Sunday, April 18, 2010
অন্ধ জাতীয়তাবাদ, কুলদা-র বিকৃতি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেন
সোহেল হাসান গালিব
অন্ধ জাতীয়তাবাদ, কুলদা-র বিকৃতি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেন
Share
Yesterday at 2:18pm
সেদিন ফেসবুকে দেখি খোন্দকার আশরাফ হোসেনের একগুচ্ছ কবিতার সঙ্গে একটা কার্টুন পোস্ট দিয়েছেন নিক-নটরাজ কুলদা রায়। সেই কার্টুনে দেখা যাচ্ছে একটা টেবিল-টকে মিলিত হয়েছেন কয়েকজন, যথা : ফরহাদ মজহার, সাজ্জাদ শরিফ, ব্রাত্য রাইসু, সুমন রহমান, মাহবুব মোর্শেদ, তারিক টুকু ও আমি। বলা বাহুল্য, নামগুলো বিকৃত। এবং এখানে একজন মহিলাও আছেন, সভাপতির আসনে, এ যে কে বুঝতে পারি নাই। সেখানে ফরহাদ মজহারের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে, 'আবহমান বাঙালি চেতনা একটা ফ্যাসিবাদী চিন্তা'।
ভাবতে অবাক লাগল, কবিতার সঙ্গে এই বিষয়ের কোনো সম্পর্ক না-থাকা সত্ত্বেও কবি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেন কোনো প্রতিবাদ করলেন না। তাতে এই প্রতীয়মান হয় যে, এটা একটা যৌথ-প্রকল্প, যাতে সায় আছে অধ্যাপক মশায়ের। ফলে একটু আহতই হলাম, একজন প্যারানয়েড, কুলভ্রষ্ট ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের সরব ঠিকাদারের বিকারকে কীভাবে তিনি উপভোগ করেন।
সাম্প্রতিককালের ভাষাবিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন ভাষার বাইরে কিছু নাই, যেমন গৌতম ভাবতেন দেহের বাইরে কিছু নাই। ফলে ভাষা বা দেহে মনঃসংযোগ করলেই জগৎ বোঝা যাবে। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ঘটনাটা দেখি তাই। ভাষা-বিতর্কে সবার কুল-ঠিকুজি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তর্কটা লেগেছে মান-ভাষা ও আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে। এখানে আমাদের বক্তব্য সামান্য। আমরা এটাকে বাহুল্য তর্ক মনে করি। এটা প্রায় মীমাংসিত বিষয়। মান ভাষা যে দাপট নিয়ে আজ হাজির তার মূল ঠিকানা প্রমথ চৌধুরী—বলা হয়ে থাকে। এবং তার চাচাশ্বশুর রবীন্দ্রনাথ এর প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয়, ভাস্তি-জামাইর লেখা পেকে উঠবার আগেই এই ভাষা রবীন্দ্রনাথ ছিন্নপত্রে প্রতিষ্ঠিত করে এসেছেন ছাব্বিশ বছর বয়সেই। তাহলে এরও পূর্বসূত্র খুঁজে পাওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মোদ্দা কথাটি হলো এই, ভারতচন্দ্রই এ ভাষার সাহিত্যক ভিত্তি। প্রমথবাবু অবশ্য আরেকটু পেছনে গিয়ে চণ্ডীদাসকে টেনেছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোলকাতার কথ্যভাষা ও বাগভঙ্গি। এর প্রমাণ পাওয়া যাবে 'আলালের ঘরে দুলাল'-এ। যদিও পরবর্তী সময়ে নিগৃহীত ঠাকুর, মানে টেকচাঁদ ঠাকুর নিজেই এ ভাষা পরিত্যাগ করে কিছুটা বিদ্যাসাগরীয় হয়ে উঠবার চেষ্টা করেছেন। এইখানেই শুরু হলো ভাষার লড়াই। এই দ্বন্দ্ব আধুনিকতাবাদের দ্বন্দ্ব, ঔপনিবেশিকতার ব্যারাম। কারণ আমরা দেখেছি, এনলাইটেনমেন্টের শিক্ষাই হলো, সে মানব-জাতিকে দুইভাগে ভাগ করে—উচ্চসংস্কৃতি ও নিম্নসংস্কৃতি।
ইংরেজসৃষ্ট কেরানিকুলের প্রথম পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলায় লেখাকে হীনদৃষ্টিতে দেখতেন মানে ঘৃণা করতেন। এতে কিছুটা পাপবোধও লেগে থাকতে পারে, যেমনটা সত্য মুসলমান শরাফতের ক্ষেত্রে। তাই নিতান্ত বাধ্যতায় একটা বিকৃত বাংলা গদ্যের সূচনা হয়েছিল তার হাতে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। কেরানিকুলের দ্বিতীয় ধাপের পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা ওরফে বিদ্যাসাগর অগ্রজের ব্যর্থতা মোচনে একটা বুদ্ধি ঠাউরালেন। তিনি সংস্কৃত শব্দকে আশ্রয় করলেন ঠিকই, কিন্তু তাতে মিশিয়ে দিলেন কোলকাতার কথ্যভঙ্গি বা ভাষাস্রোত। রবীন্দ্রনাথ এটাকে বিরাট ঘটনা মনে করেছেন এবং দাবি করেছেন তিনি তার উত্তরাধিকার। কিন্তু তা অর্ধসত্য। বরং রবীন্দ্রনাথের গদ্যের উপর যদি কারও আছর থেকেই থাকে, সে-জন তারা বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। হাতের কাছে বই নেই, থাকলে উদাহরণ দিতে পারতাম। উপরন্তু, রবীন্দ্রনাথ ভাষার ক্ষেত্রে যা করতে চেয়েছিলেন, তা বিদ্যাসাগর নয়, প্যারীচাঁদ মিত্র মহাশয়ই অনেক আগেই গুছিয়ে এনেছিলেন।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি খোদ কোলকাতাতে যে ভাষাটা শেষ পর্যন্ত শিক্ষিত জনের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ালো, তা আধেক পুস্তকী, আধেক আঞ্চলিক। প্রমথ চৌধুরী বারবার ভারতচন্দ্রের নাম জপ করেছেন। এখন কথা হলো, পাবনা-নদীয়া-বর্ধমান-বীরভূম মানে ভাগরথী নদীতীরবর্তী অঞ্চলের ও সুতানটী গ্রামের মানে গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চলের মিশ্রিত ভাষাই চলিত তথা মান ভাষা বলে ধার্য হলো সকল বঙ্গভাষীর জন্য। কিন্তু পূর্ববঙ্গ তখনো উচ্চকিত জাগে নি স্বপনে। সেদিন যদি মাস্তানি করবার জন্য আমি থাকতাম, যার বাড়ি টাঙ্গাইল, তাহলে অবধারিতভাবে মৈমনসিংহ গীতিকার মানে ব্রহ্মপুত্র-পাংশুগণের ভাষাই মান ভাষা হিশেবে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতাম :)
বর্তমানে যে ভাষার বড়াই আমরা করছি, এবং যে বাঙালি-সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছি (যার অন্যতম উপাদান বিকৃত সেকুলারিজম, যা উপনিবেশিত হৃদয়ের উৎসার), ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তা ক্যালকেশিয়ান ক্যালকুলাস বলা যায়। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিশেবে নিজের ভাষাটিকে আমরা চাপা দিয়ে রেখেছি অপরের বলে, আঞ্চলিক বলে। নিদারুণ ট্র্যাজেডি হলো এই, শ্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যারা সংস্কৃতের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করার কথা ভেবেছিলেন, তাদের তুলনামূলক শব্দতত্ত্ব খেয়াল করলে দেখা যায়, ঢাকাই বাংলা কেতাবি ভাষার অনেক বেশি কাছের, কোলকাতার চেয়ে। ভাবতে অবাক লাগে এখনও আমাদের উপন্যাসে, নাটকে লেখা হয়, বলা হয়, 'আসুন', 'বসুন'। কোলকাতা যাদের কল্বে (হৃদয়ে) বসে গেছে, তারা খামাখাই ডরাচ্ছেন। সংস্কৃতির স্বাভাবিক নিয়মে শাসকের ভাষা শাসিতের ভাষায় বিলীন হয় না। বরং শাসিতের ভাষাকেও শাসক আত্মসাৎ করে নেয়। ক্ষমতার অসাম্য বজায় রেখেই একটা ফিউশন এখানে ঘটবে। এবং সেটাই হবে বাংলাদেশের বাংলা, আমাদের ভাষা। একাডেমিক ভাষা-ঐতিহ্যের সঙ্গে আঞ্চলিকতার একটা মোকাবেলা হতেই হবে।
কোলকাতার বাংলাচর্চা এক ধরণের সাম্প্রদায়িকতায় পর্যবসিত হয়েছে অনেক আগেই। কেননা তাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল ইতিহাস—বঙ্কিম থেকে শরৎচন্দ্র অবধি। বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট, শরৎ বা রবীন্দ্রনাথে ততটা নয়, ভাবুকতা ও রোমান্টিকতার ক্যামোফ্লেজ আছে তাতে। শরৎ তো সোজাসাপ্টাই বলেছেন, বাঙালি আর মুসলমানের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে। যেন বাঙালি হবার শর্ত হিন্দু হওয়া, আর মুসলমান মানেই শেখের পোলা, আরবাগত। কোলকাতার একাডেমিশিয়ানদেরও অন্তর্গত ভাব, অনুভাব এমনই। তাদের গোমর ফাঁশ করার জন্য একটা মজার উদাহরণ দিচ্ছি। সংসদ্ বাঙ্গালা অভিধানে 'খালা' মানে 'মেসো' এবং এর স্ত্রী-লিঙ্গ 'খালী' মানে 'মাসী' বলা হয়েছে। অপর ধর্মের পারিবারিক সম্পর্কের ব্যাপারে কতটা উন্নাসিক থাকলে এমন মূর্খতা সম্ভব। বলা হয়েছে 'মামদো ভূত' মানে 'মোহাম্মদীয় ভূত'—এটা কী জিনিশ, আমার অনুধাবনে আসে না। পক্ষান্তরে 'অন্নপ্রাসন' কী জিনিশ এটা ব্যাখ্যা করতে আমাদের কিন্তু ভুল হয় না। বাংলাদেশের 'বাংলা একাডেমী'র অভিধানে অনেক আরবি ফারসি শব্দ আছে যার টিকিটিও নেই কোলকাতার অভিধানগুলিতে। বরং সংস্কৃত ভাষার ব্যুৎপন্নমতি ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা কিছু কিছু আরবি-ফারসি উৎস থেকে উৎসারিত শব্দকেও চিহ্নিত করেছেন সংস্কৃতের অপভ্রংশ হিশেবে। এই আন্দাজের পেছনে অচেতন বেদমুখীনতা লুকিয়ে আছে বলে মনে হয়। এই হলো সেই বেদ যাতে এতদঞ্চলের ভাষাকে 'পক্ষীভাষা' বলা হয়েছে। অর্থাৎ হেথাকার প্রাকৃতজনের ভাষা মনুষ্যমুখবাচ্য নহে।
আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করতে অক্ষম। এর অসার আদর্শ ও আখলাক নিম্নরূপ:
১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব। যার মূর্ত উদাহরণ কুলদা রায়। এরা বাংলাভাষায় ইনশাল্লাহ শুনলে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি তথা ত্রাহি ত্রাহি করে। এদের কাছে ফররুখ আহমদ অনাধুনিক। কিন্তু কমলকুমার মজুমদার সুপার আধুনিক, যার উপন্যাস শুরু হয় এই ভূমিকাবাক্য দিয়ে : জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরদর্শন। অথচ 'সোনালি কাবিন'-এর কাবিন শব্দটাই নাকি গেঁয়ো, অশ্লীল (হুমায়ুন আজাদ)।
২। কোলকাত্তাই মানভাষার শুদ্ধতা রক্ষার দৃপ্ত অঙ্গীকার। অর্থাৎ, আঞ্চলিক ভাষা-বিদ্বেষ। মুসলিম জনপদের ভাষা তাদের কাছে ইতরজনের ভাষা। এই ভাষা উচ্চারণে এদের অজু নষ্ট হয়। অথচ এরা ভুলে যায় তাদের গুরুঠাকুর কিন্তু বলেছিলেন, সত্যিকার বাংলা ব্যাকরণ রচিত হবে আঞ্চলিক ভাষার ব্যাকরণ রচনার মাধ্যমে। এবং এই আহাম্মকদের এও মনে থাকে না যে, বৈষ্ণব পদাবলী থেকে মঙ্গলকাব্য সবই আঞ্চলিক ভাষায় রচিত। নাসিক্য 'ঞ'-এর প্রাদুর্ভাব চণ্ডীদাসের আঞ্চলিকতার বিশেষ চিহ্ন।
৩। 'আবহমান বাঙালি চেতনা' নিঃসন্দেহে একটি ফেক ধারণা। আবহমান বলে কিছু নাই। আর বাঙালি জাতিসত্তার উদ্ভব ও বিকাশ একরৈখিক কোনো ব্যাপার নয়। বাঙালিয়ানার সঙ্গে শাড়িব্লাউজ বা ধুতিপাঞ্জাবির সম্পর্ক এক অর্বাচীনতার নমুনামাত্র। ঠাকুরবাড়ি হতে উৎসারিত। এর সঙ্গে বাংলার লোকায়তিক ভাবচর্চার কোনো সম্পর্ক নাই। এটা একটা ফ্যাশন মানে মুখোশ। অথচ ঠাকুর যতটা না 'বাঙালি' তার থেকে অনেক বেশি 'ভারতীয়'। রবীন্দ্রনাথের দুপাতা প্রবন্ধ যাদের পড়া আছে তারা আমার কথায় নির্দ্বিধায় ইমান আনবেন। মজার ব্যাপার হলো, বাঙালির উপাস্য এই মহাপুরুষ কিন্তু সাত কোটি বাঙালিরে অমানুষ বলেছেন।
৪। বাঙালি যে অমানুষ তা তারা প্রমাণ করে অবাঙালিদের সঙ্গে আচরণে।
সবশেষে বলবো, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এমনকি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের আচরণগত পার্থক্য যে নাই, তা বুঝতে পারা যায় আদিবাসীদের ব্যাপারে তার ভূমিকা বিশ্লেষণ করলেই। জাতীয়তাবাদের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত না করে নিঃসংশয় ভাবাবেগ কী করে উথলায়, তার তল পাওয়া মুশকিল। মুশকিলটা কিন্তু নামকরণে নয়। নাম তো ক্ষমতাশীলের প্রত্নস্বাক্ষর (এক অর্থে 'নামায়ন' গুপ্ত 'রামায়ণ'ই বটে)। বিএনপি ও জামাতপন্থী বুদ্ধিব্যাপারীদের বক্তব্য, 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' কথাটার মধ্যেই অবাঙালিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের বলবো, বাংলাদেশ নামের মধ্যেও তো হাজং, মুরং, চাকমাদের অস্বীকার করা আছে। এদেশের নাম তো হয় নি হাজংদেশ, চাকমাদেশ—চাকমা নামের মধ্যে কিন্তু একটা চেকনাই আছে। আমাদের বিবেচ্য হওয়া উচিত খাসলত। কেননা নাম পরিবর্তন ভড়ংমাত্র হতে পারে। সে হোক 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' বা 'কাঙালি জাতীয়তাবাদ' অথবা হোক 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' কিংবা 'জংলাদেশী জাতীয়তাবাদ'।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের স্যাপারেশন চায়, খুব ভালো কথা। তা জাতীয়তাবোধের স্যাপারেশন মানবে কি?
যে অর্থে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি সাম্প্রদায়িক ধারণা, সেই অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবাদও একটি সাম্প্রদায়িক চেতনা।
আমাদের কুলদাবাবু নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক এবং বেয়াদব। লেখক/কবি/ভাবুক হিসেবে এর কোনো অবদান চোখে পড়ে না। এই কুল-কুণ্ডলা যে ভাষায় (কল্পগরু) কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের সঙ্গে তর্কে অবতীর্ণ হয় কিংবা কবি শামসেত তাবরেজীকে 'বুড়ো ভাম' বলতে পারে তাতে হতবাক হই না। অবাক হই তাকে যারা মৌন সমর্থন দিয়ে যান তাদের ব্যাপারে। কুলদা ও তার ভাইবেরাদর প্রত্যেকেই, খেয়াল করেন, বাংলা কবিতার আগাছা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু করতে পারেন নাই। এদের পচনে বড়জোর কম্পোস্ট সার তৈরি হতে পারে বলে আমার ধারণা। এদের প্রতি যত্নশীল হলে বর্তমান আওয়ামী সরকার সম্ভাব্য সার-সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারবে ইনশাল্লাহ।
Written 10 hours ago · Comment · LikeUnlike · Report Note
Jahed Sarwar, Sumon Rahman, Soyeb Muhammad and 8 others like this.
Mukul Kobi Raj
Mukul Kobi Raj
চমতকার! গালিব ভাই, এই শক্তিশালী লেখা'টির জন্যে আপনাকে সাধুবাদ জানাই!:)
9 hours ago · Report
Papree Rahman
Papree Rahman
অনেক ধন্যবাদ গালিব।কেমন আছ তুমি?
ম্যালাদিন পর কোনো নোট দিলা।
কুলদা রায় এর রায় শোনার প্রতিক্ষায় রইলাম।
তর্ক,কুতর্ক, বিতর্ক যাই-ই হোক কেউ যেন কাউকে ডিলিট না মারে।
বা ব্যক্তিগত গালিগালাজ যেন না করে...।... See More
সবাই কুশলে থাকুন।
9 hours ago · Report
Tanvir Akanda
Tanvir Akanda
লেখাটা কি "কপি" করে আমার কশ্পিউটারে রেখে দিতে পারি?
9 hours ago · Report
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
প্রথম ও শেষ অনুচ্ছেদের বিতর্ক উসকানো বাড়তি কথাবার্তাগুলো বাদ দিয়ে পুরো লেখাটা একটা পরিশ্রমী মৌলিক প্রবন্ধের মর্যাদায় উন্নীত। এ দুটো অংশ না থাকলে আলাপগুলো হয়ত বিষয়ের মধ্যেই থাকত, এখন যার বাইরে বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট। আমি এ নোটের বিষয়ঘনিষ্ঠ কথাবার্তাগুলো শুনতে আগ্রহী।
8 hours ago · Report
Rezaur Rahman
Rezaur Rahman
galib mogha..... ki koi te chai tai clear korte parlo na. keno na 1st para & last para kono ortho prokash kore na. gali dile hobe na galib shaeb , bujlen.
7 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব,
ঝটিতি পাঠের পর আপাতত কিছু বক্তব্য দেই, আশা করি পরে আরো কিছু বলা যাবে:
ক. আপনার মতো আমারও হাতে রেফারেন্সটা নাই, ফরাসী ভাষায় একটা নির্দিষ্ট ডায়লেক্ট কিভাবে বাকিগুলার ওপর প্রাধান্যশীল হলো, তা নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। সম্ভবত সকল ভাষার বেলাতেই এটা ঘটে থাকে। কিন্তু জরুরি বিষয় হলো এইটা দেখা যে, এই প্রাধান্যের একটা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস থাকে, প্রেক্ষিত থাকে। যুগের পরিবর্তনে কিংবা ক্ষমতাসম্পর্কের ভারসাম্যের বদলে সেইটাও পাল্টাতেই পারে। ... See More
২. শরৎচন্দ্রের ভাগলপুরের ঘটনাটা: ওই স্থানটা বিহারে, ওর বেশিরভাগ মুসলমান অধিবাসী উর্দুভাষী। ওইখানে বেগম রোকেয়াও বাস করেছেন কিছুদিন, তারাও পারিবারিকভাবেই ছিলেন উর্দুভাষী। আবার বাঙালিদের (হিন্দু!) বসতিও ছিল, শরতচন্দ্র নিজেও ছিলেন বহু দিন ওখানে। এরই সাধারণ ফলাফল হলো শরৎচন্দ্রের ওই বাক্যটা, বাঙালি আর মুসলমানদের মাঝে ফুটবল। শরৎচন্দ্র সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে প্রশ্নাতীত ছিলেন না, তার বেশ কিছু প্রবন্ধে এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু গফুর চাষাকে তিনি বাঙালি মনে করতেন না, এইটা মনে হয় ভাবনার বাড়াবাড়ি হবে। শরৎচন্দ্র মুসলমানরা বাঙালি হতে পারবে কিনা, এই প্রশ্নে কি মনে করতেন, তার সিদ্ধান্ত ওই এক বাক্য থেকে নেয়াটা বোধ করি তাই সঠিক হবে না।
৩. প্রাধান্যশীল সাহিত্যিকদের মাঝে বঙ্কিম যতখানি সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেছেন, বাকিদের ক্ষেত্রে তা উত্তোরোত্তর হ্রাসের প্রবণতাই সম্ভবত বেশি দেখা যায। এইটা কি আসলে উভয় সম্প্রদাযেররই ক্রমশ পরস্পরেরে বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠার লক্ষণ নয়? সন্দেহ নেই, বাঙলায় মধ্যবিত্তের মাঝে সংগঠিত আকারে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতারই জন্ম আগে এবং প্রবলতর রূপে। কিন্তু মুসলমানদের মাঝেও সাম্প্রদায়িক মধ্যবিত্ত শক্তির আবির্ভাব ঘটতে সময় খুব বেশি সময় লাগেনি, আর আবির্ভাব মাত্র সে "মুসলমানী" চরিত্র ধারণ করে, এর একটা বড় কারণ ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ হিন্দু মধ্যবিত্তের হিন্দুয়ানীর পাল্টা আওয়াজ তুলে নিজেদের চিহ্নিত করা। এই বিবেচনায় বলা চলে, হিন্দু মধ্যবিত্তের অগ্রজ অবস্থান তার সাম্প্রদায়িকতা আর তার উদারতা উভয়ের সুযোগই আগেভাগেই তৈরি করেছে, সম্ভবত বিস্তৃতও করেছে। এরই ফল হিসেবে, বদরুদ্দীন উমরের ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন বইটাতে যার একটা চিত্র পাওয়া যাবে, কংগ্রেস বিপুল পরিমানে হিন্দু মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করেও 'অসাম্প্রদায়িক' জোব্বা পড়ে থাকতে পেরেছে নিরুপদ্রপে, পাল্টা স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে মুসলীম লিগ খোলাখুলি সাম্প্রাদায়িক আওয়াজ তুলেছে।
6 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
(এইখানে দেখি কথা একবারে কওয়া যায় না, দুই বারে দিতে হবে!)
৫. যেটা আগে বলেছি, হিন্দু এবং মুসলমান উভয়েই পরস্পরকে এবং নিজেকে চেনাটা শুরু করে খুব ধীরে। রবীন্দ্রনাথ বা শরৎ সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের উপস্থিতি দুর্লভ। এই সুযোগটা তারা পান পাঠককূলে বিপুল হিন্দু জনতার উপস্থিতির কারণে, কোন সামাজিক চাপ তাদের অনুভব করতে হয় না। তখনকার দিনের বিপুল ক্ষমতাধর সাহিত্য সম্মেলনগুলোতে প্রায় কোন ফিসফাস এই নিয়ে আসে না। বিকাশরে পরের ধাপেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাই ইসমাইল হোসেন সিরাজীদের ক্রুদ্ধ ভাষাকে ইসলামীকরণের ডাকে। কিন্তু পাকিস্তান একটা বড় পরিবর্তন আনলো, উমরের ভাষায় যেটা হলো "বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন"। এলিটের মুসলমানী রাষ্ট্র যখন মধ্যবিত্ত বা আমজনতা কারোই স্বার্থ রক্ষা করলো না, তখন ভাষাভিত্তিক জাতিয়তাবাদীত্যাজী পূববাঙলার মুসলমান এই বার ধর্মভিত্তিক জাতিয়তাবাদ ত্যাগ করে ক্রমশ আত্মসচেতন হয়ে আবারো ভাষাকেই আকড়ে ধরলো। তো আমরা যখন হিন্দু মধ্যবিত্তের বাংলাভাষাকে সংস্কৃত করার ধান্ধার কথা বলি, আমরা কোন যুক্তিতে মুসলমান ক্ষমতাধরদের বাঙালিত্ব ভোলানোর ধান্ধা ভুলি?
৬. সত্য, আবহমান বাঙালি বলে কিছু নাই। কিন্তু বহতা এক না, একাধিক ধারা যে আছে, তাদের স্বতন্ত্র আবার একই সাথে বিলীন প্রবাহ যে আছে, তাই বা কি করে অস্বীকার করি? আমার মনে হয়, 'কংগ্রেসী ধর্মনিরপেক্ষতা'র ধারণাকেই সামনে তুলে ধরে ধর্মনিরেপক্ষতাকে সাধারণভাবে আক্রমণ করার দৃষ্টিভঙ্গির মাঝেই ত্রুটি আছে। সেই দোষে গালিব, আপনি মনে হয় কিছুটা দুষ্ট।
৭. আবার আসি ফোর্ট উইলিয়মে। হিন্দু পণ্ডিতদের বাঙলাকে সংস্কৃত করার প্রকল্প কি সফল হয়েছিল? না, সেইটা ব্যর্থ প্রকল্প একটা। বাঙলা ভাষার বিস্তার একদম নিজস্ব পথে হয়েছিল। কোলকাতার লোকবুলি কোম্পানির নির্ধারণ করা না। নদীয়ার বিদ্বৎসমাজের ভাষাও না। এইটা যুগের সৃষ্টি, কালের সৃষ্টি। ঘটনা প্রবাহে কোলকাতার রাজধানী হওয়াটা ক্ষমতা সম্পর্কে তারে একটা সুবিধা জনক স্থানে নিলো বটে, কিন্তু ওইটাতো কোম্পানি পণ্ডিতদের প্রকল্প ছিল না। বাঙলা ভাষার আজকের বিকাশে আমরা ফরহাদ মজহারের ইবাদত নামায় ব্যবহার করা বহু আরবী ফার্সী শব্দের আর পুনর্প্রয়োগ ঘটাতে পারবো না। পূর্ববঙ্গীয় বলে আরেকটা যে প্রায় অপরিচিত ডায়লেক্ট আমাদের ওপর জনকয়েক তরুন কবি চাপিয়ে দিয়েছেন, সেইটাও বোধকরি খুব ফলপ্রসূ হবে না। কিন্তু এর মানে এই না যে, বাঙলা একাডেমির ফ্যাসিস্ট (আসলে ফ্যাসিস্টও না, নিদারুণ হাস্যকর, এবং ফালতো) নিয়মেও বাঙলা চলবে।
পূববাঙলার ডায়লেক্ট, তার নাগরিকতা, অর্থনীতির বিকাশ, কবিকূলের বাকস্ফূর্তি সব মিলায়ে এইখানে বাঙলার একটা লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা তৈরে হচ্ছে, হতে থাকবে।
আমার কমেন্টটা অতিদীর্ঘ বলে ক্ষমা করবেন, লিখে অভ্যাস নাই। প্রস্তৃতির অভাবে তা আরও অগোছালো হলো বোধকরি। নোটে ট্যাগ করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
6 hours ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
আমিও মুজিব মেহদীর সাথে একমত যে গালিবের লেখার প্রথম ও শেষ প্যারা খানিক বাড়তিই মনে হয়েছে, নতুবা এটিকে বেশ প্রয়োজনীয় এক কর্ম বলা যায়। শরৎচন্দ্র বাঙালি আর মুসলমান সম্পর্কে যা বলেছেন আসলে সেটা ছিল তখনকার বাস্তবতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করেন, তারাই প্রকৃত বাঙালি আর পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা হচ্ছে বাঙাল। এই বাঙালরা কৃষক, এদের আভিজাত্য বা উচ্চমার্গীয় র... See Moreুচি নেই। বঙ্কিমবাবু বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে চালু করতে চেয়েছেন, মুসলমানরা বাঙালি তো নয়ই, এরা যবন।
অতি সাধারণ কিছু উদাহরণ থেকে বোঝা যাবে, কলকাতার বেশিরভাগ দাদাবাবুরা বাঙালদের ব্যাপারে কত উদাসীন_ শেখ হাসিনাকে তারা শেখ হাছিনা বলেন, জি-বাংলার এক টিভি-সিরিয়ালে শমী কায়সারকে অনবরত শমী কাইজার লিখে গেছেন। এই সংখ্যা নতুন ধারায় অনিল ঘড়াই তার 'ভূমিভূত্র' নামের গল্পের তিনটি চরিত্রের নাম দিলেন সোফিয়া, নৌসাদ, রজ্জাক। তিনি যদি বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির খোঁজ রাখতেন তাহলে হয়ত নামত্রয় হত সুফিয়া, নওশাদ, রাজ্জাক। কলকাতার টিভিসমূহে মুসলমান চরিত্র মানে রাজাকার মার্কা ড্রেস পরবে, অনেকটা টাউট ধরনের চরিত্র হবে, এবং এরা বিক্রমপুরের একটা বিকৃত ভাষায় কথা বলবে। কেউ কেউ আবার সমন্বয়বাদী মানসিকতা থেকে বেদরকারি কিছু ভালোমানুষী এদের ভিতর আমদানী করেন। আমি এখন পর্যন্ত (অপর্ণা সেনের একটি ফিল্ম ব্যতীত_নামটি এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।) ভদ্র-রুচিশীল-প্রগতিমুখর কোনো মুসলিম চরিত্র তাদের নাটক বা সিনেমায় দেখি নি। আমার ভুল হলে নিশ্চয়ই কেউ তা ঠিক করে দিবেন।
এই আলোচনা খুবই ভাসা-ভাসা কথকতার সমন্বয়। সমাজবাস্তবতার সাথে সমন্বয় রেখে মুসলিম চরিত্র কিভাবে আসবে সেটাও একটা ব্যাপার। এর যথার্থ আলোচনা হোমওয়ার্কপূর্বক করার বাসনা রাখি।
3 hours ago · Report
Sumon Rahman
Sumon Rahman
Firoz Ahmed ভাষাপ্রশ্নে বাঙলাদেশের মুসলমান ও হিন্দুর পরস্পরকে "খুব ধীরে" চেনার প্রক্রিয়ার কঘা বলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি রবীণ্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্যে মুসলিম চরিত্রদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে খেয়াল করছেন। একটা নিরালম্ব সাহিত্যিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখলে এই যুক্তিকে গ্রহণীয় লাগে। কিন্তু একে সমসাময়িক হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির ঘাত প্রতিঘাতের সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে ধন্দ তৈরি হয়। যে মুহূর্তে সাহিত্যে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের ব্যাপারে সহনশীল হতে শুরু করেছে, ঠিক একই মুহূর্তে রাজনীতিতে কিন্তু হিন্দু মুসলিম পরস্পর থেকে দূরে যেতে/পরস্পর বিষয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ফলে, রবীন্দ্রনাথ/শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক প্রকল্প মূলত একটি আকাঙ্ক্ষার প্রকল্প। রবীন্দ্রনাথের বাউল-প্রমোশন সেই প্রকল্পেরই অংশ।
আজকের প্রমিত বাংলা যেমন একদিন একটা ডায়ালেক্ট ছিল, আলোচনার টেবিলেই তাকে মানভাষা করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, আবার আলোচনার টেবিলে বসে এটাকে পাল্টে ফেলতে হবে। ভাষা অনড় জিনিস নয়, সে তার নিজের নিয়মেই পাল্টাবে। সে যেমন গণ-র চিন্তাভাবনাকে বহন করবে, তেমনি সাহিত্যিকদের চিন্তাভাবনাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আবার যারা নতুন ধ্যানধারণার অনুপ্রবেশকে প্রতিরোধ করতে চান, তাদেরো ন্যায্য হিস্যার ব্যবস্থা এই ডিসকোর্সে থাকে বোধ হয়। এই ডায়ালেকটিকস একটা অনিবার্য প্রক্রিয়া, একে গায়ের কিঙবা রূচির জোরে আটকে রাখার সাধ্য নাই, আবার গায়ের জোরে পাল্টে দিবারও ব্যবস্থা নাই। ফেসবুকে গুটিকয় লোকের নামে কার্টুন এঁকে ফেললেই এই প্রক্রিয়া থেমে যাবেনা।
আমি তো্ গালিবের ভূমিকা এবং উপসংহারে সমস্যা দেখছিনা। বরং সততাই দেখছি। যে পাদানি থেকে গালিবের এই নোট লেখার প্রেরণা এসেছে সেটা পরিষ্কার সেখানে। প্রেরণা ডাস্টবিন থেকেও আসতে পারে, তাতে সমস্যা কি? ... See More
40 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
খুব ভয় পাইছি। কেঁচো খুড়তে দেখি সাপ নয়--সর্প বের হল। সর্পের অতি দর্প! ও মামুগো, গেছি।
এই নোটটি দেখি ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন নামের বইটির প্রথম প্রবন্ধটির হুবহু ডিটো! ভয় না পাইয়া উপায় আছে? একটু জিড়ায়া লই।
কিন্তু সোহেল হাসান গালিব যে লিখলেন, ''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ যদি করে দেন কেউ, প্রীত হই।
7 hours ago ·
Rezaur Rahman
Rezaur Rahman
hahahhahaaha
6 hours ago
Sanjib Purohit
Sanjib Purohit
galib, kothau jeno khub koshto pacchi...
6 hours ago
Rezaul Karim মনু
Rezaul Karim মনু
"কেননা তাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল ইতিহাস—বঙ্কিম থেকে শরৎচন্দ্র অবধি। বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট, শরৎ বা রবীন্দ্রনাথে ততটা নয়, ভাবুকতা ও রোমান্টিকতার ক্যামোফ্লেজ আছে তাতে।"-Sohel Hasan Galib.
'বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট'-বইলা উদাহরণ দিলেন শরৎচন্দ্রের;বঙ্কিমের একটা উদাহরণ দেন। আমি তো দেখি বঙ্কিম কিছু একটা বলছে আর মুসলমানরা বাক্যগুলা না পইড়া ধইরা নিছে ওইটা মুসলমানবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা। ইংরাজের সাম্প্রদায়িকতা শিখানোর সামগ্রিক ব্যবস্থার মধ্যে বঙ্কিম সবচে কম সাম্প্রদায়িক।
5 hours ago
Nuruzzaman Manik
Nuruzzaman Manik
গালিব ভাই , কিছু ব্যাপার ক্লিয়ার করলে আলোচনায় সুবিধা হয় -
"আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করতে অক্ষম।"
এখানে আমাদের বলতে আপনি কাদের কথা বলছেন ?
"সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব"
... See More
এখানে খোলাসা করা দরকার আপনি কাদের সেক্যুলারিজমের দিকে নির্দেশ করছেন ? এবং তাদের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ সহি হতে পারে , ভুলও হতে পারে এবং হ্য়ও কিন্তু সেজন্য খোদ সেক্যুলারিজমই আসামি হয় কিনা ? আমি বলছি না , সেক্যুলারিজমের সমালোচনা বা ভালমন্দ বিচার করা যাবে না , অবশ্যই করা যাবে এবং তা' জরুরিও । আমার কথা হল-এদেশে সেক্যুলারিজম নিয়ে নানা ব্যক্তি ও দল পক্ষে অবস্থান নেয় এবং এদের সেক্যুলারিজম সংক্রান্ত চিন্তা ভাবনায় পার্থক্যও পরিলক্ষিত । বিধায়, আপনার কাঠগড়ায় কোন দল বা দলের সমর্থকদের সেক্যুলারিজম কে আসামি করলেন সেটা খোলাসা করুন ।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় , আমার একটা লেখা শেয়ার করছি
ধর্ম যার যার কিন্তু রাষ্ট্র হোক সবার (জানুয়ারি ৬, ২০১০ )
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=4313
27 minutes ago ·
5 hours ago
Abu Sayed Tulu
Abu Sayed Tulu
hhhhmmm... daralu logic....
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই, আপনার প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগল।
মতৈক্য ও মতান্তর ক্রমান্বয়ে তুলে ধরছি।
ক.---এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
২। ঐখানে শরৎচন্দ্রের বলা উচিত ছিল : বাঙালি বিহারি ফুটবল খেলা হইতেছে। মানে বাঙালির বাইনারি অপজিশন হিশেবে মুসলমানকে ভাবার অবচেতন অসুখ তারও ছিল---এটা আমি প্রমাণ করতে পারব চিঠিপত্র এবং অভিভাষণ থেকে। দ্বিতীয়ত, গোফুর তার মহিষ ও মেয়ে নিয়ে বাঙালি পাঠকের সামনে বাঙালিত্ব নিয়ে হাজির হয় না বা এমন কোনো এন্টি-হেজিমনিক ব্যাপার এখানে নেই যাতে বাঙালির ইন্টালেকচুয়াটি চ্যালেঞ্জড হয়। যেমনটা আমরা দেখব ঠাকুরের 'একটি মুসলমানীর গল্পে'।
গফুর নিপীড়িত মুসলমানের সকরুণ নিবেদন হইলেই হইতে পারে। কিন্তু সন্দেহ আছে। কারণ, ইংরেজ গবর্নমেন্ট 'তাজিয়া' মিছিলের জন্য টাকা বরাদ্দ করে অথচ দুর্গোৎসবের ব্যাপারে নীরব---এ নিয়ে শরতের ভেতর কষ্টশিশিরের কণা জমাটবদ্ধ হয়েছিল।
৩। "এইটা কি আসলে উভয় সম্প্রদাযেররই ক্রমশ পরস্পরেরে বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠার লক্ষণ নয়?"
আমার তা মনে হয় না। বহুকাল আগে থেকেই তারা সচেতন ছিল। আব্দুল হাকিম, আলাওল থেকে ভারতচন্দ্র---এদের এই সমস্যা নাই। ইংরেজ আগমন এবং হিন্দু কেরানিকুলের সৃষ্টি তথা হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান তথা কংগ্রেস নির্মাণ---ইত্যাদির ভেতর দিয়ে যে মধ্যবিত্ত হিন্দু সমাজের সাক্ষাৎ আমরা পাই, তাদের কাছে মুসলমান 'আদার'। মীর মশাররফ হোসেনের লেখা দেখে তারা অবাক বনে গিয়েছিল :'মুসলমানও বাংলা লিখতে পারে তাহলে!!!'
মুসলমান-সাম্প্রদায়িকতা হিন্দু-সাম্প্রদায়িকতার প্রতিক্রিয়ার ফসল হলেও (মুসলিম লীগ ইত্যাদি) বাংলা ভাষার মেজর মুসলিম লেখকদের মধ্যে হিন্দুকে আদার করে দেখার নজির খুব কম। নাই বললেই চলে। বৃটিশ-সংশ্লেষে হিন্দু-সাম্প্রদায়িকতার স্বর্ণযুগ মোটামুটিভাবে ১৮৫০-১৯২০ ধরা যায়। কিন্তু মীর থেকে শুরু করে নজরুল বা জসীমের লেখায় এই প্রতিক্রিয়াশীলতা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
২০-এর পর থেকে হিন্দুমধ্যবিত্ত সাংস্কৃতিকভাবে মুসলমান অস্তিত্বকে কবুল করে নিতে বাধ্য হয়। নজরুলকে রবীন্দ্রনাথের 'বসন্ত' নাটক উৎসর্গের প্রতিক্রিয়ায় এই টানাপড়েন খানিকটা আঁচ করা যায়।
৪। চার নম্বর পয়েন্টটা আপনি বলেন নাই।
৫। ইসমাইল হোসেন সিরাজীর লেখা আমি বিশেষ পড়ি নাই। ফলে মন্তব্য করতে পারছি না। আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হয়।
বদরুদ্দীন উমরের লেখাও পড়ি নাই। তবে ফরহাদ মজহার বলছেন :"...বাঙালি মুসলমান পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কারণে ঘরছাড়া হয়েছে, এখন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তারা নাকি ঘরে ফিরে এসেছে। এটা বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের বক্তব্য।... মনে রাখা দরকার বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের তাত্ত্বিক ভিত্তি রচিত হয়েছে শ্রেণী রাজনীতির নামে। কিন্তু 'ঘরে ফেরা', 'স্বদেশ প্রত্যাবর্তন' ইত্যাদি ধারণার মধ্য দিয়ে বাঙালি হওয়া বলতে ইসলাম ত্যাগ করাই এই ধরণের শ্রেণী রাজনীতিওয়ালারা বোঝাতে চেয়েছে। শ্রেণী সংগ্রামের রাজনীতির দিক থেকে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অর্থ নিপীড়িত জাতিসত্তার পক্ষে আপোসহীন লড়াই করা, কিন্তু কোনো প্রকার জাতীয়তাবাদী পরিচয় দাঁড় করানোর সংগ্রাম নয়। ইতিহাস প্রমাণ করে যে জাতীয়তাবাদ ফ্যাসিবাদে পর্যবসিত হয়।"
---এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য প্রত্যাশা করছি।
৬। এই পয়েন্টে একটু বিস্তারিত কথা বলবো পরে।
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
৭। হিন্দু পণ্ডিতদের বাঙলাকে সংস্কৃত করার প্রকল্প কি সফল হয়েছিল?
---হ্যা পুরোপুরি সফল না হলেও আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল প্রায় একশ বছর। ইংরেজ তার প্রকল্প অনুযায়ী নিঃসন্দেহে একটা এলিট সারস্বত সমাজ গঠন করতে চেয়েছিল, যারা হবে ইংরেজের অনুগত।
এই সারস্বত সমাজের ভাষা-তৈরির কৃত্রিম দায় নিয়েছিলেন পণ্ডিতেরা। যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ককে 'দুরন্বয়' বলা যেতে পারে।
"পূববাঙলার ডায়লেক্ট, তার নাগরিকতা, অর্থনীতির বিকাশ, কবিকূলের বাকস্ফূর্তি সব মিলায়ে এইখানে বাঙলার একটা লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা তৈরে হচ্ছে, হতে থাকবে।"
---ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষায় এটাকে লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা বলে না সম্ভবত, তবে প্রবণতার দিক থেকে তাই। এ ব্যাপারে আমি একমত। এবং আমি এই কথাটিই বলতে চেয়েছি।
5 hours ago
Shamset Tabrejee
Shamset Tabrejee
তথ্যপুর্ণ লেখাটির জন্য সালাম। শুধু একটা কথা ছোট করে বলি। রবীন্দ্রনাথকে আমি সৎ লেখক মনে করি এইজন্য যে তিনি নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের সঙ্গে বসবাস করেও তার কাব্যে ও আন্যন্য লেখায় নিজ ধর্মের লোকজন ব্যতীত মুসলমানদের বিশেষ জাযগা দেন নাই। একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
কুলদা রায়,
আমার এ নোট সাম্প্রদায়িক কুলদাগোষ্ঠী ভাষান্তরে ছদ্মধর্মনিরপেক্ষগোষ্ঠীর মোকাবেলা, একই সঙ্গে ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলনের পর্যালোচনা।
তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কিবা কার!
4 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
জনাব Rezaul Karim মনু,
আপনি বঙ্কিমী সাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ চাহিয়াছেন এবং কহিয়াছেন, "আমি তো দেখি বঙ্কিম কিছু একটা বলছে আর মুসলমানরা বাক্যগুলা না পইড়া ধইরা নিছে ওইটা মুসলমানবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা"।
তাই নাকি?
আসেন বিচার করি তাইলে।
"ইংরাজের সাম্প্রদায়িকতা শিখানোর সামগ্রিক ব্যবস্থার মধ্যে বঙ্কিম সবচে কম সাম্প্রদায়িক।"
---এই বাণী আপনার। মানে আপনি বঙ্কিমরে সাম্প্রদায়িক মানেন কিন্তু উন অর্থে। পক্ষান্তরে আমি মনে করি বঙ্কিম হিন্দুসাম্প্রদায়িকতার প্রাণকেন্দ্র ও তত্ত্ব-উদগাতা।
পয়লা বঙ্কিমের জবানেই শুরু করি। ঋষি কহিতেছেন :
১। পৃথিবীতে যত জাতি উৎপন্ন হইয়াছে, প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণদিগের মতো প্রতিভাশালী, ক্ষমতাশালী জ্ঞানী ও ধার্ম্মিক কোনো জাতিই নহে ৷ প্রাচীন এথেন্স বা রোম, মধ্যকালের ইতালি, আধুনিক জার্ম্মনী বা ইংলণ্ডবাসী---কেহই তেমন প্রতিভাশালী বা ক্ষমতাশালী ছিলেন না; রোমক ধর্ম্মযাজক, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা অপর কোনো সমপ্রদায়ের লোক তেমন জ্ঞানী বা ধার্ম্মিক ছিল না ৷
২। মুসলমান ইতিহাস লেখকেরা অত্যন্ত স্বজাতি পক্ষপাতী; হিন্দুদ্বেষক। হিন্দুদিগের গৌরবের কথা প্রায় লুকাইয়া রাখেন---বিশেষতঃ মুসলমানদিগের চিরশত্রু রাজপুতদিগের কথা ৷...এই উনবিংশ শতাব্দীতে হিন্দুদিগের বাহুবলের কোনো চিহ্ন দেখা যায় না ৷ ইংরেজ সাম্রাজ্যে হিন্দুর বাহুবল লুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু তাহার পূর্ব্বে কখনও লুপ্ত হয় নাই। হিন্দুদিগের বাহুবলই আমার প্রতিপাদ্য।
মনু, আপনি নিশ্চয়ই জানেন ৭৬-এর মন্বন্তরের সময় এদেশে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছিল। উহা হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমানের বা মুসলমানের বিরুদ্ধে হিন্দুর যুদ্ধ ছিল না।
কিন্তু 'আনন্দমঠ' উপন্যাসে আমরা কি পাইতেছি?
কি পাইতেছি সে কথা আর কহিতে চাহি না।
অদ্ভুতুড়ে এক মহাপ্রভু কহিলেন, "তোমার কার্য্য সিদ্ধ হইয়াছে, মুসলমানরাজ্য ধ্বংস হইয়াছে। আর তোমার এখন কোনো কার্য্য নাই। অনর্থক প্রাণিহত্যার প্রয়োজন নাই।"
যবনঘাতী সত্যানন্দ ঠাকুর কহিলেন, 'মুসলমান রাজ্য ধ্বংস হইয়াছে, কিন্তু হিন্দুরাজ্য স্থাপিত হয় নাই---এখনও কলিকাতায় ইংরেজ প্রবল।...হে প্রভু! যদি হিন্দুরাজ্য স্থাপিত হইবে না, তবে কে রাজা হইবে? আবার কি মুসলমান রাজা হইবে?
