয়ে যাই- রবীন্দ্রনাথের বাবামশাই নীলকর ছিলেন এবং সে সময় পাবনায়-কুষ্টিয়ায়- বগুড়ায় বেশ বড় আকারে কৃষক বিদ্রোহ ঘটেছিলো। রবীন্দ্রনাথের বাবামশাই সে সময়ে নীলকরদের সপক্ষে ছিলেন- নীলকর ও নীল বিদ্রোহ নিয়ে লেখা পড়বার জন্য মুনতাসির মামুন সম্পাদিত বাংলাদেশের সংবাদ ও সাময়িক পত্রের ১৩টি খন্ডের ভেতরে ৪ থেকে ৭ খন্ড পর্যন্ত পড়ে নিয়েন। সেখানে অনেক বর্ণনা পাবেন , একই সাথে আমার ধারণা শ্রদ্ধেয় বিনয় ঘোষের লেখাও পড়তে পারেন। আবার চাইলে না ও পড়তে পারেন।
      See More
      about an hour ago · ·


    • Rasel Pervez
      ‎@ হৃৎকমল Hrithkomol,
      http://www.whiteside.org/calendar/day/?date=1975-08-15
      এখানে গিয়ে দেখেন, ১৫ই আগস্ট শুক্রবার ছিলো, আর কাফি সাহেব অন্য যে ভুলটি করেছেন সে দিনটিকে রবি বার চিহ্নিত করে কারণ তিনি ভুলে গিয়েছেন বাংলাদেশে শুক্রবার সরকারী ছুটির... দিন হয়েছে এরশাদ সাহেব যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা দিলেন সে সময়ে, এর আগে বাংলাদেশে শনি বার ও রবি বার ছুটি ছিলো, যে হিসেবে তার পরিচিত জনেরা স্কুলে যেতেই পারে। ( কুলদা রায়, এটা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক বিধায় মুছে দিতে পারেন)See More
      about an hour ago · ·


    • হৃৎকমল Hrithkomol Rasel Pervez@ ধন্যবাদ। অসব জবাব দেওয়া হয়েছে দেখেন আমার লিঙ্কে। বেশ কড়া করেই দিয়েছি ত। আমি মোটামুটি দাবল চেক করেই লিখি। আমার নোট দুটো পড়ে দেখুন জবাব আছে। দাঁত-ভাঙা জবাব। দন্তযন্ত্রনায় বীর যোদ্ধা লেজগুটাই পালাইয়াছেন।
      about an hour ago · ·


    • Kulada Roy
      রাসেল, আমি কোথাও দাবী করি নি যে উমর তার বইটিতে শুধুমাত্র তাজউদ্দিনের ডাইরীটি ব্যবহার করেছিলেন। অনেকের রেফারেন্স ববহার করেছেন। তবে তাজউদ্দিনেরটাই বেশি ব্যবহার করেছেন। তাজউদ্দিন হলেন সেই বিরল রাজনীতিবিদ যিনি নিয়মিত ডাইরী লিখতেন--এবং রাজনৈতিক ...তথ্য পাওয়া যেত। আমাদের দেশে আরেকজন লেখক প্রফেসর আনিসুজ্জামান নিমোর্হভাবে কালের বিবরণ লিখেছেন--তার আত্মজীবনীতে।
      রবীন্দ্রনাথের বাবামশাইকে নিয়ে আমার মাথাব্যাথা কম। তিনি ঘটনাক্রমে এই পর্বতে আসছেন। তার জমিদারীকালে প্রজাপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল এরকম তথ্য পাওয়া যায় বলে এই নোটিটতে উল্লেখ করেছি।
      আমার নোটটির উদ্ধেশ্য রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে যে অপপ্রচারগুলো আছে সেগুলো খুঁড়ে দেখার চেষ্টা করা।
      রাসেল, আমার জ্ঞানগরিমা নিয়ে আমারকোনো আদিখ্যেতা নেই। কিন্তু জ্ঞানপাপীদের ভুয়া বেলুনগুলো একটু ফুটো করার চেষ্টা করতে করা যাবে না কেন? দেখা যাক বেলুনগুলো
      কতটা মজবুত। দেখেন-- টেকাতে পারেন কিনা।
      See More
      7 minutes ago · ·

No comments:

Post a Comment