মালাউন মহাপ্রভু কহিলেন, "না এখন ইংরেজ রাজা হইবে।...শত্রু কে? শত্রু আর নাই। ইংরেজ মিত্ররাজা। আর ইংরেজের সঙ্গে যুদ্ধে শেষ জয়ী হয়, এমন শক্তিও কাহারও নাই।"
(চলবে)
2 hours ago
Rezaul Karim মনু
Rezaul Karim মনু
"রবীন্দ্রনাথকে আমি সৎ লেখক মনে করি এইজন্য যে তিনি নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের সঙ্গে বসবাস করেও তার কাব্যে ও আন্যন্য লেখায় নিজ ধর্মের লোকজন ব্যতীত মুসলমানদের বিশেষ জাযগা দেন নাই। একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।"-Shamset Tabrejee... See More.
যতদূর জানি, রবীন্দ্রনাথ তো নারীও ছিলো না, কিন্তু তিনি নারী আঁকাআঁকি তো কম করেন নাই।
তাইলে কি তিনি নারী বিষয়ে লেখক হিসাবে অসৎ আর মুসলমান বিষয়ে সৎ বলতেছেন? একিভাবে তিনি রাশিয়ান ছিলেন না, ইউরোপিয়ান আছিলেন না, কিন্তু সেইসব বিষয়ে লিখতেছেন। তাঁরে সৎ বলতে চাইয়া অসৎই কি বেশি বললেন?
2 hours ago
Shamset Tabrejee
Shamset Tabrejee
এটা কি ঐতিহাসিক সত্য না? তাঁর জীবন-যাপনের ভূগোল এবং রচনাগুলিতে চোখ রাখলেই তো আমরা জানতে পারি। আমার মতে তিনি কাজটা ভুল করেন নাই। নিজ সম্প্রদায়ের বাইরের সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠি নিয়ে লেখার জন্য ওই সম্প্রদায় বা জনগ্রষ্ঠির সঙ্গে যে-একাত্মতা থাকা দরকার, ঠাকুর হয়ত ভেবেছিলেন তা উনার ছিল না, তাই লিখেন নাই। লেখক হিশাবে তাঁর নিজের কাছে এই ব্যপারে নিশ্চয় সৎ।
about an hour ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>
কাজেই বন্দে মাতরম গানটিও সাম্প্রদায়িক। আমার তো মনে হয়, উপন্যাস লেখার বছর পাঁচেক আগের রচনা এই গানটি জায়গামতো ফিট করার জন্যই আনন্দমঠ লিখিত হয়েছে।
প্রথম যৌবনের আধা-সাম্প্রদায়িক রবীন্দ্রনাথ প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন নাই। শেষ বয়সে গান্ধীকে তিনি জ্ঞান দিচ্ছেন এই বলে :
সংসদ আর সাহিত্য এক জিনিশ না। সংসদে সকলের প্রতিনিধিত্ব লাগে। ঐ গান সাহিত্যে ঠিক আছে, সংসদের জন্য ঠিক নাই। কাজেই বন্দেমাতরম গানের শেষাংশ বাদ দিতেই হবে। ওটা মুসলমানের জন্য পীড়াদায়ক।
... See More
গান্ধী বা কংগ্রেস এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথকে অমান্য করেন নি, সেটা ঐতিহাসিক সত্য।
ভাই মনু, আপাতত আলাপ শেষ করছি। যদি এতে না পোষায় বইলেন, আরও তথ্য সরবরাহ করা যাবে।
about an hour ago
Rahman Henry
Rahman Henry
Bah ! khubi sundar o dorkari alochona... onek buddhibrittik; Bangalar gorib kobider eto buddhibritti dorkar kee ? Porbo ar shikhbo, ei neetitai manlam. Post khubi chomotkar, Thanks Galib. Comments aro chomotkar... dhonnobaad sobaike....
Chotto ekta kotha amio bolte chai :
" Ami bangali. Amar jatiota torkei nirdharito hok. opekhha korbo."... See More
about an hour ago
Kulada Roy
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী জমানার খবরাখবর পড়ছিলাম--বাঙালি জাতীয়বাদ খুব খারাপ বলেই নিচের কাণ্ডগুলো ঘটেছিল, তাই না। পাকিস্তানীরা যেহেতু কৈছে ১৯৭১ সালে, তো ৩৯ বছর পরে আমাগো কৈতে দোষ কি--
১৫ জুন, ১৯৭১ জামাতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে--'মুসলমানের জাতশত্রু ইহুদীরা আরব মুসলমানদের যেভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে,তেমনি ইহুদীদের পরম বন্ধু হিন্দুরাও একই যোগসাজছে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলোপের কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের প্রেসননোটে ১৬ জুন, ১৯৭১ বলা হচ্ছে , আজ বৃহস্পতিবার প্রাদেশি সরকার পহেলা বৈশাখের ছুটি বাতিল করা হল। এবং ঢাকার ২৪০টি রাস্তার নাম পাল্টে দেওয়া হয়--তালিকা-
আদি নাম ------------------পরিবর্তিত নাম
১। লালমোহন পোদ্দ্দর লেন ১। আব্দুল করিম গজনভী স্ট্রিট
২। শাখারী নগর লেন ২। গুল বদন স্ট্রিট
৩। এলিফেন্ট রোড ৩। আল আরাবিয়া রোড
৪। নবীন চাঁদ গোস্বামী রোড ৪। বখতিয়ার খিলজি রোড
৫। কালীচরণ সাহা রোড ৫। গাজী সালাহউদ্দিন রোড
৬। বেইলী রোড ৬। বুআলী রোড
৭। ইন্দরা রোড ৭। আনার কলি রোড
১৭ জুন ১৯৭১ দৈনিক ইত্তেফাক জানাচ্ছে--৬৯টি বই পাকিস্তান সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে--
১। ভাসানী যখন ইউরোপে--খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস
২। শব্দবোধ অভিধান------আশুতোষ দেব
৩। আলমগীর (নাটক)----বিনয়কৃষ্ণ মুখার্জী
৪। পর্ব বাংলার শস্য ও জমির জন্য সংগ্রাম---এ কে আর আহম্মদ
৫। বিশ্ব শান্তি রক্ষার আহবান-------এ টি এম শামসুদ্দিন
৬। বাঙারী জাতয়িতাবাদের উল্লেখ--আবুল কালাম আজাদ
৭। হাসুবানু-------------------প্রবোধ কুমার সান্যাল
৮। রীগ শাসনে বরিশালে ফ্যাসিস্টরাজ---নূরুল আসলাম খান
29 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
Confession of a Pakistani Soldier--
“…… we were told to kill the hindus and Kafirs (non-believer in God). One day in June, we cordoned a village and were ordered to kill the Kafirs in that area. We found all the village women reciting from the Holy Quran, and the men holding special congregational prayers seeking God’s mercy. But they were unlucky. Our commanding officer ordered us not to waste any time.”
27 minutes ago ·
Alif Dewan
Alif Dewan
ফেসিবাদি দীন মহাম্মদ উড়পে সুমন রহমান নামক নভ্যড়াজাকার উ তাহার ছামছা ছোহেল হাছান গাল্লিবাঝ মগবাজাড় হইথে মাসে কথ টেকা কামাই কড়ে তাহা আগে জানা পয়ুজন।
9 minutes ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা রায়, এটাইতো আপনাদের সমস্যা। আপ্নারা বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে এর অপোজিটে পাকিস্তানি গো কুকীর্তিরে তুইলা ধরেন। ভাবটা এমন, যেন পাকিস্তানি গো এইসব কাহিনি লেজিটিমেট করার জন্য বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ নিয়া আলোচনা করা হইতেছে। যে আমার সঙ্গে নাই সেই আমার বিরুদ্ধে... এই মনোভাব বদলাইতে হবে কুলদা। আবেগ দিয়া আলোচনা চলে না,তথাকথিত বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ কেমনে কেমনে ভালো, আসেন সেইগুলা নিয়া কথা কই।
Rezaur Rahman
tikh koisen tarique tuku, kulada roy mia sprit bojen nai... haahhaa.
2 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
স্পিরিট কি করে বুঝি বলেন? কুলদা রায় নামের এই অধম চান্স না পাইয়া বাংলা সাহিত্য নিয়া পড়তে পারে নাই। আর সমাজতত্ত্বের বালও জানে না। তো, কুলদা রায় গালিবের/ টুকুর স্পিরিট কি করে বোঝে? আলোচনা করার কি একটা পদ্ধতিই আছে নাকি পৃথিবীতে তারিক টুকু? গালিবতো ফরহাদের উদ্ধৃতি দিয়া কৈলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ খুব খারাপ। আপনার প্রস্তাব মতে আপনিই না হয় শুরু করেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ কেমনে কেমনে ভাল? আপনার আলাপ শুইনা লই। তারপর না হয় আলোচনায় আসি।
2 hours ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
কাজী মামুন একটি মন্তব্য করেছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে প্রেরিত হইল--
Kazi Mamun said...
... See More
মন্তব্যঃ পাঠ্য পুস্তক কাউকে কি পরিমান পাঠা করে তুলতে পারে তা এ লেখা না পড়লে অজানাই থেকে যেত। ফারুকী-সৃষ্ট ভাষাকে কি করে বাঙালী জাতির ভাষা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে দেখলে দূঃখই হয়। আমি শতবার প্রশ্ন করেছি কথ্যভাষার লড়াই কারীদের আপনি যে ভাষায় লেখার অপচেষ্টা করছেন তা আসলে ঠিক কোন অঞ্চলের ভাষা? ঢাকা? কুমিল্লা? ময়মনসিংহ? সিলেট? কেউ বলতে পারেন নি! কারন এ ভাষাটার এখনো গড়েই ওঠেনি, এর শেকড় বাকর নিয়ে টানাটানি পরে গেছে। আপনারা কথায় কথায় বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ বেচা কেনা করেন, আমার একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না, কেন দুনিয়া ব্যাপি কথ্যভাষা-লেখ্যভাষা ভিন্ন হয়? কেন এটা প্রয়োজনীয়? পারেন না কারন এটা আপনাদের পাঠ্য-পুস্তিকাতে ছিল না। একজন কুপমন্ডুক ফ. মা. যে কি হাইব্রীড এটা না জেনেই হাইব্রিডের বিরোধীতা করেন, বাম-মুখোশ পড়ে হাওয়া ভবন থেকে শুরু করে হিজবুত তাহরির পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ বজায় রাখেন, তিনি আপনাদেরকে একটা শব্দ শিখিয়েছেন 'ভাষা-ফ্যাসিবাদ'। আর সাথে সাথেই আপনারা লম্ফ-জম্ফ শুরু করে দিলেন, ঝাপিয়ে পড়লেন আপনাদের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বাস্তবতা বিচার ছাড়াই।
আমার এই নোটটা (http://www.facebook.com/kazimamun?v=app_2347471856) এবং নিচের আলোচনা পড়বেন পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও যে পৃথিবী আছে সে সম্পর্কে একটু ধারনা হবে। নাহ আপনাদের জন্য আমার করুনাই হয়। আপনারা এখনো ফ. মা. এর মতো চালাক হয়ে উঠতে পারেন নি, তা না হলে এক শিয়ালের ডাকে হুক্কা হুয়া করে ওঠার আগে একবার নিজ লাভ খতিয়ে দেখতেন।
April 18, 2010 11:41 PM
about an hour ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি এখনও আবেগতাড়িত। আবেগতাড়িত হইয়েন না কুলদা।
আর আলোচনা করার কি একটা পদ্ধতিই আছে নাকি পৃথিবীতে --এটাইতো আমার প্রশ্ন। কারন, আজ পর্যন্ত আপনার যত আলোচনা দেখলাম, সবই এই পাকিস্তানি রা কি করসে আর বাঙ্গালিরা কেম্নে মাইর খাইসে এই জাতীয়।এই গরুর রচনা বাদ দিতে হবে কুলদা। কেউ নতুন কিছু কইতে গেলেই আপ্নারা তারে রাজাকার বানায়া দেন।এটা আ্পনাদের জন্য চরম লাভজনক।কারন, তাতে মুল আলোচনা-ই হয় না।এভাবেই আপ্নারা বারবার মুল আলোচনা থিকা পার পাইয়া যান।
এই পার পাওনের আরেকটা তরিকা আছে। গালাগালি। যেটা, মাশাল্লাহ,শুরু কইরা দিসেন।
বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ কেম্নে গালিবের ভাল লাগে নাই সেটা উনি বলছেন, আপ্নে এইখান থিকা শুরু করতে পারেন।গালিব যেহেতু শুরু করছেনই, আমাদের আলোচনা এখানে হাজির আছে, আপ্নারটা(হিন্দু মৌলবাদ বাদ দিয়া) শুনি , আসেন।
about an hour ago · Report
Sanjib Purohit
@tabrejee bhai, eta ki bidruypattok? ''একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।'' !
Kulada Roy
Kulada Roy
আমি যে আবেগতাড়িত এটার উদারণ দ্যান তো?
আরেকটা প্রশ্ন, গতবার যে গালিব কৈছিলেন, উনি আওয়ামী রাজনীতির সেক্যুলারিজমের গভীরস্তরের লোক। এবং তার প্রমাণ নাকি এ বছরে একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন নাসিরুদ্দিন দিতে পারবেন। আর আপনি জয়বাংলা শ্লোগানে লাইক দিছিলেন। আপনেরা দুজন কি অবস্থান পাল্টাইছেন? আপনেদের বর্তমান অবস্থানটা পরিস্কারভাবে জানতে পারলে আলোচনা করতে সুবিধা ... See Moreহৈত।
আর আলোচনার আবেগ বাদ দিয়া যে যুক্তির পথের পথে অগ্রসর হইতে আমি তার তার প্রমাণ হিসাবে একটা প্রশ্ন করেছিলাম গালিবকে এবং জানপহেচান ব্যক্তিদেরকে--যে, গালিব এই গবেষণা প্রবন্ধটিতে (প্রথম প্যারা আর শেষ প্যারা বাদ দিলে যা ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বইটির প্রথম প্রবন্ধ হুবহু ডিটো করা বা সারসঙক্ষেপ করা) বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটা বোঝা দরকার। কারণ গালিব সাহেব বাংলা সাহিত্যে, দর্শনে, সমাজতত্ত্বে সুপণ্ডিত--ব্যাকরণও জানেন। তিনি যখন এই তিনটি বাক্যের শেষ দুটি বাক্য ভুল বাক্য লিখলেন, সেখানে কে কাকে কোথায় নরহত্যা সংঘটিত করল--তা কিছুই বলেন নাই। এটা না হয়, আমার মত আগাছা সাহিত্য রচনাকর্মি লিখতে পারেন, কিন্তু গালিব কেন লিখলেন--তিনি ভুল করে লেখার লোক নন। তাহলে এই তিনটি সান্ধ্যবাক্যে নিশ্চয়ই এমন কিছু আলো আধারী বিষয় আছে তা আমি বুঝতে পারি নাই। তো এই তিনটি বাক্যের সান্ধ্যত্বের অন্ধত্বে আলো ফেলে ফেলে সরলার্থ করে দিন--যাতে যুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আমার সুবিধা হয়। কারণ সান্ধ্যভাষা তো বহিরাঙ্গে আবেগাক্রান্তই। আর যেহেতু ভাষার দেহবাদি (প্রকৃতিবাদি) কাঠামো নিয়ে আপনেরা আলোচনাকে অগ্রগণ্য করতেছেন, সেইখানে আত্মাবাদি (পুরুষবাদি) পদ্ধতি বাদ দিলাম আপাতত।
a few seconds ago ·
Rezaur Rahman
@kulada Roy.... apni je abeg tarito ta promaner bhar tarique tuku er. tobe apni je CIA kinba Nimnno srenner Goinda bhibhager lok ta boja jai.
14 minutes ago · Report
Subrata Augustine Gomes
গালিব, দুর্দান্ত ব্যস্ততাহেতু লেখা আর মন্তব্য পড়বার সময় হচ্ছে না। পড়া হলে কিছু বলব হয়তো এ নিয়ে।
3 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
রেজাউর রহমান, আপনাকে ধন্যবাদ। আমারও সন্দেহ হয়,, আমি সিআইএ, মোশাদ, র,পাকিস্তানেরটা নাম কি যেন (সিআইএস)--লোক কিনা কে জানে। এটা একমাত্র ফরহাদ মজঞার সাহেব বলতে পারবেন। যেটা একমাত্র উনিই জানেন এইসব বিষয়-কেননা মতিউর রহমান নিজামী নামে একজন রাজনীতিক ওনার কাছ থিকা জেনে নিয়েই জনসভায় বা সংবাদপত্রে বলেন--কে সিআইএ/মোশাদ না রা বা এইআই...ধুর, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি--মনে থাকে না (গালিব বা টুকু, প্লিজ নামটা মনে করতে হেলপ করুন)। আচ্ছা, নিম্নশ্রেণীর গোয়েন্দা বিভাগ বলতে কোনটাকে বোঝায়? এটা কোন দেশের? তবে এটা ১০০% গ্যারান্টি যে আমি নিম্নশ্রেণীর লোক। এর প্রমাণ পাবেন, এই অধমের একটা আগাছাধর্মী গল্পগ্রন্থ এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হইছিল--সেখানে আমার সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উক্ত আছে যে, কুলদা রায় শুদ্রবংশজাত। গালিব বা টুকু বা অন্য কোনো সখাজন--আমি আমার প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা করছি।
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen--
এই নোটে সোহেল হাসান গালিবের সমস্ত কথাবার্তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ত্ব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যদি গালিবের কথায় আস্থা স্থাপন করি, তাহলে বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা যায় না, আর যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি তাহলে গালিবকে আমাদের পরিত্যাগ করতে হয়। গালিব তার আলোচনায় বহু প্রসঙ্গই এনেছেন যা বহু চর্চিত, প্রতিক্রিয়াশীল ও পরিত্যক্ত একটি বিশেষ চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ও প্রত্যয়গুলিকে আমরা যদি নিরীক্ষণ করি, তাহলে এর সত্যতা মিলবে। এক কিস্তিতে সব প্রসঙ্গের জবাব দেয়া যাবে না। অল্পে অল্পে দেব।
গালিব বলছেন: “সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা।”
এটা হচ্ছে সেকুলারিজমের চূড়ান্ত অপব্যাখা যা ঐ বিশেষ চিন্তাধারার ব্যক্তিবর্গরা সর্বদাই করে থাকেন। Secular state বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের অর্থ হচ্ছে -- রাষ্ট্র ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে তার নাগরিকের সঙ্গে সমান আচরণ করবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে সকলেই সমমর্যাদার অধিকারী। অর্থাৎ কেউ প্রথমশ্রেণী, বা কেউ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক নয়। প্রত্যেক ধর্মবিশ্বাসী নাগরিক তার ধর্ম পালনের সুযোগ পাবেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহংকারে কেউ সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের উপর আধিপত্য বিস্তার বা দাবী করবে না। রাষ্ট্র যেমন এখানে কারো ধর্মবিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করবে না, ধর্মে বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের অধিকারও সমানভাবে অক্ষুন্ন রাখবে। অর্থাৎ রাষ্ট্র নিজে ধর্ম দ্বারা কুক্ষিগত হয়ে তা নাগরিকের উপর চাপিয়ে দেয় না বা তার অপব্যবহার করাকে অনুমোদন করে না। এইভাবে রাষ্ট্র নিজের দেহ থেকে ধর্মকে বিযুক্ত করে ব্যক্তি মানুষের আচরণ ও বিশ্বাসের উপর ন্যস্ত করে অর্থাৎ রাষ্ট্র নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। কিসের সাপেক্ষে সেই নিরপেক্ষতা? ধর্মের সাপেক্ষে সেই নিরপেক্ষতা। কি নিরপেক্ষতা? ধর্মনিরপেক্ষতা। কেন ধর্মনিরপেক্ষতা? কারণ জন্মসূত্রে কেউ কোন ধর্মবিশ্বাসের অধিকারী বলে তিনি দায়ী অথবা উন নন। এটি সভ্যতার ফসল। এই পর্যায়ে আসতে মানুষকে বহু শতাব্দীর অন্ধকার পেরিয়ে আসতে হয়েছে। ... See More
আমি এখন কানাডায় আছি। এটি একটি সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্রে, চাকুরীর জন্য দরখাস্তে বা রাষ্ট্রীয় কোন কাজে বা নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয় না। সামাজিকভাবে কারো ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা অসৌজন্যমূলক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল এবং তা অসংস্কৃতির প্রকাশ বলে গন্য করা হয়। ব্যক্তি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অন্তরঙ্গতা গভীর না হলে কেউ কারো ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করে না। কিন্তু এদেশে বসবাসকারী প্রতিটি ধর্মের নাগরিকই ধর্মপালনের শান্তিপূর্ণ সুযোগ পান এবং রাষ্ট্র তার সুরক্ষা প্রদান করে। কানাডার মত বহু দেশ এরকম উদাহরণের তালিকায় আছে। আমরা যদি কোন রাষ্ট্রে নাগরিকের সমমর্যাদায় বিশ্বাস করি তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ধারণায় অনাস্থার কোন কারণ নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যদি ধর্মবিদ্বেষী হিসাবে আবির্ভূত না হয়, তাহলে কিভাবে তা বাংলাদেশে হবে? যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকই মুসলমান, সেখানে তা কিভাবে ইসলাম-বিদ্বেষী হবে ও মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা করবে? এবং সেটা করার তার দরকার কি? যারা তা বলে তারা যে ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যাখাই করে বিশেষ কোনো হীন স্বার্থে, তারা যে পাকিস্তানপন্থী ও তমুদ্দুনপন্থী বুদ্ধিজীবীদের অংশ একথা বুঝতে কি কারো অসুবিধা আছে?
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen
গালিব বলছেন: “বাঙালি জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের স্যাপারেশন চায়, খুব ভালো কথা। তা জাতীয়তাবোধের স্যাপারেশন মানবে কি? যে অর্থে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি সাম্প্রদায়িক ধারণা, সেই অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবাদও একটি সাম্প্রদায়িক চেতনা।”
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুই স্তম্ভ যা আকাশ থেকে পড়েনি। বাঙালি জাতি তার আত্মপ্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রয়োজনে দীর্ঘকালীন সংগ্রাম ও উপযোগিতার বোধ থেকেই এই উপলদ্ধি ও প্রত্যয়ে উপনীত হয়েছে এবং সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তস্নাত পথেই তাকে অর্জন করেছে। প্রেক্ষাপট সকলেরই জানা। দ্বিজাতিতত্ত্বকে কেন্দ্র করে যে পাকিস্তানের সৃষ্টি, সেখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারিত হয় না, কারণ এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। ফলে কার্যকারিতাও নেই। জাতীয়তা নির্ধারণের কয়েকটি প্রধান উপাদান — ভাষা ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভৌগলিক সীমানা এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য যা তার সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে সংহত হয়।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী যে প্রকৃতি ও জলবায়ুর সন্তান; যে ভাষায় তারা কথা বলে, গান করে, যে খাদ্যগ্রহণ ও পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে এবং যৌথ অবচেতনায় যে সমগ্রের স্মৃতি ধারণ করে তা হাজার মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তানের এক আদম সন্তান করে না। এই যে পার্থক্য – তা শুধুমাত্র ধর্ম বিশ্বাস দিয়ে ভরাট করা যায় না। তাই মুসলিম জাতীয়তাবাদের ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতে সময় লাগে না, যা যে-কোনো ধর্মকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রথমেই ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করে ও পরে অর্থনৈতিক শোষণের পথ বিস্তৃত করে পশ্চিমা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাঙালি মুসলমানের মনে এই উপলব্ধিই জাগিয়ে দেয় যে, তারা যেমন ধর্মে মুসলমান — জাতীয়তায় তারা বাঙালি। যেখানে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ (turning point) যাকে বদরুদ্দীন উমর বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বলে অভিহিত করেছেন। ধর্ম পরিবর্তন হলে যে সংস্কৃতির পরিবর্তন হয় না - এটা বায়ান্নোর শিক্ষা এবং এখান থেকেই তো এদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব যার পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে বাঙালি মুসলমান তার সমস্ত অতীত ও ভবিষ্যতের দিগন্ত মেলাতে পেরেছিল। এবং সেই শক্তি অর্জন করেছিল যা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অকুতোভয় যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে। ধর্ম পরিচয়ে কেউ আমরা মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ খ্রিস্টান কেউ বৌদ্ধ, কিন্তু জাতি হিসাবে বাঙালি যা আধুনিক রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ প্রত্যয়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিলে যায়। আর তাই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে এই দুই স্তম্ভ — ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ স্বাভাবিক নিয়মেই গৃহীত হয়। তাহলে বাঙালি ঐতিহাসিকভাবে তার আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অর্জনে যে দুটি প্রত্যয়কে ব্যবহার করল — তা স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে কিভাবে অপাংক্তেয় ও অকার্যকর হবে? একথা যারা বলে তারা যে বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, একথা নতুন করে বলার কি আছে?
এখন বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাপেক্ষে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতীয়তার সম্পর্ক কি হবে — তা নিয়ে পরের কিস্তিতে বলব।
2 minutes ago · Report
Sohel Hasan Galib
তুষারদা, বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এইসব ব্যাপার এখানে এনে আলোচনার পরিবেশকে ভয়াবহ করে তুলবেন না। সংবিধান তো অপরিবর্তনীয় কোনো বিষয় না, তাই না? অপিচ, আপনি কিন্তু বর্তমানে জারিকৃত সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান করতেছেন। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে আনা যায়। সম্ভবত আপনি দ্বৈত-নাগরিকও...ইত্যাদি ইত্যাদি।
দ্বিতীয় কথা, পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনে আনার মতো স্থূল তর্ক আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। আমরা কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ জোড়া দিতে চাইতেছি না। বা আপনারা ভারতের সঙ্গে জোড়া দিতে চাইতেছেন না। তর্ক করতে হইলে এই দুইটা ব্যাপার বাইরে রাখতে হবে।
বাই দি ওয়ে, আপনি তো কানাডায় থাকেন (নাগরিক কি?)। কানাডার জাতীয়তা সম্পর্কে বলেন। সেখানকার রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে বলেন। ত্রি-জাতিতত্ত্ব সম্পর্কেও একটু আভাস দেন।
এবং এও বলেন, ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ায় আপনি সমরূপতা আনতে স্বপ্নবিদ্ধ কি না।
আরো কন, সেকুলার চিন্তা বুর্জোয়া বিপ্লবের ফসল কি না। এখানে বাইবেল-বিজ্ঞানে দ্বন্দ্ব আছে কি না, চার্চে-রাজায় ঝগড়া আছে কি না।
এবং সেইরূপ ঘটনা বাংলাদেশে, কোরানে-বিজ্ঞানে ঘটছে কি না, মসজিদে-সংসদে ঘটছে কি না।
নইলে, সমরূপতা কেমনে আইবো দাদা?
44 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
এক. গালিব সাহেব আপনার একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। আপনার কাছ থেকে তার উত্তর পাইনি। উত্তরটা পেলে আলোচনায় অংশ নিতে সুবিধা হত। অথবা আপনি কি উত্তরটা দিতে চাচ্ছেন না? অথবা উত্তরটা আপনার জানা নেই?
আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি--আপনি বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটার একটা সরলার্থ বলুন। এই তিনটি বাক্য মিলে কি অর্থ দাঁড়ায়?
দুই. সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা কিভাবে পরিবেশকে ভয়াবহ হয়ে ওঠে--এই বাক্যটির অন্তর্গত মমর্টা কি? 'ভয়াবহ' শব্দটির অর্থ কি? এটা কি কোন ভীতকর শব্দ। অথবা হুমকিমুলক? অথবা শব্দটির মাঝে কোনো তরবারী লুকিয়ে আছে? সে তরবারীটির স্বরূপটি কি? যে প্রসঙ্গটি সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত করে অবতারণা করেছেন আপনি--সে প্রসঙ্গটি উল্লেখ করতে অসুবিধা কোথায়?
তিন. পাকিস্তান রাষ্টটি বাঙালি চেতনাকে ২৪ বছরে উপড়ে দিতে চেয়েছে। ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করে বাঙালিকে দেহ ও মনে শেষ করে দিতে চেয়েছে-- সেখানে নতুন করে সেই বাঙালি চেতনাকে যখন আপনি নাকজ করে দিয়েছেন আপনার নোটে, আপনি বলছেন--বলার চেষ্টা করেছেন-- এই বাঙালি চেতনাটি হিন্দু মনস্তত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়- সেটি প্যারানয়াকও বটে, এবং প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন, একাত্তরে নরহত্যার পেছনের কারণটি হল ইসলামের বিরুদ্ধে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্বের ষড়যন্ত্র, এই হিন্দু মনস্ত্বকে শুধু নয় নরজ্ঞানে তাকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া-- এবং বাংলাদেশের জন্মটা হল, সেই উন্মাদ হিন্দুদের একটি প্রকল্পর বাস্তবায়ন মাত্র--সুতরাং সেই হত্যাকাণ্ডটি জায়েজ। এবং বাংলাদেশের জন্মটি নাজায়েজ। সুতরাং আপনার সান্ধ্যবাক্য থেকে উপর্যুক্ত যে আপাত সরলার্থ বেরিয়ে এসেছে তা কি বর্বরোচিত-সভ্যতাতিরোহিত যা যা কোন ন্যায় ধর্মকে মানে না, আপনার এই ভাষ্যটি কি বর্বর পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসক শ্রেণীর ভাষা বা আদর্শ নয়? যদি তাই হয়, তাহলে পাকিস্তানকে প্রসঙ্গটি হিসাবে টেনে আনা যাবে না কেন? আলোচনার স্বার্থে পাকিস্তান কেন--পৃথিবীর যে কোন প্রসঙ্গই আনা যেতে পারে। আর আলোচনাটিকে আপনি যে সীমারেখায় চিহ্নিত করতে চাইছেন--এই আলোচনার পদ্ধতিটি কি? কোথায় পাওয়া গেছে এই বদ্ধমুখী আলোচনা পদ্ধতি?... See More
2 seconds ago ·
Kulada Roy
এক. গালিব সাহেব আপনার একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। আপনার কাছ থেকে তার উত্তর পাইনি। উত্তরটা পেলে আলোচনায় অংশ নিতে সুবিধা হত। অথবা আপনি কি উত্তরটা দিতে চাচ্ছেন না? অথবা উত্তরটা আপনার জানা নেই?
আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি--আপনি বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটার একটা সরলার্থ বলুন। এই তিনটি বাক্য মিলে কি অর্থ দাঁড়ায়?
দুই. সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা কিভাবে পরিবেশকে ভয়াবহ হয়ে ওঠে--এই বাক্যটির অন্তর্গত মমর্টা কি? 'ভয়াবহ' শব্দটির অর্থ কি? এটা কি কোন ভীতকর শব্দ। অথবা হুমকিমুলক? অথবা শব্দটির মাঝে কোনো তরবারী লুকিয়ে আছে? সে তরবারীটির স্বরূপটি কি? যে প্রসঙ্গটি সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত করে অবতারণা করেছেন আপনি--সে প্রসঙ্গটি উল্লেখ করতে অসুবিধা কোথায়?
তিন. পাকিস্তান রাষ্টটি বাঙালি চেতনাকে ২৪ বছরে উপড়ে দিতে চেয়েছে। ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করে বাঙালিকে দেহ ও মনে শেষ করে দিতে চেয়েছে-- সেখানে নতুন করে সেই বাঙালি চেতনাকে যখন আপনি নাকজ করে দিয়েছেন আপনার নোটে, আপনি বলছেন--বলার চেষ্টা করেছেন-- এই বাঙালি চেতনাটি হিন্দু মনস্তত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়- সেটি প্যারানয়াকও বটে, এবং প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন, একাত্তরে নরহত্যার পেছনের কারণটি হল ইসলামের বিরুদ্ধে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্বের ষড়যন্ত্র, এই হিন্দু মনস্ত্বকে শুধু নয় নরজ্ঞানে তাকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া-- এবং বাংলাদেশের জন্মটা হল, সেই উন্মাদ হিন্দুদের একটি প্রকল্পর বাস্তবায়ন মাত্র--সুতরাং সেই হত্যাকাণ্ডটি জায়েজ। এবং বাংলাদেশের জন্মটি নাজায়েজ। সুতরাং আপনার সান্ধ্যবাক্য থেকে উপর্যুক্ত যে আপাত সরলার্থ বেরিয়ে এসেছে তা কি বর্বরোচিত-সভ্যতাতিরোহিত যা যা কোন ন্যায় ধর্মকে মানে না, আপনার এই ভাষ্যটি কি বর্বর পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসক শ্রেণীর ভাষা বা আদর্শ নয়? যদি তাই হয়, তাহলে পাকিস্তানকে প্রসঙ্গটি হিসাবে টেনে আনা যাবে না কেন? আলোচনার স্বার্থে পাকিস্তান কেন--পৃথিবীর যে কোন প্রসঙ্গই আনা যেতে পারে। আর আলোচনাটিকে আপনি যে সীমারেখায় চিহ্নিত করতে চাইছেন--এই আলোচনার পদ্ধতিটি কি? কোথায় পাওয়া গেছে এই বদ্ধমুখী আলোচনা পদ্ধতি?... See More
46 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমেই কিন্তু পাকিস্তানপন্থী সামরিক শাসকরা সংবিধানকে পাল্টে দিয়েছিল এবং একের পর এক গণবিরোধী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানবতাবিরোধী সংশোধন করেছে। সংবিধান থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাকে জনগণের রায়ে নয়-- বন্দুকের খোঁচায় সরিয়ে দিয়েছে--এই নরপশুদের করা সংবিধানের বদলটিকে বাংলাদেশের জনগণ ম... See Moreেনে নেয় নি, নেয়নি বলেই তারা ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই সংবিধানেই ফিরে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালতও সেই ধর্মনিরপেক্ষতা-বাঙালি জাতীয়তাবাদকে মুছে দেওয়া পঞ্চম সংশোধনীকে বাতিল বলে রায় দিয়েছেন--এবং এই বাতিলকারী সামরিক শাসকের ক্ষমতাগ্রহণকেও অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন--রাষ্ট্র যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই ৭২এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে--তখন আপনি সেই শাসরিক শাসকের খোচায় বদলের যাওয়া সংবিধানের পক্ষে আশ্রয় নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনছেন একজন মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে এবং গভীর কুট কৌশলে এই সংবিধানের পরিবর্তনকে (পঞ্চম সংশোধনী থেকে পরবর্তী সংশোধনী) একটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে উল্লেখও করেছেন শুরুতে--সংবিধান প্রসঙ্গে আপনার এই দ্বৈত অবস্থান আপনার কোন সততা? এটা আপনার কোন রাজনীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ?
আপনি মাস কয়েক আগে বলেছিলেন, আপনি আওয়ামী সেক্যুলার রাজনীতির গভীরে অবস্থান করেন--এই কি সেই আওয়ামী রাজনীতির গভীর অবস্থান?
6 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
লক্ষ করুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলায় হয়েছে--
''আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া ২[ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;''
এই 'আমরা' কারা? এরা মুসলিম, হিন্দু? বৌদ্ধ? খ্রিস্টান?কোন নির্দিষ্ট ধর্ম? বর্ণ? শ্রেণী? শব্দটি 'আমরা'। এই আমরা হল-- মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্ম, বর্ন ও শ্রেণীর সবাই। সুতরাং এই 'আমরা' শব্দটির মধ্যেই কিন্তু সেক্যুলার এবং আবহমান বাঙালি চেতনার কথাই বলা হয়েছে। আর এই চেতনাকে আপনি বলছেন--ফেক বা ভূয়া!! কী বলছেন আপনি--বুঝতে পেরেছেন?
... See More
সেই 'ঐতিহাসিক যুদ্ধটা' কি ছিল? কাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল? সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলাফলে কি উদ্দেশ্যগুলি অর্জিত হয়েছিল? তুষার গায়েন সেই গভীর সত্য কথাটিই বলেছেন। একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ হল, সেই যুদ্ধে 'আমরা' অকুতোভয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ল এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করল--স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করল-- সেই পাকিস্তান প্রসঙ্গ এনে আলোচনাকে বললেন 'স্থুল'! এই 'স্থুল' শব্দটির আসল অর্থ কি? এটা তাহলে আপনাকর্তক কথিত ফেক? এটা কি সেই কৌশলটি, যা দিয়ে স্কুল পাঠ্য বই থেকে বিএনপি-জামাত আমলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্ব থেকে পাকবাহিনী, রাজাকার, আল বদর শব্দবন্ধ তুলে বলা লেখা হয়েছিল--হানাদার বাহিনী, হানাদার বাহিনীর সহযোগী?
2 seconds ago ·
Subrata Augustine Gomes
টুকু, আপনার শেষ মন্তব্যটার প্রতিবাদ করতেছি এইখানে।
8 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
koren, osubidha nai. kintu kon point thika?
8 hours ago · Report
Mukul Kobi Raj
Mukul Kobi Raj
সুব্রত'দা ভাষা নিয়ে কিছু বলুন দয়া করে। কিছু কিছু লোকের স্থুল ভাবাবেগ তাড়িত বটতলার বক্তৃতা পরিবেশটা বদলে দিল...
8 hours ago · Report
Papree Rahman
Papree Rahman
টূকু, তোমার শেষ লাইনটা আমাকে মর্মাহত করলো। এভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করা অনুচিত।
আমিও তোমার শেষ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালাম।
4 hours ago · Report
Tarique Tuku
কারো ভিতরে থাকা মৌলবাদরে (তা হিন্দু হোক আর মুসল্মানি হোক) সমালোচনা করন যদি ব্যক্তি আক্রমন হইয়া থাকে তা হইলে আপনি আরো বেশি কইরা ব্যথা পান, আমি এই কামনাই করি।এই ব্যথা দরকারি।
যে আবেগ দেখাইয়া এই নোটে সোহেল হাসান গালিব এবং আমারে রাজাকার বানানোর চেস্টা চলছে, তার প্রতিবাদ কেউ করেন নাই। আমরা বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদের সমালোচনা করছি বইলা আমাদের কে পাকিস্তানিগো দলে ফেলার চেস্টা হইসে। এগুলাকি ব্যক্তি আক্রমন না ?
3 hours ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
এখন আর দেরি নয়, ধর গো তোরা, হাতে হাতে ধর গো।
Kulada Roy
Kulada Roy
স্যরি টুকু। আপনার বয়স কম। আপনার ধৈর্যও কম। তবে আপনার উৎসাহ অনন্ত। এইখানে আপনাকে একটা সালাম জানাই। আপনি আমাকে, তুষারকে গালি দিয়েছেন--আমি বিস্মিত হই নি। এটা আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক।
গালিব যে নোটটি লিখেছেন, সেখানে তিনটি পার্ট। প্রথম পার্ট--আমাকে গালাগালি করা হয়েছে। এর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে--খোণ্দকার আশরাফ হোসেনকে।
দ্বিতীয় পার্টে-ভাষা সম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটি অতি উচ্চাঙ্গের আলাপ করেছেন ।
তৃতীয় পার্টে- তিনি বাঙালি জাতয়িতাবাদ, সেক্যুলারিজম নিয়ে একটি মৌলবাদি তত্ত্বের অনুলিপি হাজির করেছেন।
গালিবের এই নোটটির পুরোটাই রাজনীতিক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গালিব মৌলবাদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার নোটটি শুরু এবং শেষ করেছেন। এখানে মূল সুরটাই রাজনীতিক। আর এই গরল রাজনীতিপ্রসঙ্গে একাত্তর/ পাকিস্তান/ পচাত্তর ছাড়া কি করা সম্ভব? গালিব তার আলোচনায় রাজনীতির বাইরে--একাত্তর/ পাকিস্তান/ পচাত্তর-এর বাইরে কিছু বলেছেন? প্রমাণ করেন যে তিনি রাজনীতির নিয়ে কোনো কথা বলেন নি, টুকু? একাত্তর শব্দটি গালিবই এনেছেন তার নোটে।... See More
আর আমি যে হিন্দু মৌলবাদি--এবং বাঙালি মুসলমানকে কোপাইতে চাই--আপনার এই অভিযোগটাকেও প্রমাণ করেন। আমি তো বারবার গালিবকে, আপনাদেরকে, সবাইকে সেই লাইনগুলিকে তুলে আপনাদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা দেননি। দিতে চাননি। ওটা পরিস্কার করে ব্যাখা করলেই বোঝা যেত কে সাম্প্রদায়িক।
আমি ভাষা নিয়ে অতীতে কথা বলেছি। এখানেও বলব। সে প্রস্তুতি আছে। এই নোটটি পড়ে আমার মনে হয়েছে ভাষা প্রসঙ্গের আগে রাজনৈতিক প্রসঙ্গটি ফয়সালা হোক। তারপর ভাষা প্রসঙ্গটি আলাপ করা যাবে। কারণ গালিবের উত্থাপিত ভাষা প্রসঙ্গটি প্রবলভাবে রাজনৈতিক। আলোচনা তো এভাবে করা যায়-- নয় কি?
গালিব আমাকে প্যারানয়েক-হিন্দুমনস্তত্তের লোক বলে ঘোষণা করেছেন--টুকু তার হয়ে আরও পরিস্কারভাবে বলেছেন, আমার মধ্যে হিন্দু মৌলবাদ বাস করে এবং তা দিয়ে বাঙালি মুসলমানকে কোপাইতে চাই। ধন্যবাদ টুকু--আপনার এই এক রৈখিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।
আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। তাকে মৌলবাদ হিসাবে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে।
ধরা যাক গালিব কথিত ইনশাল্লাহ শব্দটি--১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলেছিলেন--সেই ভাষণটি শেষ করেছিলেন--এদশকে মুক্ত করে ছাড়ব 'ইনশাল্লাহ' বলে। এই ইনশাল্লাহ শব্দটি কি কোন অমুসলিমকে ক্ষুদ্ধ করেছিল? কোন হিন্দু ভয় পেয়ে ইয়া নফসি ইয়া নফসি বলেছিল? দেখান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ইনশাল্লাহ শব্দটির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অমোঘ শক্তিশালি স্পিরিটটাই প্রকাশিত হয়েছে। ওটা ছিল অনিবার্য-শাশ্বত--সুন্দর। বাংলাদেশে স্নান নয়--গোসল শব্দটিও বেশি ব্যবহৃত। এর মধ্যে সমস্যা কোথায়? বাংলাদেশের কোন হিন্দু বা অমুসলিম ইসলাম থেকে আগত এই আরবী শব্দসম্ভারকে বাংলা ভাষার শব্দ ভাণ্ডার থেকে তুলে দেওয়ার আওয়াজ তুলেছে?
2 hours ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
আঠারো শতকে লেখা দলিল-দস্তাবেজ এবং চিঠিপত্রে যে-বাংলা গদ্যের নমুণা দেখা যায়, তাতে কবিতার মতোই আরবি-ফারসি শব্দ খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি ১৭৭০ -এর দশকে সিবরাম পণ্ডিতের লেখা চিঠি দেখুন--
''এখানকার সমাচার জবাব লিখিয়া ডাকমারফত পাঠাইয়াছি তাহার জবাব কিছু লিখেন নাই বুঝী পত্র পৌউছে না আমি এখানে পউছিয়া শ্রীযুত গুপ্তজীর দুই কন্যার ষুভবিবাহ ঁইচ্চায় ষুন্দরমত হইয়াছে...আশীবার গৌন কি তাগাদী বেওরা লিখিবেন মহাশএর হকিকত সমস্ত শ্রযুত মহারাজা বাহাদুর সাহেবকে নিবেদন করিলাম''
আরেকটি চিঠি দেখুন--
...শ্রীশ্রীরাম গরীব নেওাজ শেলামত আমার জমিদারি পরগনে কাকজোন তাহার দুই গ্রাম দরিয়াশীকিশতি হইয়াছে সেই দুই গ্রাম পয়শতী হইয়াছে চাকলে একবরপুরের শ্রী হরেকৃষ্ণ চৌধুরী আজরায়...... See More
সে সময়কালে সমাজ যেরূপ ছিল, ভাষা যেরূপ প্রচলিত ছিল, সে রূপ ভাষাই এসেছে লেখালেখিতে। সিবরাম পণ্ডিত হিন্দু হয়েও আরবী-ফারসি শব্দ ব্যবহার করছেন নির্দ্বিধায়? সমস্যা কোথায়?
এবার দেখুন মীর মশাররফ হোসেন কুষ্টিয়ায় জন্মেছিলেন। চাকরী করেছেন গালিবের টাঙ্গাইলে। তার বিষাদসিন্ধু দেখুন--
...যুদ্ধের রীতিনীতির প্রতি কাহারও লক্ষ্য নাই। কেবল মার মার শব্দ। অস্ত্রের ঝনঝনা ও মুহুর্তে মুহূর্তে 'আল্লাহ' রবে চতুর্দিক কাঁপাইয়া তুলিতেছে।... (মহরম পর্ব, একাদশ পর্ব)।
আবার দেখুন--
'দয়াময় ভগবান! তোমার কৌশল-প্রবাহ কখন কোন পথে কতবারে ছুটিতেছে, কৃপাবারি কখন কাহার কাহার প্রতি কত প্রকারে কত আকারে যে ঝরিতেছে তাহা নির্নয় করিবার সাধ্য জগতে কাহারও নাই।... (এজিদ-বধ পর্ব/ তৃতীয় প্রবাহ)।
মীর মশাররফ হোসেন কত অবলীলায় আল্লাহ ও ভগবান শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে। এই গ্রন্থটি বাংলায় আদৃত ও ঘরে ঘরে বহুল পঠিত একটি। কেউ কি আপত্তি করেছেন এই শব্দদ্বয়ের ব্যবহারে? কেউ কি বলেছেন--মীর হিন্দু না মুসলিমশব্দ ব্যবহার করছেন?
কমল কুমার মজুমদার অন্তজর্লী যাত্রা উপন্যাসে'র শুরুর আগে বলেছেন--
'এই গ্রন্থের ভাব বিগ্রহ রামকৃষ্ণের, তাহার কাব্য বিগৃহ রামপ্রসাদের। রাম প্রসাদ আমাদের শুদ্ধ মন আনিয়া দেন।। মা আমারে দয়া করে শিশুর মত করে রেখো।। অথবা যে দেশে রজনী নেই মা।। অথবা কেলে সর্বনাশী আমায় সন্নাসী করেছে।।--এ সকল কাব্যে তিনি ব্যক্ত।
জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বর দর্শন।
এই উক্তির মধ্যে যাহার কণ্ঠস্বর ধ্বনিত, যাহার স্মরণ মননে নব্য-বাঙলা সৃষ্ট; যিনি মানুষকে, প্রাকৃতজনকে, আপনার জাগ্রত অবস্থার খানিক অভয় দিয়া বলিয়াছিলেন-'মানুষ কি কম গা!'
এখানে কমল কুমার তার ব্যক্তি ঈশ্বরের কথা বলছেন। তার ঈশ্বর এখানে রাজনৈতিক ঈশ্বর নয়। তিনি তার ঈশ্বরকে নিয়ে কোথাও হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের দাবী বা রূপরেখার প্রণয়নও করছেন না। তিনি তার ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাসকে উপন্যাসের বাইরে বলছেন তার সেই স্বরচিত ফরাসী ভাষা স্টাইলের মধ্যে দিয়ে। এবং এই 'ঈশ্বর' বলার মধ্যে দিয়ে তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার দাবীও তোলেন নি। বা কোনো হানাদার বাহিনীকে এ ব্যাপারে সমহযোগিতাও করেন নি। তিনি প্রাকৃতজনের ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে এনে তুলেছেন, 'মানুষ কি কম গা' বলে। এইখানেই তিনি আধুনিক। আর ফররুখ আহমদ তার সমগ্র সাহিত্য কর্মের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানী দ্বিজাতিতত্ত্বেই আস্থা রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতিকে সমর্থন দিয়েছেন, তাকে বাস্তবায়নে ভাষা সংস্কারে ব্রতী হয়েছেন রবীন্দ্রবিরোধীতায় জান কোরবান করেছেন এবং যারা বাঙালিদেরকে হত্যা করতে বর্বরভাবে নেমেছে সেই পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগীই থেকেছেন। এক্ষত্রে তিনি কি করে আধুনিক হন?
about a minute ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
সুতরাং একজন কমল কুমার ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েও যখন তার এই ব্যক্তি বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেতে চান নি--তার মত করে একটি শব্দকে বেছে নিয়েছেন তার বক্তব্য প্রকাশে সেটি অন্যায় নয়--যেমন মীর মশাররফ হোসেন ঈশ্বর শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে? এখানে কমল কুমার বা মীল সাহেব কেউই অনাধুনিক নন। তারা দুজনেই প্রবলভাবে তাদের ভাবনাকে প্রকাশ করেছেন ভাষার সৌকর্য বিধানে নির্বিচারে শব্দ ব্যবহার করে। খরার সময় কোন হিন্দু আল্লা ম্যাঘ দে পানি দেরে তুই আল্লা--বলতে দ্বিধা করেছে বা আপত্তি করেছে? আল মাহমুদের সোনালী কাবিন পড়ে অযু নষ্ট হওয়ার কথা কোন হিন্দু বা খ্রীস্টান বা বৌদ্ধ করেন নি। আদরের সঙ্গেই সোনালী কাবিনকে গ্রহণ করেছে ব্যক্তি আল মাহমুদ জামাতী হলেও। কারণ মানূষ আগে মানুষ, তারপর অন্য কিছু। মানুষ সমগ্রেরই অংশ। সেকারণে মানুষ সামাজিক--সুসভ্য।
দেখুন অর্ন্তজলী যাত্রা উপন্যাসের শুরুটা--
''আলো ক্রমে আসিতেছে। এ নভোমণ্ডল মুক্তাফলের ছায়াবৎ হিম নীলাভ। আর অল্পকাল গত হইলে রক্তিমতা প্রভাব বিস্তার করিবে, পুনর্ব্বার আমরা, প্রাকৃতজনেরা, পুষ্পের উষ্ণতা চিহ্নিত হইব। আলো ক্রমে আসিতেছে।''
টুকু, 'আলো ক্রমে আসিতেছে।' বাক্যটি চিনিতে পারিতেছেন? মনে করুন। ... See More
a few seconds ago ·
Tarique Tuku
কুলদা, আপনার বলা আপাতত শেষ হইলে আমারে জানাইয়েন, আমি তখন আসব।
Kulada Roy
দয়াময় তৌফিক দিলে এই নোটে উত্থাপিত প্রতিটি বিষয় নিয়েই কথা বলা যাবে। সুতরাং নো প্রবলেম। যে কোন সময় আপনার কথা শুরু করতে পারেন। এই নোটের ইতি হলে কে কতটা গালি দিয়েছেন--তার একটি পরিসংখ্যান দেওয়ার কোসেস করার খায়েস রাখি। ধন্যবাদ।
9 hours ago ·
Mou Modhubontee
Mou Modhubontee
গালিব হাসান কে টেগ করার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু এই সব আলোচনা অংশ নিতে সত্যি অস্বস্তি লাগে কারন এত আক্রমণ করে একজন আরেকজন কে কেউ বুঝে করে কেউ না বুঝে ।কেউ কেউ বিষয় বস্তুর ধারই ধারে না ।বাংলা সাহিত্যে কি এত রকম গালাগালি শিখায় নাকি ? যে যে যেমন পারে লিখে যায়। আলোচনা মানে কি আবেগ তাড়িত হয়ে রাস্তার ধারে গর্তে গাড়ি ফেলে দেয়া নাকি ? আশা করি সবাই সুচিন্তিতভাবে আলোচনা করবে ।তা হলে পড়াও হলো, শিখাও হলো আগামীর জন্য তৈরী ও করা গেল নতুন মঞ্চ শুভ কামনা
5 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
সোহেল হাসান গালিবের এই নোটে আমি প্রসঙ্গ বহির্ভূত একটি কথাও বলিনি। আমি বলেছি, এই নোটে অনেক প্রসঙ্গ এসেছে যার জবাব আমি এক এক করে দেব। আমাকে তো কোথাও থেকে শুরু করতে হবে। সেক্যুলারিজম ও বাঙালী জাতীয়তাবাদের কথা তিনিই উল্লেখ করেছেন; প্রমান করার চেষ্টা করেছেন তা বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির এলাকায় উত্থাপিত বহু প্রশ্নের ব্যাখা ও মীমাংসা করতে অক্ষম এবং চূড়ান্ত বিচ... See Moreারে অসার ও বর্জনীয়। আমি তার পাল্টা জবাব দিয়েছি এবং যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য খণ্ডন করেছি। সেক্যুলারিজম ও সেক্যুলার স্টেট-এর অর্থ কি এবং কেন তা চরিত্রগতভাবে ধর্মবিদ্বেষী নয় এবং সে কারনেই তা ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারে না, তার ব্যাখা করেছি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারনা কেন অভ্রান্ত, কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার উদ্ভব ও কেন তা বাংলাদেশের জনগনের জন্য কার্যকর সে কথা বলেছি। এই ব্যাখার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে যার উল্লেখ গালিবই তার নোটে প্রথম করেছেন। আমার এইসব ব্যাখার জবাব না দিয়ে যারা আমাকে মুক্তিযুদ্ধের আরেক দোকানী অথবা বটতলার বক্তৃতা বলে গালাগালি করছেন, তা কি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক? যাহোক, আমার চেষ্টা আমি করব। বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাপেক্ষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমীকরণ কি হবে তা নিয়ে যে আলোচনা মূলতবী রেখেছিলাম, এবার সে বিষয়ে বলব।
4 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
বাংলাদেশের জনগন তার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ, তখন এ প্রশ্ন আসে নি যে, বাঙালি জাতিসত্তার নবজাগরণে ও তার আকাক্ষিত প্রতিষ্ঠার সাপেক্ষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমীকরণ কি হবে। স্থান-কাল-পাত্রের বাস্তবতায় তখন সেটা প্রাসঙ্গিক ছিল না। কারন দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চালিকাশক্তি হিসেবে বাঙা... See Moreলি জাতীয়তাবাদ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছে যা ধর্ম-বর্ণ ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ছিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। যে ভাষা ও জাতীয়তাবোধের উপর দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে তা অন্তর্ভূক্ত হবে, এতো অস্বাভাবিক নয়। দেশ স্বাধীন হবার পর যখন বাইরের শত্রু অন্তর্হিত, তখন ঘরের ভিতর সবাই তার প্রাপ্য বুঝে নিতে চাইবে এটাও স্বাভাবিক। সেই প্রাপ্য কি সে নির্ধারিত হবে, প্রশ্নটা সেখানে। নির্ধারিত হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে জাতীয়তাবোধ, ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে তাকে বাধাগ্রস্ত না করে, স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে দেয়ার মধ্য দিয়ে। পরস্পরকে উচ্চ বলিয়া ব্যবহার করার প্রাচীন উপমহাদেশীয় রীতি মান্য করে। অথাৎ বাঙালি জাতীয়তাবাদ যদি উদার ও সহিষ্ণুতার পথে বিকশিত হবার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিকাশকেও স্বীকৃতি দেয়, তাহলেই সমস্যা মিটে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে যুগলবন্দী, আর ধর্মনিরপেক্ষতার অন্তর্নিহিত প্রানশক্তিই হলো কারো ধর্ম ও সাংস্কৃতিকবোধে হস্তক্ষেপ না করা, ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিকাশের পথ সেখানে উন্মুক্ত থাকে। এ জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্র থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ‘স্যাপারেশন’ প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তো আর বিকশিত হতে দেয়া হয় নি, তাকে তো ৭৫-র পর গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দাঁড় করিয়ে যারা বলতে চান যে, এর ভিতরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জাতীয়তাবোধকেও অঙ্গীভূত করে নেয়ার সুযোগ আছে, তাদের উদ্দেশে বলতে হয় যে, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের জনগনের মানসগঠন ও উপলব্ধিতে ‘নেশন’ ও ‘স্টেট’-এর ধারণা ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ‘নেশন’ ও ‘স্টেট’-এর ধারণা থেকে পৃথক। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথসহ অনেক মনীষীর বহু লেখাজোখা রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বা মুসলিম জাতীয়তাবাদের পক্ষে যারা বলেন, তারাই যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নিপীড়নে ও তাদের বিকশিত হবার পথে বড় বাধা, তা গত ৪০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালেই টের পাওয়া যায়।
4 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
চূড়ান্ত বিচারে ধর্ম, জাতীয়তা, দেশ এ সবই বিশেষ কালখণ্ডের জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার দ্বারা সীমাবদ্ধ। মানুষের শেষ পর্যন্ত একটাই ধর্ম – তার নাম মানবধর্ম, একটাই জাতি - তার নাম মানবজাতি, একটাই দেশ - তার নাম পৃথিবী। শোনা যায়, মানবজাতি প্রচলিত ভাষাসমূহের পাশাপাশি একটি এককভাষা বা মহাভাষা (Super language) নির্মানের দিকেও অগ্রসরমান। কিন্তু এসব কিছুই তো অর্জন করার ব্যাপার এবং বহুকাল ধরে সাধনার ব্যাপার। আমরা এখন কথা বলছি বিশেষ স্থান-কাল-পাত্রের একটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে এবং এখন যা শ্রেয়তর তার পক্ষেই আমাদের অবস্থান।
4 hours ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
শয়তান যেমন ক্রুশচিহ্নকে ভয় পায়, কিছু মানুষ একাত্তর শব্দটিকেও তেমনি। '১৯৭১' দিয়েই exorcise করতে হবে তাদের। দোকান্দারি হক, আর বাজনদারি, বাজাব অই একটি শব্দই, নানা ছন্দে,নানা গ্রামে। তোমারি নাম বলব, আমি বলব নানা ছলে।
about an hour ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
আলোচনা এখন স্পষ্টতই দ্বিমুখী হয়ে যাচ্ছে। বা বলা যায়, আলোচনাকে দুই ধারায় ফেলে দেয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেনÑতা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবি... See Moreরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যভাবে অংশ গ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল?
কুলদা রায় ও তুষার গায়েন ধর্মনিরপেতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই মানব মুক্তির গ্র“হণযোগ্য পথ মনে করছেন। তুষার গায়েন তো ধমনিরপেতা আর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে একরতি সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলছেন, ুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি নাকি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। আসলে এখানেই প্রাবল্যবাদ চরমভাবে কাজ করে, এধরনের উদাসীনতা থেকেই শেখ মুজিব পাহাড়িদের বাঙালি হয়ে যেতে উপদেশ দিয়েছিলেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মনিরপেতার বিষয়টি এক আনাও সাপোর্ট করি না। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মই প্রাবল্যবাদী, এরা অন্য ধর্মকে বিতাড়িত করেই নিজের জায়গাটি করে নেয়। ধর্মের ইতিহাস তা-ই। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাবল্যবাদী ধর্ম হচ্ছে ইসল্মা। আমি এ ব্যাপারে রবিঠাকুরের সাথে একমত যে এরা অন্য মতকে নিশ্চেষ্ট করে এগিয়ে যায়। আর সনাতন হিন্দু ধর্ম তো পৃথিবীতে আর কোনো ধর্মের অস্তিত্বই মেনে নেয় না। ধর্ম কখনও একা থাকে না, নড়াচড়া করে, জায়গা বাড়ায়। ইসলাম কি বলে যে ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার? প্রত্যের ধর্মেরই রাজকীয় রূপ আছে।
তবে হ্যা, ধর্মনিরপেতার উপর ভিত্তি করে যদি ধর্মীয় উদাসীনতাকে এস্টাব্লিস্ট করা যায়, বিজ্ঞানকে যথাযথভাবে চর্চা করা হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে সমাজপ্রগতির কিছু কাজ হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস কি বলে? বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে এলাকাভিত্তিতে সবার ধর্ম-মতের গুরুত্বের কথা বললেও কার্যত তা মুসলিম জাতীয়তাবাদকেই প্রমোট করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদে কি ধর্মকে কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? স্বাধীনতার পরপরই ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ধর্মপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক ধর্মচর্চা কি কম হয়েছে? তা বন্ধ করার কোনো কার্যক্রম কি তখনন আমরা দেখেছি? বরং মুসলিম রাষ্টসমূহের সাথে মাখামাখি শুরু হয়ে গিয়েছিল, শেখ মুজিবের জীবদ্দশাতেই ভুট্টো বাংলাদেশে এল। তাজউদ্দিন আহমদকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হল। এইভাবে আর দুই-চার চললে তুষার গায়েনের সাধের বাঙালি জাতীয়তাবাদের হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জন্ম নিত। আসলে ভোটের রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে এধরনের খেলাধুলা চলতেই থাকবে।
about an hour ago · Report
Majul Hassan
আদর্শ ও মতবাদ দুটোকেই আমি সন্দেহ করি।
because... See More, কোনো আদর্শ বা মতবাদের প্রাথমিক কাজ হলো একটি হেজিমনি তৈরী করা অথবা কোনো গুরুতর মতলবকে পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু মতলব একটা থাকে আর মতলববাজের হাজার পথ, শয়তানের কোটি কোটি হাতের মতো, সেহেতু তা একসময় অবলাবস্থা বা গিরিঙ্গি তৈরী করে। জর্জওরয়েলের এনিমেল ফার্ম-এর শুয়ররা যেমন একসময় কেবল শুয়র হয়ে ওঠে, তেমনি মতলববাজের ছানাপুনারা একসময় কেবল কেবল ধান্দাবাজ হয়া পড়ে। বাঙালী বা বাংলাদেশী নয়, জাতীয়তাবাদ বিষয়টাই আজ ভেক। তেমনি বৈশ্বিকতাবাদও এক ধরণের কর্পরেট-নীল নকশার ক্রীড়নক। বিষয়টি হলো ফাঁদ এড়িয়ে এড়িয়ে চলা। সুন্দরী যুবতীটিকে চান্স পেলেই অনেক্ই যেমন বেশ্যা বানাতে চান, তেমনি মেধাবীরা চূড়ান্ত স্বৈরচারী হতে এগিয়ে যায়, যেতে পারে। ফরে কোনো কিছুকেই এবসলুট ধরাই বোকামি, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে তাতে।
কোনো কিছুর মধ্যে কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়াটাই এক ধরণের মৌলবাদীতা। এইটা ধর্মেল আফিমের মতোই বিপদজনক ও বুদ্ধিবিনাসী।
5 hours ago · Report
Nuruzzaman Manik
Nuruzzaman Manik
Majul Hassan কোনো কিছুর মধ্যে কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়াটাই এক ধরণের মৌলবাদীতা। এইটা ধর্মেল আফিমের মতোই বিপদজনক ও বুদ্ধিবিনাসী।
I like it.
5 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব
চার নম্বর পয়েন্টটার কথাই আগে বলি, দুই ধাপে উত্তর দিতে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে গেল সে কপিপেস্টের অগোচরে !
২. কেন বাঙালি বনাম বিহারী বলাটা শুদ্ধতর হবে? এমন হবার সম্ভাবনাটা কিন্তু খুব বেশি, বাঙালির প্রতিপক্ষ ফুটবল দল নিজেদেরকে বাঙালি বা বিহারী কোনটাই না বলে স্রেফ মুসলমান পরিচয়টাতেই সবচে’ স্বাচ্ছন্দ্য পেত! গফুর চাষা নিয়ে আমার কোন উচ্ছ্বাস নাই, আমি খালি বলেছি গফুরের উপস্থাপনের মাঝেই চিরায়ত নিন্মবর্গের বাঙালি মুসলমান চাষার চিত্র আছে, শরৎ হতেই পারে কেবল হিন্দুর হাতে গো হত্যার পাপ এড়ানোর জন্যই তাকে খুঁজে বের করলেন মহেশ গল্পটার জন্য। কিন্তু বাঙালি মুসলমানের অস্তিত্ব নিয়া তার সংশয় ছিল না, কিছুটা বরং ছিল এই বাঙালি মুসলমানের প্রতি কিছুটা সাম্প্রদায়িক মনোভাব। ফলে এইটাও “বাঙালি বনাম মুসলমানের ফুটবল” বিষয়ক বাক্যটার আপাত অর্থের বিপক্ষেই দাঁড়ায়। ... See More
৩. বহুকাল আগের যে সচেতনতার কথা আপনি তুললেন, সেইটা তো ইংরেজপূর্ব আমলের কাহিনী। সেই সচেতনতারা ধারায় একটা বড় ছেদই তো আনল কোম্পানির শাসন। নতুন এমন এক মধ্যবিত্ত তৈরি হল, যার সামনে শাসক তৃতীয় পক্ষ এবং বিদেশী। তারই কা্ছে এইবার অনুযোগ, আব্দার আর প্রতিপক্ষের নামে নালিশ। প্রেক্ষাপটের এই বদলের চিত্র হিসাবেই আমি ক্রমপরিচয়ের কথা তুলেছি। বঙ্কিমে যেমন এইটা একটা রাজনৈতিক উগ্রতা হিসাবে এসেছে, ক্রমশ কমে কমে তা কংগ্রেসে একটা সমঝোতায়ও এসেছিল। ব্যতিক্রম উভয় তরফেই ছিল, আপনার ভাষায় শুরুর ‘আধা সাম্প্রদায়িক’ রবীন্দ্রনাথকে কিন্তু শেষভাগে মো্টেই একই ভূমিকায় দেখিনা। আর মীর থেকে জসিমের কথা তুললেন, সিরাজী থেকে আবুল মনসুর কে গেলেন ভুলে!! আর বঙ্কিম থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত যে কালরেখা আপনি টানলেন, তাতে কিন্তু এই ক্রম পরিচয়, ক্রম পরস্পরের সামর্থের উপলদ্ধি, শত্রুতা আর মিত্রতা যাই হোক উপেক্ষা যে একেবারে করা যাবে না, তার বোধেরই তো পরিচয় পাওয়া যায়।
এইটার একটা চমৎকার উদাহরণ পাইছিলাম মাওলানা ওবায়দুল্লা সিন্ধীর আত্মজীবনীতে। উনি একজন কনভার্টেড মুসলিম, শিখ পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন মুসলমান হয়ে। দেওবন্দ আন্দোলনের গোড়ার দিকের লোক। তার নিজের বয়ানে দেওবন্দের, এবং ওনার নিজেরও গোড়া মৌলবাদী থেকে অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদী হবার বয়ানটা খুব অদ্ভুদ, আর এইটাই ভারতে ব্রিটিশবিরোধী লড়ায়ইয়ে অসাম্প্রদায়িক ধারার বিকাশের ইতিহাস।
4 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
৫. ফরহাদ মজহারের বিষয়ে কেবল এইটুকুই বলা যায়, উনি প্রায়শই প্রেক্ষিত রক্ষা না করে কথা বলেন। এই উদাহরণটাতেই যেমন উনি উমরকেই আধলা উদ্ধৃত করেছেন, সামান্য একটু টুইস্ট করে! উমর ঘরেফেরার কথা বলতে জনগণের ইসলাম ত্যাগ করার কথা কিন্তু কখনোই বলেন নাই। এইটা মজহারের আরোপ, এবং বলা উচিত সুবিধাবাদী একটা আরোপ। এই মজহারেরই বাঙালি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের পক্ষে অবস্থান পাওয়া যাবে পাহাড়ি শান্তিচুক্তি নিয়া ওনার এমনকি আওয়ামী লীগেরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রে। আর ওনার উদাহরণহীন আলোচনা (যাতে প্রায়শই প্রতিপক্ষের ওপর কাল্পনিক অভিযোগ চাপানো হয়) এর একটা দারুণ দৃষ্টান্ত হলো ওনার মোকাবেলা নামক গ্রন্থটি। দেখবেন, এই বিশাল বইটিতে বাংলাদেশে ধর্মের মোকাবেলা প্রশ্নটি আলোচনা করতে যেয়ে উনি বাস্তব রাজনীতি আর সাহিত্য থেকে প্রায় কোনই উদাহরণ টানেননি।
স্বদেশ প্রতাবতর্ন বলতে উমর যা বুঝিয়েছেন, তা সংক্ষেপে আগের কমেন্টে বলেছি। সেটা দেখা যাচ্ছে না বলে আবার বলার চেষ্টা করা যেতে পারে, পাকিস্তান রাষ্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের ভাবমানসের একটা বড় অংশকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল তাদের পরিচয়ের সঙ্কট। সেই বৃটিশ আমলে রিজলির বাঙালি মুসলমানের নিন্মকূলে উদ্ভবের কাহিনীর বিরাধিতা করতে যেয়ে খন্দকার ফজলে রাব্বি যেমন প্রমাণ করেন, তারা উচ্চকূলোদ্ভব, আমাদের আধুনিক মোহর আলী পর্যন্ত সেই কাহিনীই গান। বিষয় কিন্তু শুধু উৎপত্তি না, কিসে জাতির মঙ্গল, কি করিতে হইবে, এই প্রশ্নেও মনোজগতটা স্বভূমিতে কেন্দ্রীভূত না থেকে ধর্মাশ্রয়ী ছিল, বলা উচিত কাল্পনিক জাতির আশ্রয় দ্বারস্থ অন্তত হয়েছিল। এর মাঝে কোন ঐতিহাসিক ভুল নাই, বরং উমর দেখান (দেখান কিনা জানি না, ওনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়!) এইটা একটা ঐতিহাসিক পরিভ্রমন। পাকিস্তানের দাগা খাওয়ার পর এই প্রথম বাঙালি এলিট আর বাঙালি চাষার স্বার্থের সম্পর্ক তৈরি হলো, এই প্রথম মধ্যবিত্তের মনোযোগ সর্বাংশে কেন্দ্রীভূত হলো স্বদেশে। এই অর্থে উমর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বলেছেন।
৬. ৬ এর জন্য বসে থাকলাম।... See More
৭. বাপরে! পুরা একশ বছর!! আমার কিন্তু মনে হয় ইতিহাসে আগুপিছু নাই। নবাবী আমল গেছে, তার ভাষা ব্যবহারের জেরে কিছুকাল টিকে গেছে। এসেছে যারা, তারা নতুন ভাষার প্রয়োগে মৌলবাদী হবেই। কিন্তু সমাজের বাস্তব চাপেই নির্ধারিত হয়েছে আদতে ভাষার কাঠামোটা কি দাঁড়াবে। রাইসুর একটা লেখার জবাবে সুব্রত অগাস্টিন এই নিয়ে একটা কমেন্ট আধো আধো করেই থেমে গিয়েছিলেন, উনি বিস্তারিত বলবেন আশায় বসে ছিলাম। আমাদের কপাল মন্দ।
লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা আসলে কিছুটা মস্করা করেই বলা, অনেকগুলা ভাষার লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা যেমন একটা দাঁড়ায়, অনেকগুলা ডায়লেক্টে তা হৈলে দোষ কী? কিছু না?! আপনি বুঝেছেন, ওই ভরসাতেই আমিও বলেছিলাম।
4 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
খোন্দকার আশরাফ,
আপনার বাজনের ঘন্টির শব্দ তো টুকুর মেয়ের বিয়ের বাদ্যর মতোই শোনাচ্ছে।
কার মুক্তিযুদ্ধ, কে মাফ পাইল, কে মাফ করল, সব হিসাবে রেখে ঘন্টি বাজাবেন। ... See More
2 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, দুঃখিত একটু দেরি হয়ে গেল। খুব ব্যস্ত ছিলাম।
আপনি লিখেছেনঃ
"আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। "... See More
যদি মনে মনে তাই বিশ্বাস করে থাকেন আপনি কুলদা, তাহলে এইতো কিছুদিন আগে গালিবের ব্যবহৃত 'হৃদয়-কাবা' শব্দটিকে কোন যুক্তিতে মৌলবাদি আখ্যা দিয়েছিলেন? কোন যুক্তিতে তাহলে রাইসু বা অন্যান্যদের ভাষা নিয়ে আপ্ননাদের আপত্তি? আপনি লিখেছেন 'গালিবের উত্থাপিত ভাষা প্রসঙ্গটি প্রবলভাবে রাজনৈতিক।'-- ভাষার মধ্যে তো অবশ্যই রাজনিতি থাকবে কুলদা। আপনি যে ভাষা ব্যবহার করেন তা কি রাজনিতির বাইরে? বা ভাষা নিয়ে আপনার মত?
তো ভাষা বিষয়ে যে কোনকিছুই 'প্রবলভাবে রাজনৈতিক'। আমার মনে হয় আপনার আপত্তিটা এখানে নয়। আপনার আপত্তি, সেটি আপনার পছন্দ হল কিনা।
আর পছন্দ হয়নি বলেই আপনার মন্তব্যঃ ' শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গালিব মৌলবাদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার নোটটি শুরু এবং শেষ করেছেন। '
অথচ আপনি একটি উদাহরনও দিলেন না গালিবের এই মতামত কীভাবে মৌলবাদি।
' তিনি বাঙালি জাতয়িতাবাদ, সেক্যুলারিজম নিয়ে একটি মৌলবাদি তত্ত্বের অনুলিপি হাজির করেছেন। ' -- বিপক্ষ-র সমস্যা আলচনা না করে আপনি এইভাবেই তার গায়ে 'মৌলবাদি তত্ত্বের' তকমা এটে দিলেন!! বাঙ্গালি মুসল্মান যতবার দাড়াতে চেয়েছে, ততবার তার গায়ে ঠিক এইভাবেই মৌলবাদি তকমা এটে দেয়া হয়েছে।এ খেলা নতুন নয় কুলদা।
2 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
'বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ইনশাল্লাহ শব্দটির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অমোঘ শক্তিশালি স্পিরিটটাই প্রকাশিত হয়েছে। ওটা ছিল অনিবার্য-শাশ্বত--সুন্দর।' --মানলাম। কিন্তু সাহিত্যে তো আপনাদের এই 'ইনশাল্লাহ' গ্রহন করার কোনো আলামত দেখিনা। সাহিত্যে 'ইনশাল্লাহ' আসলে সেটা হবে চাপিয়ে দেয়া, ঠিক না কুলদা? যেমন আপনি লিখছেনঃ ' একজন কমল কুমার ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েও যখন তার এই ব্যক্তি বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেতে চান নি--তার মত করে একটি শব্দকে বেছে নিয়েছেন তার বক্তব্য প্রকাশে সেটি অন্যায় নয়--যেমন মীর মশাররফ হোসেন ঈশ্বর শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে?'
আমি বলবো এই চাপিয়ে দেয়া এবং না চাপিয়ে দেয়ার যে যুক্তি দাড় করালেন আপনি, তা খুব উদ্দেশ্য প্রনোদিত। যিনি আল্লায় বিশ্বাস করেন তার আবার ব্যক্তি হিসেবে অন্যকোনো বিশ্বাস থাকে নাকি? আর যে কোনো লেখাই সমাজে ইম্পলিকেশন তৈরী করে। তো এই হিসেবে যে কোনো লেখাই সমাজের উপর চাপিয়ে দেয়া কূলদা।
কমলকুমারের একটা লাইন তুলে দিয়ে আপনি আমাকে একটি প্রশ্ন করেছেন, এবং তাতে আপনি যে গালিবের নোটটাকে মৌলবাদি বানাতে গিয়ে আর কিছুই যে খেয়াল করেন নি তা স্পস্ট হয়েছে।লক্ষ্য করে দেখুন, কমলকুমার নিয়ে আমাদের বিরোধিতা ছিল না; যে ভাষা ব্যবহার করে তিনি আধুনিক হয়ে উঠলেন সে ভাষা ব্যবহার করেই কোনো বাঙ্গালী মুসল্মান যদি লিখতেনঃ 'জীবনের উদ্দেশ্য আল্লাহ দর্শন'... তাহলে তার গায়ে মৌলবাদি তকমা এটে দেয়া হত---আমাদের বিরোধিতার জায়গা এটাই। এবং এ থেকে যে আপনি মুক্ত নন তার জীবন্ত উদাহন 'হৃদয়-কাবা'।... See More
আমার মনে হয় কোনটা রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক তা বিচারের আগে নিজের মনে থাকা মৌলবাদকে আপনার তাড়ানো উচিত।
এখন যাই, হাতে অনেক কাজ।
17 minutes ago · Report
Rahil Rohan
ভাষা-বিতর্কে সবার কুল-ঠিকুজি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। - exactly!!
4 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
@Kamruzzaman Jahangir... See Moreভাইঃ
'তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেনÑতা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যভাবে অংশ গ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল? '
অনেক ধন্যবাদ এই তর্কটা উঠানোর জন্য। এটাই আমার আপত্তির সবচেয়ে বড় জায়গা। বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ না মানলে কেউ কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হয়ে যায়? মৌলবাদি হয়ে যায়। এবং এই খেলাটাই কুলদা রায়েরা এখানে খেলছেন।
4 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু,
১. এখানে কোথায় হৃদয় কাবা বিষয়ে সম্পর্কে আমার আপত্তিটি খুঁজে বের করুন-- আমি কি বলেছিলাম আর গালিব কি বলছিলেন, দেখান। (লিংক সংযুক্ত)
গালিব বলেছিলেন, 'কুলদাবাবুও আজ পাখি বটেন, তার বুকে হৃদয়-কাবা ধ্বংসের অভীপ্সা।'
কাবা শব্দটি মুসলমানদের প্রধান পবিত্র স্থানের নাম। হৃদয়ের সঙ্গে সেটা মিলিয়ে তিনি সেই হৃদয়কে ধর্মীয় পবিত্র স্থানের সমত্ুল্য করেছেন। এখানে আমার আপত্তি নয়। গালিব আমাকে হিন্দু সাম্প্রদায়িক অভিধা দিয়ে সেই হৃদয়কাবা ভেঙে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করার একটা অপচেষ্টা করেছিলেন। আমি সেই অপচেষ্টাকেই ধরিয়ে দিয়েছিলাম মাত্র। নোটটি পড়ে দেখুন--... See More
http://www.facebook.com/note.php?note_id=88084158534&comments
২. রাইসুদের ভাষা নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে অতীতে। সম্প্রতি কাজী মামুন একটি নোট লিখছিলেন—দেখতে পারেন--http://www.facebook.com/notes/sohel-hasan-galib/andha-jatiatabada-kulada-ra-bikrti-o-adhyapaka-khondakara-asarapha-hosena/386678993534#!/notes/kazi-mamun/bhaara-manacitra-naki-manacitrera-bhaa-duniabyapi-kathya-o-lekhya-bhaara-rupa-ke/382010978284
ব্রাত্য রাইসু তার লাইনে পাকা। তার লাইনটা হল—কদর্য একটি বাকভঙ্গি বা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা করা। কারণ বাংলা ভাষার একটি শক্তি আছে—যে শক্তির কারণে ভাষাটি কেবলমাত্র ভাষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের প্রণোদনা হিসাবে কাজ করেছে। এটা টের পেরেই পাকিস্তানী শাসক এবং তাদের এদেশীয় দোষররা বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার নানা অপচেষ্টা করেছে। এটা একটা প্রকল্পের অংশ্ হিসাবে পাকিস্তান আমলে পয়গাম পত্রিকা, মাহে নও পত্রিকার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা চেষ্টা হয়েছিল। তখন করা হয়েছিল শুধু মাত্র ধর্মভাষার নাম দিয়ে—আর রাইসুরা ধর্মভাষার সঙ্গে কদর্যতার মিশেল দিচ্ছেন। রাইসু যেমন সরাসরি যেমন জামাতের পক্ষে কলম ধরছেন আবার আদিরসকেও টেনে আনছেন। এই বিষয় নিয়ে দলিল দস্তাবেশসহ পরে পেশ করার ইচ্ছে আছে। অবশ্য রাইসুর জিগরী দোস্ত সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ আকারে ইঙ্গতে বলেছেন, এই ভাষা হালে পানি পাবে না।
৩. সেক্যুলরিজমকে ইসলাম বিদ্বেষী বলে মৌলবাদিরা। সেক্যুলারিস্ট স্টেটে সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানকে নিশ্চিত করে। কিন্তু মৌলবাদিরা সেক্যুলারিজমের উল্টো ব্যাখ্যা দেয়। তারা বলে সেক্যুলারিজম ধর্মকে বাতিল করতে চায়। উদার অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদকেও ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে।এ টা মৌলবাদিদের প্রলাপ। গালিব এই প্রলাপেরই সমর্থন করেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে এখানে একজন বন্ধূ বিস্তারিত আালোচনা করেছেন। টুকু, আপনি সেগুলো পড়ে দেখুন। পূনরাবৃত্তি করতে চাই না। গালিবের নোটই মৌলবাদিদের তত্ত্বে রসসিক্ত। তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। অই বইটির মৌলবাদের বিষবাষ্পে ভরা। যদি এত আলোচনার পরেও না বোঝার ভান করেন—তাহলে কি করার আছে?
3 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
৪. শব্দের দু ধরনের চরিত্র থাকে। একটি হল—দেহ বা বা প্রকৃতিবাদি বা প্রতীকবাদি। আরেকটি হল আত্মাবাদি বা পুরুষবাদি। আত্মবাদি পদ্ধতিতে একটি শব্দ বহুরৈখিক। আর প্রকৃতি বা দেহবাদি পদ্ধতিতে শব্দ একটি প্রতিকী অর্থে একরৈখিকতায় আটকে যায়, তখন শব্দ মৌলবাদি হয়ে পড়ে। ঈশ্বর শব্দ নিয়ে টুকুর দশা হয়েছে এই মৌলবাদি ঘরানার। মীর মশাররফ হোসেনের আগে উইলিয়াম কেরি সাহেবও ঈশ্বর শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সেক্ষেত্রে ইশ্বর শব্দের মধ্যে দিয়ে বাইবেলে উক্ত গডকেই বুঝিয়েছেন। আবার মীর তার বিষাদ সিন্ধুতে ভগবান বা জগদীশ্বর শব্দে সর্বশক্তিমান আল্লাহকেই বুঝিয়েছেন। এটা নিয়ে কুপমণ্ডুকতাতো করার কিছু নেই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পদ্মানদীর মাঝি বা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার রস গল্প পড়ে দেখতে পারেন। এগুলো নিয়ে আপনার বাগাড়ম্বর অক্ষমের আস্ফলন মনে হচ্ছে।
৫. কমল কুমার মজুমদারের বিষয়ে আমি আগেই বলেই –‘এখানে কমল কুমার তার ব্যক্তি ঈশ্বরের কথা বলছেন। তার ঈশ্বর এখানে রাজনৈতিক ঈশ্বর নয়। তিনি তার ঈশ্বরকে নিয়ে কোথাও হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের দাবী বা রূপরেখার প্রণয়নও করছেন না। তিনি তার ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাসকে উপন্যাসের বাইরে বলছেন তার সেই স্বরচিত ফরাসী ভাষা স্টাইলের মধ্যে দিয়ে। এবং এই 'ঈশ্বর' বলার মধ্যে দিয়ে তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার দাবীও তোলেন নি। বা কোনো হানাদার বাহিনীকে এ ব্যাপারে সমহযোগিতাও করেন নি। তিনি প্রাকৃতজনের ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে এনে তুলেছেন, 'মানুষ কি কম গা' বলে। এইখানেই তিনি আধুনিক।‘
আর আল্লা বা ঈশ্বরে বিশ্বাসটি ধর্মজাত। এটি মানুষের অনেক বিশ্বাসের একটি। সুতরাং আল্লায় বিশ্বাসী মানুষ ধর্মবিশ্বাসের পাশাপাশি অন্য বিশ্বাসও গ্রহণ করতে পারবে না কেন? আর ধর্ম ছাড়া অন্য বিশ্বাস ধারণ করা যাবে না—এটা তো মৌলাবাদেরও মৌলবাদী পর্যায়।
৬. টুকু, বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?
3 minutes ago ·
Sumon Rahman
"শব্দের দু ধরনের চরিত্র থাকে। একটি হল—দেহ বা বা প্রকৃতিবাদি বা প্রতীকবাদি। আরেকটি হল আত্মাবাদি বা পুরুষবাদি। আত্মবাদি পদ্ধতিতে একটি শব্দ বহুরৈখিক। আর প্রকৃতি বা দেহবাদি পদ্ধতিতে শব্দ একটি প্রতিকী অর্থে একরৈখিকতায় আটকে যায়, তখন শব্দ মৌলবাদি হয়ে পড়ে।"
--- Kuloda Roy... See More, আপনার উপরের মন্তব্য থেকে এই চারলাইনই পড়লাম। বাদবাকি পড়ার সাহস করলাম না। আপনি কি মেটাফিজিক্সে উচ্চশিক্ষা নিছেন নাকি? যাকগা, যথেষ্ট ভয় পাইছি। কিন্তু খোন্দকার আশরাফের কবিতার সাথে ছবিটা কে আঁকছে? এত নিম্নমানের কার্টুন, যে বমি আইসা গেছিল। আমাদের নিয়া বাজারে আরো কার্টুন আছে, ঐগুলা দেইখা হাত মকশো কৈরা নিয়েন।
11 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
সুমন রহমান, আপনার সক্রোধ পুনরাগমনকে স্বাগতম। মেটা ফিজিক্স পড়ি নাই--ঝ্যেঠা ফিজিক্স পড়েছি। কার্টুনিষ্টরা কাছে আপনার পরামর্শে উদ্দিপ্ত হবে। ধন্যবাদ। বাজারে প্রচলিত কার্টুনের নমুণা তাদের জন্য সময় পেলে পাঠাতে পারেন।
9 hours ago ·
Rahil Rohan
Rahil Rohan
Tuku wrote - বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ না মানলে কেউ কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হয়ে যায়? মৌলবাদি হয়ে যায়। - amar khudro gyan e ja bujhi - moulobadi hoi kina janina - KINTU MUKTIJUDDHER BIRUDDHEY OBOSSHOI JAI.... muktijuddho korar onnyotomo 1 ti stomvo chilo bangalee jatiyotabad (vul shuddho jai houk)
tobey etao edaning protisthito - 'muktijuddher birodhita manei bangladesh er birodhita noi' -
karon BANGLADESH rastro ti oneker e proyojon - ... See More
MUKTIJUDDHO ba BANGALEE Jatiyotabad ba Shob Dhormer sohabosthan - shob gollai jaak!
Ashun kobitai likhi
Ashun aamra aie vabey vabi - ammra ja vabi tai sottyo - aar fascism er nipat chai!
1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....
7 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
একটু ব্যস্ত আছি। কিছু মন্ত্যবের উত্তর নিয়ে শীঘ্রই ফিরব।
3 hours ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
`তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। অই বইটির মৌলবাদের বিষবাষ্পে ভরা।'
কুলদা রায়, আমি ভাবান্দোলন গ্রন্থটি পড়েছি। কিন্তু কোথাও তো এটিতে মৌলবাদের বিষবাষ্পের সমাহার মনে হয়নি। আমার তো বুঝার সীমাবদ্ধতাও থাকতে পারে। আশা করি, আপনি তথ্য-প্রমাণসহ তা জানাবেন। তবে আমার যেটুকু মনে হয়েছে, তাতে এ বলা যায়, ফরহাদ মজহার মূলত এ অঞ্চলের ভাববাদী প্রবণতা সহযোগে একটি সংস্কারবাদী আন্দোলন করা দরকার বলে মনে করেন। এতে মূল শক্তি যোগাবে লালন সাঁই আর চৈতন্য মহাপ্রভু। এতে অপরাপর ভাবপ্রবণতারও সমন্বয় ঘটানো দরকার।
ফরহাদ মজহার এ গ্রন্থে 'ফকির লালন শাহ এবং কমলকুমার মজুমদার : ঈর্ষা ও কবিতার কথা' (আপনি কমল কুমার মজুমদার আর নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আসলে তারা হচ্ছেন কমলকুমার মজুমদার ও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়) নামের লেখায় কমলকুমারের ভক্তিময় ভাবের উপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন।
যাই হোক, আশা করি আপনি, কুলদা রায়, ভাবান্দোলন থেকে ফ.ম.-এর ধর্মীয় বিষবাষ্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। কারণ দুনিয়ার যাবতীয় বিষবাষ্পকেই চেনা দরকার। আর আপনি যদি তা না করতে চান, বা না করেন, তবে তো ধরে নিতে হবে, বাঙালি জাতীয়তাবাদে কেউ আস্থা না রাখলেই আপনি তাকে পচানোর প্রজেক্ট নিয়ে নামবেন!
'৬. টুকু, বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?' আপনার এই উদ্ধৃতিকে মানলে তো মওলানা ভাসানী, মনি সিংহ, মোজাফফর আহম্মদ, মেনন, রণো আর তাদের অনুসারীদেরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল বলতে হয়। ... See More
আসলে আপনার ভাবনার মূল প্রেরণা হচ্ছে একটা বুর্জোয়া সংগঠনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের ফল।
about an hour ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
about an hour ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
''1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....'' - Rahil Rohan.
about an hour ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
Kamruzzaman Jahangir--
''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।''
আপনি নিজেই যখন বলেছেন উপরের লাইনটি, আমার কি বলার দরকার আছে নতুন করে? দেশি কথায় আছে না-- লোকটি খুবই ভাল, তবে একটু ইয়ে আর কি-- আলুর দোষ আছে? হা হা হা।
থ্যাংকস আপনাকে জাহাঙ্গীর।
a few seconds ago ·
Khondakar Ashraf Hossain
''1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....'' - Rahil Rohan.
Yesterday at 11:01pm
Kulada Roy
Kulada Roy
Kamruzzaman Jahangir--
''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।''
আপনি নিজেই যখন বলেছেন উপরের লাইনটি, আমার কি বলার দরকার আছে নতুন করে? দেশি কথায় আছে না-- লোকটি খুবই ভাল, তবে একটু ইয়ে আর কি-- আলুর দোষ আছে? হা হা হা।
থ্যাংকস আপনাকে জাহাঙ্গীর।
18 hours ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা
১.হৃদয় কাবা আপনাকে যখন গালিব বলেছিল, তখন আপনি একে মৌলবাদি দৃস্টিভঙ্গি থেকে ইটারপ্রেট করেছিলেন। আপনার অন্তরে থাকা মৌলবাদ এর প্রমান এইখানেই।
২. রাইসুদের ভাষা প্রসঙ্গেঃ ... See More
একবার বলবেন
'"আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। "'
আরেকবারঃ
'তার লাইনটা হল—কদর্য একটি বাকভঙ্গি বা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা করা। কারণ বাংলা ভাষার একটি শক্তি আছে—যে শক্তির কারণে ভাষাটি কেবলমাত্র ভাষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের প্রণোদনা হিসাবে কাজ করেছে। এটা টের পেরেই পাকিস্তানী শাসক এবং তাদের এদেশীয় দোষররা বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার নানা অপচেষ্টা করেছে। এটা একটা প্রকল্পের অংশ্ হিসাবে পাকিস্তান আমলে পয়গাম পত্রিকা, মাহে নও পত্রিকার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা চেষ্টা হয়েছিল। তখন করা হয়েছিল শুধু মাত্র ধর্মভাষার নাম দিয়ে—আর রাইসুরা ধর্মভাষার সঙ্গে কদর্যতার মিশেল দিচ্ছেন। '
তো কোনটা আপনার নিজের কথা হিসেবে নেব বলেন? এখন যদি কেস এমন হয় যে যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা... তাহলে কিছু বলার নেই। আসলে সমস্যা হল আপনি নন, আপনার ভিতরে থাকা মৌলবাদ এর জন্য দায়ি।
৩.'তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। '---প্রমান করেন, তিনি কি কি টুকলি করেছেন।আপনি একটি প্রমানও দেখাতে পারলেন না, অথচ বারবার বলছেন 'গালিবের নোটই মৌলবাদিদের তত্ত্বে রসসিক্ত। '।
৪.আপনার মৌলবাদি মন শব্দ কিভাবে মৌলবাদি হয়ে পরে তাহার ও একখানা ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছে। মূল অনুসরন করলে যদি শব্দ মৌলবাদি হয়, তাহলে তো দুনিয়ার প্রায় সব শব্দই মৌলবাদি। এসব ফালতু কথা নিজের শিষ্যদের শুনিয়েন কুলদা। এখানে নয়।
৫.'বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল।'---এই কন্সেপ্টে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে।স্বাধিনতার সময় বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ কি জিনিশ হয় তা খুব কম লোকে বুঝত। হা, তারা এক্টি স্বতন্ত্র রাস্ট্র চেয়েছিল।কিন্তু বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ তারা চেয়েছিল,বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ এর জন্যই এই দেশ স্বাধিন হয়েছিল তা বলা যাবে না কুলদা। সুতুরাং মানুষের স্বাধিন রাস্ট্রের আকাংক্ষাকে বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ রঙ এ রাঙ্গালে হবে না কুলদা।
আর হা, ''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'' Kamruzzaman Jahangir এর এই কথায় আমি সম্পুর্ন একমত।ফরহাদ মজহার, সলিমুল্লাহ খান, এদের উপরে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
13 hours ago
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু,
১. আপনার কথিত মতে হৃদয় কাবা যখন বলেছিলাম, আপনি উক্ত নোট থেকে উদাহরণ সহযোগে প্রমাণ করেন মৌলবাদি দৃষ্টিকোন থেকে তা ইন্টারপ্রেট করেছিলাম।
২. প্রথম এবং দ্বিতীয় প্যারায় আমি কোন ভুল দেখি না। প্রথম প্যারায় --ভাষার পরিবর্তন প্রক্রিয়াটা বলেছি।
দ্বিতীয় প্যারায় বলেছি--এই প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করে কিভাবে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে একটি কদর্য ভাষাকে চাপিয়ে দেয়ার দেষ্টা করছেন রইসু গংরা।
দেখুন--বায়ান্নোর শহীদদের স্মরণে একুশের সংকলনে লেখা কবিতাটি--'আম্মা', তার নামটি ধরে আর ডাকবে না। এখানে আম্মা শব্দের মধ্যে কি কেউ ধর্মশব্দ খুঁজেছে? এ শব্দটি আমাদের সমাজ জীবনের অংশ বলেই তা কবিতায় সহজভাবে চলে এসেছে। আবার পয়গামে যখন ৯৫% অচেনা উর্দু শব্দ ভরে দিয়ে বাংলাভাষা প্রচলনের চেষ্টা করেছিল--শোনা যায়, সে বাংর্দু বোঝার জন্য আবার নিচে বাংলা তর্জমা রাখা হত বা তর্জমাকারীর সাহায্য নেওয়া হত। ওটা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল বলেই কেউ গ্রহণ করেনি। অথচ দেখুন রামপ্রসাদ সেন লিখেছেন--'আমায় দেও মা তহবিলদারী।... See More
আমি নিমক হারাম নই শঙ্করী।।' এ গানতো এখনো সমানভাবে আদৃত। আবার আল্লা ম্যাঘ দে পানি দে রে তুই আল্লা--এ গানটিও সর্বধর্ম লোকজনেরইতো গান--বাঙালীর গান। এই গান শুনে কারো ওযু নষ্ট হয়েছে বলে শুনি নি।
সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জননী হওয়া সত্ত্বেও সংস্কৃত'র প্রয়োজনীয় অংশটুকুই নিয়েছেন পূর্বসূরীরা। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের যে সড়ক চালু করেছিলেন, সেখানে কিন্তু তিনি সংস্কৃত গদ্যরীতি গ্রহণ করেন নি।
ঐক্যের বিষয়টাই কিন্তু বড়। হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টানে ভেদ খুঁজে লাভ কি? যাঁরা খোজে তারা অসৎ উদ্দেশেই খোঁজে। এটা তো সভ্যতা নয়। আমি হিন্দু--তাই বলে আমি মুসলমানকে কেন ঘৃণা করব? আমার হিন্দুত্ব আমার কাছে। আপনার মুসলমানত্ব আপনার কাছে। উত্তরাধুনিকতা কী বলে? বলে, ব্যক্তি তার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করবে--অন্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ন না করেই। সমাজে যখন চলছি--তখন আপনি আমি আর অন্য সকলের মতই মানুষ। সহজ কথা। কবে কোন ব্রাহ্মণ শাসকশ্রেণী কোন ধর্ম-বর্ণকে নিপীড়ণ করেছিল, তার প্রতিশোধ নিতে কি এখন--এই সময়, খড়গ হস্ত হতে হবে? কবে কোন সুলতান সোমনাথ মন্দির ভেঙেছিল তার জন্য আমরা পাল্টা হিসাবে মসজিদ ভেঙে দেব? যারা এই ভেদনীতির বলে খড়গ হস্ত হয়েছিল, তারা কখনোই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না এদেশে। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই সমন্বয়বাদি এবং সমন্বয়ের পথে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হয়েছে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। বৈচিত্রর মধ্যে ঐক্যের সন্ধান--এই তো ইতিহাস। এটা অম্বীকার করে নিজামী, গোলাম আযম। কিন্তু আপনি কেন করছেন, টুকু?
৩. ভাবান্দোলন বইটি খুলে দেখুন-- মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন--বইটির ভাবটা কিভাবে টুকলি করা হয়েছে। ঠগ বাছতে তো গা উজাড় হয়ে যাবে। গালিব বলুক--এই নোটটি তার নিজস্ব ভাবনা--তিনি ওই বই থেকে টুকলি করেন নি। তখন উদাহরণ সহযোগে না হয় বলা যাবে।
এ প্রঙ্গে মনে পড়েছে, ফ.ম. তার যে নয়াকৃষি আন্দোলন নামে বাংলাদেশে কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তকের দাবী করছেন, তাও কিন্তু তিনি টুকলি করেছেন জাপানি কৃষি বিশেষজ্ঞ মাসানবু ফুফুওকা'র ওয়ান স্ট্র রেভিলিউশন' থেকে। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলেছি--কাজী মামুনের নোটের মন্তব্য কলামে।
৪. 'মূলকে অনুসরণ করাকে মৌলবাদ বলে-- তাহলে দুনিয়ার সব শব্দই মৌলবাদি'--কথাটা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তার জনসভায় প্রায়শই বলেন। হা হা হা।
৫. ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরে লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল--‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। এটা কি ভাই টুকু। এটা কোন কনসেপ্ট? কোন কনসেপ্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে রাঙাব?
9 hours ago ·
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
Firoz Ahmed,আপনার শ্লেষ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ক্লেশ। মুক্তিযুদ্ধের হিশাবের কথা বলছেন, সে হিসাব তো একাত্তরের যুদ্ধের ময়দানেই করেছি, পাশে থেকে যখন ভাই গুলি খেয়ে গড়িয়ে পড়েছে। নতুন হিসাব করুন আপনারা, যাদের তখন জন্মই হয়নি, যারা যুদ্ধের গল্প শুনেছেন শুধু, পড়েছেন বইএর পাতায় কিংবা তার ব্যাখা শুনেছেন কোন মতলব্বাজের তত্ত্ববো্ধিনী সভায়।
ঘন্টি নয়, বাজছে প্রবল ঘন্টা, they know quite well for whom the bell tolls.
6 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
ফরহাদ মজহার ধর্মীয় জঙ্গীবাদকে একধরনের আদর্শ বলছেন, এতে এ কর্মের প্রতি তার প্রেম প্রকাশিত হল। আর তাতে আমাদের কারও কারও ফ.র.-এর প্রতি সন্দেহ জাগ্রত হচ্ছে। এটি একধরনের বিবেচনার দিক।
অন্যদিকে, ভাবান্দোলন একটি গ্রন্থ_ডকুমেন্টারি এভিডেন্স। এতে ধর্মীয় মৌলবাদের বিষবাস্পে ভরা বলে যে আপনি মত প্রমাশ করেছিলেন আমি এর প্রমাণ চেয়েছিলাম। আশা করি, আপনি তা প্রমাণসহ জানাবেন। কারণ, বিষবাস্প তো বিমূর্ত বিষয় নয়, এর মান-ইজ্জত, গুণ-অগুণ, অবয়ব আছে। কাজেই ভাবান্দোলন-এ ধর্মীয় বিষবাস্প’র স্বরূপ দেখতে চাই।
5 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
আপাতত Kamruzzaman Jahangir ভাই এর সাথে একমত পোষন করে গেলাম। ব্যস্ততা এক্টু কমলে আবার ফিরে আসছি।
4 hours ago
Subrata Augustine Gomes
Subrata Augustine Gomes
কেউ চাইলে আমার নোটটা দেখতে পারেন: http://www.facebook.com/note.php?created&&suggest¬e_id=412465411290
4 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
দুদিন পর আজ মানিকগঞ্জ থেকে ফিরলাম।
এত প্রসঙ্গ এসে জড় হয়েছে, চেষ্টা করবো সবার কথারই উত্তর দিতে।
সুব্রতদার নোটটাও পড়লাম। বুঝতে পারি নাই কোন কোন পয়েন্টে তিনি দুঃখিত।
3 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
প্রথমে আসা যাক কুলদা প্রসঙ্গে।
কুলদা কাকু, আপনি যখন ফরহাদ মজহারের সঙ্গে আমারে জড়াতে চান, তখন ফরহাদের বয়ান আমার মুখনিঃসৃত হলে রা-রা করে ওঠেন কেন?
ভাবান্দোলনের একটি বাক্য নিয়া আপনে কার্টুন আঁকলে, আমার নোটে সেই ভাবান্দোলন তো প্রাসঙ্গিক হবেই, তাই না?...
ভি এস নাইপলের বঙ্গপ্রেতাত্মা কুলদা রায় ফররুখ সম্পর্কে যথারীতি, বাঙালি সেকুলারের পক্ষে যা করণীয়, শ্রী সনৎকুমার সাহা'র অভিযোগের প্রতিধ্বনি করেছেন।... See More
বিশিষ্ট অসাম্প্রদায়িক কুলদার বক্তব্য :
"ফররুখ আহমদ তার সমগ্র সাহিত্য কর্মের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানী দ্বিজাতিতত্ত্বেই আস্থা রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতিকে সমর্থন দিয়েছেন, তাকে বাস্তবায়নে ভাষা সংস্কারে ব্রতী হয়েছেন রবীন্দ্রবিরোধীতায় জান কোরবান করেছেন এবং যারা বাঙালিদেরকে হত্যা করতে বর্বরভাবে নেমেছে সেই পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগীই থেকেছেন। এক্ষত্রে তিনি কি করে আধুনিক হন?"
তর্কের খাতিরে বলা যায়, ভাষাসংস্কার, রবীন্দ্রবিরোধিতা ও হানাদার-বাহিনীকে সহযোগিতার সঙ্গে আধুনিকতার কোনো বিরোধ আছে নাকি???
ঐতিহাসিক সত্যের দায়ে বলা উচিত, ফররুখ কোনোভাবেই ভাষাসংস্কার (মানে বাংলা উর্দুকরণ)-এর সাথে জড়িত ছিলেন না। এটা ডাহা মিছা। এবং সাম্প্রদায়িক বক্তব্য। (শ্রী সনৎকুমার সাহা ও কুলদা রায়)।
ফররুখ তার "পাকিস্তান : রাষ্ট্রভাষা ও সাহিত্য' প্রবন্ধে লিখছেন :
"পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, এ নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনা হয়েছে। জনগণ ও ছাত্রসমাজ অকুণ্ঠভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং এটা দৃঢ়ভাবেই আশা করা যায় যে, পাকিস্তানের জনগণের বৃহৎ অংশের মতানুযায়ী পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্বাচিত হবে। যদি তা-ই হয়, তবে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, বাংলা ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।...পাকিস্তানের, অন্তত পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা যে বাংলা হবে এ কথা সর্ববাদীসম্মত হলেও এই পূর্ব পাকিস্তানেরই কয়েকজন তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তি বাংলা ভাষার বিপক্ষে এমন অর্বাচীন মত প্রকাশ করেছেন যা নিতান্তই লজ্জাজনক। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় রূপান্তরিত করলে ইসলামী ঐতিহ্যের সর্বনাশ হবে এই তাদের অভিমত।"
এবারে আসা যাক দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রসঙ্গে।
আহমদ ছফা লিখছেন :"...পাকিস্তান এবং ইসলাম নিয়ে আজকের বাংলাদেশে লেখেননি এমন কোনো কবিসাহিত্যিক নেই বললেই চলে। অন্য অনেককে বাদ দিয়েও কবি সুফিয়া কামালের পাকিস্তান এবং জিন্নাহর ওপর নানা সময়ে লেখা কবিতাগুলো জড়ো করে প্রকাশ করলে 'সঞ্চয়িতা'র মতো একখানা গ্রন্থ দাঁড়াবে বলেই আমাদের ধারণা।...আমরা বাংলাদেশের আরো একজন খ্যাতনামা কবির কথা জানি। যিনি পাকিস্তানি দখলদার সৈন্যদের তত্ত্বাবধানে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকটির সম্পাদকীয় রচনা করেছিলেন।...প্রসঙ্গত ভূতপূর্ব পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার কুখ্যাত বার্তা-সম্পাদক এ বি এম মুসার নাম বলতে পারি। এই মুসা সাহেব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোলকাতায় যেয়ে হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করেছিলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মন থেকে সে স্মৃতি এত তাড়াতাড়ি মুছে যায়নি।...সেই মুসা সাহেব এখন বাংলাদেশের সংসদসদস্য। ফররুখ আহমদের অপরাধ শেষ পর্যন্ত এই দাঁড়ায় যে, তিনি অন্যান্য বিশ্বাসঘাতকদের মতো স্লোগান বদল করতে পারেননি।"
(চলবে)
2 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>ফরুরখ আহমদ, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরকারী চল্লিশজনের একজন---এমনটা আমরা শুনি। ঐ চল্লিশজনের বাকি উনচল্লিশ জন কারা, কুলদা জানাবেন আশা করি। প্রশ্ন জাগে, তারা কোন পরিস্থিতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। প্রসঙ্গত বলি, শাহরিয়ার কবির,..., সম্পাদিত/গ্রন্থিত 'একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়' বইটিতে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এমন কোনো ব্যা... See Moreক্তিত্ব নেই বললেই চলে, যিনি পাকিস্তানের পক্ষে ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে স্বাক্ষর করেন নি।
শেষ কথা, ফররুখ আহমদ পাক হানাদার বাহিনীর কীভাবে সহযোগী ছিলেন, তা বিস্তারিত জানাবেন কুলদা। এবং কী কী সুবিধা তিনি পাক সরকারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।
বরং পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের নজির আছে তার জীবনে।
about an hour ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
কুলদা বলেছেন, ফররুখের ধর্মচর্চা রাজনৈতিক, কমলকুমারের ধর্মচর্চা ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতা এবং তা অরাজনৈতিক।
---এর মাধ্যমে বোঝা গেল রাজনীতি সম্পর্কে তার ধারণা কত স্বচ্ছ!!!
প্রথম কথা, পৃথিবীর কোনো ধর্মই অরাজনৈতিক নয়। এমনকি মানুষের কোনো কর্মই নয় অরাজনৈতিক।
ধর্ম ব্যক্তিগত চর্চার বিষয় হতে পারে না। একইভাবে সাহিত্য ব্যক্তিগত চর্চার বিষয় নয়। ... See More
দ্বিতীয় কথা, রাজনীতি মানেই রাজপথ নয়। সংস্কৃতির ভেতরে যে রাজনীতি সে আরো গভীর। মননের রাজনীতি। সেইখানে আধ্যাত্মিকতার দ্রবণে যে রাজনীতির ব্যাপন হতে পারে, সেই ব্যাপনক্রিয়ায় কমলকুমারের অংশগ্রহণ। এত নিরীহ নয় ব্যাপারটা।
আধুনিকতা, যেহেতু আধিবিদ্যক সকল ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক খারিজ করে, সেহেতু ফররুখ বা কমল কেউই আশলে আধুনিক নন। প্রকৃতপক্ষে আধুনিকতাবাদের মর্মে রয়েছে নাস্তিকতা। কাজেই এদের আধুনিক বলাটা নাফরমানি ও নাজায়েজ হবে।
কিন্তু বাঙালি সেকুলার এমনকি বর্ণবাদী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও চিন্তিত নয়।
about an hour ago
Kulada Roy
Kulada Roy
কমলকুমারে বা ফররুখ আহমদের আধুনিতা নিয়ে তো আপনিই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন গালিব। আমি তো তুলি নাই। আপনার আধুনিকতার দৌড়টা আমি জানি। আধুনিকতাকে আপনি বলেছিলেন-- সমরূপতার দর্শন। ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, সকল ভূমি, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে সর্বজনীন একটি আর্তির প্রকাশ যা সকল মানুষকে এক করে বিবেচনা করতে হয়, ভীন্নতা ও বৈচিত্র্যকে ছেটে। তো, এটা পড়ে জানতে চেয়েছিলাম, ভাই-... See More-আধুনিকতার এই সংজ্ঞাটা কই পাইলেন। আপনি উত্তরে বলেছিলেন--তালাত আসাদের কাছ থিকা। আমি কি আর করি। চিন্তা নামে ফরহাদ মজহারের অনলাইন পত্রিকায় তালাত আসাদের লেখাটা আছে। অইখান থিকা আপনি মনে লইছেন। আমি যারে জিগাই, ভাই--এইটা কেমন হৈল। যারা শোনে আর অট্টহাসি দেয়। বলে, গাঞ্জা টানছো নাকি? ভাই, আমি জীবনে বিড়িও টানি নাই। এতকাল জানতাম, আধুনিকতা হল--প্রাতিস্বিকতা বা ব্যক্তি স্বতন্ত্রবোধ বা নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা করে দেখা। সোজা কথায় একলা চল রে। এজন্য অন্যের কিছু এল না গেল--তা নিয়ে ব্যক্তির কিছু যায় আসে না। এই সমস্যার কারণেই 'উত্তরাধুনিকতা' এসেছে। ব্যাক্তির অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা হবে--তবে সে জন্য অন্য ব্যক্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে নয়।
বুঝতে পারছি--আপনি তত্ব বা তথ্যে নিয়ে কারবার করতে চাচ্ছেন। যাচাই বাছাই না বুঝেই করছেন। এ জন্য গাজাখুরি কথা বার্তাও বলে ফেলছেন। আমাদের গ্রামে এইসব কথা বার্তাকে বলে চাটাম।
আর ফরহাদ মজহার আধুনিকতাকে তো পরিত্যাজ্য বলেছেন। সে বড় রগড়। অন্য সময়ে বলা হবে।
যাই হোক--মনে হচ্ছে, সাম থিং ইজ গড়বড় হ্যায়। কি গড়বড় হচ্ছে--সে ব্যাপারটা না হয়--সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের কাছ থিকাই শোনেন।
2 minutes ago ·
Kamruzzaman Jahangir
Subrata Augustine Gomes,
'কেউ চাইলে আমার নোটটা দেখতে পারেন: http://www.facebook.com/note.php?created&&suggest¬e_id=412465411290'
আমি চেষ্টা করেও এ নোটটি ওপেন করতে পারি নি। আশা করি তা পাঠের ব্যবস্থা করবেন।
50 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
Write a comment...@ Kamruzzaman Jahangir
“তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেন তা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল?
এ কথার অর্থ কি? আমি যা বুঝতে পেরেছি, তা’হল এই - মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হবার পিছনে যে সব নিয়ামক শক্তি কাজ করেছে তার পিছনে ‘রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ বাইরে অন্য শক্তিও ক্রিয়াশীল ছিল, আর সেটা হল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। আমার প্রশ্ন যারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তারা কি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে ছিলেন? তারা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে ছিলেন? তারা কি মনে করতেন যে, এ দুটো পৃথক ও পরস্পর বিরোধী বিষয়? আপনার কাছে যদি এরকম তথ্য থাকে তা’হলে হাজির করুন। আমি তো জানি কম্যুনিস্টরা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পূর্বশর্ত হিসেবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সেই বিচারে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের বিপরীতে ৫২’র ভাষাআন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয়েছিল তাকে তারা সমাজপ্রগতির অংশ হিসেবেই বিবেচনা করতেন। তার প্রমান মেলে ভাষা আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা দেখে, বামপন্থী লেখকদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় তাদের সৃষ্টিশীল ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখে। তিনি এখানে কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনের নাম উল্লেখ করেছেন (জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) এবং অন্য আরেকটি মন্তব্যে আরো কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনের প্রধান কমরেডদের নাম বলেছেন, যেখানে তিনি টুকুকে করা কুলদার প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছেন। কুলদার প্রশ্ন ছিল, ‘টুকু বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?’ কামরুজ্জামান প্রশ্ন করছেন: ‘আপনার এই উদ্ধৃতিকে মানলে তো মওলানা ভাসানী, মনি সিংহ, মোজাফফর আহম্মদ, মেনন, রণো আর তাদের অনুসারীদেরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল বলতে হয়।’ কামরুজ্জামান আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, উক্ত কমরেডরা বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল ছিলেন না? এমন তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? ইতিহাস সম্পর্কে আর একটু জেনে কথা বলা কি ভালো না? আশা করি কুলদা এব্যাপারে আরো বিস্তারিত বলবেন। আমরা এও জানি যে, সর্বহারা পার্টি ও মাওবাদীদের কোনো কোনো অংশ মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই হিসেবে হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের নামে পাটের গুদামে আগুন দিতে ওস্তাদ ছিলেন। এই উগ্র বামপন্থীদের সাথে উগ্র মৌলবাদীদের কথা ও কর্মকাণ্ড কিভাবে মিলে যায়, তার একটা গবেষণা বাংলাদেশে হওয়া উচিত। ... See More
!
17 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
প্রতিটি মানুষের যেমন জন্মের ইতিহাস থাকে, প্রতিটি জাতিরও তেমনি জন্মের ইতিহাস থাকে। সেই জন্মের ইতিহাস বললে কিছু মানুষ যখন হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত আচরণ করে, তখন তাকে কি বলা যায়? আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন, ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব তাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রথম প্রেরণা? সেটা যারা অস্বীকার করে তাদের কোন শিবিরে রাখা আপনি যুক্তিযুক্ত মনে করেন? মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী ব্যবস্থা বলতে আপনি কি বোঝাতে চান? এসব কথার কি কোনো কি ব্যাখা হয়? আমরা কি কোথাও বলেছি যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুধুই ভাষা আর জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে সংঘটিত হয়েছিল? অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কি কোনো জাতির মুক্তিসংগ্রাম সম্পন্ন হতে পারে? বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ কি ছিল, তা পড়ে দেখুন। বাঙালি ৭০’র নির্বাচনে কি দেখে ভোট দিয়েছিল? যাদেরকে আপনি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তক বলছেন, তারা যে সংবিধান রচনা করেছিলেন তার অর্থনৈতিক মূলনীতি কি ছিল? কথা তো শুধু বললে হবে না, তার তো যুক্তিশৃংখলা থাকা চাই!
“কুলদা রায় ও তুষার গায়েন ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই মানব মুক্তির গ্রহণযোগ্য পথ মনে করছেন। তুষার গায়েন তো ধমনিরক্ষপেতা আর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে একরতি সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলছেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি নাকি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। আসলে এখানেই প্রাবল্যবাদ চরমভাবে কাজ করে, এধরনের উদাসীনতা থেকেই শেখ মুজিব পাহাড়িদের বাঙালি হয়ে যেতে উপদেশ দিয়েছিলেন।”
আমরা তো সমগ্র মানব মুক্তির পথ বাৎলাতে বসিনি। সমগ্র মানবমুক্তির সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সম্পর্ক কি? আমরা বাঙালি জাতির কিছু ঐতিহাসিক প্রত্যয় নিয়ে কথা বলছি, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও তার রাষ্ট্রগঠনের দুটো উপাদান মাত্র। এর সাথে অর্থনৈতিক মুক্তির প্রশ্নটি প্রধান বিবেচ্য ছিল। আর তাই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে চারটি মূলনীতির একটি ছিল: সমাজতন্ত্র। ... See More
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
Write a comment... See More...ধর্ম প্রশ্নে রাষ্ট্রের দুটি ব্যবস্থা হতে পারে: হয় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র অথবা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আপনি কোন ব্যবস্থার পক্ষে? কোন ব্যবস্থাটি উত্তম? আপনি যে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বললেন, তারা তো সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। তো সমাজতন্ত্র কি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে, না কি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে? আপনি বলছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি এক আনাও সাপোর্ট করি না।” আপনি যদি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সাপোর্ট না করার কারণ কি? যুক্তি হিসেবে আপনি বলছেন, “পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মই প্রাবল্যবাদী, এরা অন্য ধর্মকে বিতাড়িত করেই নিজের জায়গাটি করে নেয়। ধর্মের ইতিহাস তা-ই।” ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে যেহেতু ধর্ম থেকে যায়, তাই মুস্কিল আসান হয় না, বিপদের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই তো? আপনি হয়তো আরো বলবেন, সমাজতন্ত্র কোন ধর্মে বিশ্বাস করে না। উত্তরে আমি এই বলতে পারি যে, স্টালিনের আমলে বহু গির্জা ভেঙে ফেলা হয়েছিল যার ডকুমেন্টারী আমার সোভিয়েতে পড়াকালীন সময়ে দেখার সুযোগ হয়েছে। মানুষ তা ভালোভাবে নেয় নি। কোন কিছু চাপিয়ে দিলে মানুষ তা ভালোভাবে গ্রহন করে না। আর আপনি যাদের পক্ষে কলম ধরেছেন, তারা তো ধর্মনিরপেক্ষতাই মানতে পারছেন না, ধর্মহীনতা মানবেন কিভাবে? আবার আপনি বলছেন, “তবে হ্যা, ধর্মনিরপেক্ষতার উপর ভিত্তি করে যদি ধর্মীয় উদাসীনতাকে এস্টাব্লিস্ট করা যায়, বিজ্ঞানকে যথাযথভাবে চর্চা করা হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে সমাজপ্রগতির কিছু কাজ হতে পারে।” ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কাজই তো তাই! আমি তো আপনার একটি কথার সাথে আরেকটি কথার কোনো মিলই খুঁজে পাচ্ছি না। এত স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ আপনার কথাবার্তা যে আমি কি উত্তর দেব, তাই বুঝতে পারছি না। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বাস্তবায়নে আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। ভালো কথা, ব্যর্থতা থাকলে সমালোচনা হবে। কিন্তু তাতে তো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শ ও সম্ভাবনা পাল্টে যাবে না। সমালোচনা থাকবে বলেই তো, সমাধান করার কথাও আসবে।
আমি কোথাও বলিনি যে, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। কিন্তু তা কি ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল যা ইতিহাস নিয়ন্ত্রনকারী? আমি বলেছি, ওই কালখণ্ডে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান নিয়ামকের ভূমিকায় ছিল, তাই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রশ্নটি সামনে আসে নি। আর বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন তা নিয়ে
সমালোচনা হয়ত করা যায়, তবে এটা তো তাঁর স্বভাবজাত আবেগ ও ভালোবাসার বহির্প্রকাশ হিসেবেও ধরা যেতে পারে। ‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
2 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
http://kejasre.blogspot.com/2010/04/blog-post_22.html
এখানে দেখুন যারা সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের নোটে ঢুকতে পারছেন না তাদের জন্য --
অন্যন্য রিলেটেড লিংকও পাবেন।
2 seconds ago ·
Sohel Hasan Galib
তুষারদা, আপনার সামনে কয়েকটা প্রসঙ্গ তুলছিলাম, আপনি এড়ায়া গেছেন। ফলে রিপিট করছি---
"বাই দি ওয়ে, আপনি তো কানাডায় থাকেন (নাগরিক কি?)। কানাডার জাতীয়তা সম্পর্কে বলেন। সেখানকার রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে বলেন। ত্রি-জাতিতত্ত্ব সম্পর্কেও একটু আভাস দেন।
এবং এও বলেন, ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ায় আপনি সমরূপতা আনতে স্বপ্নবিদ্ধ কি না।... See More
আরো কন, সেকুলার চিন্তা বুর্জোয়া বিপ্লবের ফসল কি না। এখানে বাইবেল-বিজ্ঞানে দ্বন্দ্ব আছে কি না, চার্চে-রাজায় ঝগড়া আছে কি না।
এবং সেইরূপ ঘটনা বাংলাদেশে, কোরানে-বিজ্ঞানে ঘটছে কি না, মসজিদে-সংসদে ঘটছে কি না।
নইলে, সমরূপতা কেমনে আইবো দাদা?"
Yesterday at 11:11pm
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
@ Rahil Rohan,
বাঙালি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস না করলে যদি বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হয়, তাহলে পাহাড়ি-আদিবাসীরা নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের শত্রু!
@ Tushar Gayen,... See More
‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
---তাহলে আমি যদি কুলদা-গায়েনদের বলি আজ থেকে আপনারা মুসলমান হয়ে যান, তার মানে কি এই মেসেজ দেয়া : আপনারা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না।
প্রব্লেম লাইজ দেয়ার। এই হলো ফ্যাসিবাদ। অপরের আইডেন্টিটিকে স্বীকার না করা।
Yesterday at 11:19pm
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
পুনশ্চ : এদেশের কোনো আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো? কিংবা কোনো বামপন্থী?
Yesterday at 11:21pm
Kazi Mamun
Kazi Mamun
''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ কি?
20 hours ago
Jahed Sarwar
Jahed Sarwar
ভাই গালিব
‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
---তাহলে আমি যদি কুলদা-গায়েনদের বলি আজ থেকে আপনারা মুসলমান হয়ে যান, তার মানে কি এই মেসেজ দেয়া : আপনারা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না।
... See More
ফ্যাসিবাদ কি বা আদিবাসীদের বাঙ্গালী হয়ে যেতে বলা ফ্যাসিবাদ কিনা সে তর্কে যাবার আগে একটা কথা কইতে চাই।
ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মনে হয় আলাদা। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের একটা সামগ্রীক রূপ থাকে। যেমন মুসলমান বা খ্রীস্টান বা ইহুদি তরিকা ধরলে সামগ্রীকভাবেই ধরা হয়। মুসলমান, খ্রীস্টান বা ইহুদি পৃথিবীর যেখানেই বাস করুক তার সামগ্রীক অর্থে এই এই তরিকার অর্ন্তভুক্ত।
বাঙ্গালী বা বাংলাদেশি জাতীয়তার কথা বলতে গেলে এই দেশীয় সীমানাভুক্ত মানুষদেরকেই বুঝায়। সে ক্ষেত্রে আদিবাসীদেরকে বাঙ্গালী হয়ে যেতে বলা আর কুলদা-তুষারকে মুসলমান হতে বলা এক জিনিস না।
19 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই,
পয়েন্ট আকারেই মতামতগুলো সেলাই করে নিচ্ছি :
২. "বাঙালির প্রতিপক্ষ ফুটবল দল নিজেদেরকে বাঙালি বা বিহারী কোনটাই না বলে স্রেফ মুসলমান পরিচয়টাতেই সবচে’ স্বাচ্ছন্দ্য পেত!"---একমত। কিন্তু একই স্বাচ্ছন্দ্য শরতের মধ্যে স্বাভাবিক হবে কেন?
"বাঙালি মুসলমানের অস্তিত্ব নিয়া তার সংশয় ছিল না"... See More
---অস্তিত্ব নিয়া সংশয় কিন্তু আলোচ্য না। বাঙালি মুসলমানকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে তর্কে উপস্থাপিত।
এই উদাহরণগুলি অপ্রাসঙ্গিক হবে না এবং আপনিও জানেন। শরৎ বলছেন :
ক. যে-কারণেই হোক, এতদিন বাঙলাদেশে হিন্দুরাই শুধু সাহিত্যচর্চা করে এসেছেন। মুসলমানসমাজ দীর্ঘকাল এদিকে উদাসীন ছিলেন।
(তাই নাকি? ফিরোজ ভাই, খেয়াল করেন, "হিন্দুরাই শুধু" এবং "মুসলমানসমাজ উদাসীন"।
এই বক্তব্য মূলত ফোর্টউইলিয়ামীয় পর্যবেক্ষণ। মানে ইংরেজের প্রকল্পে এসে সাহিত্যের "মূলধারা (?)" সৃষ্টিতে মুসলমানের অংশগ্রহণ না করার অসহযোগিতামূলক রাজনীতি এখানে আড়াল করছেন শরৎ, অন্যদের মতোই। এই মূলধারার বাইরে মুসলমানদের অংশগ্রহণ তার নজর এড়ায় কেন?
খ. একদিন মুসলমান লুণ্ঠনের জন্যই ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল, রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য আসে নাই। (সত্যি?) সেদিন কেবল লুঠ করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, মন্দির ধ্বংস করিয়াছে, প্রতিমা চূর্ণ করিয়াছে, নারীর সতীত্ব হানি করিয়াছে, বস্তুতঃ অপরের ধর্ম ও মনুষ্যত্বের উপরে যতখানি আঘাত ও অপমান করা যায়, কোথাও কোনো সঙ্কোচ মানে নাই।
দেশের রাজা হইয়াও তাহারা এই জঘন্য প্রবৃত্তির হাত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে নাই।...পাবনার বীভৎস ব্যাপারে অনেককেই বলিতে শুনি, পশ্চিম হইতে মুসলমান মোল্লারা আসিয়া নিরীহ ও অশিক্ষিত মুসলমান প্রজাদের উত্তেজিত করিয়া এই দুষ্কার্য করিয়াছে। কিন্তু এমনিই যদি পশ্চিম দেশ হইতে হিন্দু পুরোহিতের দল আসিয়া, কোনো হিন্দুপ্রধান স্থানে এমনি নিরীহ ও নিরক্ষর চাষাভূষাদের এই বলিয়া উত্তেজিত করিবার চেষ্টা করেন যে নিরপরাধ মুসলমান প্রতিবেশীদের ঘরদোরে আগুন ধরাইয়া সম্পত্তি লুঠ করিয়া মেয়েদের অপমান অমর্যাদা করিতে হইবে, তাহা হইলে সেই সব নিরক্ষর হিন্দু কৃষকের দল উহাদের পাগল বলিয়া গ্রাম হইতে দূর করিয়া দিতে একমুহূর্ত ইতস্তস্তঃ করিবে না। (হাহাহা... শরৎ-সাহিত্যের তরল আবেগ এখানে উথলাইয়া উঠিতেছে। হায় নাবালক!)
...হিন্দুস্থান হিন্দুর দেশ। সুতরাং এ দেশকে অধীনতার শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিবার দায়িত্ব একা হিন্দুরই। (!!!) মুসলমান মুখ ফিরাইয়া আছে তুরস্ক ও আরবের দিকে---এ দেশে চিত্ত তাহার নাই। যাহা নাই তাহার জন্য আক্ষেপ করিয়াই বা লাভ কি এবং তাহাদের বিমুখ কর্ণের পিছু পিছু ভারতের জলবায়ু ও খানিকটা মাটির দোহাই পাড়িয়াই বা কি হইবে! আজ এই কথাটাই একান্ত করিয়া বুঝিবার প্রয়োজন হইয়াছে যে, এ কাজ শুধু হিন্দুর---আর কাহারও নয়। মুসলমানের সংখ্যা গণিয়া চঞ্চল হইবার আবশ্যকতা নাই। সংখ্যাটাই সংসারে পরম সত্য নয়। ইহার চেয়েও বড় সত্য রহিয়াছে যাহা এক দুই তিন করিয়া মাথা-গণনার হিসাবটাকেই হিসাবের মধ্যে গণ্য করে না।
19 hours ago
Jahed Sarwar
Jahed Sarwar
যদিও আমি কোন অর্থেই উগ্র জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করছি না।
বাঙ্গাল পরিমণ্ডলে বাস করে একজন মুসলমান,খ্রীষ্টান,হিন্দু বাঙ্গালী হতে পারে কারন এটা একটা স্থানিক ভাষা,সংস্কৃতি,ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। কিন্তু একজন আরবী মুসলমান হলেও সে বাঙ্গালী হতে পারে না।
পৃথিবীতে এরকম বহুত রাষ্ট্র আছে বহুত কিসিমের সংস্কৃতি ও ভাষার পরও তারা পরস্পরের ভাষাও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা কর... See Moreে চলে। সে ক্ষেত্রে মুজিবের আদিবাসীদেরকে বাঙ্গালি হয়ে যেতে বলা উগ্রতার পরিচায়ক । এ জিনিস নাজিল হয় অজ্ঞতা আর আবেগের অন্ধকার থেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়তা ভাল জিনিস যতক্ষণ সে আত্মরক্ষা করে। আক্রমনাত্বক হলেই তার নাম হয় আগ্রাসন, ফ্যাসিবাদ। তখন তার চেহেরা হয় ভয়ংকর কোন দৈত্যর মতই।
19 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
সরওয়ার ভাই, আমি আপনার সঙ্গে একমত, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও ভাষা-জাতীয়তাবাদ এক নয়। একটির সঙ্গে আধিবিদ্যক ধারণাযুক্ত।
এখানে একটি কথা শুধু যুক্ত করি : 'আদিবাসী' এই প্রপঞ্চে (!) কেবল ভাষাই নয় কিন্তু, তার সাংস্কৃতিক অন্যান্য উপাদানও জড়িত। সেখানে ধর্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ কারণে, যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছে তারা কিন্তু 'আদিবাসী' পরিচয়ের বন্ধন থেকে বেরিয়ে পড়ছে।
এখন, এই আদিবাসীদের যদি মূলধারায় শামিল হতে ডাক দেয়া হয়, তবে কিন্তু তার অস্তিত্বের শেকড় ধরেই টান মারা হয়। আর মূলধারা-উপধারা এগুলা আগ্রাসী আধুনিকতাবাদ।... See More
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সম্পর্কে সমতা না থাকলে মিলন হয় না, গিলন হয়। মানে একটি আরেকটিকে অজগরের মতো গিলে ফেলে।
19 hours ago
Kazi Mamun
Kazi Mamun
''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ কি?
17 hours ago
Imran Hossain Shuvo
Imran Hossain Shuvo
khub shikkhamulok alap alochone choltache. amra amjonota onkekichu janlam. galib vai apnake thank you, bondhu na korle to eigula porte partam na. ami to dhorme muslim, jatite bangalee, vasha amar bangla. tobe sobchaiya boro kotha amra manush, manush sobar upore ar amra vat chai, kapor chai, valovabe bachte chai.
16 hours ago
Kudrat E-Huda
Kudrat E-Huda
এইসব আলোচনা এতদিন কোথায় ছিল?তর্ক চলতে থাক।গালিবকে ধন্যবাদ বিষয়ের অবতারণার জন্য।
16 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
Kulada Roy, লিঙ্ক প্রদানের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা।
14 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
তুষার গায়েন, আপনি আসলে একটা মতধারার প্রতি অন্ধ সাপোর্টার হয়ে আছেন, যার জন্য আমার মতামতের সমস্ত দিক পাঠের ধৈর্যও আপনি রাখেন নি।
১. আমি কারও পক্ষ হয়ে একটা কথাও বলি নি।
২. সর্বহারা পার্টি যে স্বাধীনতা সংগ্রামকে দুই কুকুরের লড়াই বলেছিল, এর কোনো প্রমাণ আছে আপনার কাছে? আসলে এটি বলেছিল চীন, এবং আবদুল হকদের ইপিসিপি তা সাপোর্ট করেছিল।
৩. কমিউনিস্ট পার্টি জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করে না; যারা এ পার্টির অ, আ, ক, খ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারাও জানেন, তারা আন্তর্জাতিকতাবাদে আস্থা রাখেন। আর কমিউনিস্ট মতধারায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের কোনো চিন্তাবিদই বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নন_কৌশলগত কারণে এ ধারার সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন তারা করেছেন, কিন্তু কেউ বলেন নি যে, আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদে কবুল রাখলাম। কারণ তাতে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে খাটো করা হয়। একজন ব্যক্তি যদি একটা জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করে তবে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির মর্যাদার দাবিদার হবেন। আসলে আপনি যে ফ্যাসিবাদকে কিভাবে সাপোর্ট করেন তার প্রমাণ হচ্ছে, পাহাড়িদেরকে বাঙালি হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত শেখ মুজিবের আহ্বানকেও হয়তো মার্কা কথাযোগে সাপোর্ট করছেন।
৪. ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কী ধরনের হলে প্রগতির পক্ষে যেতে পারে, তাই বলেছি। আমি এও বলেছি, বর্তমান সময়ে তা হচ্ছে না। স্বাধীনতার পর পরও হয় নি। স্বাধীনতার পর সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা... ইত্যাদি বলাই হয়েছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জনজাগরণকে ঠেকানোর জন্য।... See More
আপনাকে এই অনুরোধই করব, মন্তব্য করার আগে নিখুঁতভাবে ওই লেখাটি পড়বেন এবং তথ্য-তত্ত্ব সহযোগে প্রত্যুত্তর করবেন।
14 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
@ জাহাঙ্গীর ভাই,
"স্বাধীনতার পর সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা... ইত্যাদি বলাই হয়েছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জনজাগরণকে ঠেকানোর জন্য।"
---দুর্দান্ত !
ফিরোজ ভাই,... See More
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে ঠিক মতো কমেন্ট লিখতে পারছি না। আবার ক্রমান্বয়ে কিছু কথা বলা যাক :
৩। বঙ্কিম-শরৎ-রবীন্দ্র-এর ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা প্রশমনের যে কথা আপনি বলছেন, তার কারণ কিন্তু বেশ ভালোভাবেই স্পষ্ট করেছেন সুমন রহমান, তার কমেন্টে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইংরেজসৃষ্ট হিন্দু মধ্যবিত্ত মুসলমান মধ্যবিত্ত দ্বারা রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হচ্ছিল। উনাদের নরম হয়ে আসার এটাই মূল কারণ। যেমন নারীবিদ্বেষী রবীন্দ্রনাথ (পুরুষতান্ত্রিক, সামন্তবাদী বয়ানের প্রেক্ষিতে) পরবর্তী সময়ে অল্প অল্প মৃদু মৃদু নারীবাদী হয়ে উঠছেন, কারণ ততদিনে কোলকাতায় বেশকিছু নারী-সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
চেতনা তো বিমূর্ত বিষয় না। সামাজিক সংঘাতবিনা তার উদ্ভব হয় কী করে?
বঙ্কিম-রবীন্দ্র-শরৎ-এর অপজিশন হিশেবে আপনি সিরাজী-মনসুর আহমদের নাম আনলেন---এই তুলনা কি ঠিক হলো? সিরাজী-মনসুরদের সৃষ্টিশীলতা, প্রতিভা নিয়ে আবেগী মুসলমানও কি ব্যাকুল হয়? তবে একথা সত্য যে, প্রতিক্রিয়াশীল মুসলমান চিন্তক ও লেখক তো রয়েছেনই। এটা আমরা অস্বীকার করবো কেন? আমরা দেখতে চাই, এখানে যা হেজেমনি তৈরি করতে পেরেছে, সেই সাহিত্যের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উপাদান কীভাবে রয়ে গেছে। এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ তাকে আবাহন ও আস্বাদন করছে কি না।
৫। যেহেতু উমরের লেখাটা পড়ি নাই, তাই এখানে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে একটা সরল প্রশ্ন রেখে যাই :
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে দেশে ফিরে আসা। তাহলে কবে তারা দেশে ছিল এবং কীভাবে দেশছাড়া হয়েছিল?
এই প্রশ্নের উত্তর আপনে নাও দিতে পারেন। কিন্তু, এলিট ও চাষা বাঙালি মুসলমানের স্বার্থের সম্মিলনই যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন :
(১) এই বাঙালিগণের আইডেন্টিটি কী কী প্রশ্নে কোলকাতার বাঙালিগণের আইডেন্টিটি থেকে আলাদা হচ্ছে?
(২) ষাটের দশকে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ শেষপর্যন্ত 'বীর-বাঙালি অস্ত্র ধরো' পর্যায়ে নিয়ে যায়, তার কোনো ডিসকোর্স আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়, লেখনীতে হাজির আছে কি? নাকি তা, কোলকাত্তাই বাঙালি জাতীয়তাবোধের এক্সটেনশন?
(৩) বাঙালি জাতীয়তাবাদ-এর ডিসকোর্স স্বাধীন সার্বভৌম গ্রেটার বেঙ্গল (ভারত-পাকিস্তানের বাঙলাখণ্ড) মুভমেন্টের ব্যাপারে নীরব কেন?
৬। ধীরে ধীরে জট খুলবে আশা করি।
৭। "বাপরে! পুরা একশ বছর!! আমার কিন্তু মনে হয় ইতিহাসে আগুপিছু নাই।"
---ইতিহাস নির্মাণে বা তার বাঁকপরিবর্তনে ব্যক্তি/ সম্প্রদায়ের ভূমিকার বদলে ব্যাপারটা কী তবে অমোঘ নিয়ম বা নিয়তি? এখানে কি কোনো নিয়ামক নাই?
একশ বছর পিছিয়ে পড়া বলতে আমি ঠিক কী বলতে চেয়েছি তা আবার একটু পরিষ্কার করি।
বাংলা লেখ্যভাষা যেভাবে ক্রমশ মৌখিক বুলির কাছাকাছি এসে হাজির হয়েছে, তা কিন্তু বিদ্যাসাগর-বঙ্কিমদের আগেই ঘটে গিয়েছিল। প্রাচীন দলিলদস্তাবেজ, চিঠিপত্রই শুধু নয়, আমি বলেছি, প্যারীচাঁদ বা কালীপ্রসন্নের হাতেও সে নিদর্শন আমরা পাচ্ছি।
কবিতার ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মাইকেল মধুসূদন, যার ভাষার সত্যিকার উত্তরাধিকার তৈরি হলো না---কারণ ভারতচন্দ্র বা রামপ্রসাদ---মানে একশ বছর আগে ভাষা যে সরসতা ও প্রাঞ্জলতা অর্জন করেছিল, সেখানে মাইকেল-এ যেন একটু ব্যাকফুটে চলে যাওয়া। এগুলিকে বলা হয় ইতিহাসের মধ্যখণ্ডন...ইত্যাদি।
অর্থাৎ, লক্ষ্যযোগ্য বিষয় হলো, সংস্কৃতের কৃত্রিম আধিপত্য, যা সংঘটিত হয়েছিল ইংরেজ প্রকল্পের আওতায়। আশ্চর্য!
Kamruzzaman Jahangir
Tushar Gayen... See More, বাম রাজনীতির পন্থি-টন্থি নিয়ে আপাতত পাঠ (কারণ তাতে মা'র সাথে মামুবাড়ির গপ্পো হয়ে যায় আর-কী) না নিলেও চলবে। আপনি এ তথ্য দিন যে, সিপিবি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আপনি কি এ সাধারণ তথ্যটুকু জানেন যে, সিপিবি-মোজাফফর-ছাত্র ইউনিয়ন আলাদা ফ্রন্ট করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল?
মস্কোপন্থিরা অনেককিছুই করেছে। তারা এ স্বপ্নই দেখেছিল, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে মানুষ করতে করতে র্যাডিকেল বামপন্ধি করতিএকদিন সাচ্চা কমিউনিস্ট করা যাবে! তারা আসলে ভাষাভিত্তিক বুর্জোয়া সংগঠণটির কালচারাল উইং (আমি সমকালের সিপিবি'র কথা বলছি না) হয়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত। এবং পৃথিবীর বাম ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একটা বুর্জোয়া সংগঠনের সাথে মার্জ করে নিজেদের অস্তিত্বের বিলোপ ঘোষণা করেছিল। আর চিনপন্থিরা তো চিনের প্রেসক্রিপশন নিতে নিতে, নিজেদের ভিতর ঝগড়া-ফ্যাসাদ করতে করতে, নিজেদেরই বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে।
3 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
বুঝতে পারছি-কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আপনি বামরাজনীতির ঠাকুরদা ঘরাণার লোক। এখানে একটি আলোচনা চলছে। আলোচনাকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য বিভিন্ন তথ্য হাজির করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন কেন? কেন বলছেন--বাম রাজনীতির পন্থি-টন্থি নিয়ে আপাতত পাঠ (কারণ তাতে মা'র সাথে মামুবাড়ির গপ্পো হয়ে যায় আর-কী) না নিলেও চলবে?' যে মা মামাবাড়ি থাকেনি--তাকে তো মামুবাড়... See Moreির গপ্প শোনানোর দরকার আছে।
পাকিস্তান আমলে কমিউনিষ্টরাই সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রের রোশানলে পড়েছে। অধিকাংশ সময়ই কমিউনিষ্টদের প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কমিউনিষ্টদের হাতকে পাকিশাসকরা আবিষ্কার করেছে। আর জেল জুলুম হুলিয়া দেয়া হয়েছে। স্বনামে তারা কাজ করতে পারেন নি। নাচোল সংগ্রাম ইলা মিত্রকে কিভাবে নির্যাচন করা হয়েছে--তা ইতিহাস। খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কমিউনিষ্ট পার্টিকর্মিকে। শাসকগোষ্ঠির অপপ্রচার এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যে, এক শিশু একজন কমিউনিষ্টকে দেখে বলে উঠেছিল, ও বাবা, ইনি তো মানুষ, কমিউনিষ্ট কোথায়। কমিউনিষ্টরা কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল, যুক্তফ্রন্টের সময়।
অভিজ্ঞতা থেকে কমিউনিষ্টরা বুঝেছিল, পাকিশাসকরা চরম প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক বলেই জনগণকে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল করতে হলে--জনগণের আকাঙ্খাকে ধারণ করতে হবে এবং সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সেক্যুলারিজমের প্রশস্ত পথেই কমিউনিষ্টরা কাজ করতে পারবেন। সেজন্য তারা সাতচল্লিশের পর থেকে বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। যার ফলে দেখা যায় ১৯৪৮ সালে তাদের লোকজনই অসাম্প্রদায়িক যুবলীগ গড়ে তুলেছেন, ১৯৫২ সালে অসাম্প্রদায়িক ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের প্রভাবেই আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। আর শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এই মস্কোপন্থী কমিউনিষ্ট কর্মীরাই বাঙালি জাতীয়তাবাদি কর্মকাণ্ডকে অর্গানাইজড করে জনগণের কাছে মূর্ত করেছে। সংস্কৃতি সংসদ, ছায়ানট, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন, উদীচী, খেলাঘর, ইত্যাদি তার উদাহরণ।
একাত্তরে আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল অংশটি সিপিবি, মোজাফ্ফর ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার অপচেষ্টা করে। সেকারণেই তারা আলাদাভাবে ফ্রন্ট হিসাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। বেতিয়ারা যুদ্ধ তাদের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধকালে তারা আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে কাজ করেছেন। শিল্পী-সাহিত্যিকদের সংগঠিত করেছেন। আর চিনাবাদাম কেউ কেউ অলাতচক্র লিখেছেন--তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ত্রুটিবিচ্যূতি ঘাটতে।
এই চিনাবাদামরা ১৯৬২ সালে যখন ভাষানীর নেতৃত্বে আলাদা হয়ে গেল--তখন চিন্তা পন্থীরা ডোন্ট ডিস্টার্ব আয়ুব নীতি গ্রহণ করেছিল। সেই থেকে তারা বাঙালির আকাঙ্খাকে ধারণ না করে, মাও সেতুংকেই তাদের পার্টির চেয়ারম্যান বলেও মনে করত। তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অধিকাংশরাই পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছেন--কেউ কেউ (যাদু মিয়া) মুরগী সাপ্লাইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন (আনোয়ার জাহিদ), কেউ কেউ ভাষানীকে ভারত থেকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়ে হানাদারবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। আবার কেউ কেউ (সর্বহারা পার্টি) পাকবাহিনী ও
41 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
মুক্তিবাহিনী--উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এই চিনাবাদাম অংশটি সরাসরি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তকে শক্তিশালী করেছে। যারা দুদিন আগেও জাতীয়বাদি ছিল, তারা দেশ স্বাধীনের পরে রাতারাতি সমাজতান্ত্রের জ্যাঠা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দল গঠন করে ফেলল। ভাষানী সাহেব জ্বালাও পোড়াও সং... See Moreগ্রাম করে জিয়াকে আশীর্বাদ করে গেলেন। হক-তোয়হা তো পাকিন্তানে চিঠিই লিখে ফেলল, ভ্রাতঃ ভুট্টো, আমরা বাংলাদেশকে মানিয়া লই নাই। আমগো পার্টির নাম এথনও পূর্ব বাংলার ...পার্টি রাখিয়াছি। আপনে আমগো কিছু ট্যাকা রুপী আর অস্ত্র পাঠায়া দেন, বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে ফেরত পাঠায়া দেই। ঘটনা তো এই রকম।
তারপর? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই চিনাবাদামরাই পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে মিলে জিয়াউর রহমানকে মদদ যুগিয়েছেন--বন্দুকের নলের খোচায় সেক্যুলারিজম, সমাজতন্ত্র আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধান থেকে তাড়িয়েছে। একে একে একে একে এরশাদ খালেদা জিয়া সকলের সঙ্গে এই চিনাবাদামরাই মিশে গেছেন। যাদু মিয়া, লেঃ আকবর হোসেন, ক্যাপ্টেন হালিম, সিরাজুল হোসেন খান, হাজী দানেশ, কাজি জাফর, মান্নান ভুঁইয়া, আনোয়ার জাহিদ, ফরহাদ মজহার প্রমুখদের এই প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে শামিল হওয়াকে কি প্রমাণ করে? চিনাবাদামরা পকিস্তান আমল থেকেই প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় রাজনীতি করেছেন--তাদের শেষ পরিণতিও এই জিয়া, এরশাদ, খালেদা, নিজামীদের পদলেহন করে বাঙালির অর্জনকে---গণমানুষের আকাঙ্খাকে নস্যাৎ করা। তারা হল প্রতিক্রিয়াশীলতার পঞ্চম বাহিনী।
40 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
ফিরোজ আহমদকে প্রশ্ন করলেন গালিব, তিনি প্রথম দিকে অংশ নিলেও পরে আর আলোচনায় আসেন নি। আমাকে চ্যাটে বলেছিলেন, তিনি এই নোটটিতে ঢুকতে পারছেন না। তাকে ব্লক করা হলে কি করে তিনি উত্তর দিবেন, গালিব? সবার জন্য আলোচনার দরোজা খোলা রাখুন। আর আলোচনার নিয়মটা মেনে চলুন। আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেগুলো দিন। তারপর আপনি প্রশ্ন করুন। এটাই আলোচনার নিয়ম।
33 minutes ago ·
Farhad Mustafa
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর তো বেশ ভাল কথাবার্তা বলতে পরেন বলেই বোধ হচ্ছে। আপনার আলোচনা বেশ উপভোগ্য এবং বহুরৈখিক বলা যেতে পারে বলে কোন কোন গবেষক ধারণা করতে পারেন। তবে আপনি মাঠ ছেড়ে চলে গেলে বিপক্ষদলকে ওয়াকওভার দিলে চলবে কেমন করে এই আলোচনা? আলোচনাটা চালাইয়া যান। আমরা অনেক কিছু জেনে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে পারছি। আলোচনাটাইতো মূল বিষয় জাহাঙ্গীর ভাই--... See Moreগালিবের নোট পড়ে আপনি উদ্যোগী হয়ে গালিবের পক্ষে কথা বলতে এসে অনেক কথা বলছেন , কিন্তু আবার তুষার গায়েনের কিছু কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রায়মশায়ও কিছু তথ্য হাজির কর আলোচনাকেটাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একপি পরিণতির দিকে। রায়মশাই কি কোন অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়েছেন এইখানে--যদি দিয়ে থাকেন তাকে সেটা দিয়ে আপনি আবার তথ্য বিভিক্ত আলোচনায় ফিরে আসুন রেগে মেরে চলে গিয়ে।
সোহেল হাসান গালিব শূন্য দশকের কবি, আলোচক, গবেষক, সমাজতাত্ত্বিক, সম্পাদিক বলে ইতিমধ্যেই তার একটা জায়গা দখল নেওয়ার চেষ্টায় আছেন। কাব সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ এই কারণেই বোধকরি তার প্রতি প্রত্যাশা করে অনেক নির্ভর করে আশা হত হয়ে দুঃখিত বলে হাহাকার করেছেন--কেন করেছেন তা তার বিষয়। তবে কবি সোহেল হাসান গালিব--আপনি বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নারী বিদ্বেষী, মৃত্যঞ্জয় তর্কলংকারের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ না দিয়েই তাদেরকে এইসব অভিধা দিয়ে চলেছেন--আপনি সেগুলো কি দয় করে দেবেন?
2 seconds ago ·
Kulada Roy
ফরহাদ মুস্তফা, আপনি তো ভেহাসিকের পার্শ্বচর বটে। সাধু সাবধান।
11 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি ফিরোজ আহমদের নামে মিথ্যা কথা বললেন কেন?
11 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
খন্দকার আশরাফ, আপনার ঘন্টির আহলাদ দেখেই বুঝতে পারছি আপনাকে নিয়েই ইলিয়াস তার গল্পগুলো লিখেছিল, মুক্তিযুদ্ধত্তোর লুণ্ঠনের কাহিনীগুলোর উৎস মনে হয় আপনারাই তাহলে। ওহ হো, শহীদুল জহির আস্ত একটা উপন্যাস লিখেছিলেন আপনার কাণ্ড নিয়ে, জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা!
মুক্তিযুদ্ধে হিসাব কই চুকল? মালেক মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের যারা ক্ষমা করেছিল, তাদেরও শুদ্ধুও আমরা ক্ষমা করতে পারি না। আপনার ঘন্টির শব্দ তো বিচারালয়ের না, লুণ্ঠকের ফূর্তি বলেই ঠাহর হতেছে।
টুকু মেয়েরে মনে হয় চিনতে পারেন নাই, তাই শ্লেষ বলে ঠাহর করতে পারলেও শ্লেষের মর্মার্থ বুঝা আপানার কম্মো নয়। বুঝলে বুঝতেন বিচারখান আসলে কেন হবে না। টুকুরা জানিয়ে দেয় কিভাবে রাজাকার মতিনে পরিবার স্বাধীনতার পর রক্ষা পেয়েছিল, যেমন সাকা।... See More
বিস্তারিত খোজ নিয়ে জানবেন আশা করি। অবশ্য বুদ্ধিজীবীদের আজকাল অবস্থা যা দেখছি... দিব্যি ঘন্টি বাজিয়ে ভূড়িভোজে ব্যস্ত। চারিদিকে লুণ্ঠনের উৎসবের ছিটেফোঁটা তারাও পান শুনি।
11 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব, সংক্ষেপে বলি।
২. শরতে যে উদ্ধৃতিগুলো দিলেন, মনে হয় না দরকার ছিল। কারণ ওগুলো আমাদের আগের আলোচনাতেই স্পষ্ট। কথা এইটুকুই, যে লিখিত সাহিত্যরূপকে আমরা চিনি, মধ্যবিত্ত যার ভোক্তা এবং উৎপাদক, সেই অর্থে শরৎচন্দ্রের ওই অবজার্ভেশন তো ঠিকই। এইটা শুধু তো সাহিত্যের মূলধারা সৃষ্টির সাথে অসহযোগিতা না, বরং আমি যেটা প্রথম কমেন্টে বলেছিলাম, বাঙালি মধ্যবিত্ত... See More মুসলমান বলে তেমন সঙ্ঘবদ্ধ কিছু গড়ে না ওঠা, এবং বাঙালবাসী অভিজাত বলে পরিচিতদের উর্দু জবান নির্ভরতা। দেখবেন, বৃটিশ আমলের শেষ দিকেই এই উর্দুভাষী বাঙালি বেশ কিছু পরিবারে বাঙলা চালু হওয়া শুরু হয়েছে, কারণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে দানা বাধা। মফস্বলেও ইশকুলে মুসলমানদের মাঝে বাঙলা শিক্ষার চল শুরু হলো জোরেশোরে।
এখন আপনি যদি মনে করেন প্রথম যুগে মুসলমানরা অসহযোগিতা করেছে, তার প্রমাণ কি? সামন্ত-ধর্মীয় প্রভাবাধীন অভিজাতদের একটা বড় অংশ ইংরেজি শিক্ষাকে গোনাহ মনে করত, এই শুধু? আলীগড় আন্দোলনে ইতিহাস ঘেটে দেখেন, অভিজাত ও নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের মাঝে ইংরেজি শিক্ষা ও ইংরেজদের সাথে সহযোগিতার্ ইতিহাস উপনিবেশিক পর্বে বাংলা ভাষায় আত্মনিয়োগের চেয়ে বেশ পুরনো।
10 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
এই টুকু কে,ফিরোজ ভাই ?
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আয় হায় শেখ কামালের বন্ধু টুকুকে চিনেন না? খন্দকার আশরাফ চেনেন, ওনারে শুধান। কয়দিন আগে এত জাক জমক করে তার কন্যার সাথে আরেক জন শেখসন্তানের বিয়ে হল তো।
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব পুরানা কমেন্টগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। স্মৃতি থেকে কিছু ক্লিয়ার করি।
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধীর আত্মজীবনীর কথা তুলেছিলাম স্রেফ এইটা বুঝানোর জন্য যে, হিন্দু মুসলমানের এই পরস্পর পরিচয়টা খুব সরল ছিল না, এক রৈখিকও না। দূর থেকে বহু বিষয়কেই সরল রেখা মনে হয়, যেমনটা সুমন রহমানের মনে হয়েছিল এই পরস্পের পরিচয়ের কথাটা, কিন্তু ওই আত্মজীবনীটা পড়লেই দেখবেন ব... See Moreিষয়টাতে যথেষ্টই জটিলতার মশলা আছে। পরস্পের শক্তি ক্ষমতা আর তাৎপর্য নিয়ে একটা দীর্ঘ আগুপিছু মোলাকাত আর উপেক্ষার চেষ্টার পরই এই ঐক্য সম্ভব হয়েছিল, আর সেইটাও আবার কোন অটুট ঐক্য না, তাও পরেরকার ইতিহাস দেখিয়ে দিলেও ভারতের সবচে সংগঠিত মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং তার সূত্রে ভারতব্যাপী ছড়ানো মাদ্রাসাগুলো কংগ্রেসের সমর্থক হিসাবেই রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছিল। এই বিষয়টা ভোলা গালিব অন্যায় হবে। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন, জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দও সেই অনুযায়ী ভূমিকাই রাখে। এবং কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার বিকাশ ও চূড়ান্ত সীমাবদ্ধতা বোঝার জন্য এইটা ঘটনাটা খুব জরুরি গালিব। মোট কথা এই পরিচয়টা ঠিক নিয়তি আকারে ঘটে নাই, ঘটেছিল ঘটনাপ্রবাহে।
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আর শেষ যে বিষয়টা, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের, এইটা নিয়াও যাস্ট এইটা বলাই মনে হয় যথেষ্ট হবে যে, এইটা কেবল একটা শক্তিশালী অ্যলিগরি। উপনিবেশিক বাঙলালায় নজরুল ইসলামের মত আরও অনেক শক্তিশালী মুসলমান লেখক জন্মেছেন সত্যি, কিন্তু ভাবমানসে মূলধারার মুসলমানী সংস্কৃতিতে যে পরবাসী ভাবটা ছিল, সেইটাকে কাটিয়ে উঠেছেন তাজউদ্দীন আহমেদের মত রাজনীতিবিদদের প্রজন্ম। গাণ্ধীর ম... See Moreৃত্যুতে তাজউদ্দীনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আহমেদ কামাল একটা দারুণ লেখা লিখেছেন, ওই খানে পাকিস্তানী মোহ কাটিয়ে তরুন প্রজন্মের বাঙালি মুসলমান রাজনীতিবিদদের স্বভূমিকর্ষণের প্রবণতার ইঙ্গিতটা পাবেন। ওই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহারকে যুক্ত করে আবার খোলাসা করি, বিষয়টা এই না যে বাঙালি মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে বাঙালি হলো, এইটা ওনার সাধিত বক্তব্যবিকৃতি। বিষয় বরং এই যে, চিন্তার কেন্দ্রে স্বদেশ সংস্কৃতি এলো প্রধান ঘটনা হিসেবে।
আর এত লম্বা আলোচনার পর নতুন কিছু যোগ করতে ক্লান্ত লাগছে। আলোচনাও কেমন যেন হাল্কা চালের হয়ে যাচ্ছে, ঠিক করেছি এই লেখায় রসিকতা ছাড়া আর কিছু করব না।
10 hours ago
Rahil Rohan
Rahil Rohan
Sohel Hasan Galib @ Rahil Rohan,
বাঙালি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস না করলে যদি বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হয়, তাহলে পাহাড়ি-আদিবাসীরা নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের শত্রু!
Na- galib bhai, ami bolechilam বাঙালি জাতীয়তাবোধে chilo ONE OF THE MAIN FACTORS! chakma raja anti 71 hoileo as usual amader pahari bondhura shadhinotar pokkkhei chilen.... ... See More
but now situation is different - bangladesh ke ekhon aar oshikaar kore kon shalay? Jaamati, O jamaati, Hindu, muslim, ehudi - K na maney BANGLADESH!!!
now BANGLADESH rastrer shotru hoa bishoi na - bishoy holo BANGLADESH rastro ta nijer haat e rekhey er baki itihaash joto druto bodle deya jai!
bangladesh JINDA BAAD!
10 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই, কাল সকালে কলেজ যাব এবং দুদিন মানিকগঞ্জ থাকবো। তারপর এসে হয়তো আলোচনায় ঢোকা যাবে।
যাবার আগে দুটো কথা।
২। এইখানে মতদ্বৈততা ঠিক কোন জায়গায়, স্পষ্ট নয়। মূলধারা, নব্য নগর-মধ্যবিত্ত ব্যাপারটাই যেহেতু ইংরেজসংশ্লিষ্টতায় সৃষ্ট, এখানে তাদের অব্যবহিত শত্রু মুসলমানদের না থাকবারই তো কথা, তাই না? ইংরেজের ফোর্ট-প্রকল্পে মুসলমান নাই।... See More
তাই এই ধারায় মুসলমান লেখক আসবে কোত্থেকে।
তার মানে কি এই সময়ে মুসলমানদের বাংলা চর্চা হয় নাই??? দ্রষ্টব্য : মধ্যযুগের বাংলাসাহিত্য/আহমদ শরীফ।
এমনকি মূলধারায় প্রবিষ্ট মীর মশারফ থেকে নজরুল অবধি সকলেই কোনো না কোনোভাবে পুথিসাহিত্যের উত্তরাধিকার বহন করেছেন।
এই ব্যাপারটা শরৎ বুঝতে পারেন নাই। রবীন্দ্রনাথ বুঝেছেন। কারণ ২২ বছর বয়স থেকে তিনি 'লোকসাহিত্য' সংগ্রহ করেছেন। এইখানে বলে রাখি, বাংলা কবিতার সংকলন অদ্যাবধি যা যা হয়েছে, আমার বিবেচনায় রবীন্দ্রনাথেরটাই শ্রেষ্ঠ। কারণ একমাত্র তার সংকলনেই মূলধারা-উপধারা, লিখিত-মৌখিক সকল সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব আছে।
"বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমান বলে তেমন সঙ্ঘবদ্ধ কিছু গড়ে না ওঠা, এবং বাঙালবাসী অভিজাত বলে পরিচিতদের উর্দু জবান নির্ভরতা। দেখবেন, বৃটিশ আমলের শেষ দিকেই এই উর্দুভাষী বাঙালি বেশ কিছু পরিবারে বাঙলা চালু হওয়া শুরু হয়েছে, কারণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে দানা বাধা"
---আমরা এই কথাটাই বলতে চেয়েছি যে বাঙালি মুসলমানকে আদার হিশেবে দেখবার রেওয়াজ ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত সঙ্ঘবদ্ধ মুসলমান মধ্যবিত্ত গড়ে ওঠে নাই।
তার মানে এই নয় যে, এর আগে বাঙালি মুসলমান উর্দুভাষী ছিল।
ইংরেজি শিক্ষাকে গোনাহ মনে করা শুধু পাপপুণ্যের বয়ান বলে মনে হয় না। এর মধ্যে মর্মগতভাবে ইংরেজ-প্রত্যাখ্যানের ব্যাপার আছে।
ভারতে প্রতিবাদের রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুষঙ্গ ঐতিহাসিক ঘটনা।
পরবর্তীকালে ইংরেজি শিক্ষায় ব্যাকুলতা ব্যর্থ বঞ্চনার প্রতিক্রিয়া মাত্র, যা হিন্দুত্বের প্রতিযোগী।
পক্ষান্তরে, আনন্দমঠে পাচ্ছি এই নির্মীয়মাণ মধ্যবিত্তের প্রতি অসূয়া, আতঙ্ক।
(চলবে)
9 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধীর আত্মজীবনী পড়ি নাই। এই প্রসঙ্গটা ঠিক কোন কথার প্রতিবাদে এল সেটাও বুঝি নাই। সুমন রহমান কিন্তু পরস্পরের পরিচয়ের কথা বলেন নাই। তিনি আপনাকে বলেছেন :
"ভাষাপ্রশ্নে বাঙলাদেশের মুসলমান ও হিন্দুর পরস্পরকে "খুব ধীরে" চেনার প্রক্রিয়ার কঘা বলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি রবীণ্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্যে মুসলিম চরিত্রদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে খেয়াল করছেন। একটা নিরালম্ব সাহিত্যিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখলে এই যুক্তিকে গ্রহণীয় লাগে। কিন্তু একে সমসাময়িক হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির ঘাত প্রতিঘাতের সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে ধন্দ তৈরি হয়। যে মুহূর্তে সাহিত্যে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের ব্যাপারে সহনশীল হতে শুরু করেছে, ঠিক একই মুহূর্তে রাজনীতিতে কিন্তু হিন্দু মুসলিম পরস্পর থেকে দূরে যেতে/পরস্পর বিষয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ফলে, রবীন্দ্রনাথ/শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক প্রকল্প মূলত একটি আকাঙ্ক্ষার প্রকল্প। রবীন্দ্রনাথের বাউল-প্রমোশন সেই প্রকল্পেরই অংশ।"
---এই বক্তব্যে ঠিক সমস্যা কোথায় বুঝি নাই।... See More
কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তুলে ধরলেন, কিন্তু চূড়ান্ত সীমাবদ্ধতা কী সেটা বললেন না।
পরিশেষে, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পয়েন্টে তিনটি প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তর দিলেন না। আগাম রসিকতার আভাস দিয়ে রাখলেন। কেন জানি না। তবু প্রশ্নগুলো রিপিট করছি :
এলিট ও চাষা বাঙালি মুসলমানের স্বার্থের সম্মিলনই যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন :
(১) এই বাঙালিগণের আইডেন্টিটি কী কী প্রশ্নে কোলকাতার বাঙালিগণের আইডেন্টিটি থেকে আলাদা?
(২) ষাটের দশকে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ শেষপর্যন্ত 'বীর-বাঙালি অস্ত্র ধরো' পর্যায়ে নিয়ে যায়, তার কোনো ডিসকোর্স আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়, লেখনীতে হাজির ছিল কি? নাকি তা, কোলকাত্তাই বাঙালি জাতীয়তাবোধের এক্সটেনশন?
(৩) বাঙালি জাতীয়তাবাদ-এর ডিসকোর্স স্বাধীন সার্বভৌম গ্রেটার বেঙ্গল (ভারত-পাকিস্তানের বাঙলাখণ্ড) মুভমেন্টের ব্যাপারে নীরব কেন?
9 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
সুমন রহমান ওই রাজনীতি আর সাহিত্যের আকাঙ্খার মাঝের ফারাক দেখেই চিনে উঠার ধারণাটাকে নিরালম্ব বলছেন, ওইটাতেই আপত্তি। আগের কমেন্টগুলোতে খেয়াল করেন, যখনই সক্রিয় রাজনীতির শক্তি হিসাবে মুসলমানদের অভ্যুদয় ঘটলো, তার বিষয়ে সচেতন হবার প্রশ্নও তখন থেকেই শুরু। কিন্তু এইটা খুব দ্রুত বিকশিত হয় নাই বা এক রৈখিক বিস্তার/ বিকাশও ঘটে নাই। উনিশ শতকের শেষ দিকের ১৮৭২ সা... See Moreলের আদমশুমারীর আগে মুসলমানরা যে বাঙলা ভূখণ্ডে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় তা কেউ ভাবেনই নাই। কিন্তু মূলধারায় মুসলমাদের নিয়মিত রাজনৈতিক ক্রিয়া বলতে তখন কেবল অভিজাতদের দেন দরবার। আবার পরের শতকের তিরিশের দশকে সাধারণ প্রজা পর্যন্ত ভোটাধিকার পাওয়ার ঘটনাটায় সাধারণ চাষারও রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে অভ্যুদয়।
এখন দেখেন, এলিট মুসলমান নিজ সম্প্রদায়টা সংখ্যাগুরু জেনেও নিজেকে সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করারই চেষ্টা করেছে। আপনি যে ইংরেজি বর্জনকে বলছেন রাজনৈতিক প্রতিরোধ, আর কেউ সেইটাকে ফিউডাল রেমনেন্ট হিসাবেও দেখতে পারে। কারণ জাতিগত ভাবে সম্মিলিত প্রতিরোধ ঘটেছে বা আরও ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আধুনিক কালেই। আর সেইটা একটা সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির উপরে ওঠাকে একটা শর্ত হিসাবে নিয়েই। ওই স্থানেই দেওবন্দী সিন্ধীর প্রাসঙ্গিকতা। অর্থ খুব পরিস্কার, যে ইংরেজিবিদ্বেষী মুসলমানরে আপনি ইতিবাচক রাজনৈতিক অর্থে দেখতে চান, সে আর পরবর্তীকালেরে মুসলিম লীগের সাম্প্রাদায়িক ইংরেজ তোষক তো রাজনৈতিক দিক দিয়াই এক না! গালিব, আপনি কার উত্তরাধিকার?
মানে ধারা এইখানে এক ছিল না, দ্বন্দ্বের বিষয়ও একটা ছিল না। উলম্ব বিকাশের তাই প্রশ্নও আসে না। দ্বন্দ্ব যখন রাজনীতিকেও যথেষ্ট পরিমানে তেতো করল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আকাঙ্খার বিকাশ সাহিত্যে তখন সবচে বেশি ঘটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বঙ্গভঙ্গ এবং তা রদ হিন্দু সম্প্রদায়ের আপাত বিজয় হলেও মুসলমানের প্রবল সাম্প্রদায়গত শক্তিটাকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল, ফলে রাজনীতি যতই তপ্ত হোক, সাহিত্যে আকাঙ্খার ছাপ তো পড়বেই। কিন্তু এই আকাঙ্খাটারে কেবল সাহিত্যিক বলে ভাবার তো কারণ নাই। সাহিত্যে যখন ছিল, বাস্তবেও ওই ধারারও তাৎপর্যপূর্ণ উপস্থিতিও ছিল। কিন্তু কায়েমী স্বার্থের বিষয়ে ফায়সালা না করে হয়তো মিলন হয় না, পুরোনো হিন্দু মধ্যবিত্তের সাথে নতুন গজানো মুসলমান মধ্যবিত্তেরও হয় নাই।
3 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আর গালিব যে তিনটি প্রশ্ন করেছেন, প্রথমটার উত্তর আপনার কাছ থেকেই শুনতে আগ্রহী। দ্বিতীয়টাও নিশ্চয়ই ছিল। কেন তা কোলকাতার নিছক এক্সটেনশন হতে যাবে? প্রশ্নটার একটাই জটিলতা আছে, সেইটা হলো পূববাঙলায় ষাট দশকে বিকশিত বাঙালি জাতিয়তাবাদী সংস্কৃতিচর্চার মাঝে হীনমন্য কোলকাতা ঝোক, মুক্তিযুদ্ধেও সেইটা প্রবলতর ধারা ছিল বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবেই আরও বহু জাতির মাঝে রাজনীতি বিকাশের ভরকেন্দ্র নতুন নতুন অঞ্চলে সরে আসে, বিশেষ করে স্বাধীন রাষ্ট্র পুববাঙলাকে বাঙালি জাতির সবচে গতিশীল অংশে পরিনত করেছে বা আরও করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তো আমরা যদি সবচে গতিশীল অংশ হইও, আমাদেরই দায়িত্ব বাকিদের আতঙ্কগ্রস্ত না করা।
তৃতীয় প্রশ্নটা গালিব, সংক্ষেপে এই খানে আলোচনা করা সম্ভব না। এইটা শুধু এই অঞ্চলের জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের প্রশ্ন না, এইটা বৃহত ভারতীয় পুজির স্বার্থের সাথে অগুনিত ভারতীয় জাতির দ্বন্দ্বের প্রশ্ন, এবং এখনও এইটা দ্বন্দ্বের প্রধান দিকে পরিনত না হলেও ঘটনা প্রবাহ সেই দিকে যাচ্ছে বলেই ভরসা করি। সবগুলো স্বাধীন জাতির আঞ্চলিক সম্পর্ক নিশ্চয়ই পুরো প্রেক্ষিতটাই পাল্টে দেবে, ভারতীয়তা হয়তো তখন কেবল য়ুরোপীয়তার মতো একটা আঞ্চলিক পরিচয়ের মত হবে।
রাষ্ট্র হিসাবে ভারত ফ্যাসিস্টতর, কারণ তাকে দাড়িয়ে থাকতে হয় জাতিগত পরিচয়কে দলন করে। আশা করি গালিব, আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন, আমার মনে হয় না এই প্রশ্নে সকলে নীরব। কিন্তু এই রাজনীতি বিকাশের মাত্রা অনুযায়ীই বক্তব্য দেয়াটা বাস্তব সম্মত হবে, আগ বাড়িয়ে কথা বলার দরকারটা কী?... See More
আর রসিকতা কথাটা ঘন্টি-বাদ্য-বাজনা ইত্যাদির প্রসঙ্গে করা। স্বাধীনতার মোক্ষ যারা পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে, তাদের প্রতি ঈর্ষাবশতঃ। আমরা মুক্তির স্বাদ পাই নাই এখনো, আমাদের হিংসা তো স্বাভাবিক।
2 hours ago
Tushar Gayen
Tushar Gayen
@ Tarique Tuku
আমরা আলোচনা করছি বাংলা ভাষা ও তার রাজনীতি, জতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম ইত্যাকার বিষয় নিয়ে। এখানে ভাই-বেরাদরের প্রসঙ্গ আসে কেন, আমি তো বুঝতে পারি না। এই ধরণের প্রশ্ন কি আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক? কেউ কারো বাসায় বেড়াতে গেলে বা কারো সাথে আড্ডা দিলেই কি তার চিন্তা ও মতাদর্শে হয়ে দীক্ষিত যায়? এমন কথা কি কেউ কোনো দিন বলেছে? একজন মানুষ কি চিন্তা ও ভাবনা প্রকাশ করে, তা দিয়েই তার পরিচয়! সেটা কারো সাথে মিশেও হতে পারে, না মিশেও হতে পারে। আজ যদি আমি ঢাকায় যাই, আপনার সাথে আজিজ মার্কেটে বসে চা আর ফুচকা খাই, তার মানে কি এই হবে যে, আমি আপনার চিন্তা গ্রহন করলাম বা আপনি আমার মতাদর্শে দীক্ষিত হয়ে গেলেন?
আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন। ... See More
about an hour ago
Farhad Mustafa
Farhad Mustafa
সোহেল হাসান গালিবকৃত এই নোটটির সঙ্গে মন্তব্যাদি পাঠ করে কয়েকটি পর্যব্ক্ষেণ চোখে পড়ল--
১। নোটটির শীরোণামে বক্তিচরিত্রকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
২। জাতীয়তাবাদকে অন্ধ বলা হলেও অন্ধত্বের কারণকে সুসংগঠিতভাবে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করা হয় নাই।
৩। কুলদা রায়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি কোন ভাবেই প্রমাণ করা যায় নাই।
৪। খোন্দকার আশরাফ হোসেন সম্পর্কে আনীত অভিযোগটি অতিশয় গৌণ যার অজুহাতে তাঁর মত একজন প্রজ্ঞ, কবি, আলোচক, সম্পাদক ও অধ্যাপককে হেয় করতে পারেন না অপেক্ষাকৃত তরুণ কবি ও পরিচিতিকামী।... See More
৫। মূল আলোচনা হিসাবে ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন নামের বইয়ের সারাংশকে হাজির করা হয়েছে বলে কোন মন্তব্যকারী অভিযোগ তুলেছেন নোটদাতা সোহেল হাসানের বিরুদ্ধে--তিনি অভিযোগটি অস্বীকার বা নাকচ করেন নাই।
৬। এখানে মারমুখীভাবে বাঙালি জাতীয়বাদ, সেক্যুলারিজম, মুক্তিযুদ্ধ, প্রমিত বাংলাভাষা, রবীন্দ্রনাথ, হিন্দু সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা হয়েছে যার কোনরূপ প্রামাণিক তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হয় নাই।
৭। সোহেল হাসানের বক্তব্য খাপছাড়া, অপ্রাসাঙ্গিক, এবং বিদ্বেষপূর্ণভাবে উপস্থাপিত এবং কোন কোন উপস্থাপনা বিশেষ কৌশলে হেয়ালীপূর্ণ যা সরালে বিষধর সাপের মত ভেদভাব ফোস করে ওঠে--এবং এর সরলার্থ জানতে চাইলেও নোটদাতার নীরবতা সন্দেহজনক যা নোটটির অসাধু উদ্দেশ্যের দিকে আঙুল উচিয়ে ধরে।
৯। দুজন পরিণত কবির অন্যতম সুমন রহমান কোন প্রকার সৎ যুক্তি ছাড়াই নোটদাতার ব্যক্তিবিদ্বেষকে সমর্থন করেছেন। আরেকজন কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ নোটদাতার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক উল্লেক করলেও নোটটির অসারতা ও বিপজ্জনক অন্ধ প্রতিক্রিয়াশীলতার মর্মটি অনুধাবন করে একটি এক্সিট ডোর খুঁজে বিদায় নিয়েছেন এই বলে যে, ভাষা বিষয়ক তর্কের কথা হলেও নোটটির মন্তব্যে এবং বক্তব্যে গালিগালাজের চর্চা হচ্ছে--সে কারণে তিনি নোটের বাইরে তার মর্মযাতনা প্রকাশ করে একটি স্বতন্ত্র নোট দিয়ে তার স্নেহের পাত্রের ভ্রান্তিকে অভূতপূর্ব স্নেহশীলতার মধ্যে দিয়ে 'দুঃখিত গালিব' বলে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। তাতেও তিনি পুরোপুরি কলুষমুক্ত নির্ভার ভাবতে পারেন নাই নিজেকে--এবং সেজন্য সোহেল হাসানের সাম্প্রতিক ওস্তাদ ফরহাদ মজহারের চরম প্রতিক্রিয়াশীল জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে তার লিখিত অপ্রকাশিত একটি নোট প্রকাশিত করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, তিনি ফরহাদ মজহারের লাইনের নয়। এবং নোটটি প্রকাশিত হলে তার অবস।তানকে সন্দেহ করার সুযোগ হত না।
১০। নোটদাতা সোহেল হাসান বছর খানের আগে যে সেক্যুলার বাঙালি ঘরাণার রাজনীতির গভীরে অবস্থান করতেন বলে আত্মশ্লাঘা বোধ করেছিলেন-- সে প্রসঙ্গ তুলে একজন মন্তব্যকারী অভিযোগ করে দেখিয়েছেন যে, প্রতক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ শেকল যখন কেউ বরণ করে নেন--- হিস্ট্রিয়াগ্রস্থতা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না।
>>চলমান>>
34 minutes ago ·
Farhad Mustafa
Farhad Mustafa
১১। নোটদাতা সোহেল হাসান বক্তব্যের পরিণতি না বুঝেই আক্রমণ করতে করতে এক পর্যায়ে ভয়াবহ কিছু শব্দ, বাক্য প্রয়োগ করে চলেছেন যা, চূড়ান্ত রকমের ভ্রান্ত, অসার এবং বিদ্বেষ বিষে পূর্ণ যা স্কুল পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্টাইলের চেয়েও নিম্নমানের এবং তিনি এক পর্যায়ে 'বাংলাদে'শ শব্দটির নামকরণ নিয়েও অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে বাংলাদেশকে 'জংলাদেশের' সমতুল্য করার অপচেষ্টা করেছেন। এখানে তার বুদ্ধিবৃত্তিক অপরিণতিটাই প্রকাশ করেছেন যাকে বলা হয় বালখিল্যপনা।
১২। সোহেল হাসান এই নোটে এবং মন্তব্যে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন এবং একটি আদর্শকে অসৎভাবে নাকচ করার চেষ্টা করেছেন। তার সহযোগী কবি তারিক টুকু মন্তব্যের মর্মকে আড়াল করে মন্তব্যকারীকে আক্রমণ করেছেন, যেমন কুলদা রায় মনে করেছেন যে, অতীতের মতো নোটদাতা সোহেল হাসান তার অভ্যাস মোতাবেক এই নোটটি থেকে তার প্রতিকূলে কোন মন্তব্য গেলে তাকে ডিলিট এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীকে ব্লক করতে পারেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা যাতে হয়ে ওঠে সেজন্য গল্পকার পাপড়ি রহমান সতর্ক করেছেন এবং কুলদা রায় বারবার আহবান করেছেন যেন, নোটিট নিয়ন্ত্রণ না করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, কিন্তু তারিক টুকু এই আহবানকে আমলে না নিয়ে কুলদা রায়কে মিথ্যেবাদি বলেছেন। কুলদা রায় যে ব্যক্তির নাম বলেছেন--তা ফিরোজ আহমদ/ রেজাউর রহমান/ মুজিব মেহদী/ কুলদা রায় হলেও হতে পারে , এখানে কোন ব্যক্তির নামটি মুখ্য নয় --বক্তব্যটিই মুখ্য এটা তারিক টুকু আড়াল করে কুলদা রায়কে 'মিথ্যে কথা বলছেন' বলেছেন যা তার চিন্তার সন্ত্রাসকেই প্রকাশ করছে।
১৩। তুষার গায়েন, কুলদা রায়, ফিরোজ আহমদ, রেজাউর রহমান, রাহিল রোহান প্রমুখ প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে তথ্য উপাত্ত যুক্তিসহকারে উপস্থান করছেন --যার মধ্যে সংযমতা ও পরিমিতি লক্ষ্যণীয়। অপর পক্ষে তারিক টুকু, সোহেল হাসান গালিবের বক্তব্য যুক্তিকে এড়ানো, অর্থহীন অপ্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তি আক্রমণাত্মক। তারা দুজনেই নির্বিচারে গালিগালাজ বর্ষণ করছেন যা সকল প্রকার শিষ্টতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।
১৪। কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের আলোচনায় কিছু সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেও নানা স্ববিরোধী ও লক্ষ্যহীনভাবে অসার বুঝতে পেরেই তিনি এক্সিট ডোর বেছে নিচ্ছেন বলে ঘোষণা করেছেন।... See More
১৫। যারা সাধারণত সোহেল হাসান গালিবের নোটে মুখর থাকেন--এ নোটে তারা লক্ষ্যণীয়ভাবে অনুপস্থিত-- এটা প্রমাণ করে যে, কোন প্রতিক্রিয়াশীলতা নয়, মানূষ পর্যন্ত সুস্থতার পক্ষেই অবস্থান করে।
about a minute ago ·
Tarique Tuku
এতো দেখি সোহেল হাসান গালিবের নোটের নামকরনের স্বার্থকতা প্রমান জাতিয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ফরহাদ মুস্তাফা। ক্লাস ফাইভের বাচ্চার কাজ।
ফরহাদ মুস্তাফা, আপনি দিতেছেন প্রক্সি। আপনার কথার উত্তর দেয়ার মানেই হয় না। কুলদারে আসতে কন। তিনি যে মিথ্যা কইছেন না যুধিস্টির হইছেন, তা প্রমান করতেসি।
11 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
তুষার দা, হাসাইলেন। আমি তো জানি ফরহাদ মাজহারের সাথে তাপস দার সম্পর্ক আজিজ মার্কেটে দাড়াইয়া ফুচকা খাওার চেয়ে অনেক অনেক বেশি গভীর। এমনকি, তাপস দা ফরহাদ মাজহারের অনেক কথা রীতিমতো আমল করেন বলেও জানি। তাইলে কি এখন আপনার ভাই বইলা তারে রাজাকার বলন যাইব না?
11 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
এমনকি, তাপসদা ফরহাদ মাজহারের অনেক কথা রীতিমতো আমল করেন বলেও জানি।
ফরহাদ মাজহারের কি কি কথা তাপস আমল করে বলে আপনি জানেন, তার লিস্ট দেন ও প্রমান দেন।
10 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
একটু নারিন্দা বাজারে আছি দুটো দশাসই কুমড়া কেনার জন্য। এই জন্য একটু বিজি আছি। টুকু, আপনে ভাই ফ্যাসাদের পুরনো কৌশলটা ধরেছেন। এ ছাড়া আপনার ঘটে তো কিছু নাই--তবে নন্দিভৃঙ্গির ভুমিকায় কেন? লেখাপড়া করে আসুন--নিজের পায়ে দাড়ান। আপনার ক্ষমতা মাসলবাজি থেকে বুদ্ধিবৃত্তিতে নিয়ে আসুন। দেখেছেন তো আপনার গুরুরা ফিরতে শুরু করেছেন।
2 hours ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
তুষার গায়েন, আপনি আগে প্রমান করেন তাপস গায়েন ফরহাদের শিষ্য ছিল না। তারপর বলেন, কেন তারে ও রাযাকার বলা যায় না? তারপর আমি আমার প্রমান দিব।
32 minutes ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি নিজেই তো কুষ্মান্ড। কুমড়া কিনার কি দরকার। আমারে যত গালাগাল পারেন করেন, কিন্তু মিথ্যা বলার অপরাধে জাতির কাছে আগে ক্ষমা চান , হে মিথ্যুক।
28 minutes ago · Report
Tushar Gayen
টুকু, প্রত্যেকেরই ধৈর্যের সীমা আছে। আশা করি আপনি সীমা অতিক্রম করবেন না। এই পোস্টের সঙ্গে তাপসের নাম কিভাবে প্রাসঙ্গিক, আগে আপনি তাই বলুন? যুক্তি ও তথ্যে হেরে গিয়ে আপনি উন্মত্তের মত আচরণ করেছেন। ভাই-বেরাদর নিয়ে টানাটানি করেছেন। তাপস ফরহাদ মজহারের শিষ্য, এটা আপনার দাবী। তাহলে, এটা প্রমান করার দায়িত্ব কার? আপনার না আমার?
ফেসবুক চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করার জায়গা। মাস্তানি করার জায়গা নয়।
20 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
স্যরি ফিরোজ আহমদ, ভুলক্রমে রেজাউর নামের বদলে আপনার নামটা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য আমি আপনার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে ব্লক বিষয়ে আপনার সঙ্গে কিছু মজার বাতচিৎ হয়েছিল নেটে। আশা করছি আপনি স্মরণ করতে পারবেন। রেজাউর রহমান তাকে ব্লক করা বিষয়ে যে আমাকে জানিয়েছিলেন এবং স্পষ্টভাবে বলছেন যে তাকে গালিব ব্লক করেছেন তার প্রমাণ দেখুন। আশা করি টুকু আপনার মিথ্যাচার প্রমাণিত হল। রেজাউর রহমানের একদম নিচের মন্তব্য দেখুন--
Kulada Roy April 25 at 10:03am
সেদিন আপনি বলেছিলেন, যে গালিবের নোট আপনি দেখতে পারছেন না, আপনাকে আমি একটি লিংক পাঠালাম--আপনি কি এখনো গালিবের মূল নোটে ঢুকতে পারছেন? ওকি সত্যি সত্যি আপনাকে ব্লক করেছে।
... See More
Rezaur Rahman April 25 at 10:20am... See More
link ta tu den nai parle aber den.
Kulada Roy April 25 at 10:57am
ব্লকটা কি নিশ্চিত করেছে?
Rezaur Rahman April 25 at 12:44pm
je nirchit koreche....... apneder alochona bhalo hoche.thanks link deoer jonno......takte parle upokrito hotam....
3 minutes ago ·
18 minutes ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
আপনি তো দেখি বিরাট মিথ্যুক বাহে, কথার টেম্পারিং এ আপনার জুরি নাই। কোথায় রেজাউর রহমান আর কোথায় ফিরোজ আহমেদ।এই টেম্পারিং /মিথ্যা বলার জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
12 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু এখন আমি একটু নারিন্দা বাজারে আছি দুটো দশাসই কুমড়া কেনার জন্য। এই জন্য একটু বিজি আছি ভাই--মনে কিছু নিবেন না। সব সময়তো নধরকান্তি কুমড়ো জোটানো মুশকিল। আর চাহিদাও তো দেখতে হবে। যে দিনকাল পড়েছে। পয়সা কড়ির টানাটানি। পয়সায়ও সব কিছু মেলে না। সব সময় কাহুদের দরকার পড়ে। কুমড়া ভর্তার খাওয়াটা কিন্তু খারাপ কিছু নয়। লগে দুটো পাঠা কিনতে পারলে মন্দ হত না। ফরহাদ মুস্তফা বলেছেন, প্রতিক্রিয়াশীলতা নয়--মানুষ কিন্তু সুস্থতার পক্ষেই থাকে।
11 minutes ago ·
এই নোটের পরবর্তী মন্তব্য পড়তে হলে নীল রঙে লেখা এই লিংক শব্দটিতে ক্লিক করুন--
অন্ধ জাতীয়তাবাদ, কুলদা-র বিকৃতি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেন
Share
Yesterday at 2:18pm
সেদিন ফেসবুকে দেখি খোন্দকার আশরাফ হোসেনের একগুচ্ছ কবিতার সঙ্গে একটা কার্টুন পোস্ট দিয়েছেন নিক-নটরাজ কুলদা রায়। সেই কার্টুনে দেখা যাচ্ছে একটা টেবিল-টকে মিলিত হয়েছেন কয়েকজন, যথা : ফরহাদ মজহার, সাজ্জাদ শরিফ, ব্রাত্য রাইসু, সুমন রহমান, মাহবুব মোর্শেদ, তারিক টুকু ও আমি। বলা বাহুল্য, নামগুলো বিকৃত। এবং এখানে একজন মহিলাও আছেন, সভাপতির আসনে, এ যে কে বুঝতে পারি নাই। সেখানে ফরহাদ মজহারের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে, 'আবহমান বাঙালি চেতনা একটা ফ্যাসিবাদী চিন্তা'।
ভাবতে অবাক লাগল, কবিতার সঙ্গে এই বিষয়ের কোনো সম্পর্ক না-থাকা সত্ত্বেও কবি ও অধ্যাপক খোন্দকার আশরাফ হোসেন কোনো প্রতিবাদ করলেন না। তাতে এই প্রতীয়মান হয় যে, এটা একটা যৌথ-প্রকল্প, যাতে সায় আছে অধ্যাপক মশায়ের। ফলে একটু আহতই হলাম, একজন প্যারানয়েড, কুলভ্রষ্ট ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের সরব ঠিকাদারের বিকারকে কীভাবে তিনি উপভোগ করেন।
সাম্প্রতিককালের ভাষাবিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন ভাষার বাইরে কিছু নাই, যেমন গৌতম ভাবতেন দেহের বাইরে কিছু নাই। ফলে ভাষা বা দেহে মনঃসংযোগ করলেই জগৎ বোঝা যাবে। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ঘটনাটা দেখি তাই। ভাষা-বিতর্কে সবার কুল-ঠিকুজি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তর্কটা লেগেছে মান-ভাষা ও আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে। এখানে আমাদের বক্তব্য সামান্য। আমরা এটাকে বাহুল্য তর্ক মনে করি। এটা প্রায় মীমাংসিত বিষয়। মান ভাষা যে দাপট নিয়ে আজ হাজির তার মূল ঠিকানা প্রমথ চৌধুরী—বলা হয়ে থাকে। এবং তার চাচাশ্বশুর রবীন্দ্রনাথ এর প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয়, ভাস্তি-জামাইর লেখা পেকে উঠবার আগেই এই ভাষা রবীন্দ্রনাথ ছিন্নপত্রে প্রতিষ্ঠিত করে এসেছেন ছাব্বিশ বছর বয়সেই। তাহলে এরও পূর্বসূত্র খুঁজে পাওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মোদ্দা কথাটি হলো এই, ভারতচন্দ্রই এ ভাষার সাহিত্যক ভিত্তি। প্রমথবাবু অবশ্য আরেকটু পেছনে গিয়ে চণ্ডীদাসকে টেনেছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোলকাতার কথ্যভাষা ও বাগভঙ্গি। এর প্রমাণ পাওয়া যাবে 'আলালের ঘরে দুলাল'-এ। যদিও পরবর্তী সময়ে নিগৃহীত ঠাকুর, মানে টেকচাঁদ ঠাকুর নিজেই এ ভাষা পরিত্যাগ করে কিছুটা বিদ্যাসাগরীয় হয়ে উঠবার চেষ্টা করেছেন। এইখানেই শুরু হলো ভাষার লড়াই। এই দ্বন্দ্ব আধুনিকতাবাদের দ্বন্দ্ব, ঔপনিবেশিকতার ব্যারাম। কারণ আমরা দেখেছি, এনলাইটেনমেন্টের শিক্ষাই হলো, সে মানব-জাতিকে দুইভাগে ভাগ করে—উচ্চসংস্কৃতি ও নিম্নসংস্কৃতি।
ইংরেজসৃষ্ট কেরানিকুলের প্রথম পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলায় লেখাকে হীনদৃষ্টিতে দেখতেন মানে ঘৃণা করতেন। এতে কিছুটা পাপবোধও লেগে থাকতে পারে, যেমনটা সত্য মুসলমান শরাফতের ক্ষেত্রে। তাই নিতান্ত বাধ্যতায় একটা বিকৃত বাংলা গদ্যের সূচনা হয়েছিল তার হাতে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। কেরানিকুলের দ্বিতীয় ধাপের পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা ওরফে বিদ্যাসাগর অগ্রজের ব্যর্থতা মোচনে একটা বুদ্ধি ঠাউরালেন। তিনি সংস্কৃত শব্দকে আশ্রয় করলেন ঠিকই, কিন্তু তাতে মিশিয়ে দিলেন কোলকাতার কথ্যভঙ্গি বা ভাষাস্রোত। রবীন্দ্রনাথ এটাকে বিরাট ঘটনা মনে করেছেন এবং দাবি করেছেন তিনি তার উত্তরাধিকার। কিন্তু তা অর্ধসত্য। বরং রবীন্দ্রনাথের গদ্যের উপর যদি কারও আছর থেকেই থাকে, সে-জন তারা বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। হাতের কাছে বই নেই, থাকলে উদাহরণ দিতে পারতাম। উপরন্তু, রবীন্দ্রনাথ ভাষার ক্ষেত্রে যা করতে চেয়েছিলেন, তা বিদ্যাসাগর নয়, প্যারীচাঁদ মিত্র মহাশয়ই অনেক আগেই গুছিয়ে এনেছিলেন।
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি খোদ কোলকাতাতে যে ভাষাটা শেষ পর্যন্ত শিক্ষিত জনের চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ালো, তা আধেক পুস্তকী, আধেক আঞ্চলিক। প্রমথ চৌধুরী বারবার ভারতচন্দ্রের নাম জপ করেছেন। এখন কথা হলো, পাবনা-নদীয়া-বর্ধমান-বীরভূম মানে ভাগরথী নদীতীরবর্তী অঞ্চলের ও সুতানটী গ্রামের মানে গঙ্গাতীরবর্তী অঞ্চলের মিশ্রিত ভাষাই চলিত তথা মান ভাষা বলে ধার্য হলো সকল বঙ্গভাষীর জন্য। কিন্তু পূর্ববঙ্গ তখনো উচ্চকিত জাগে নি স্বপনে। সেদিন যদি মাস্তানি করবার জন্য আমি থাকতাম, যার বাড়ি টাঙ্গাইল, তাহলে অবধারিতভাবে মৈমনসিংহ গীতিকার মানে ব্রহ্মপুত্র-পাংশুগণের ভাষাই মান ভাষা হিশেবে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতাম :)
বর্তমানে যে ভাষার বড়াই আমরা করছি, এবং যে বাঙালি-সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছি (যার অন্যতম উপাদান বিকৃত সেকুলারিজম, যা উপনিবেশিত হৃদয়ের উৎসার), ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তা ক্যালকেশিয়ান ক্যালকুলাস বলা যায়। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিশেবে নিজের ভাষাটিকে আমরা চাপা দিয়ে রেখেছি অপরের বলে, আঞ্চলিক বলে। নিদারুণ ট্র্যাজেডি হলো এই, শ্যামাচরণ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যারা সংস্কৃতের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করার কথা ভেবেছিলেন, তাদের তুলনামূলক শব্দতত্ত্ব খেয়াল করলে দেখা যায়, ঢাকাই বাংলা কেতাবি ভাষার অনেক বেশি কাছের, কোলকাতার চেয়ে। ভাবতে অবাক লাগে এখনও আমাদের উপন্যাসে, নাটকে লেখা হয়, বলা হয়, 'আসুন', 'বসুন'। কোলকাতা যাদের কল্বে (হৃদয়ে) বসে গেছে, তারা খামাখাই ডরাচ্ছেন। সংস্কৃতির স্বাভাবিক নিয়মে শাসকের ভাষা শাসিতের ভাষায় বিলীন হয় না। বরং শাসিতের ভাষাকেও শাসক আত্মসাৎ করে নেয়। ক্ষমতার অসাম্য বজায় রেখেই একটা ফিউশন এখানে ঘটবে। এবং সেটাই হবে বাংলাদেশের বাংলা, আমাদের ভাষা। একাডেমিক ভাষা-ঐতিহ্যের সঙ্গে আঞ্চলিকতার একটা মোকাবেলা হতেই হবে।
কোলকাতার বাংলাচর্চা এক ধরণের সাম্প্রদায়িকতায় পর্যবসিত হয়েছে অনেক আগেই। কেননা তাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল ইতিহাস—বঙ্কিম থেকে শরৎচন্দ্র অবধি। বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট, শরৎ বা রবীন্দ্রনাথে ততটা নয়, ভাবুকতা ও রোমান্টিকতার ক্যামোফ্লেজ আছে তাতে। শরৎ তো সোজাসাপ্টাই বলেছেন, বাঙালি আর মুসলমানের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে। যেন বাঙালি হবার শর্ত হিন্দু হওয়া, আর মুসলমান মানেই শেখের পোলা, আরবাগত। কোলকাতার একাডেমিশিয়ানদেরও অন্তর্গত ভাব, অনুভাব এমনই। তাদের গোমর ফাঁশ করার জন্য একটা মজার উদাহরণ দিচ্ছি। সংসদ্ বাঙ্গালা অভিধানে 'খালা' মানে 'মেসো' এবং এর স্ত্রী-লিঙ্গ 'খালী' মানে 'মাসী' বলা হয়েছে। অপর ধর্মের পারিবারিক সম্পর্কের ব্যাপারে কতটা উন্নাসিক থাকলে এমন মূর্খতা সম্ভব। বলা হয়েছে 'মামদো ভূত' মানে 'মোহাম্মদীয় ভূত'—এটা কী জিনিশ, আমার অনুধাবনে আসে না। পক্ষান্তরে 'অন্নপ্রাসন' কী জিনিশ এটা ব্যাখ্যা করতে আমাদের কিন্তু ভুল হয় না। বাংলাদেশের 'বাংলা একাডেমী'র অভিধানে অনেক আরবি ফারসি শব্দ আছে যার টিকিটিও নেই কোলকাতার অভিধানগুলিতে। বরং সংস্কৃত ভাষার ব্যুৎপন্নমতি ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা কিছু কিছু আরবি-ফারসি উৎস থেকে উৎসারিত শব্দকেও চিহ্নিত করেছেন সংস্কৃতের অপভ্রংশ হিশেবে। এই আন্দাজের পেছনে অচেতন বেদমুখীনতা লুকিয়ে আছে বলে মনে হয়। এই হলো সেই বেদ যাতে এতদঞ্চলের ভাষাকে 'পক্ষীভাষা' বলা হয়েছে। অর্থাৎ হেথাকার প্রাকৃতজনের ভাষা মনুষ্যমুখবাচ্য নহে।
আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করতে অক্ষম। এর অসার আদর্শ ও আখলাক নিম্নরূপ:
১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব। যার মূর্ত উদাহরণ কুলদা রায়। এরা বাংলাভাষায় ইনশাল্লাহ শুনলে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি তথা ত্রাহি ত্রাহি করে। এদের কাছে ফররুখ আহমদ অনাধুনিক। কিন্তু কমলকুমার মজুমদার সুপার আধুনিক, যার উপন্যাস শুরু হয় এই ভূমিকাবাক্য দিয়ে : জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরদর্শন। অথচ 'সোনালি কাবিন'-এর কাবিন শব্দটাই নাকি গেঁয়ো, অশ্লীল (হুমায়ুন আজাদ)।
২। কোলকাত্তাই মানভাষার শুদ্ধতা রক্ষার দৃপ্ত অঙ্গীকার। অর্থাৎ, আঞ্চলিক ভাষা-বিদ্বেষ। মুসলিম জনপদের ভাষা তাদের কাছে ইতরজনের ভাষা। এই ভাষা উচ্চারণে এদের অজু নষ্ট হয়। অথচ এরা ভুলে যায় তাদের গুরুঠাকুর কিন্তু বলেছিলেন, সত্যিকার বাংলা ব্যাকরণ রচিত হবে আঞ্চলিক ভাষার ব্যাকরণ রচনার মাধ্যমে। এবং এই আহাম্মকদের এও মনে থাকে না যে, বৈষ্ণব পদাবলী থেকে মঙ্গলকাব্য সবই আঞ্চলিক ভাষায় রচিত। নাসিক্য 'ঞ'-এর প্রাদুর্ভাব চণ্ডীদাসের আঞ্চলিকতার বিশেষ চিহ্ন।
৩। 'আবহমান বাঙালি চেতনা' নিঃসন্দেহে একটি ফেক ধারণা। আবহমান বলে কিছু নাই। আর বাঙালি জাতিসত্তার উদ্ভব ও বিকাশ একরৈখিক কোনো ব্যাপার নয়। বাঙালিয়ানার সঙ্গে শাড়িব্লাউজ বা ধুতিপাঞ্জাবির সম্পর্ক এক অর্বাচীনতার নমুনামাত্র। ঠাকুরবাড়ি হতে উৎসারিত। এর সঙ্গে বাংলার লোকায়তিক ভাবচর্চার কোনো সম্পর্ক নাই। এটা একটা ফ্যাশন মানে মুখোশ। অথচ ঠাকুর যতটা না 'বাঙালি' তার থেকে অনেক বেশি 'ভারতীয়'। রবীন্দ্রনাথের দুপাতা প্রবন্ধ যাদের পড়া আছে তারা আমার কথায় নির্দ্বিধায় ইমান আনবেন। মজার ব্যাপার হলো, বাঙালির উপাস্য এই মহাপুরুষ কিন্তু সাত কোটি বাঙালিরে অমানুষ বলেছেন।
৪। বাঙালি যে অমানুষ তা তারা প্রমাণ করে অবাঙালিদের সঙ্গে আচরণে।
সবশেষে বলবো, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এমনকি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের আচরণগত পার্থক্য যে নাই, তা বুঝতে পারা যায় আদিবাসীদের ব্যাপারে তার ভূমিকা বিশ্লেষণ করলেই। জাতীয়তাবাদের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত না করে নিঃসংশয় ভাবাবেগ কী করে উথলায়, তার তল পাওয়া মুশকিল। মুশকিলটা কিন্তু নামকরণে নয়। নাম তো ক্ষমতাশীলের প্রত্নস্বাক্ষর (এক অর্থে 'নামায়ন' গুপ্ত 'রামায়ণ'ই বটে)। বিএনপি ও জামাতপন্থী বুদ্ধিব্যাপারীদের বক্তব্য, 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' কথাটার মধ্যেই অবাঙালিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের বলবো, বাংলাদেশ নামের মধ্যেও তো হাজং, মুরং, চাকমাদের অস্বীকার করা আছে। এদেশের নাম তো হয় নি হাজংদেশ, চাকমাদেশ—চাকমা নামের মধ্যে কিন্তু একটা চেকনাই আছে। আমাদের বিবেচ্য হওয়া উচিত খাসলত। কেননা নাম পরিবর্তন ভড়ংমাত্র হতে পারে। সে হোক 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ' বা 'কাঙালি জাতীয়তাবাদ' অথবা হোক 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ' কিংবা 'জংলাদেশী জাতীয়তাবাদ'।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের স্যাপারেশন চায়, খুব ভালো কথা। তা জাতীয়তাবোধের স্যাপারেশন মানবে কি?
যে অর্থে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি সাম্প্রদায়িক ধারণা, সেই অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবাদও একটি সাম্প্রদায়িক চেতনা।
আমাদের কুলদাবাবু নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক এবং বেয়াদব। লেখক/কবি/ভাবুক হিসেবে এর কোনো অবদান চোখে পড়ে না। এই কুল-কুণ্ডলা যে ভাষায় (কল্পগরু) কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের সঙ্গে তর্কে অবতীর্ণ হয় কিংবা কবি শামসেত তাবরেজীকে 'বুড়ো ভাম' বলতে পারে তাতে হতবাক হই না। অবাক হই তাকে যারা মৌন সমর্থন দিয়ে যান তাদের ব্যাপারে। কুলদা ও তার ভাইবেরাদর প্রত্যেকেই, খেয়াল করেন, বাংলা কবিতার আগাছা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু করতে পারেন নাই। এদের পচনে বড়জোর কম্পোস্ট সার তৈরি হতে পারে বলে আমার ধারণা। এদের প্রতি যত্নশীল হলে বর্তমান আওয়ামী সরকার সম্ভাব্য সার-সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারবে ইনশাল্লাহ।
Written 10 hours ago · Comment · LikeUnlike · Report Note
Jahed Sarwar, Sumon Rahman, Soyeb Muhammad and 8 others like this.
Mukul Kobi Raj
Mukul Kobi Raj
চমতকার! গালিব ভাই, এই শক্তিশালী লেখা'টির জন্যে আপনাকে সাধুবাদ জানাই!:)
9 hours ago · Report
Papree Rahman
Papree Rahman
অনেক ধন্যবাদ গালিব।কেমন আছ তুমি?
ম্যালাদিন পর কোনো নোট দিলা।
কুলদা রায় এর রায় শোনার প্রতিক্ষায় রইলাম।
তর্ক,কুতর্ক, বিতর্ক যাই-ই হোক কেউ যেন কাউকে ডিলিট না মারে।
বা ব্যক্তিগত গালিগালাজ যেন না করে...।... See More
সবাই কুশলে থাকুন।
9 hours ago · Report
Tanvir Akanda
Tanvir Akanda
লেখাটা কি "কপি" করে আমার কশ্পিউটারে রেখে দিতে পারি?
9 hours ago · Report
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
Muzib Mehdy মুজিব মেহদী
প্রথম ও শেষ অনুচ্ছেদের বিতর্ক উসকানো বাড়তি কথাবার্তাগুলো বাদ দিয়ে পুরো লেখাটা একটা পরিশ্রমী মৌলিক প্রবন্ধের মর্যাদায় উন্নীত। এ দুটো অংশ না থাকলে আলাপগুলো হয়ত বিষয়ের মধ্যেই থাকত, এখন যার বাইরে বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট। আমি এ নোটের বিষয়ঘনিষ্ঠ কথাবার্তাগুলো শুনতে আগ্রহী।
8 hours ago · Report
Rezaur Rahman
Rezaur Rahman
galib mogha..... ki koi te chai tai clear korte parlo na. keno na 1st para & last para kono ortho prokash kore na. gali dile hobe na galib shaeb , bujlen.
7 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব,
ঝটিতি পাঠের পর আপাতত কিছু বক্তব্য দেই, আশা করি পরে আরো কিছু বলা যাবে:
ক. আপনার মতো আমারও হাতে রেফারেন্সটা নাই, ফরাসী ভাষায় একটা নির্দিষ্ট ডায়লেক্ট কিভাবে বাকিগুলার ওপর প্রাধান্যশীল হলো, তা নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। সম্ভবত সকল ভাষার বেলাতেই এটা ঘটে থাকে। কিন্তু জরুরি বিষয় হলো এইটা দেখা যে, এই প্রাধান্যের একটা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস থাকে, প্রেক্ষিত থাকে। যুগের পরিবর্তনে কিংবা ক্ষমতাসম্পর্কের ভারসাম্যের বদলে সেইটাও পাল্টাতেই পারে। ... See More
২. শরৎচন্দ্রের ভাগলপুরের ঘটনাটা: ওই স্থানটা বিহারে, ওর বেশিরভাগ মুসলমান অধিবাসী উর্দুভাষী। ওইখানে বেগম রোকেয়াও বাস করেছেন কিছুদিন, তারাও পারিবারিকভাবেই ছিলেন উর্দুভাষী। আবার বাঙালিদের (হিন্দু!) বসতিও ছিল, শরতচন্দ্র নিজেও ছিলেন বহু দিন ওখানে। এরই সাধারণ ফলাফল হলো শরৎচন্দ্রের ওই বাক্যটা, বাঙালি আর মুসলমানদের মাঝে ফুটবল। শরৎচন্দ্র সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে প্রশ্নাতীত ছিলেন না, তার বেশ কিছু প্রবন্ধে এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু গফুর চাষাকে তিনি বাঙালি মনে করতেন না, এইটা মনে হয় ভাবনার বাড়াবাড়ি হবে। শরৎচন্দ্র মুসলমানরা বাঙালি হতে পারবে কিনা, এই প্রশ্নে কি মনে করতেন, তার সিদ্ধান্ত ওই এক বাক্য থেকে নেয়াটা বোধ করি তাই সঠিক হবে না।
৩. প্রাধান্যশীল সাহিত্যিকদের মাঝে বঙ্কিম যতখানি সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেছেন, বাকিদের ক্ষেত্রে তা উত্তোরোত্তর হ্রাসের প্রবণতাই সম্ভবত বেশি দেখা যায। এইটা কি আসলে উভয় সম্প্রদাযেররই ক্রমশ পরস্পরেরে বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠার লক্ষণ নয়? সন্দেহ নেই, বাঙলায় মধ্যবিত্তের মাঝে সংগঠিত আকারে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতারই জন্ম আগে এবং প্রবলতর রূপে। কিন্তু মুসলমানদের মাঝেও সাম্প্রদায়িক মধ্যবিত্ত শক্তির আবির্ভাব ঘটতে সময় খুব বেশি সময় লাগেনি, আর আবির্ভাব মাত্র সে "মুসলমানী" চরিত্র ধারণ করে, এর একটা বড় কারণ ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ হিন্দু মধ্যবিত্তের হিন্দুয়ানীর পাল্টা আওয়াজ তুলে নিজেদের চিহ্নিত করা। এই বিবেচনায় বলা চলে, হিন্দু মধ্যবিত্তের অগ্রজ অবস্থান তার সাম্প্রদায়িকতা আর তার উদারতা উভয়ের সুযোগই আগেভাগেই তৈরি করেছে, সম্ভবত বিস্তৃতও করেছে। এরই ফল হিসেবে, বদরুদ্দীন উমরের ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন বইটাতে যার একটা চিত্র পাওয়া যাবে, কংগ্রেস বিপুল পরিমানে হিন্দু মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করেও 'অসাম্প্রদায়িক' জোব্বা পড়ে থাকতে পেরেছে নিরুপদ্রপে, পাল্টা স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে মুসলীম লিগ খোলাখুলি সাম্প্রাদায়িক আওয়াজ তুলেছে।
6 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
(এইখানে দেখি কথা একবারে কওয়া যায় না, দুই বারে দিতে হবে!)
৫. যেটা আগে বলেছি, হিন্দু এবং মুসলমান উভয়েই পরস্পরকে এবং নিজেকে চেনাটা শুরু করে খুব ধীরে। রবীন্দ্রনাথ বা শরৎ সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের উপস্থিতি দুর্লভ। এই সুযোগটা তারা পান পাঠককূলে বিপুল হিন্দু জনতার উপস্থিতির কারণে, কোন সামাজিক চাপ তাদের অনুভব করতে হয় না। তখনকার দিনের বিপুল ক্ষমতাধর সাহিত্য সম্মেলনগুলোতে প্রায় কোন ফিসফাস এই নিয়ে আসে না। বিকাশরে পরের ধাপেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাই ইসমাইল হোসেন সিরাজীদের ক্রুদ্ধ ভাষাকে ইসলামীকরণের ডাকে। কিন্তু পাকিস্তান একটা বড় পরিবর্তন আনলো, উমরের ভাষায় যেটা হলো "বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন"। এলিটের মুসলমানী রাষ্ট্র যখন মধ্যবিত্ত বা আমজনতা কারোই স্বার্থ রক্ষা করলো না, তখন ভাষাভিত্তিক জাতিয়তাবাদীত্যাজী পূববাঙলার মুসলমান এই বার ধর্মভিত্তিক জাতিয়তাবাদ ত্যাগ করে ক্রমশ আত্মসচেতন হয়ে আবারো ভাষাকেই আকড়ে ধরলো। তো আমরা যখন হিন্দু মধ্যবিত্তের বাংলাভাষাকে সংস্কৃত করার ধান্ধার কথা বলি, আমরা কোন যুক্তিতে মুসলমান ক্ষমতাধরদের বাঙালিত্ব ভোলানোর ধান্ধা ভুলি?
৬. সত্য, আবহমান বাঙালি বলে কিছু নাই। কিন্তু বহতা এক না, একাধিক ধারা যে আছে, তাদের স্বতন্ত্র আবার একই সাথে বিলীন প্রবাহ যে আছে, তাই বা কি করে অস্বীকার করি? আমার মনে হয়, 'কংগ্রেসী ধর্মনিরপেক্ষতা'র ধারণাকেই সামনে তুলে ধরে ধর্মনিরেপক্ষতাকে সাধারণভাবে আক্রমণ করার দৃষ্টিভঙ্গির মাঝেই ত্রুটি আছে। সেই দোষে গালিব, আপনি মনে হয় কিছুটা দুষ্ট।
৭. আবার আসি ফোর্ট উইলিয়মে। হিন্দু পণ্ডিতদের বাঙলাকে সংস্কৃত করার প্রকল্প কি সফল হয়েছিল? না, সেইটা ব্যর্থ প্রকল্প একটা। বাঙলা ভাষার বিস্তার একদম নিজস্ব পথে হয়েছিল। কোলকাতার লোকবুলি কোম্পানির নির্ধারণ করা না। নদীয়ার বিদ্বৎসমাজের ভাষাও না। এইটা যুগের সৃষ্টি, কালের সৃষ্টি। ঘটনা প্রবাহে কোলকাতার রাজধানী হওয়াটা ক্ষমতা সম্পর্কে তারে একটা সুবিধা জনক স্থানে নিলো বটে, কিন্তু ওইটাতো কোম্পানি পণ্ডিতদের প্রকল্প ছিল না। বাঙলা ভাষার আজকের বিকাশে আমরা ফরহাদ মজহারের ইবাদত নামায় ব্যবহার করা বহু আরবী ফার্সী শব্দের আর পুনর্প্রয়োগ ঘটাতে পারবো না। পূর্ববঙ্গীয় বলে আরেকটা যে প্রায় অপরিচিত ডায়লেক্ট আমাদের ওপর জনকয়েক তরুন কবি চাপিয়ে দিয়েছেন, সেইটাও বোধকরি খুব ফলপ্রসূ হবে না। কিন্তু এর মানে এই না যে, বাঙলা একাডেমির ফ্যাসিস্ট (আসলে ফ্যাসিস্টও না, নিদারুণ হাস্যকর, এবং ফালতো) নিয়মেও বাঙলা চলবে।
পূববাঙলার ডায়লেক্ট, তার নাগরিকতা, অর্থনীতির বিকাশ, কবিকূলের বাকস্ফূর্তি সব মিলায়ে এইখানে বাঙলার একটা লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা তৈরে হচ্ছে, হতে থাকবে।
আমার কমেন্টটা অতিদীর্ঘ বলে ক্ষমা করবেন, লিখে অভ্যাস নাই। প্রস্তৃতির অভাবে তা আরও অগোছালো হলো বোধকরি। নোটে ট্যাগ করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
6 hours ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
আমিও মুজিব মেহদীর সাথে একমত যে গালিবের লেখার প্রথম ও শেষ প্যারা খানিক বাড়তিই মনে হয়েছে, নতুবা এটিকে বেশ প্রয়োজনীয় এক কর্ম বলা যায়। শরৎচন্দ্র বাঙালি আর মুসলমান সম্পর্কে যা বলেছেন আসলে সেটা ছিল তখনকার বাস্তবতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই মনে করেন, তারাই প্রকৃত বাঙালি আর পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা হচ্ছে বাঙাল। এই বাঙালরা কৃষক, এদের আভিজাত্য বা উচ্চমার্গীয় র... See Moreুচি নেই। বঙ্কিমবাবু বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে চালু করতে চেয়েছেন, মুসলমানরা বাঙালি তো নয়ই, এরা যবন।
অতি সাধারণ কিছু উদাহরণ থেকে বোঝা যাবে, কলকাতার বেশিরভাগ দাদাবাবুরা বাঙালদের ব্যাপারে কত উদাসীন_ শেখ হাসিনাকে তারা শেখ হাছিনা বলেন, জি-বাংলার এক টিভি-সিরিয়ালে শমী কায়সারকে অনবরত শমী কাইজার লিখে গেছেন। এই সংখ্যা নতুন ধারায় অনিল ঘড়াই তার 'ভূমিভূত্র' নামের গল্পের তিনটি চরিত্রের নাম দিলেন সোফিয়া, নৌসাদ, রজ্জাক। তিনি যদি বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির খোঁজ রাখতেন তাহলে হয়ত নামত্রয় হত সুফিয়া, নওশাদ, রাজ্জাক। কলকাতার টিভিসমূহে মুসলমান চরিত্র মানে রাজাকার মার্কা ড্রেস পরবে, অনেকটা টাউট ধরনের চরিত্র হবে, এবং এরা বিক্রমপুরের একটা বিকৃত ভাষায় কথা বলবে। কেউ কেউ আবার সমন্বয়বাদী মানসিকতা থেকে বেদরকারি কিছু ভালোমানুষী এদের ভিতর আমদানী করেন। আমি এখন পর্যন্ত (অপর্ণা সেনের একটি ফিল্ম ব্যতীত_নামটি এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।) ভদ্র-রুচিশীল-প্রগতিমুখর কোনো মুসলিম চরিত্র তাদের নাটক বা সিনেমায় দেখি নি। আমার ভুল হলে নিশ্চয়ই কেউ তা ঠিক করে দিবেন।
এই আলোচনা খুবই ভাসা-ভাসা কথকতার সমন্বয়। সমাজবাস্তবতার সাথে সমন্বয় রেখে মুসলিম চরিত্র কিভাবে আসবে সেটাও একটা ব্যাপার। এর যথার্থ আলোচনা হোমওয়ার্কপূর্বক করার বাসনা রাখি।
3 hours ago · Report
Sumon Rahman
Sumon Rahman
Firoz Ahmed ভাষাপ্রশ্নে বাঙলাদেশের মুসলমান ও হিন্দুর পরস্পরকে "খুব ধীরে" চেনার প্রক্রিয়ার কঘা বলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি রবীণ্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্যে মুসলিম চরিত্রদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে খেয়াল করছেন। একটা নিরালম্ব সাহিত্যিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখলে এই যুক্তিকে গ্রহণীয় লাগে। কিন্তু একে সমসাময়িক হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির ঘাত প্রতিঘাতের সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে ধন্দ তৈরি হয়। যে মুহূর্তে সাহিত্যে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের ব্যাপারে সহনশীল হতে শুরু করেছে, ঠিক একই মুহূর্তে রাজনীতিতে কিন্তু হিন্দু মুসলিম পরস্পর থেকে দূরে যেতে/পরস্পর বিষয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ফলে, রবীন্দ্রনাথ/শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক প্রকল্প মূলত একটি আকাঙ্ক্ষার প্রকল্প। রবীন্দ্রনাথের বাউল-প্রমোশন সেই প্রকল্পেরই অংশ।
আজকের প্রমিত বাংলা যেমন একদিন একটা ডায়ালেক্ট ছিল, আলোচনার টেবিলেই তাকে মানভাষা করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, আবার আলোচনার টেবিলে বসে এটাকে পাল্টে ফেলতে হবে। ভাষা অনড় জিনিস নয়, সে তার নিজের নিয়মেই পাল্টাবে। সে যেমন গণ-র চিন্তাভাবনাকে বহন করবে, তেমনি সাহিত্যিকদের চিন্তাভাবনাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আবার যারা নতুন ধ্যানধারণার অনুপ্রবেশকে প্রতিরোধ করতে চান, তাদেরো ন্যায্য হিস্যার ব্যবস্থা এই ডিসকোর্সে থাকে বোধ হয়। এই ডায়ালেকটিকস একটা অনিবার্য প্রক্রিয়া, একে গায়ের কিঙবা রূচির জোরে আটকে রাখার সাধ্য নাই, আবার গায়ের জোরে পাল্টে দিবারও ব্যবস্থা নাই। ফেসবুকে গুটিকয় লোকের নামে কার্টুন এঁকে ফেললেই এই প্রক্রিয়া থেমে যাবেনা।
আমি তো্ গালিবের ভূমিকা এবং উপসংহারে সমস্যা দেখছিনা। বরং সততাই দেখছি। যে পাদানি থেকে গালিবের এই নোট লেখার প্রেরণা এসেছে সেটা পরিষ্কার সেখানে। প্রেরণা ডাস্টবিন থেকেও আসতে পারে, তাতে সমস্যা কি? ... See More
40 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
খুব ভয় পাইছি। কেঁচো খুড়তে দেখি সাপ নয়--সর্প বের হল। সর্পের অতি দর্প! ও মামুগো, গেছি।
এই নোটটি দেখি ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন নামের বইটির প্রথম প্রবন্ধটির হুবহু ডিটো! ভয় না পাইয়া উপায় আছে? একটু জিড়ায়া লই।
কিন্তু সোহেল হাসান গালিব যে লিখলেন, ''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ যদি করে দেন কেউ, প্রীত হই।
7 hours ago ·
Rezaur Rahman
Rezaur Rahman
hahahhahaaha
6 hours ago
Sanjib Purohit
Sanjib Purohit
galib, kothau jeno khub koshto pacchi...
6 hours ago
Rezaul Karim মনু
Rezaul Karim মনু
"কেননা তাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল ইতিহাস—বঙ্কিম থেকে শরৎচন্দ্র অবধি। বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট, শরৎ বা রবীন্দ্রনাথে ততটা নয়, ভাবুকতা ও রোমান্টিকতার ক্যামোফ্লেজ আছে তাতে।"-Sohel Hasan Galib.
'বঙ্কিমে যতটা স্পষ্ট'-বইলা উদাহরণ দিলেন শরৎচন্দ্রের;বঙ্কিমের একটা উদাহরণ দেন। আমি তো দেখি বঙ্কিম কিছু একটা বলছে আর মুসলমানরা বাক্যগুলা না পইড়া ধইরা নিছে ওইটা মুসলমানবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা। ইংরাজের সাম্প্রদায়িকতা শিখানোর সামগ্রিক ব্যবস্থার মধ্যে বঙ্কিম সবচে কম সাম্প্রদায়িক।
5 hours ago
Nuruzzaman Manik
Nuruzzaman Manik
গালিব ভাই , কিছু ব্যাপার ক্লিয়ার করলে আলোচনায় সুবিধা হয় -
"আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়গুলোকে অ্যাড্রেস করতে অক্ষম।"
এখানে আমাদের বলতে আপনি কাদের কথা বলছেন ?
"সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব"
... See More
এখানে খোলাসা করা দরকার আপনি কাদের সেক্যুলারিজমের দিকে নির্দেশ করছেন ? এবং তাদের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ সহি হতে পারে , ভুলও হতে পারে এবং হ্য়ও কিন্তু সেজন্য খোদ সেক্যুলারিজমই আসামি হয় কিনা ? আমি বলছি না , সেক্যুলারিজমের সমালোচনা বা ভালমন্দ বিচার করা যাবে না , অবশ্যই করা যাবে এবং তা' জরুরিও । আমার কথা হল-এদেশে সেক্যুলারিজম নিয়ে নানা ব্যক্তি ও দল পক্ষে অবস্থান নেয় এবং এদের সেক্যুলারিজম সংক্রান্ত চিন্তা ভাবনায় পার্থক্যও পরিলক্ষিত । বিধায়, আপনার কাঠগড়ায় কোন দল বা দলের সমর্থকদের সেক্যুলারিজম কে আসামি করলেন সেটা খোলাসা করুন ।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় , আমার একটা লেখা শেয়ার করছি
ধর্ম যার যার কিন্তু রাষ্ট্র হোক সবার (জানুয়ারি ৬, ২০১০ )
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=4313
27 minutes ago ·
5 hours ago
Abu Sayed Tulu
Abu Sayed Tulu
hhhhmmm... daralu logic....
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই, আপনার প্রতিক্রিয়া পেয়ে ভালো লাগল।
মতৈক্য ও মতান্তর ক্রমান্বয়ে তুলে ধরছি।
ক.---এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
২। ঐখানে শরৎচন্দ্রের বলা উচিত ছিল : বাঙালি বিহারি ফুটবল খেলা হইতেছে। মানে বাঙালির বাইনারি অপজিশন হিশেবে মুসলমানকে ভাবার অবচেতন অসুখ তারও ছিল---এটা আমি প্রমাণ করতে পারব চিঠিপত্র এবং অভিভাষণ থেকে। দ্বিতীয়ত, গোফুর তার মহিষ ও মেয়ে নিয়ে বাঙালি পাঠকের সামনে বাঙালিত্ব নিয়ে হাজির হয় না বা এমন কোনো এন্টি-হেজিমনিক ব্যাপার এখানে নেই যাতে বাঙালির ইন্টালেকচুয়াটি চ্যালেঞ্জড হয়। যেমনটা আমরা দেখব ঠাকুরের 'একটি মুসলমানীর গল্পে'।
গফুর নিপীড়িত মুসলমানের সকরুণ নিবেদন হইলেই হইতে পারে। কিন্তু সন্দেহ আছে। কারণ, ইংরেজ গবর্নমেন্ট 'তাজিয়া' মিছিলের জন্য টাকা বরাদ্দ করে অথচ দুর্গোৎসবের ব্যাপারে নীরব---এ নিয়ে শরতের ভেতর কষ্টশিশিরের কণা জমাটবদ্ধ হয়েছিল।
৩। "এইটা কি আসলে উভয় সম্প্রদাযেররই ক্রমশ পরস্পরেরে বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠার লক্ষণ নয়?"
আমার তা মনে হয় না। বহুকাল আগে থেকেই তারা সচেতন ছিল। আব্দুল হাকিম, আলাওল থেকে ভারতচন্দ্র---এদের এই সমস্যা নাই। ইংরেজ আগমন এবং হিন্দু কেরানিকুলের সৃষ্টি তথা হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান তথা কংগ্রেস নির্মাণ---ইত্যাদির ভেতর দিয়ে যে মধ্যবিত্ত হিন্দু সমাজের সাক্ষাৎ আমরা পাই, তাদের কাছে মুসলমান 'আদার'। মীর মশাররফ হোসেনের লেখা দেখে তারা অবাক বনে গিয়েছিল :'মুসলমানও বাংলা লিখতে পারে তাহলে!!!'
মুসলমান-সাম্প্রদায়িকতা হিন্দু-সাম্প্রদায়িকতার প্রতিক্রিয়ার ফসল হলেও (মুসলিম লীগ ইত্যাদি) বাংলা ভাষার মেজর মুসলিম লেখকদের মধ্যে হিন্দুকে আদার করে দেখার নজির খুব কম। নাই বললেই চলে। বৃটিশ-সংশ্লেষে হিন্দু-সাম্প্রদায়িকতার স্বর্ণযুগ মোটামুটিভাবে ১৮৫০-১৯২০ ধরা যায়। কিন্তু মীর থেকে শুরু করে নজরুল বা জসীমের লেখায় এই প্রতিক্রিয়াশীলতা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
২০-এর পর থেকে হিন্দুমধ্যবিত্ত সাংস্কৃতিকভাবে মুসলমান অস্তিত্বকে কবুল করে নিতে বাধ্য হয়। নজরুলকে রবীন্দ্রনাথের 'বসন্ত' নাটক উৎসর্গের প্রতিক্রিয়ায় এই টানাপড়েন খানিকটা আঁচ করা যায়।
৪। চার নম্বর পয়েন্টটা আপনি বলেন নাই।
৫। ইসমাইল হোসেন সিরাজীর লেখা আমি বিশেষ পড়ি নাই। ফলে মন্তব্য করতে পারছি না। আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হয়।
বদরুদ্দীন উমরের লেখাও পড়ি নাই। তবে ফরহাদ মজহার বলছেন :"...বাঙালি মুসলমান পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কারণে ঘরছাড়া হয়েছে, এখন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তারা নাকি ঘরে ফিরে এসেছে। এটা বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের বক্তব্য।... মনে রাখা দরকার বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের তাত্ত্বিক ভিত্তি রচিত হয়েছে শ্রেণী রাজনীতির নামে। কিন্তু 'ঘরে ফেরা', 'স্বদেশ প্রত্যাবর্তন' ইত্যাদি ধারণার মধ্য দিয়ে বাঙালি হওয়া বলতে ইসলাম ত্যাগ করাই এই ধরণের শ্রেণী রাজনীতিওয়ালারা বোঝাতে চেয়েছে। শ্রেণী সংগ্রামের রাজনীতির দিক থেকে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অর্থ নিপীড়িত জাতিসত্তার পক্ষে আপোসহীন লড়াই করা, কিন্তু কোনো প্রকার জাতীয়তাবাদী পরিচয় দাঁড় করানোর সংগ্রাম নয়। ইতিহাস প্রমাণ করে যে জাতীয়তাবাদ ফ্যাসিবাদে পর্যবসিত হয়।"
---এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য প্রত্যাশা করছি।
৬। এই পয়েন্টে একটু বিস্তারিত কথা বলবো পরে।
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
৭। হিন্দু পণ্ডিতদের বাঙলাকে সংস্কৃত করার প্রকল্প কি সফল হয়েছিল?
---হ্যা পুরোপুরি সফল না হলেও আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল প্রায় একশ বছর। ইংরেজ তার প্রকল্প অনুযায়ী নিঃসন্দেহে একটা এলিট সারস্বত সমাজ গঠন করতে চেয়েছিল, যারা হবে ইংরেজের অনুগত।
এই সারস্বত সমাজের ভাষা-তৈরির কৃত্রিম দায় নিয়েছিলেন পণ্ডিতেরা। যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ককে 'দুরন্বয়' বলা যেতে পারে।
"পূববাঙলার ডায়লেক্ট, তার নাগরিকতা, অর্থনীতির বিকাশ, কবিকূলের বাকস্ফূর্তি সব মিলায়ে এইখানে বাঙলার একটা লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা তৈরে হচ্ছে, হতে থাকবে।"
---ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষায় এটাকে লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা বলে না সম্ভবত, তবে প্রবণতার দিক থেকে তাই। এ ব্যাপারে আমি একমত। এবং আমি এই কথাটিই বলতে চেয়েছি।
5 hours ago
Shamset Tabrejee
Shamset Tabrejee
তথ্যপুর্ণ লেখাটির জন্য সালাম। শুধু একটা কথা ছোট করে বলি। রবীন্দ্রনাথকে আমি সৎ লেখক মনে করি এইজন্য যে তিনি নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের সঙ্গে বসবাস করেও তার কাব্যে ও আন্যন্য লেখায় নিজ ধর্মের লোকজন ব্যতীত মুসলমানদের বিশেষ জাযগা দেন নাই। একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।
5 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
কুলদা রায়,
আমার এ নোট সাম্প্রদায়িক কুলদাগোষ্ঠী ভাষান্তরে ছদ্মধর্মনিরপেক্ষগোষ্ঠীর মোকাবেলা, একই সঙ্গে ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলনের পর্যালোচনা।
তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কিবা কার!
4 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
জনাব Rezaul Karim মনু,
আপনি বঙ্কিমী সাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ চাহিয়াছেন এবং কহিয়াছেন, "আমি তো দেখি বঙ্কিম কিছু একটা বলছে আর মুসলমানরা বাক্যগুলা না পইড়া ধইরা নিছে ওইটা মুসলমানবিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা"।
তাই নাকি?
আসেন বিচার করি তাইলে।
"ইংরাজের সাম্প্রদায়িকতা শিখানোর সামগ্রিক ব্যবস্থার মধ্যে বঙ্কিম সবচে কম সাম্প্রদায়িক।"
---এই বাণী আপনার। মানে আপনি বঙ্কিমরে সাম্প্রদায়িক মানেন কিন্তু উন অর্থে। পক্ষান্তরে আমি মনে করি বঙ্কিম হিন্দুসাম্প্রদায়িকতার প্রাণকেন্দ্র ও তত্ত্ব-উদগাতা।
পয়লা বঙ্কিমের জবানেই শুরু করি। ঋষি কহিতেছেন :
১। পৃথিবীতে যত জাতি উৎপন্ন হইয়াছে, প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণদিগের মতো প্রতিভাশালী, ক্ষমতাশালী জ্ঞানী ও ধার্ম্মিক কোনো জাতিই নহে ৷ প্রাচীন এথেন্স বা রোম, মধ্যকালের ইতালি, আধুনিক জার্ম্মনী বা ইংলণ্ডবাসী---কেহই তেমন প্রতিভাশালী বা ক্ষমতাশালী ছিলেন না; রোমক ধর্ম্মযাজক, বৌদ্ধ ভিক্ষু বা অপর কোনো সমপ্রদায়ের লোক তেমন জ্ঞানী বা ধার্ম্মিক ছিল না ৷
২। মুসলমান ইতিহাস লেখকেরা অত্যন্ত স্বজাতি পক্ষপাতী; হিন্দুদ্বেষক। হিন্দুদিগের গৌরবের কথা প্রায় লুকাইয়া রাখেন---বিশেষতঃ মুসলমানদিগের চিরশত্রু রাজপুতদিগের কথা ৷...এই উনবিংশ শতাব্দীতে হিন্দুদিগের বাহুবলের কোনো চিহ্ন দেখা যায় না ৷ ইংরেজ সাম্রাজ্যে হিন্দুর বাহুবল লুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু তাহার পূর্ব্বে কখনও লুপ্ত হয় নাই। হিন্দুদিগের বাহুবলই আমার প্রতিপাদ্য।
মনু, আপনি নিশ্চয়ই জানেন ৭৬-এর মন্বন্তরের সময় এদেশে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছিল। উহা হিন্দুর বিরুদ্ধে মুসলমানের বা মুসলমানের বিরুদ্ধে হিন্দুর যুদ্ধ ছিল না।
কিন্তু 'আনন্দমঠ' উপন্যাসে আমরা কি পাইতেছি?
কি পাইতেছি সে কথা আর কহিতে চাহি না।
অদ্ভুতুড়ে এক মহাপ্রভু কহিলেন, "তোমার কার্য্য সিদ্ধ হইয়াছে, মুসলমানরাজ্য ধ্বংস হইয়াছে। আর তোমার এখন কোনো কার্য্য নাই। অনর্থক প্রাণিহত্যার প্রয়োজন নাই।"
যবনঘাতী সত্যানন্দ ঠাকুর কহিলেন, 'মুসলমান রাজ্য ধ্বংস হইয়াছে, কিন্তু হিন্দুরাজ্য স্থাপিত হয় নাই---এখনও কলিকাতায় ইংরেজ প্রবল।...হে প্রভু! যদি হিন্দুরাজ্য স্থাপিত হইবে না, তবে কে রাজা হইবে? আবার কি মুসলমান রাজা হইবে?
মালাউন মহাপ্রভু কহিলেন, "না এখন ইংরেজ রাজা হইবে।...শত্রু কে? শত্রু আর নাই। ইংরেজ মিত্ররাজা। আর ইংরেজের সঙ্গে যুদ্ধে শেষ জয়ী হয়, এমন শক্তিও কাহারও নাই।"
(চলবে)
2 hours ago
Rezaul Karim মনু
Rezaul Karim মনু
"রবীন্দ্রনাথকে আমি সৎ লেখক মনে করি এইজন্য যে তিনি নিজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের সঙ্গে বসবাস করেও তার কাব্যে ও আন্যন্য লেখায় নিজ ধর্মের লোকজন ব্যতীত মুসলমানদের বিশেষ জাযগা দেন নাই। একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।"-Shamset Tabrejee... See More.
যতদূর জানি, রবীন্দ্রনাথ তো নারীও ছিলো না, কিন্তু তিনি নারী আঁকাআঁকি তো কম করেন নাই।
তাইলে কি তিনি নারী বিষয়ে লেখক হিসাবে অসৎ আর মুসলমান বিষয়ে সৎ বলতেছেন? একিভাবে তিনি রাশিয়ান ছিলেন না, ইউরোপিয়ান আছিলেন না, কিন্তু সেইসব বিষয়ে লিখতেছেন। তাঁরে সৎ বলতে চাইয়া অসৎই কি বেশি বললেন?
2 hours ago
Shamset Tabrejee
Shamset Tabrejee
এটা কি ঐতিহাসিক সত্য না? তাঁর জীবন-যাপনের ভূগোল এবং রচনাগুলিতে চোখ রাখলেই তো আমরা জানতে পারি। আমার মতে তিনি কাজটা ভুল করেন নাই। নিজ সম্প্রদায়ের বাইরের সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠি নিয়ে লেখার জন্য ওই সম্প্রদায় বা জনগ্রষ্ঠির সঙ্গে যে-একাত্মতা থাকা দরকার, ঠাকুর হয়ত ভেবেছিলেন তা উনার ছিল না, তাই লিখেন নাই। লেখক হিশাবে তাঁর নিজের কাছে এই ব্যপারে নিশ্চয় সৎ।
about an hour ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>
কাজেই বন্দে মাতরম গানটিও সাম্প্রদায়িক। আমার তো মনে হয়, উপন্যাস লেখার বছর পাঁচেক আগের রচনা এই গানটি জায়গামতো ফিট করার জন্যই আনন্দমঠ লিখিত হয়েছে।
প্রথম যৌবনের আধা-সাম্প্রদায়িক রবীন্দ্রনাথ প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন নাই। শেষ বয়সে গান্ধীকে তিনি জ্ঞান দিচ্ছেন এই বলে :
সংসদ আর সাহিত্য এক জিনিশ না। সংসদে সকলের প্রতিনিধিত্ব লাগে। ঐ গান সাহিত্যে ঠিক আছে, সংসদের জন্য ঠিক নাই। কাজেই বন্দেমাতরম গানের শেষাংশ বাদ দিতেই হবে। ওটা মুসলমানের জন্য পীড়াদায়ক।
... See More
গান্ধী বা কংগ্রেস এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথকে অমান্য করেন নি, সেটা ঐতিহাসিক সত্য।
ভাই মনু, আপাতত আলাপ শেষ করছি। যদি এতে না পোষায় বইলেন, আরও তথ্য সরবরাহ করা যাবে।
about an hour ago
Rahman Henry
Rahman Henry
Bah ! khubi sundar o dorkari alochona... onek buddhibrittik; Bangalar gorib kobider eto buddhibritti dorkar kee ? Porbo ar shikhbo, ei neetitai manlam. Post khubi chomotkar, Thanks Galib. Comments aro chomotkar... dhonnobaad sobaike....
Chotto ekta kotha amio bolte chai :
" Ami bangali. Amar jatiota torkei nirdharito hok. opekhha korbo."... See More
about an hour ago
Kulada Roy
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী জমানার খবরাখবর পড়ছিলাম--বাঙালি জাতীয়বাদ খুব খারাপ বলেই নিচের কাণ্ডগুলো ঘটেছিল, তাই না। পাকিস্তানীরা যেহেতু কৈছে ১৯৭১ সালে, তো ৩৯ বছর পরে আমাগো কৈতে দোষ কি--
১৫ জুন, ১৯৭১ জামাতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে--'মুসলমানের জাতশত্রু ইহুদীরা আরব মুসলমানদের যেভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে,তেমনি ইহুদীদের পরম বন্ধু হিন্দুরাও একই যোগসাজছে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলোপের কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের প্রেসননোটে ১৬ জুন, ১৯৭১ বলা হচ্ছে , আজ বৃহস্পতিবার প্রাদেশি সরকার পহেলা বৈশাখের ছুটি বাতিল করা হল। এবং ঢাকার ২৪০টি রাস্তার নাম পাল্টে দেওয়া হয়--তালিকা-
আদি নাম ------------------পরিবর্তিত নাম
১। লালমোহন পোদ্দ্দর লেন ১। আব্দুল করিম গজনভী স্ট্রিট
২। শাখারী নগর লেন ২। গুল বদন স্ট্রিট
৩। এলিফেন্ট রোড ৩। আল আরাবিয়া রোড
৪। নবীন চাঁদ গোস্বামী রোড ৪। বখতিয়ার খিলজি রোড
৫। কালীচরণ সাহা রোড ৫। গাজী সালাহউদ্দিন রোড
৬। বেইলী রোড ৬। বুআলী রোড
৭। ইন্দরা রোড ৭। আনার কলি রোড
১৭ জুন ১৯৭১ দৈনিক ইত্তেফাক জানাচ্ছে--৬৯টি বই পাকিস্তান সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে--
১। ভাসানী যখন ইউরোপে--খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস
২। শব্দবোধ অভিধান------আশুতোষ দেব
৩। আলমগীর (নাটক)----বিনয়কৃষ্ণ মুখার্জী
৪। পর্ব বাংলার শস্য ও জমির জন্য সংগ্রাম---এ কে আর আহম্মদ
৫। বিশ্ব শান্তি রক্ষার আহবান-------এ টি এম শামসুদ্দিন
৬। বাঙারী জাতয়িতাবাদের উল্লেখ--আবুল কালাম আজাদ
৭। হাসুবানু-------------------প্রবোধ কুমার সান্যাল
৮। রীগ শাসনে বরিশালে ফ্যাসিস্টরাজ---নূরুল আসলাম খান
29 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
Confession of a Pakistani Soldier--
“…… we were told to kill the hindus and Kafirs (non-believer in God). One day in June, we cordoned a village and were ordered to kill the Kafirs in that area. We found all the village women reciting from the Holy Quran, and the men holding special congregational prayers seeking God’s mercy. But they were unlucky. Our commanding officer ordered us not to waste any time.”
27 minutes ago ·
Alif Dewan
Alif Dewan
ফেসিবাদি দীন মহাম্মদ উড়পে সুমন রহমান নামক নভ্যড়াজাকার উ তাহার ছামছা ছোহেল হাছান গাল্লিবাঝ মগবাজাড় হইথে মাসে কথ টেকা কামাই কড়ে তাহা আগে জানা পয়ুজন।
9 minutes ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা রায়, এটাইতো আপনাদের সমস্যা। আপ্নারা বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে এর অপোজিটে পাকিস্তানি গো কুকীর্তিরে তুইলা ধরেন। ভাবটা এমন, যেন পাকিস্তানি গো এইসব কাহিনি লেজিটিমেট করার জন্য বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ নিয়া আলোচনা করা হইতেছে। যে আমার সঙ্গে নাই সেই আমার বিরুদ্ধে... এই মনোভাব বদলাইতে হবে কুলদা। আবেগ দিয়া আলোচনা চলে না,তথাকথিত বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ কেমনে কেমনে ভালো, আসেন সেইগুলা নিয়া কথা কই।
Rezaur Rahman
tikh koisen tarique tuku, kulada roy mia sprit bojen nai... haahhaa.
2 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
স্পিরিট কি করে বুঝি বলেন? কুলদা রায় নামের এই অধম চান্স না পাইয়া বাংলা সাহিত্য নিয়া পড়তে পারে নাই। আর সমাজতত্ত্বের বালও জানে না। তো, কুলদা রায় গালিবের/ টুকুর স্পিরিট কি করে বোঝে? আলোচনা করার কি একটা পদ্ধতিই আছে নাকি পৃথিবীতে তারিক টুকু? গালিবতো ফরহাদের উদ্ধৃতি দিয়া কৈলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ খুব খারাপ। আপনার প্রস্তাব মতে আপনিই না হয় শুরু করেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ কেমনে কেমনে ভাল? আপনার আলাপ শুইনা লই। তারপর না হয় আলোচনায় আসি।
2 hours ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
কাজী মামুন একটি মন্তব্য করেছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে প্রেরিত হইল--
Kazi Mamun said...
... See More
মন্তব্যঃ পাঠ্য পুস্তক কাউকে কি পরিমান পাঠা করে তুলতে পারে তা এ লেখা না পড়লে অজানাই থেকে যেত। ফারুকী-সৃষ্ট ভাষাকে কি করে বাঙালী জাতির ভাষা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে দেখলে দূঃখই হয়। আমি শতবার প্রশ্ন করেছি কথ্যভাষার লড়াই কারীদের আপনি যে ভাষায় লেখার অপচেষ্টা করছেন তা আসলে ঠিক কোন অঞ্চলের ভাষা? ঢাকা? কুমিল্লা? ময়মনসিংহ? সিলেট? কেউ বলতে পারেন নি! কারন এ ভাষাটার এখনো গড়েই ওঠেনি, এর শেকড় বাকর নিয়ে টানাটানি পরে গেছে। আপনারা কথায় কথায় বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ বেচা কেনা করেন, আমার একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না, কেন দুনিয়া ব্যাপি কথ্যভাষা-লেখ্যভাষা ভিন্ন হয়? কেন এটা প্রয়োজনীয়? পারেন না কারন এটা আপনাদের পাঠ্য-পুস্তিকাতে ছিল না। একজন কুপমন্ডুক ফ. মা. যে কি হাইব্রীড এটা না জেনেই হাইব্রিডের বিরোধীতা করেন, বাম-মুখোশ পড়ে হাওয়া ভবন থেকে শুরু করে হিজবুত তাহরির পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ বজায় রাখেন, তিনি আপনাদেরকে একটা শব্দ শিখিয়েছেন 'ভাষা-ফ্যাসিবাদ'। আর সাথে সাথেই আপনারা লম্ফ-জম্ফ শুরু করে দিলেন, ঝাপিয়ে পড়লেন আপনাদের পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বাস্তবতা বিচার ছাড়াই।
আমার এই নোটটা (http://www.facebook.com/kazimamun?v=app_2347471856) এবং নিচের আলোচনা পড়বেন পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও যে পৃথিবী আছে সে সম্পর্কে একটু ধারনা হবে। নাহ আপনাদের জন্য আমার করুনাই হয়। আপনারা এখনো ফ. মা. এর মতো চালাক হয়ে উঠতে পারেন নি, তা না হলে এক শিয়ালের ডাকে হুক্কা হুয়া করে ওঠার আগে একবার নিজ লাভ খতিয়ে দেখতেন।
April 18, 2010 11:41 PM
about an hour ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি এখনও আবেগতাড়িত। আবেগতাড়িত হইয়েন না কুলদা।
আর আলোচনা করার কি একটা পদ্ধতিই আছে নাকি পৃথিবীতে --এটাইতো আমার প্রশ্ন। কারন, আজ পর্যন্ত আপনার যত আলোচনা দেখলাম, সবই এই পাকিস্তানি রা কি করসে আর বাঙ্গালিরা কেম্নে মাইর খাইসে এই জাতীয়।এই গরুর রচনা বাদ দিতে হবে কুলদা। কেউ নতুন কিছু কইতে গেলেই আপ্নারা তারে রাজাকার বানায়া দেন।এটা আ্পনাদের জন্য চরম লাভজনক।কারন, তাতে মুল আলোচনা-ই হয় না।এভাবেই আপ্নারা বারবার মুল আলোচনা থিকা পার পাইয়া যান।
এই পার পাওনের আরেকটা তরিকা আছে। গালাগালি। যেটা, মাশাল্লাহ,শুরু কইরা দিসেন।
বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ কেম্নে গালিবের ভাল লাগে নাই সেটা উনি বলছেন, আপ্নে এইখান থিকা শুরু করতে পারেন।গালিব যেহেতু শুরু করছেনই, আমাদের আলোচনা এখানে হাজির আছে, আপ্নারটা(হিন্দু মৌলবাদ বাদ দিয়া) শুনি , আসেন।
about an hour ago · Report
Sanjib Purohit
@tabrejee bhai, eta ki bidruypattok? ''একানেই লেখব হিশাবে তার সততা।'' !
Kulada Roy
Kulada Roy
আমি যে আবেগতাড়িত এটার উদারণ দ্যান তো?
আরেকটা প্রশ্ন, গতবার যে গালিব কৈছিলেন, উনি আওয়ামী রাজনীতির সেক্যুলারিজমের গভীরস্তরের লোক। এবং তার প্রমাণ নাকি এ বছরে একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন নাসিরুদ্দিন দিতে পারবেন। আর আপনি জয়বাংলা শ্লোগানে লাইক দিছিলেন। আপনেরা দুজন কি অবস্থান পাল্টাইছেন? আপনেদের বর্তমান অবস্থানটা পরিস্কারভাবে জানতে পারলে আলোচনা করতে সুবিধা ... See Moreহৈত।
আর আলোচনার আবেগ বাদ দিয়া যে যুক্তির পথের পথে অগ্রসর হইতে আমি তার তার প্রমাণ হিসাবে একটা প্রশ্ন করেছিলাম গালিবকে এবং জানপহেচান ব্যক্তিদেরকে--যে, গালিব এই গবেষণা প্রবন্ধটিতে (প্রথম প্যারা আর শেষ প্যারা বাদ দিলে যা ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বইটির প্রথম প্রবন্ধ হুবহু ডিটো করা বা সারসঙক্ষেপ করা) বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটা বোঝা দরকার। কারণ গালিব সাহেব বাংলা সাহিত্যে, দর্শনে, সমাজতত্ত্বে সুপণ্ডিত--ব্যাকরণও জানেন। তিনি যখন এই তিনটি বাক্যের শেষ দুটি বাক্য ভুল বাক্য লিখলেন, সেখানে কে কাকে কোথায় নরহত্যা সংঘটিত করল--তা কিছুই বলেন নাই। এটা না হয়, আমার মত আগাছা সাহিত্য রচনাকর্মি লিখতে পারেন, কিন্তু গালিব কেন লিখলেন--তিনি ভুল করে লেখার লোক নন। তাহলে এই তিনটি সান্ধ্যবাক্যে নিশ্চয়ই এমন কিছু আলো আধারী বিষয় আছে তা আমি বুঝতে পারি নাই। তো এই তিনটি বাক্যের সান্ধ্যত্বের অন্ধত্বে আলো ফেলে ফেলে সরলার্থ করে দিন--যাতে যুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আমার সুবিধা হয়। কারণ সান্ধ্যভাষা তো বহিরাঙ্গে আবেগাক্রান্তই। আর যেহেতু ভাষার দেহবাদি (প্রকৃতিবাদি) কাঠামো নিয়ে আপনেরা আলোচনাকে অগ্রগণ্য করতেছেন, সেইখানে আত্মাবাদি (পুরুষবাদি) পদ্ধতি বাদ দিলাম আপাতত।
a few seconds ago ·
Rezaur Rahman
@kulada Roy.... apni je abeg tarito ta promaner bhar tarique tuku er. tobe apni je CIA kinba Nimnno srenner Goinda bhibhager lok ta boja jai.
14 minutes ago · Report
Subrata Augustine Gomes
গালিব, দুর্দান্ত ব্যস্ততাহেতু লেখা আর মন্তব্য পড়বার সময় হচ্ছে না। পড়া হলে কিছু বলব হয়তো এ নিয়ে।
3 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
রেজাউর রহমান, আপনাকে ধন্যবাদ। আমারও সন্দেহ হয়,, আমি সিআইএ, মোশাদ, র,পাকিস্তানেরটা নাম কি যেন (সিআইএস)--লোক কিনা কে জানে। এটা একমাত্র ফরহাদ মজঞার সাহেব বলতে পারবেন। যেটা একমাত্র উনিই জানেন এইসব বিষয়-কেননা মতিউর রহমান নিজামী নামে একজন রাজনীতিক ওনার কাছ থিকা জেনে নিয়েই জনসভায় বা সংবাদপত্রে বলেন--কে সিআইএ/মোশাদ না রা বা এইআই...ধুর, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি--মনে থাকে না (গালিব বা টুকু, প্লিজ নামটা মনে করতে হেলপ করুন)। আচ্ছা, নিম্নশ্রেণীর গোয়েন্দা বিভাগ বলতে কোনটাকে বোঝায়? এটা কোন দেশের? তবে এটা ১০০% গ্যারান্টি যে আমি নিম্নশ্রেণীর লোক। এর প্রমাণ পাবেন, এই অধমের একটা আগাছাধর্মী গল্পগ্রন্থ এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হইছিল--সেখানে আমার সম্পর্কে স্পষ্টভাবে উক্ত আছে যে, কুলদা রায় শুদ্রবংশজাত। গালিব বা টুকু বা অন্য কোনো সখাজন--আমি আমার প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা করছি।
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen--
এই নোটে সোহেল হাসান গালিবের সমস্ত কথাবার্তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ত্ব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যদি গালিবের কথায় আস্থা স্থাপন করি, তাহলে বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা যায় না, আর যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি তাহলে গালিবকে আমাদের পরিত্যাগ করতে হয়। গালিব তার আলোচনায় বহু প্রসঙ্গই এনেছেন যা বহু চর্চিত, প্রতিক্রিয়াশীল ও পরিত্যক্ত একটি বিশেষ চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ও প্রত্যয়গুলিকে আমরা যদি নিরীক্ষণ করি, তাহলে এর সত্যতা মিলবে। এক কিস্তিতে সব প্রসঙ্গের জবাব দেয়া যাবে না। অল্পে অল্পে দেব।
গালিব বলছেন: “সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা।”
এটা হচ্ছে সেকুলারিজমের চূড়ান্ত অপব্যাখা যা ঐ বিশেষ চিন্তাধারার ব্যক্তিবর্গরা সর্বদাই করে থাকেন। Secular state বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের অর্থ হচ্ছে -- রাষ্ট্র ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে তার নাগরিকের সঙ্গে সমান আচরণ করবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে সকলেই সমমর্যাদার অধিকারী। অর্থাৎ কেউ প্রথমশ্রেণী, বা কেউ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক নয়। প্রত্যেক ধর্মবিশ্বাসী নাগরিক তার ধর্ম পালনের সুযোগ পাবেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহংকারে কেউ সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের উপর আধিপত্য বিস্তার বা দাবী করবে না। রাষ্ট্র যেমন এখানে কারো ধর্মবিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করবে না, ধর্মে বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের অধিকারও সমানভাবে অক্ষুন্ন রাখবে। অর্থাৎ রাষ্ট্র নিজে ধর্ম দ্বারা কুক্ষিগত হয়ে তা নাগরিকের উপর চাপিয়ে দেয় না বা তার অপব্যবহার করাকে অনুমোদন করে না। এইভাবে রাষ্ট্র নিজের দেহ থেকে ধর্মকে বিযুক্ত করে ব্যক্তি মানুষের আচরণ ও বিশ্বাসের উপর ন্যস্ত করে অর্থাৎ রাষ্ট্র নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। কিসের সাপেক্ষে সেই নিরপেক্ষতা? ধর্মের সাপেক্ষে সেই নিরপেক্ষতা। কি নিরপেক্ষতা? ধর্মনিরপেক্ষতা। কেন ধর্মনিরপেক্ষতা? কারণ জন্মসূত্রে কেউ কোন ধর্মবিশ্বাসের অধিকারী বলে তিনি দায়ী অথবা উন নন। এটি সভ্যতার ফসল। এই পর্যায়ে আসতে মানুষকে বহু শতাব্দীর অন্ধকার পেরিয়ে আসতে হয়েছে। ... See More
আমি এখন কানাডায় আছি। এটি একটি সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্রে, চাকুরীর জন্য দরখাস্তে বা রাষ্ট্রীয় কোন কাজে বা নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয় না। সামাজিকভাবে কারো ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা অসৌজন্যমূলক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল এবং তা অসংস্কৃতির প্রকাশ বলে গন্য করা হয়। ব্যক্তি সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অন্তরঙ্গতা গভীর না হলে কেউ কারো ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করে না। কিন্তু এদেশে বসবাসকারী প্রতিটি ধর্মের নাগরিকই ধর্মপালনের শান্তিপূর্ণ সুযোগ পান এবং রাষ্ট্র তার সুরক্ষা প্রদান করে। কানাডার মত বহু দেশ এরকম উদাহরণের তালিকায় আছে। আমরা যদি কোন রাষ্ট্রে নাগরিকের সমমর্যাদায় বিশ্বাস করি তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ধারণায় অনাস্থার কোন কারণ নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যদি ধর্মবিদ্বেষী হিসাবে আবির্ভূত না হয়, তাহলে কিভাবে তা বাংলাদেশে হবে? যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকই মুসলমান, সেখানে তা কিভাবে ইসলাম-বিদ্বেষী হবে ও মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা করবে? এবং সেটা করার তার দরকার কি? যারা তা বলে তারা যে ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যাখাই করে বিশেষ কোনো হীন স্বার্থে, তারা যে পাকিস্তানপন্থী ও তমুদ্দুনপন্থী বুদ্ধিজীবীদের অংশ একথা বুঝতে কি কারো অসুবিধা আছে?
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen
গালিব বলছেন: “বাঙালি জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের স্যাপারেশন চায়, খুব ভালো কথা। তা জাতীয়তাবোধের স্যাপারেশন মানবে কি? যে অর্থে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি সাম্প্রদায়িক ধারণা, সেই অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবাদও একটি সাম্প্রদায়িক চেতনা।”
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুই স্তম্ভ যা আকাশ থেকে পড়েনি। বাঙালি জাতি তার আত্মপ্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রয়োজনে দীর্ঘকালীন সংগ্রাম ও উপযোগিতার বোধ থেকেই এই উপলদ্ধি ও প্রত্যয়ে উপনীত হয়েছে এবং সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তস্নাত পথেই তাকে অর্জন করেছে। প্রেক্ষাপট সকলেরই জানা। দ্বিজাতিতত্ত্বকে কেন্দ্র করে যে পাকিস্তানের সৃষ্টি, সেখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারিত হয় না, কারণ এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। ফলে কার্যকারিতাও নেই। জাতীয়তা নির্ধারণের কয়েকটি প্রধান উপাদান — ভাষা ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভৌগলিক সীমানা এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য যা তার সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে সংহত হয়।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী যে প্রকৃতি ও জলবায়ুর সন্তান; যে ভাষায় তারা কথা বলে, গান করে, যে খাদ্যগ্রহণ ও পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে এবং যৌথ অবচেতনায় যে সমগ্রের স্মৃতি ধারণ করে তা হাজার মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তানের এক আদম সন্তান করে না। এই যে পার্থক্য – তা শুধুমাত্র ধর্ম বিশ্বাস দিয়ে ভরাট করা যায় না। তাই মুসলিম জাতীয়তাবাদের ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতে সময় লাগে না, যা যে-কোনো ধর্মকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রথমেই ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করে ও পরে অর্থনৈতিক শোষণের পথ বিস্তৃত করে পশ্চিমা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাঙালি মুসলমানের মনে এই উপলব্ধিই জাগিয়ে দেয় যে, তারা যেমন ধর্মে মুসলমান — জাতীয়তায় তারা বাঙালি। যেখানে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ (turning point) যাকে বদরুদ্দীন উমর বাঙালি মুসলমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বলে অভিহিত করেছেন। ধর্ম পরিবর্তন হলে যে সংস্কৃতির পরিবর্তন হয় না - এটা বায়ান্নোর শিক্ষা এবং এখান থেকেই তো এদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব যার পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে বাঙালি মুসলমান তার সমস্ত অতীত ও ভবিষ্যতের দিগন্ত মেলাতে পেরেছিল। এবং সেই শক্তি অর্জন করেছিল যা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অকুতোভয় যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে। ধর্ম পরিচয়ে কেউ আমরা মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ খ্রিস্টান কেউ বৌদ্ধ, কিন্তু জাতি হিসাবে বাঙালি যা আধুনিক রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ প্রত্যয়ের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিলে যায়। আর তাই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে এই দুই স্তম্ভ — ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ স্বাভাবিক নিয়মেই গৃহীত হয়। তাহলে বাঙালি ঐতিহাসিকভাবে তার আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অর্জনে যে দুটি প্রত্যয়কে ব্যবহার করল — তা স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে কিভাবে অপাংক্তেয় ও অকার্যকর হবে? একথা যারা বলে তারা যে বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, একথা নতুন করে বলার কি আছে?
এখন বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাপেক্ষে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতীয়তার সম্পর্ক কি হবে — তা নিয়ে পরের কিস্তিতে বলব।
2 minutes ago · Report
Sohel Hasan Galib
তুষারদা, বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব এইসব ব্যাপার এখানে এনে আলোচনার পরিবেশকে ভয়াবহ করে তুলবেন না। সংবিধান তো অপরিবর্তনীয় কোনো বিষয় না, তাই না? অপিচ, আপনি কিন্তু বর্তমানে জারিকৃত সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান করতেছেন। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে আনা যায়। সম্ভবত আপনি দ্বৈত-নাগরিকও...ইত্যাদি ইত্যাদি।
দ্বিতীয় কথা, পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনে আনার মতো স্থূল তর্ক আপনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। আমরা কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ জোড়া দিতে চাইতেছি না। বা আপনারা ভারতের সঙ্গে জোড়া দিতে চাইতেছেন না। তর্ক করতে হইলে এই দুইটা ব্যাপার বাইরে রাখতে হবে।
বাই দি ওয়ে, আপনি তো কানাডায় থাকেন (নাগরিক কি?)। কানাডার জাতীয়তা সম্পর্কে বলেন। সেখানকার রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে বলেন। ত্রি-জাতিতত্ত্ব সম্পর্কেও একটু আভাস দেন।
এবং এও বলেন, ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ায় আপনি সমরূপতা আনতে স্বপ্নবিদ্ধ কি না।
আরো কন, সেকুলার চিন্তা বুর্জোয়া বিপ্লবের ফসল কি না। এখানে বাইবেল-বিজ্ঞানে দ্বন্দ্ব আছে কি না, চার্চে-রাজায় ঝগড়া আছে কি না।
এবং সেইরূপ ঘটনা বাংলাদেশে, কোরানে-বিজ্ঞানে ঘটছে কি না, মসজিদে-সংসদে ঘটছে কি না।
নইলে, সমরূপতা কেমনে আইবো দাদা?
44 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
এক. গালিব সাহেব আপনার একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। আপনার কাছ থেকে তার উত্তর পাইনি। উত্তরটা পেলে আলোচনায় অংশ নিতে সুবিধা হত। অথবা আপনি কি উত্তরটা দিতে চাচ্ছেন না? অথবা উত্তরটা আপনার জানা নেই?
আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি--আপনি বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটার একটা সরলার্থ বলুন। এই তিনটি বাক্য মিলে কি অর্থ দাঁড়ায়?
দুই. সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা কিভাবে পরিবেশকে ভয়াবহ হয়ে ওঠে--এই বাক্যটির অন্তর্গত মমর্টা কি? 'ভয়াবহ' শব্দটির অর্থ কি? এটা কি কোন ভীতকর শব্দ। অথবা হুমকিমুলক? অথবা শব্দটির মাঝে কোনো তরবারী লুকিয়ে আছে? সে তরবারীটির স্বরূপটি কি? যে প্রসঙ্গটি সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত করে অবতারণা করেছেন আপনি--সে প্রসঙ্গটি উল্লেখ করতে অসুবিধা কোথায়?
তিন. পাকিস্তান রাষ্টটি বাঙালি চেতনাকে ২৪ বছরে উপড়ে দিতে চেয়েছে। ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করে বাঙালিকে দেহ ও মনে শেষ করে দিতে চেয়েছে-- সেখানে নতুন করে সেই বাঙালি চেতনাকে যখন আপনি নাকজ করে দিয়েছেন আপনার নোটে, আপনি বলছেন--বলার চেষ্টা করেছেন-- এই বাঙালি চেতনাটি হিন্দু মনস্তত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়- সেটি প্যারানয়াকও বটে, এবং প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন, একাত্তরে নরহত্যার পেছনের কারণটি হল ইসলামের বিরুদ্ধে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্বের ষড়যন্ত্র, এই হিন্দু মনস্ত্বকে শুধু নয় নরজ্ঞানে তাকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া-- এবং বাংলাদেশের জন্মটা হল, সেই উন্মাদ হিন্দুদের একটি প্রকল্পর বাস্তবায়ন মাত্র--সুতরাং সেই হত্যাকাণ্ডটি জায়েজ। এবং বাংলাদেশের জন্মটি নাজায়েজ। সুতরাং আপনার সান্ধ্যবাক্য থেকে উপর্যুক্ত যে আপাত সরলার্থ বেরিয়ে এসেছে তা কি বর্বরোচিত-সভ্যতাতিরোহিত যা যা কোন ন্যায় ধর্মকে মানে না, আপনার এই ভাষ্যটি কি বর্বর পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসক শ্রেণীর ভাষা বা আদর্শ নয়? যদি তাই হয়, তাহলে পাকিস্তানকে প্রসঙ্গটি হিসাবে টেনে আনা যাবে না কেন? আলোচনার স্বার্থে পাকিস্তান কেন--পৃথিবীর যে কোন প্রসঙ্গই আনা যেতে পারে। আর আলোচনাটিকে আপনি যে সীমারেখায় চিহ্নিত করতে চাইছেন--এই আলোচনার পদ্ধতিটি কি? কোথায় পাওয়া গেছে এই বদ্ধমুখী আলোচনা পদ্ধতি?... See More
2 seconds ago ·
Kulada Roy
এক. গালিব সাহেব আপনার একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। আপনার কাছ থেকে তার উত্তর পাইনি। উত্তরটা পেলে আলোচনায় অংশ নিতে সুবিধা হত। অথবা আপনি কি উত্তরটা দিতে চাচ্ছেন না? অথবা উত্তরটা আপনার জানা নেই?
আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি--আপনি বললেন--''১। সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই বাক্য তিনটির মানে বুঝি নাই। এটার একটা সরলার্থ বলুন। এই তিনটি বাক্য মিলে কি অর্থ দাঁড়ায়?
দুই. সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা কিভাবে পরিবেশকে ভয়াবহ হয়ে ওঠে--এই বাক্যটির অন্তর্গত মমর্টা কি? 'ভয়াবহ' শব্দটির অর্থ কি? এটা কি কোন ভীতকর শব্দ। অথবা হুমকিমুলক? অথবা শব্দটির মাঝে কোনো তরবারী লুকিয়ে আছে? সে তরবারীটির স্বরূপটি কি? যে প্রসঙ্গটি সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত করে অবতারণা করেছেন আপনি--সে প্রসঙ্গটি উল্লেখ করতে অসুবিধা কোথায়?
তিন. পাকিস্তান রাষ্টটি বাঙালি চেতনাকে ২৪ বছরে উপড়ে দিতে চেয়েছে। ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করে বাঙালিকে দেহ ও মনে শেষ করে দিতে চেয়েছে-- সেখানে নতুন করে সেই বাঙালি চেতনাকে যখন আপনি নাকজ করে দিয়েছেন আপনার নোটে, আপনি বলছেন--বলার চেষ্টা করেছেন-- এই বাঙালি চেতনাটি হিন্দু মনস্তত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়- সেটি প্যারানয়াকও বটে, এবং প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন, একাত্তরে নরহত্যার পেছনের কারণটি হল ইসলামের বিরুদ্ধে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্বের ষড়যন্ত্র, এই হিন্দু মনস্ত্বকে শুধু নয় নরজ্ঞানে তাকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়া-- এবং বাংলাদেশের জন্মটা হল, সেই উন্মাদ হিন্দুদের একটি প্রকল্পর বাস্তবায়ন মাত্র--সুতরাং সেই হত্যাকাণ্ডটি জায়েজ। এবং বাংলাদেশের জন্মটি নাজায়েজ। সুতরাং আপনার সান্ধ্যবাক্য থেকে উপর্যুক্ত যে আপাত সরলার্থ বেরিয়ে এসেছে তা কি বর্বরোচিত-সভ্যতাতিরোহিত যা যা কোন ন্যায় ধর্মকে মানে না, আপনার এই ভাষ্যটি কি বর্বর পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসক শ্রেণীর ভাষা বা আদর্শ নয়? যদি তাই হয়, তাহলে পাকিস্তানকে প্রসঙ্গটি হিসাবে টেনে আনা যাবে না কেন? আলোচনার স্বার্থে পাকিস্তান কেন--পৃথিবীর যে কোন প্রসঙ্গই আনা যেতে পারে। আর আলোচনাটিকে আপনি যে সীমারেখায় চিহ্নিত করতে চাইছেন--এই আলোচনার পদ্ধতিটি কি? কোথায় পাওয়া গেছে এই বদ্ধমুখী আলোচনা পদ্ধতি?... See More
46 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমেই কিন্তু পাকিস্তানপন্থী সামরিক শাসকরা সংবিধানকে পাল্টে দিয়েছিল এবং একের পর এক গণবিরোধী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানবতাবিরোধী সংশোধন করেছে। সংবিধান থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাকে জনগণের রায়ে নয়-- বন্দুকের খোঁচায় সরিয়ে দিয়েছে--এই নরপশুদের করা সংবিধানের বদলটিকে বাংলাদেশের জনগণ ম... See Moreেনে নেয় নি, নেয়নি বলেই তারা ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেই সংবিধানেই ফিরে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন, সর্বোচ্চ আদালতও সেই ধর্মনিরপেক্ষতা-বাঙালি জাতীয়তাবাদকে মুছে দেওয়া পঞ্চম সংশোধনীকে বাতিল বলে রায় দিয়েছেন--এবং এই বাতিলকারী সামরিক শাসকের ক্ষমতাগ্রহণকেও অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন--রাষ্ট্র যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই ৭২এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে--তখন আপনি সেই শাসরিক শাসকের খোচায় বদলের যাওয়া সংবিধানের পক্ষে আশ্রয় নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনছেন একজন মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে এবং গভীর কুট কৌশলে এই সংবিধানের পরিবর্তনকে (পঞ্চম সংশোধনী থেকে পরবর্তী সংশোধনী) একটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে উল্লেখও করেছেন শুরুতে--সংবিধান প্রসঙ্গে আপনার এই দ্বৈত অবস্থান আপনার কোন সততা? এটা আপনার কোন রাজনীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ?
আপনি মাস কয়েক আগে বলেছিলেন, আপনি আওয়ামী সেক্যুলার রাজনীতির গভীরে অবস্থান করেন--এই কি সেই আওয়ামী রাজনীতির গভীর অবস্থান?
6 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
লক্ষ করুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলায় হয়েছে--
''আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া ২[ জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধের] মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;''
এই 'আমরা' কারা? এরা মুসলিম, হিন্দু? বৌদ্ধ? খ্রিস্টান?কোন নির্দিষ্ট ধর্ম? বর্ণ? শ্রেণী? শব্দটি 'আমরা'। এই আমরা হল-- মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্ম, বর্ন ও শ্রেণীর সবাই। সুতরাং এই 'আমরা' শব্দটির মধ্যেই কিন্তু সেক্যুলার এবং আবহমান বাঙালি চেতনার কথাই বলা হয়েছে। আর এই চেতনাকে আপনি বলছেন--ফেক বা ভূয়া!! কী বলছেন আপনি--বুঝতে পেরেছেন?
... See More
সেই 'ঐতিহাসিক যুদ্ধটা' কি ছিল? কাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল? সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলাফলে কি উদ্দেশ্যগুলি অর্জিত হয়েছিল? তুষার গায়েন সেই গভীর সত্য কথাটিই বলেছেন। একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ হল, সেই যুদ্ধে 'আমরা' অকুতোভয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ল এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করল--স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করল-- সেই পাকিস্তান প্রসঙ্গ এনে আলোচনাকে বললেন 'স্থুল'! এই 'স্থুল' শব্দটির আসল অর্থ কি? এটা তাহলে আপনাকর্তক কথিত ফেক? এটা কি সেই কৌশলটি, যা দিয়ে স্কুল পাঠ্য বই থেকে বিএনপি-জামাত আমলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্ব থেকে পাকবাহিনী, রাজাকার, আল বদর শব্দবন্ধ তুলে বলা লেখা হয়েছিল--হানাদার বাহিনী, হানাদার বাহিনীর সহযোগী?
2 seconds ago ·
Subrata Augustine Gomes
টুকু, আপনার শেষ মন্তব্যটার প্রতিবাদ করতেছি এইখানে।
8 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
koren, osubidha nai. kintu kon point thika?
8 hours ago · Report
Mukul Kobi Raj
Mukul Kobi Raj
সুব্রত'দা ভাষা নিয়ে কিছু বলুন দয়া করে। কিছু কিছু লোকের স্থুল ভাবাবেগ তাড়িত বটতলার বক্তৃতা পরিবেশটা বদলে দিল...
8 hours ago · Report
Papree Rahman
Papree Rahman
টূকু, তোমার শেষ লাইনটা আমাকে মর্মাহত করলো। এভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করা অনুচিত।
আমিও তোমার শেষ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালাম।
4 hours ago · Report
Tarique Tuku
কারো ভিতরে থাকা মৌলবাদরে (তা হিন্দু হোক আর মুসল্মানি হোক) সমালোচনা করন যদি ব্যক্তি আক্রমন হইয়া থাকে তা হইলে আপনি আরো বেশি কইরা ব্যথা পান, আমি এই কামনাই করি।এই ব্যথা দরকারি।
যে আবেগ দেখাইয়া এই নোটে সোহেল হাসান গালিব এবং আমারে রাজাকার বানানোর চেস্টা চলছে, তার প্রতিবাদ কেউ করেন নাই। আমরা বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদের সমালোচনা করছি বইলা আমাদের কে পাকিস্তানিগো দলে ফেলার চেস্টা হইসে। এগুলাকি ব্যক্তি আক্রমন না ?
3 hours ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
এখন আর দেরি নয়, ধর গো তোরা, হাতে হাতে ধর গো।
Kulada Roy
Kulada Roy
স্যরি টুকু। আপনার বয়স কম। আপনার ধৈর্যও কম। তবে আপনার উৎসাহ অনন্ত। এইখানে আপনাকে একটা সালাম জানাই। আপনি আমাকে, তুষারকে গালি দিয়েছেন--আমি বিস্মিত হই নি। এটা আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক।
গালিব যে নোটটি লিখেছেন, সেখানে তিনটি পার্ট। প্রথম পার্ট--আমাকে গালাগালি করা হয়েছে। এর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে--খোণ্দকার আশরাফ হোসেনকে।
দ্বিতীয় পার্টে-ভাষা সম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটি অতি উচ্চাঙ্গের আলাপ করেছেন ।
তৃতীয় পার্টে- তিনি বাঙালি জাতয়িতাবাদ, সেক্যুলারিজম নিয়ে একটি মৌলবাদি তত্ত্বের অনুলিপি হাজির করেছেন।
গালিবের এই নোটটির পুরোটাই রাজনীতিক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গালিব মৌলবাদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার নোটটি শুরু এবং শেষ করেছেন। এখানে মূল সুরটাই রাজনীতিক। আর এই গরল রাজনীতিপ্রসঙ্গে একাত্তর/ পাকিস্তান/ পচাত্তর ছাড়া কি করা সম্ভব? গালিব তার আলোচনায় রাজনীতির বাইরে--একাত্তর/ পাকিস্তান/ পচাত্তর-এর বাইরে কিছু বলেছেন? প্রমাণ করেন যে তিনি রাজনীতির নিয়ে কোনো কথা বলেন নি, টুকু? একাত্তর শব্দটি গালিবই এনেছেন তার নোটে।... See More
আর আমি যে হিন্দু মৌলবাদি--এবং বাঙালি মুসলমানকে কোপাইতে চাই--আপনার এই অভিযোগটাকেও প্রমাণ করেন। আমি তো বারবার গালিবকে, আপনাদেরকে, সবাইকে সেই লাইনগুলিকে তুলে আপনাদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা দেননি। দিতে চাননি। ওটা পরিস্কার করে ব্যাখা করলেই বোঝা যেত কে সাম্প্রদায়িক।
আমি ভাষা নিয়ে অতীতে কথা বলেছি। এখানেও বলব। সে প্রস্তুতি আছে। এই নোটটি পড়ে আমার মনে হয়েছে ভাষা প্রসঙ্গের আগে রাজনৈতিক প্রসঙ্গটি ফয়সালা হোক। তারপর ভাষা প্রসঙ্গটি আলাপ করা যাবে। কারণ গালিবের উত্থাপিত ভাষা প্রসঙ্গটি প্রবলভাবে রাজনৈতিক। আলোচনা তো এভাবে করা যায়-- নয় কি?
গালিব আমাকে প্যারানয়েক-হিন্দুমনস্তত্তের লোক বলে ঘোষণা করেছেন--টুকু তার হয়ে আরও পরিস্কারভাবে বলেছেন, আমার মধ্যে হিন্দু মৌলবাদ বাস করে এবং তা দিয়ে বাঙালি মুসলমানকে কোপাইতে চাই। ধন্যবাদ টুকু--আপনার এই এক রৈখিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।
আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। তাকে মৌলবাদ হিসাবে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে।
ধরা যাক গালিব কথিত ইনশাল্লাহ শব্দটি--১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলেছিলেন--সেই ভাষণটি শেষ করেছিলেন--এদশকে মুক্ত করে ছাড়ব 'ইনশাল্লাহ' বলে। এই ইনশাল্লাহ শব্দটি কি কোন অমুসলিমকে ক্ষুদ্ধ করেছিল? কোন হিন্দু ভয় পেয়ে ইয়া নফসি ইয়া নফসি বলেছিল? দেখান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ইনশাল্লাহ শব্দটির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অমোঘ শক্তিশালি স্পিরিটটাই প্রকাশিত হয়েছে। ওটা ছিল অনিবার্য-শাশ্বত--সুন্দর। বাংলাদেশে স্নান নয়--গোসল শব্দটিও বেশি ব্যবহৃত। এর মধ্যে সমস্যা কোথায়? বাংলাদেশের কোন হিন্দু বা অমুসলিম ইসলাম থেকে আগত এই আরবী শব্দসম্ভারকে বাংলা ভাষার শব্দ ভাণ্ডার থেকে তুলে দেওয়ার আওয়াজ তুলেছে?
2 hours ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
আঠারো শতকে লেখা দলিল-দস্তাবেজ এবং চিঠিপত্রে যে-বাংলা গদ্যের নমুণা দেখা যায়, তাতে কবিতার মতোই আরবি-ফারসি শব্দ খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে। একটি ১৭৭০ -এর দশকে সিবরাম পণ্ডিতের লেখা চিঠি দেখুন--
''এখানকার সমাচার জবাব লিখিয়া ডাকমারফত পাঠাইয়াছি তাহার জবাব কিছু লিখেন নাই বুঝী পত্র পৌউছে না আমি এখানে পউছিয়া শ্রীযুত গুপ্তজীর দুই কন্যার ষুভবিবাহ ঁইচ্চায় ষুন্দরমত হইয়াছে...আশীবার গৌন কি তাগাদী বেওরা লিখিবেন মহাশএর হকিকত সমস্ত শ্রযুত মহারাজা বাহাদুর সাহেবকে নিবেদন করিলাম''
আরেকটি চিঠি দেখুন--
...শ্রীশ্রীরাম গরীব নেওাজ শেলামত আমার জমিদারি পরগনে কাকজোন তাহার দুই গ্রাম দরিয়াশীকিশতি হইয়াছে সেই দুই গ্রাম পয়শতী হইয়াছে চাকলে একবরপুরের শ্রী হরেকৃষ্ণ চৌধুরী আজরায়...... See More
সে সময়কালে সমাজ যেরূপ ছিল, ভাষা যেরূপ প্রচলিত ছিল, সে রূপ ভাষাই এসেছে লেখালেখিতে। সিবরাম পণ্ডিত হিন্দু হয়েও আরবী-ফারসি শব্দ ব্যবহার করছেন নির্দ্বিধায়? সমস্যা কোথায়?
এবার দেখুন মীর মশাররফ হোসেন কুষ্টিয়ায় জন্মেছিলেন। চাকরী করেছেন গালিবের টাঙ্গাইলে। তার বিষাদসিন্ধু দেখুন--
...যুদ্ধের রীতিনীতির প্রতি কাহারও লক্ষ্য নাই। কেবল মার মার শব্দ। অস্ত্রের ঝনঝনা ও মুহুর্তে মুহূর্তে 'আল্লাহ' রবে চতুর্দিক কাঁপাইয়া তুলিতেছে।... (মহরম পর্ব, একাদশ পর্ব)।
আবার দেখুন--
'দয়াময় ভগবান! তোমার কৌশল-প্রবাহ কখন কোন পথে কতবারে ছুটিতেছে, কৃপাবারি কখন কাহার কাহার প্রতি কত প্রকারে কত আকারে যে ঝরিতেছে তাহা নির্নয় করিবার সাধ্য জগতে কাহারও নাই।... (এজিদ-বধ পর্ব/ তৃতীয় প্রবাহ)।
মীর মশাররফ হোসেন কত অবলীলায় আল্লাহ ও ভগবান শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে। এই গ্রন্থটি বাংলায় আদৃত ও ঘরে ঘরে বহুল পঠিত একটি। কেউ কি আপত্তি করেছেন এই শব্দদ্বয়ের ব্যবহারে? কেউ কি বলেছেন--মীর হিন্দু না মুসলিমশব্দ ব্যবহার করছেন?
কমল কুমার মজুমদার অন্তজর্লী যাত্রা উপন্যাসে'র শুরুর আগে বলেছেন--
'এই গ্রন্থের ভাব বিগ্রহ রামকৃষ্ণের, তাহার কাব্য বিগৃহ রামপ্রসাদের। রাম প্রসাদ আমাদের শুদ্ধ মন আনিয়া দেন।। মা আমারে দয়া করে শিশুর মত করে রেখো।। অথবা যে দেশে রজনী নেই মা।। অথবা কেলে সর্বনাশী আমায় সন্নাসী করেছে।।--এ সকল কাব্যে তিনি ব্যক্ত।
জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বর দর্শন।
এই উক্তির মধ্যে যাহার কণ্ঠস্বর ধ্বনিত, যাহার স্মরণ মননে নব্য-বাঙলা সৃষ্ট; যিনি মানুষকে, প্রাকৃতজনকে, আপনার জাগ্রত অবস্থার খানিক অভয় দিয়া বলিয়াছিলেন-'মানুষ কি কম গা!'
এখানে কমল কুমার তার ব্যক্তি ঈশ্বরের কথা বলছেন। তার ঈশ্বর এখানে রাজনৈতিক ঈশ্বর নয়। তিনি তার ঈশ্বরকে নিয়ে কোথাও হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের দাবী বা রূপরেখার প্রণয়নও করছেন না। তিনি তার ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাসকে উপন্যাসের বাইরে বলছেন তার সেই স্বরচিত ফরাসী ভাষা স্টাইলের মধ্যে দিয়ে। এবং এই 'ঈশ্বর' বলার মধ্যে দিয়ে তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার দাবীও তোলেন নি। বা কোনো হানাদার বাহিনীকে এ ব্যাপারে সমহযোগিতাও করেন নি। তিনি প্রাকৃতজনের ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে এনে তুলেছেন, 'মানুষ কি কম গা' বলে। এইখানেই তিনি আধুনিক। আর ফররুখ আহমদ তার সমগ্র সাহিত্য কর্মের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানী দ্বিজাতিতত্ত্বেই আস্থা রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতিকে সমর্থন দিয়েছেন, তাকে বাস্তবায়নে ভাষা সংস্কারে ব্রতী হয়েছেন রবীন্দ্রবিরোধীতায় জান কোরবান করেছেন এবং যারা বাঙালিদেরকে হত্যা করতে বর্বরভাবে নেমেছে সেই পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগীই থেকেছেন। এক্ষত্রে তিনি কি করে আধুনিক হন?
about a minute ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
সুতরাং একজন কমল কুমার ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েও যখন তার এই ব্যক্তি বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেতে চান নি--তার মত করে একটি শব্দকে বেছে নিয়েছেন তার বক্তব্য প্রকাশে সেটি অন্যায় নয়--যেমন মীর মশাররফ হোসেন ঈশ্বর শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে? এখানে কমল কুমার বা মীল সাহেব কেউই অনাধুনিক নন। তারা দুজনেই প্রবলভাবে তাদের ভাবনাকে প্রকাশ করেছেন ভাষার সৌকর্য বিধানে নির্বিচারে শব্দ ব্যবহার করে। খরার সময় কোন হিন্দু আল্লা ম্যাঘ দে পানি দেরে তুই আল্লা--বলতে দ্বিধা করেছে বা আপত্তি করেছে? আল মাহমুদের সোনালী কাবিন পড়ে অযু নষ্ট হওয়ার কথা কোন হিন্দু বা খ্রীস্টান বা বৌদ্ধ করেন নি। আদরের সঙ্গেই সোনালী কাবিনকে গ্রহণ করেছে ব্যক্তি আল মাহমুদ জামাতী হলেও। কারণ মানূষ আগে মানুষ, তারপর অন্য কিছু। মানুষ সমগ্রেরই অংশ। সেকারণে মানুষ সামাজিক--সুসভ্য।
দেখুন অর্ন্তজলী যাত্রা উপন্যাসের শুরুটা--
''আলো ক্রমে আসিতেছে। এ নভোমণ্ডল মুক্তাফলের ছায়াবৎ হিম নীলাভ। আর অল্পকাল গত হইলে রক্তিমতা প্রভাব বিস্তার করিবে, পুনর্ব্বার আমরা, প্রাকৃতজনেরা, পুষ্পের উষ্ণতা চিহ্নিত হইব। আলো ক্রমে আসিতেছে।''
টুকু, 'আলো ক্রমে আসিতেছে।' বাক্যটি চিনিতে পারিতেছেন? মনে করুন। ... See More
a few seconds ago ·
Tarique Tuku
কুলদা, আপনার বলা আপাতত শেষ হইলে আমারে জানাইয়েন, আমি তখন আসব।
Kulada Roy
দয়াময় তৌফিক দিলে এই নোটে উত্থাপিত প্রতিটি বিষয় নিয়েই কথা বলা যাবে। সুতরাং নো প্রবলেম। যে কোন সময় আপনার কথা শুরু করতে পারেন। এই নোটের ইতি হলে কে কতটা গালি দিয়েছেন--তার একটি পরিসংখ্যান দেওয়ার কোসেস করার খায়েস রাখি। ধন্যবাদ।
9 hours ago ·
Mou Modhubontee
Mou Modhubontee
গালিব হাসান কে টেগ করার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু এই সব আলোচনা অংশ নিতে সত্যি অস্বস্তি লাগে কারন এত আক্রমণ করে একজন আরেকজন কে কেউ বুঝে করে কেউ না বুঝে ।কেউ কেউ বিষয় বস্তুর ধারই ধারে না ।বাংলা সাহিত্যে কি এত রকম গালাগালি শিখায় নাকি ? যে যে যেমন পারে লিখে যায়। আলোচনা মানে কি আবেগ তাড়িত হয়ে রাস্তার ধারে গর্তে গাড়ি ফেলে দেয়া নাকি ? আশা করি সবাই সুচিন্তিতভাবে আলোচনা করবে ।তা হলে পড়াও হলো, শিখাও হলো আগামীর জন্য তৈরী ও করা গেল নতুন মঞ্চ শুভ কামনা
5 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
সোহেল হাসান গালিবের এই নোটে আমি প্রসঙ্গ বহির্ভূত একটি কথাও বলিনি। আমি বলেছি, এই নোটে অনেক প্রসঙ্গ এসেছে যার জবাব আমি এক এক করে দেব। আমাকে তো কোথাও থেকে শুরু করতে হবে। সেক্যুলারিজম ও বাঙালী জাতীয়তাবাদের কথা তিনিই উল্লেখ করেছেন; প্রমান করার চেষ্টা করেছেন তা বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির এলাকায় উত্থাপিত বহু প্রশ্নের ব্যাখা ও মীমাংসা করতে অক্ষম এবং চূড়ান্ত বিচ... See Moreারে অসার ও বর্জনীয়। আমি তার পাল্টা জবাব দিয়েছি এবং যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য খণ্ডন করেছি। সেক্যুলারিজম ও সেক্যুলার স্টেট-এর অর্থ কি এবং কেন তা চরিত্রগতভাবে ধর্মবিদ্বেষী নয় এবং সে কারনেই তা ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারে না, তার ব্যাখা করেছি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারনা কেন অভ্রান্ত, কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার উদ্ভব ও কেন তা বাংলাদেশের জনগনের জন্য কার্যকর সে কথা বলেছি। এই ব্যাখার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে যার উল্লেখ গালিবই তার নোটে প্রথম করেছেন। আমার এইসব ব্যাখার জবাব না দিয়ে যারা আমাকে মুক্তিযুদ্ধের আরেক দোকানী অথবা বটতলার বক্তৃতা বলে গালাগালি করছেন, তা কি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক? যাহোক, আমার চেষ্টা আমি করব। বাঙালি জাতীয়তাবাদের সাপেক্ষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমীকরণ কি হবে তা নিয়ে যে আলোচনা মূলতবী রেখেছিলাম, এবার সে বিষয়ে বলব।
4 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
বাংলাদেশের জনগন তার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ, তখন এ প্রশ্ন আসে নি যে, বাঙালি জাতিসত্তার নবজাগরণে ও তার আকাক্ষিত প্রতিষ্ঠার সাপেক্ষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমীকরণ কি হবে। স্থান-কাল-পাত্রের বাস্তবতায় তখন সেটা প্রাসঙ্গিক ছিল না। কারন দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চালিকাশক্তি হিসেবে বাঙা... See Moreলি জাতীয়তাবাদ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছে যা ধর্ম-বর্ণ ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ছিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। যে ভাষা ও জাতীয়তাবোধের উপর দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে তা অন্তর্ভূক্ত হবে, এতো অস্বাভাবিক নয়। দেশ স্বাধীন হবার পর যখন বাইরের শত্রু অন্তর্হিত, তখন ঘরের ভিতর সবাই তার প্রাপ্য বুঝে নিতে চাইবে এটাও স্বাভাবিক। সেই প্রাপ্য কি সে নির্ধারিত হবে, প্রশ্নটা সেখানে। নির্ধারিত হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে জাতীয়তাবোধ, ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে তাকে বাধাগ্রস্ত না করে, স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে দেয়ার মধ্য দিয়ে। পরস্পরকে উচ্চ বলিয়া ব্যবহার করার প্রাচীন উপমহাদেশীয় রীতি মান্য করে। অথাৎ বাঙালি জাতীয়তাবাদ যদি উদার ও সহিষ্ণুতার পথে বিকশিত হবার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিকাশকেও স্বীকৃতি দেয়, তাহলেই সমস্যা মিটে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে যুগলবন্দী, আর ধর্মনিরপেক্ষতার অন্তর্নিহিত প্রানশক্তিই হলো কারো ধর্ম ও সাংস্কৃতিকবোধে হস্তক্ষেপ না করা, ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিকাশের পথ সেখানে উন্মুক্ত থাকে। এ জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্র থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ‘স্যাপারেশন’ প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তো আর বিকশিত হতে দেয়া হয় নি, তাকে তো ৭৫-র পর গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দাঁড় করিয়ে যারা বলতে চান যে, এর ভিতরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জাতীয়তাবোধকেও অঙ্গীভূত করে নেয়ার সুযোগ আছে, তাদের উদ্দেশে বলতে হয় যে, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের জনগনের মানসগঠন ও উপলব্ধিতে ‘নেশন’ ও ‘স্টেট’-এর ধারণা ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ‘নেশন’ ও ‘স্টেট’-এর ধারণা থেকে পৃথক। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথসহ অনেক মনীষীর বহু লেখাজোখা রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বা মুসলিম জাতীয়তাবাদের পক্ষে যারা বলেন, তারাই যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নিপীড়নে ও তাদের বিকশিত হবার পথে বড় বাধা, তা গত ৪০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালেই টের পাওয়া যায়।
4 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
চূড়ান্ত বিচারে ধর্ম, জাতীয়তা, দেশ এ সবই বিশেষ কালখণ্ডের জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার দ্বারা সীমাবদ্ধ। মানুষের শেষ পর্যন্ত একটাই ধর্ম – তার নাম মানবধর্ম, একটাই জাতি - তার নাম মানবজাতি, একটাই দেশ - তার নাম পৃথিবী। শোনা যায়, মানবজাতি প্রচলিত ভাষাসমূহের পাশাপাশি একটি এককভাষা বা মহাভাষা (Super language) নির্মানের দিকেও অগ্রসরমান। কিন্তু এসব কিছুই তো অর্জন করার ব্যাপার এবং বহুকাল ধরে সাধনার ব্যাপার। আমরা এখন কথা বলছি বিশেষ স্থান-কাল-পাত্রের একটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে এবং এখন যা শ্রেয়তর তার পক্ষেই আমাদের অবস্থান।
4 hours ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
শয়তান যেমন ক্রুশচিহ্নকে ভয় পায়, কিছু মানুষ একাত্তর শব্দটিকেও তেমনি। '১৯৭১' দিয়েই exorcise করতে হবে তাদের। দোকান্দারি হক, আর বাজনদারি, বাজাব অই একটি শব্দই, নানা ছন্দে,নানা গ্রামে। তোমারি নাম বলব, আমি বলব নানা ছলে।
about an hour ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
আলোচনা এখন স্পষ্টতই দ্বিমুখী হয়ে যাচ্ছে। বা বলা যায়, আলোচনাকে দুই ধারায় ফেলে দেয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেনÑতা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবি... See Moreরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যভাবে অংশ গ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল?
কুলদা রায় ও তুষার গায়েন ধর্মনিরপেতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই মানব মুক্তির গ্র“হণযোগ্য পথ মনে করছেন। তুষার গায়েন তো ধমনিরপেতা আর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে একরতি সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলছেন, ুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি নাকি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। আসলে এখানেই প্রাবল্যবাদ চরমভাবে কাজ করে, এধরনের উদাসীনতা থেকেই শেখ মুজিব পাহাড়িদের বাঙালি হয়ে যেতে উপদেশ দিয়েছিলেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মনিরপেতার বিষয়টি এক আনাও সাপোর্ট করি না। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মই প্রাবল্যবাদী, এরা অন্য ধর্মকে বিতাড়িত করেই নিজের জায়গাটি করে নেয়। ধর্মের ইতিহাস তা-ই। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাবল্যবাদী ধর্ম হচ্ছে ইসল্মা। আমি এ ব্যাপারে রবিঠাকুরের সাথে একমত যে এরা অন্য মতকে নিশ্চেষ্ট করে এগিয়ে যায়। আর সনাতন হিন্দু ধর্ম তো পৃথিবীতে আর কোনো ধর্মের অস্তিত্বই মেনে নেয় না। ধর্ম কখনও একা থাকে না, নড়াচড়া করে, জায়গা বাড়ায়। ইসলাম কি বলে যে ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার? প্রত্যের ধর্মেরই রাজকীয় রূপ আছে।
তবে হ্যা, ধর্মনিরপেতার উপর ভিত্তি করে যদি ধর্মীয় উদাসীনতাকে এস্টাব্লিস্ট করা যায়, বিজ্ঞানকে যথাযথভাবে চর্চা করা হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে সমাজপ্রগতির কিছু কাজ হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস কি বলে? বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে এলাকাভিত্তিতে সবার ধর্ম-মতের গুরুত্বের কথা বললেও কার্যত তা মুসলিম জাতীয়তাবাদকেই প্রমোট করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদে কি ধর্মকে কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? স্বাধীনতার পরপরই ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ধর্মপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক ধর্মচর্চা কি কম হয়েছে? তা বন্ধ করার কোনো কার্যক্রম কি তখনন আমরা দেখেছি? বরং মুসলিম রাষ্টসমূহের সাথে মাখামাখি শুরু হয়ে গিয়েছিল, শেখ মুজিবের জীবদ্দশাতেই ভুট্টো বাংলাদেশে এল। তাজউদ্দিন আহমদকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হল। এইভাবে আর দুই-চার চললে তুষার গায়েনের সাধের বাঙালি জাতীয়তাবাদের হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জন্ম নিত। আসলে ভোটের রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে এধরনের খেলাধুলা চলতেই থাকবে।
about an hour ago · Report
Majul Hassan
আদর্শ ও মতবাদ দুটোকেই আমি সন্দেহ করি।
because... See More, কোনো আদর্শ বা মতবাদের প্রাথমিক কাজ হলো একটি হেজিমনি তৈরী করা অথবা কোনো গুরুতর মতলবকে পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু মতলব একটা থাকে আর মতলববাজের হাজার পথ, শয়তানের কোটি কোটি হাতের মতো, সেহেতু তা একসময় অবলাবস্থা বা গিরিঙ্গি তৈরী করে। জর্জওরয়েলের এনিমেল ফার্ম-এর শুয়ররা যেমন একসময় কেবল শুয়র হয়ে ওঠে, তেমনি মতলববাজের ছানাপুনারা একসময় কেবল কেবল ধান্দাবাজ হয়া পড়ে। বাঙালী বা বাংলাদেশী নয়, জাতীয়তাবাদ বিষয়টাই আজ ভেক। তেমনি বৈশ্বিকতাবাদও এক ধরণের কর্পরেট-নীল নকশার ক্রীড়নক। বিষয়টি হলো ফাঁদ এড়িয়ে এড়িয়ে চলা। সুন্দরী যুবতীটিকে চান্স পেলেই অনেক্ই যেমন বেশ্যা বানাতে চান, তেমনি মেধাবীরা চূড়ান্ত স্বৈরচারী হতে এগিয়ে যায়, যেতে পারে। ফরে কোনো কিছুকেই এবসলুট ধরাই বোকামি, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে তাতে।
কোনো কিছুর মধ্যে কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়াটাই এক ধরণের মৌলবাদীতা। এইটা ধর্মেল আফিমের মতোই বিপদজনক ও বুদ্ধিবিনাসী।
5 hours ago · Report
Nuruzzaman Manik
Nuruzzaman Manik
Majul Hassan কোনো কিছুর মধ্যে কোনো ত্রুটি খুঁজে না পাওয়াটাই এক ধরণের মৌলবাদীতা। এইটা ধর্মেল আফিমের মতোই বিপদজনক ও বুদ্ধিবিনাসী।
I like it.
5 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব
চার নম্বর পয়েন্টটার কথাই আগে বলি, দুই ধাপে উত্তর দিতে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে গেল সে কপিপেস্টের অগোচরে !
২. কেন বাঙালি বনাম বিহারী বলাটা শুদ্ধতর হবে? এমন হবার সম্ভাবনাটা কিন্তু খুব বেশি, বাঙালির প্রতিপক্ষ ফুটবল দল নিজেদেরকে বাঙালি বা বিহারী কোনটাই না বলে স্রেফ মুসলমান পরিচয়টাতেই সবচে’ স্বাচ্ছন্দ্য পেত! গফুর চাষা নিয়ে আমার কোন উচ্ছ্বাস নাই, আমি খালি বলেছি গফুরের উপস্থাপনের মাঝেই চিরায়ত নিন্মবর্গের বাঙালি মুসলমান চাষার চিত্র আছে, শরৎ হতেই পারে কেবল হিন্দুর হাতে গো হত্যার পাপ এড়ানোর জন্যই তাকে খুঁজে বের করলেন মহেশ গল্পটার জন্য। কিন্তু বাঙালি মুসলমানের অস্তিত্ব নিয়া তার সংশয় ছিল না, কিছুটা বরং ছিল এই বাঙালি মুসলমানের প্রতি কিছুটা সাম্প্রদায়িক মনোভাব। ফলে এইটাও “বাঙালি বনাম মুসলমানের ফুটবল” বিষয়ক বাক্যটার আপাত অর্থের বিপক্ষেই দাঁড়ায়। ... See More
৩. বহুকাল আগের যে সচেতনতার কথা আপনি তুললেন, সেইটা তো ইংরেজপূর্ব আমলের কাহিনী। সেই সচেতনতারা ধারায় একটা বড় ছেদই তো আনল কোম্পানির শাসন। নতুন এমন এক মধ্যবিত্ত তৈরি হল, যার সামনে শাসক তৃতীয় পক্ষ এবং বিদেশী। তারই কা্ছে এইবার অনুযোগ, আব্দার আর প্রতিপক্ষের নামে নালিশ। প্রেক্ষাপটের এই বদলের চিত্র হিসাবেই আমি ক্রমপরিচয়ের কথা তুলেছি। বঙ্কিমে যেমন এইটা একটা রাজনৈতিক উগ্রতা হিসাবে এসেছে, ক্রমশ কমে কমে তা কংগ্রেসে একটা সমঝোতায়ও এসেছিল। ব্যতিক্রম উভয় তরফেই ছিল, আপনার ভাষায় শুরুর ‘আধা সাম্প্রদায়িক’ রবীন্দ্রনাথকে কিন্তু শেষভাগে মো্টেই একই ভূমিকায় দেখিনা। আর মীর থেকে জসিমের কথা তুললেন, সিরাজী থেকে আবুল মনসুর কে গেলেন ভুলে!! আর বঙ্কিম থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত যে কালরেখা আপনি টানলেন, তাতে কিন্তু এই ক্রম পরিচয়, ক্রম পরস্পরের সামর্থের উপলদ্ধি, শত্রুতা আর মিত্রতা যাই হোক উপেক্ষা যে একেবারে করা যাবে না, তার বোধেরই তো পরিচয় পাওয়া যায়।
এইটার একটা চমৎকার উদাহরণ পাইছিলাম মাওলানা ওবায়দুল্লা সিন্ধীর আত্মজীবনীতে। উনি একজন কনভার্টেড মুসলিম, শিখ পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন মুসলমান হয়ে। দেওবন্দ আন্দোলনের গোড়ার দিকের লোক। তার নিজের বয়ানে দেওবন্দের, এবং ওনার নিজেরও গোড়া মৌলবাদী থেকে অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদী হবার বয়ানটা খুব অদ্ভুদ, আর এইটাই ভারতে ব্রিটিশবিরোধী লড়ায়ইয়ে অসাম্প্রদায়িক ধারার বিকাশের ইতিহাস।
4 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
৫. ফরহাদ মজহারের বিষয়ে কেবল এইটুকুই বলা যায়, উনি প্রায়শই প্রেক্ষিত রক্ষা না করে কথা বলেন। এই উদাহরণটাতেই যেমন উনি উমরকেই আধলা উদ্ধৃত করেছেন, সামান্য একটু টুইস্ট করে! উমর ঘরেফেরার কথা বলতে জনগণের ইসলাম ত্যাগ করার কথা কিন্তু কখনোই বলেন নাই। এইটা মজহারের আরোপ, এবং বলা উচিত সুবিধাবাদী একটা আরোপ। এই মজহারেরই বাঙালি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের পক্ষে অবস্থান পাওয়া যাবে পাহাড়ি শান্তিচুক্তি নিয়া ওনার এমনকি আওয়ামী লীগেরও বেশি প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রে। আর ওনার উদাহরণহীন আলোচনা (যাতে প্রায়শই প্রতিপক্ষের ওপর কাল্পনিক অভিযোগ চাপানো হয়) এর একটা দারুণ দৃষ্টান্ত হলো ওনার মোকাবেলা নামক গ্রন্থটি। দেখবেন, এই বিশাল বইটিতে বাংলাদেশে ধর্মের মোকাবেলা প্রশ্নটি আলোচনা করতে যেয়ে উনি বাস্তব রাজনীতি আর সাহিত্য থেকে প্রায় কোনই উদাহরণ টানেননি।
স্বদেশ প্রতাবতর্ন বলতে উমর যা বুঝিয়েছেন, তা সংক্ষেপে আগের কমেন্টে বলেছি। সেটা দেখা যাচ্ছে না বলে আবার বলার চেষ্টা করা যেতে পারে, পাকিস্তান রাষ্র প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের ভাবমানসের একটা বড় অংশকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল তাদের পরিচয়ের সঙ্কট। সেই বৃটিশ আমলে রিজলির বাঙালি মুসলমানের নিন্মকূলে উদ্ভবের কাহিনীর বিরাধিতা করতে যেয়ে খন্দকার ফজলে রাব্বি যেমন প্রমাণ করেন, তারা উচ্চকূলোদ্ভব, আমাদের আধুনিক মোহর আলী পর্যন্ত সেই কাহিনীই গান। বিষয় কিন্তু শুধু উৎপত্তি না, কিসে জাতির মঙ্গল, কি করিতে হইবে, এই প্রশ্নেও মনোজগতটা স্বভূমিতে কেন্দ্রীভূত না থেকে ধর্মাশ্রয়ী ছিল, বলা উচিত কাল্পনিক জাতির আশ্রয় দ্বারস্থ অন্তত হয়েছিল। এর মাঝে কোন ঐতিহাসিক ভুল নাই, বরং উমর দেখান (দেখান কিনা জানি না, ওনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়!) এইটা একটা ঐতিহাসিক পরিভ্রমন। পাকিস্তানের দাগা খাওয়ার পর এই প্রথম বাঙালি এলিট আর বাঙালি চাষার স্বার্থের সম্পর্ক তৈরি হলো, এই প্রথম মধ্যবিত্তের মনোযোগ সর্বাংশে কেন্দ্রীভূত হলো স্বদেশে। এই অর্থে উমর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বলেছেন।
৬. ৬ এর জন্য বসে থাকলাম।... See More
৭. বাপরে! পুরা একশ বছর!! আমার কিন্তু মনে হয় ইতিহাসে আগুপিছু নাই। নবাবী আমল গেছে, তার ভাষা ব্যবহারের জেরে কিছুকাল টিকে গেছে। এসেছে যারা, তারা নতুন ভাষার প্রয়োগে মৌলবাদী হবেই। কিন্তু সমাজের বাস্তব চাপেই নির্ধারিত হয়েছে আদতে ভাষার কাঠামোটা কি দাঁড়াবে। রাইসুর একটা লেখার জবাবে সুব্রত অগাস্টিন এই নিয়ে একটা কমেন্ট আধো আধো করেই থেমে গিয়েছিলেন, উনি বিস্তারিত বলবেন আশায় বসে ছিলাম। আমাদের কপাল মন্দ।
লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা আসলে কিছুটা মস্করা করেই বলা, অনেকগুলা ভাষার লিঙ্গুয়াফ্রাঙ্কা যেমন একটা দাঁড়ায়, অনেকগুলা ডায়লেক্টে তা হৈলে দোষ কী? কিছু না?! আপনি বুঝেছেন, ওই ভরসাতেই আমিও বলেছিলাম।
4 hours ago · Report
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
খোন্দকার আশরাফ,
আপনার বাজনের ঘন্টির শব্দ তো টুকুর মেয়ের বিয়ের বাদ্যর মতোই শোনাচ্ছে।
কার মুক্তিযুদ্ধ, কে মাফ পাইল, কে মাফ করল, সব হিসাবে রেখে ঘন্টি বাজাবেন। ... See More
2 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, দুঃখিত একটু দেরি হয়ে গেল। খুব ব্যস্ত ছিলাম।
আপনি লিখেছেনঃ
"আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। "... See More
যদি মনে মনে তাই বিশ্বাস করে থাকেন আপনি কুলদা, তাহলে এইতো কিছুদিন আগে গালিবের ব্যবহৃত 'হৃদয়-কাবা' শব্দটিকে কোন যুক্তিতে মৌলবাদি আখ্যা দিয়েছিলেন? কোন যুক্তিতে তাহলে রাইসু বা অন্যান্যদের ভাষা নিয়ে আপ্ননাদের আপত্তি? আপনি লিখেছেন 'গালিবের উত্থাপিত ভাষা প্রসঙ্গটি প্রবলভাবে রাজনৈতিক।'-- ভাষার মধ্যে তো অবশ্যই রাজনিতি থাকবে কুলদা। আপনি যে ভাষা ব্যবহার করেন তা কি রাজনিতির বাইরে? বা ভাষা নিয়ে আপনার মত?
তো ভাষা বিষয়ে যে কোনকিছুই 'প্রবলভাবে রাজনৈতিক'। আমার মনে হয় আপনার আপত্তিটা এখানে নয়। আপনার আপত্তি, সেটি আপনার পছন্দ হল কিনা।
আর পছন্দ হয়নি বলেই আপনার মন্তব্যঃ ' শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গালিব মৌলবাদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার নোটটি শুরু এবং শেষ করেছেন। '
অথচ আপনি একটি উদাহরনও দিলেন না গালিবের এই মতামত কীভাবে মৌলবাদি।
' তিনি বাঙালি জাতয়িতাবাদ, সেক্যুলারিজম নিয়ে একটি মৌলবাদি তত্ত্বের অনুলিপি হাজির করেছেন। ' -- বিপক্ষ-র সমস্যা আলচনা না করে আপনি এইভাবেই তার গায়ে 'মৌলবাদি তত্ত্বের' তকমা এটে দিলেন!! বাঙ্গালি মুসল্মান যতবার দাড়াতে চেয়েছে, ততবার তার গায়ে ঠিক এইভাবেই মৌলবাদি তকমা এটে দেয়া হয়েছে।এ খেলা নতুন নয় কুলদা।
2 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
'বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ইনশাল্লাহ শব্দটির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অমোঘ শক্তিশালি স্পিরিটটাই প্রকাশিত হয়েছে। ওটা ছিল অনিবার্য-শাশ্বত--সুন্দর।' --মানলাম। কিন্তু সাহিত্যে তো আপনাদের এই 'ইনশাল্লাহ' গ্রহন করার কোনো আলামত দেখিনা। সাহিত্যে 'ইনশাল্লাহ' আসলে সেটা হবে চাপিয়ে দেয়া, ঠিক না কুলদা? যেমন আপনি লিখছেনঃ ' একজন কমল কুমার ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েও যখন তার এই ব্যক্তি বিশ্বাসকে চাপিয়ে দেতে চান নি--তার মত করে একটি শব্দকে বেছে নিয়েছেন তার বক্তব্য প্রকাশে সেটি অন্যায় নয়--যেমন মীর মশাররফ হোসেন ঈশ্বর শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন তার বিষাদ সিন্ধুতে?'
আমি বলবো এই চাপিয়ে দেয়া এবং না চাপিয়ে দেয়ার যে যুক্তি দাড় করালেন আপনি, তা খুব উদ্দেশ্য প্রনোদিত। যিনি আল্লায় বিশ্বাস করেন তার আবার ব্যক্তি হিসেবে অন্যকোনো বিশ্বাস থাকে নাকি? আর যে কোনো লেখাই সমাজে ইম্পলিকেশন তৈরী করে। তো এই হিসেবে যে কোনো লেখাই সমাজের উপর চাপিয়ে দেয়া কূলদা।
কমলকুমারের একটা লাইন তুলে দিয়ে আপনি আমাকে একটি প্রশ্ন করেছেন, এবং তাতে আপনি যে গালিবের নোটটাকে মৌলবাদি বানাতে গিয়ে আর কিছুই যে খেয়াল করেন নি তা স্পস্ট হয়েছে।লক্ষ্য করে দেখুন, কমলকুমার নিয়ে আমাদের বিরোধিতা ছিল না; যে ভাষা ব্যবহার করে তিনি আধুনিক হয়ে উঠলেন সে ভাষা ব্যবহার করেই কোনো বাঙ্গালী মুসল্মান যদি লিখতেনঃ 'জীবনের উদ্দেশ্য আল্লাহ দর্শন'... তাহলে তার গায়ে মৌলবাদি তকমা এটে দেয়া হত---আমাদের বিরোধিতার জায়গা এটাই। এবং এ থেকে যে আপনি মুক্ত নন তার জীবন্ত উদাহন 'হৃদয়-কাবা'।... See More
আমার মনে হয় কোনটা রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক তা বিচারের আগে নিজের মনে থাকা মৌলবাদকে আপনার তাড়ানো উচিত।
এখন যাই, হাতে অনেক কাজ।
17 minutes ago · Report
Rahil Rohan
ভাষা-বিতর্কে সবার কুল-ঠিকুজি বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। - exactly!!
4 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
@Kamruzzaman Jahangir... See Moreভাইঃ
'তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেনÑতা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যভাবে অংশ গ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল? '
অনেক ধন্যবাদ এই তর্কটা উঠানোর জন্য। এটাই আমার আপত্তির সবচেয়ে বড় জায়গা। বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ না মানলে কেউ কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হয়ে যায়? মৌলবাদি হয়ে যায়। এবং এই খেলাটাই কুলদা রায়েরা এখানে খেলছেন।
4 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু,
১. এখানে কোথায় হৃদয় কাবা বিষয়ে সম্পর্কে আমার আপত্তিটি খুঁজে বের করুন-- আমি কি বলেছিলাম আর গালিব কি বলছিলেন, দেখান। (লিংক সংযুক্ত)
গালিব বলেছিলেন, 'কুলদাবাবুও আজ পাখি বটেন, তার বুকে হৃদয়-কাবা ধ্বংসের অভীপ্সা।'
কাবা শব্দটি মুসলমানদের প্রধান পবিত্র স্থানের নাম। হৃদয়ের সঙ্গে সেটা মিলিয়ে তিনি সেই হৃদয়কে ধর্মীয় পবিত্র স্থানের সমত্ুল্য করেছেন। এখানে আমার আপত্তি নয়। গালিব আমাকে হিন্দু সাম্প্রদায়িক অভিধা দিয়ে সেই হৃদয়কাবা ভেঙে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করার একটা অপচেষ্টা করেছিলেন। আমি সেই অপচেষ্টাকেই ধরিয়ে দিয়েছিলাম মাত্র। নোটটি পড়ে দেখুন--... See More
http://www.facebook.com/note.php?note_id=88084158534&comments
২. রাইসুদের ভাষা নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে অতীতে। সম্প্রতি কাজী মামুন একটি নোট লিখছিলেন—দেখতে পারেন--http://www.facebook.com/notes/sohel-hasan-galib/andha-jatiatabada-kulada-ra-bikrti-o-adhyapaka-khondakara-asarapha-hosena/386678993534#!/notes/kazi-mamun/bhaara-manacitra-naki-manacitrera-bhaa-duniabyapi-kathya-o-lekhya-bhaara-rupa-ke/382010978284
ব্রাত্য রাইসু তার লাইনে পাকা। তার লাইনটা হল—কদর্য একটি বাকভঙ্গি বা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা করা। কারণ বাংলা ভাষার একটি শক্তি আছে—যে শক্তির কারণে ভাষাটি কেবলমাত্র ভাষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের প্রণোদনা হিসাবে কাজ করেছে। এটা টের পেরেই পাকিস্তানী শাসক এবং তাদের এদেশীয় দোষররা বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার নানা অপচেষ্টা করেছে। এটা একটা প্রকল্পের অংশ্ হিসাবে পাকিস্তান আমলে পয়গাম পত্রিকা, মাহে নও পত্রিকার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা চেষ্টা হয়েছিল। তখন করা হয়েছিল শুধু মাত্র ধর্মভাষার নাম দিয়ে—আর রাইসুরা ধর্মভাষার সঙ্গে কদর্যতার মিশেল দিচ্ছেন। রাইসু যেমন সরাসরি যেমন জামাতের পক্ষে কলম ধরছেন আবার আদিরসকেও টেনে আনছেন। এই বিষয় নিয়ে দলিল দস্তাবেশসহ পরে পেশ করার ইচ্ছে আছে। অবশ্য রাইসুর জিগরী দোস্ত সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ আকারে ইঙ্গতে বলেছেন, এই ভাষা হালে পানি পাবে না।
৩. সেক্যুলরিজমকে ইসলাম বিদ্বেষী বলে মৌলবাদিরা। সেক্যুলারিস্ট স্টেটে সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানকে নিশ্চিত করে। কিন্তু মৌলবাদিরা সেক্যুলারিজমের উল্টো ব্যাখ্যা দেয়। তারা বলে সেক্যুলারিজম ধর্মকে বাতিল করতে চায়। উদার অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদকেও ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে।এ টা মৌলবাদিদের প্রলাপ। গালিব এই প্রলাপেরই সমর্থন করেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে এখানে একজন বন্ধূ বিস্তারিত আালোচনা করেছেন। টুকু, আপনি সেগুলো পড়ে দেখুন। পূনরাবৃত্তি করতে চাই না। গালিবের নোটই মৌলবাদিদের তত্ত্বে রসসিক্ত। তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। অই বইটির মৌলবাদের বিষবাষ্পে ভরা। যদি এত আলোচনার পরেও না বোঝার ভান করেন—তাহলে কি করার আছে?
3 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
৪. শব্দের দু ধরনের চরিত্র থাকে। একটি হল—দেহ বা বা প্রকৃতিবাদি বা প্রতীকবাদি। আরেকটি হল আত্মাবাদি বা পুরুষবাদি। আত্মবাদি পদ্ধতিতে একটি শব্দ বহুরৈখিক। আর প্রকৃতি বা দেহবাদি পদ্ধতিতে শব্দ একটি প্রতিকী অর্থে একরৈখিকতায় আটকে যায়, তখন শব্দ মৌলবাদি হয়ে পড়ে। ঈশ্বর শব্দ নিয়ে টুকুর দশা হয়েছে এই মৌলবাদি ঘরানার। মীর মশাররফ হোসেনের আগে উইলিয়াম কেরি সাহেবও ঈশ্বর শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সেক্ষেত্রে ইশ্বর শব্দের মধ্যে দিয়ে বাইবেলে উক্ত গডকেই বুঝিয়েছেন। আবার মীর তার বিষাদ সিন্ধুতে ভগবান বা জগদীশ্বর শব্দে সর্বশক্তিমান আল্লাহকেই বুঝিয়েছেন। এটা নিয়ে কুপমণ্ডুকতাতো করার কিছু নেই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পদ্মানদীর মাঝি বা নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার রস গল্প পড়ে দেখতে পারেন। এগুলো নিয়ে আপনার বাগাড়ম্বর অক্ষমের আস্ফলন মনে হচ্ছে।
৫. কমল কুমার মজুমদারের বিষয়ে আমি আগেই বলেই –‘এখানে কমল কুমার তার ব্যক্তি ঈশ্বরের কথা বলছেন। তার ঈশ্বর এখানে রাজনৈতিক ঈশ্বর নয়। তিনি তার ঈশ্বরকে নিয়ে কোথাও হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের দাবী বা রূপরেখার প্রণয়নও করছেন না। তিনি তার ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাসকে উপন্যাসের বাইরে বলছেন তার সেই স্বরচিত ফরাসী ভাষা স্টাইলের মধ্যে দিয়ে। এবং এই 'ঈশ্বর' বলার মধ্যে দিয়ে তিনি অন্য ধর্মাবলম্বীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার দাবীও তোলেন নি। বা কোনো হানাদার বাহিনীকে এ ব্যাপারে সমহযোগিতাও করেন নি। তিনি প্রাকৃতজনের ঈশ্বরকে মানুষের পর্যায়ে এনে তুলেছেন, 'মানুষ কি কম গা' বলে। এইখানেই তিনি আধুনিক।‘
আর আল্লা বা ঈশ্বরে বিশ্বাসটি ধর্মজাত। এটি মানুষের অনেক বিশ্বাসের একটি। সুতরাং আল্লায় বিশ্বাসী মানুষ ধর্মবিশ্বাসের পাশাপাশি অন্য বিশ্বাসও গ্রহণ করতে পারবে না কেন? আর ধর্ম ছাড়া অন্য বিশ্বাস ধারণ করা যাবে না—এটা তো মৌলাবাদেরও মৌলবাদী পর্যায়।
৬. টুকু, বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?
3 minutes ago ·
Sumon Rahman
"শব্দের দু ধরনের চরিত্র থাকে। একটি হল—দেহ বা বা প্রকৃতিবাদি বা প্রতীকবাদি। আরেকটি হল আত্মাবাদি বা পুরুষবাদি। আত্মবাদি পদ্ধতিতে একটি শব্দ বহুরৈখিক। আর প্রকৃতি বা দেহবাদি পদ্ধতিতে শব্দ একটি প্রতিকী অর্থে একরৈখিকতায় আটকে যায়, তখন শব্দ মৌলবাদি হয়ে পড়ে।"
--- Kuloda Roy... See More, আপনার উপরের মন্তব্য থেকে এই চারলাইনই পড়লাম। বাদবাকি পড়ার সাহস করলাম না। আপনি কি মেটাফিজিক্সে উচ্চশিক্ষা নিছেন নাকি? যাকগা, যথেষ্ট ভয় পাইছি। কিন্তু খোন্দকার আশরাফের কবিতার সাথে ছবিটা কে আঁকছে? এত নিম্নমানের কার্টুন, যে বমি আইসা গেছিল। আমাদের নিয়া বাজারে আরো কার্টুন আছে, ঐগুলা দেইখা হাত মকশো কৈরা নিয়েন।
11 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
সুমন রহমান, আপনার সক্রোধ পুনরাগমনকে স্বাগতম। মেটা ফিজিক্স পড়ি নাই--ঝ্যেঠা ফিজিক্স পড়েছি। কার্টুনিষ্টরা কাছে আপনার পরামর্শে উদ্দিপ্ত হবে। ধন্যবাদ। বাজারে প্রচলিত কার্টুনের নমুণা তাদের জন্য সময় পেলে পাঠাতে পারেন।
9 hours ago ·
Rahil Rohan
Rahil Rohan
Tuku wrote - বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ না মানলে কেউ কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হয়ে যায়? মৌলবাদি হয়ে যায়। - amar khudro gyan e ja bujhi - moulobadi hoi kina janina - KINTU MUKTIJUDDHER BIRUDDHEY OBOSSHOI JAI.... muktijuddho korar onnyotomo 1 ti stomvo chilo bangalee jatiyotabad (vul shuddho jai houk)
tobey etao edaning protisthito - 'muktijuddher birodhita manei bangladesh er birodhita noi' -
karon BANGLADESH rastro ti oneker e proyojon - ... See More
MUKTIJUDDHO ba BANGALEE Jatiyotabad ba Shob Dhormer sohabosthan - shob gollai jaak!
Ashun kobitai likhi
Ashun aamra aie vabey vabi - ammra ja vabi tai sottyo - aar fascism er nipat chai!
1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....
7 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
একটু ব্যস্ত আছি। কিছু মন্ত্যবের উত্তর নিয়ে শীঘ্রই ফিরব।
3 hours ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
`তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। অই বইটির মৌলবাদের বিষবাষ্পে ভরা।'
কুলদা রায়, আমি ভাবান্দোলন গ্রন্থটি পড়েছি। কিন্তু কোথাও তো এটিতে মৌলবাদের বিষবাষ্পের সমাহার মনে হয়নি। আমার তো বুঝার সীমাবদ্ধতাও থাকতে পারে। আশা করি, আপনি তথ্য-প্রমাণসহ তা জানাবেন। তবে আমার যেটুকু মনে হয়েছে, তাতে এ বলা যায়, ফরহাদ মজহার মূলত এ অঞ্চলের ভাববাদী প্রবণতা সহযোগে একটি সংস্কারবাদী আন্দোলন করা দরকার বলে মনে করেন। এতে মূল শক্তি যোগাবে লালন সাঁই আর চৈতন্য মহাপ্রভু। এতে অপরাপর ভাবপ্রবণতারও সমন্বয় ঘটানো দরকার।
ফরহাদ মজহার এ গ্রন্থে 'ফকির লালন শাহ এবং কমলকুমার মজুমদার : ঈর্ষা ও কবিতার কথা' (আপনি কমল কুমার মজুমদার আর নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, আসলে তারা হচ্ছেন কমলকুমার মজুমদার ও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়) নামের লেখায় কমলকুমারের ভক্তিময় ভাবের উপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন।
যাই হোক, আশা করি আপনি, কুলদা রায়, ভাবান্দোলন থেকে ফ.ম.-এর ধর্মীয় বিষবাষ্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। কারণ দুনিয়ার যাবতীয় বিষবাষ্পকেই চেনা দরকার। আর আপনি যদি তা না করতে চান, বা না করেন, তবে তো ধরে নিতে হবে, বাঙালি জাতীয়তাবাদে কেউ আস্থা না রাখলেই আপনি তাকে পচানোর প্রজেক্ট নিয়ে নামবেন!
'৬. টুকু, বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?' আপনার এই উদ্ধৃতিকে মানলে তো মওলানা ভাসানী, মনি সিংহ, মোজাফফর আহম্মদ, মেনন, রণো আর তাদের অনুসারীদেরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল বলতে হয়। ... See More
আসলে আপনার ভাবনার মূল প্রেরণা হচ্ছে একটা বুর্জোয়া সংগঠনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের ফল।
about an hour ago · Report
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
about an hour ago · Report
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
''1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....'' - Rahil Rohan.
about an hour ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
Kamruzzaman Jahangir--
''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।''
আপনি নিজেই যখন বলেছেন উপরের লাইনটি, আমার কি বলার দরকার আছে নতুন করে? দেশি কথায় আছে না-- লোকটি খুবই ভাল, তবে একটু ইয়ে আর কি-- আলুর দোষ আছে? হা হা হা।
থ্যাংকস আপনাকে জাহাঙ্গীর।
a few seconds ago ·
Khondakar Ashraf Hossain
''1 ta katha sposhto korey boli - abeg ba jukti jai kichu hok, aie desh ta 71 e juddho korey shadhin hoyechey -onek rokter binimoye - taar kichu issues chilo - shegulo kokhonoi hoot korey asheni - aar tader ke keu jodi biday korte chai - rokter binimoyei ta korte hobe.....'' - Rahil Rohan.
Yesterday at 11:01pm
Kulada Roy
Kulada Roy
Kamruzzaman Jahangir--
''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।''
আপনি নিজেই যখন বলেছেন উপরের লাইনটি, আমার কি বলার দরকার আছে নতুন করে? দেশি কথায় আছে না-- লোকটি খুবই ভাল, তবে একটু ইয়ে আর কি-- আলুর দোষ আছে? হা হা হা।
থ্যাংকস আপনাকে জাহাঙ্গীর।
18 hours ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা
১.হৃদয় কাবা আপনাকে যখন গালিব বলেছিল, তখন আপনি একে মৌলবাদি দৃস্টিভঙ্গি থেকে ইটারপ্রেট করেছিলেন। আপনার অন্তরে থাকা মৌলবাদ এর প্রমান এইখানেই।
২. রাইসুদের ভাষা প্রসঙ্গেঃ ... See More
একবার বলবেন
'"আমি আগে সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের একটি নোটের আলোচনায় বলেছিলাম--বাংলাদেশের ভাষার সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের ভাষার একটি পরিবর্তন ঘটছে। বলেছিলাম, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিসাবে--কুলদা রায়রা আসসালামু আলাইকুম বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। জল শব্দটি পানি হিসাবেও ব্যবহার করছেন হিন্দু, খ্রীস্টান--সবাই। বলেছি, আলাদা রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এই পরিবর্তনটা খুব স্বাভাবিক। ভাষা-সংস্কৃতির পরিবর্তনটা এইভাবে ঘটে। এর বাইরে কেউ যদি তাড়াহুড়া করেন--জোর করে চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে তা সমাজ গ্রহণ করে না। "'
আরেকবারঃ
'তার লাইনটা হল—কদর্য একটি বাকভঙ্গি বা ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা করা। কারণ বাংলা ভাষার একটি শক্তি আছে—যে শক্তির কারণে ভাষাটি কেবলমাত্র ভাষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের প্রণোদনা হিসাবে কাজ করেছে। এটা টের পেরেই পাকিস্তানী শাসক এবং তাদের এদেশীয় দোষররা বাংলা ভাষাকে অকার্যকর করার নানা অপচেষ্টা করেছে। এটা একটা প্রকল্পের অংশ্ হিসাবে পাকিস্তান আমলে পয়গাম পত্রিকা, মাহে নও পত্রিকার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা চেষ্টা হয়েছিল। তখন করা হয়েছিল শুধু মাত্র ধর্মভাষার নাম দিয়ে—আর রাইসুরা ধর্মভাষার সঙ্গে কদর্যতার মিশেল দিচ্ছেন। '
তো কোনটা আপনার নিজের কথা হিসেবে নেব বলেন? এখন যদি কেস এমন হয় যে যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা... তাহলে কিছু বলার নেই। আসলে সমস্যা হল আপনি নন, আপনার ভিতরে থাকা মৌলবাদ এর জন্য দায়ি।
৩.'তিনি মৌলবাদি তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন বই থেকে বর্তমান নোটটি টুকলি করে তুলে দিয়েছেন। '---প্রমান করেন, তিনি কি কি টুকলি করেছেন।আপনি একটি প্রমানও দেখাতে পারলেন না, অথচ বারবার বলছেন 'গালিবের নোটই মৌলবাদিদের তত্ত্বে রসসিক্ত। '।
৪.আপনার মৌলবাদি মন শব্দ কিভাবে মৌলবাদি হয়ে পরে তাহার ও একখানা ব্যাখ্যা দাড় করিয়েছে। মূল অনুসরন করলে যদি শব্দ মৌলবাদি হয়, তাহলে তো দুনিয়ার প্রায় সব শব্দই মৌলবাদি। এসব ফালতু কথা নিজের শিষ্যদের শুনিয়েন কুলদা। এখানে নয়।
৫.'বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল।'---এই কন্সেপ্টে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে।স্বাধিনতার সময় বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ কি জিনিশ হয় তা খুব কম লোকে বুঝত। হা, তারা এক্টি স্বতন্ত্র রাস্ট্র চেয়েছিল।কিন্তু বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ তারা চেয়েছিল,বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ এর জন্যই এই দেশ স্বাধিন হয়েছিল তা বলা যাবে না কুলদা। সুতুরাং মানুষের স্বাধিন রাস্ট্রের আকাংক্ষাকে বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদ রঙ এ রাঙ্গালে হবে না কুলদা।
আর হা, ''পুনশ্চ : তবে হ্যা, ফরহাদ মজহার যখন ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের বোমাবাজিকে সমর্থন করে একে আদর্শের সংগ্রাম বলেন, তখন তার যাবতীয় কাজের উপরই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'' Kamruzzaman Jahangir এর এই কথায় আমি সম্পুর্ন একমত।ফরহাদ মজহার, সলিমুল্লাহ খান, এদের উপরে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
13 hours ago
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু,
১. আপনার কথিত মতে হৃদয় কাবা যখন বলেছিলাম, আপনি উক্ত নোট থেকে উদাহরণ সহযোগে প্রমাণ করেন মৌলবাদি দৃষ্টিকোন থেকে তা ইন্টারপ্রেট করেছিলাম।
২. প্রথম এবং দ্বিতীয় প্যারায় আমি কোন ভুল দেখি না। প্রথম প্যারায় --ভাষার পরিবর্তন প্রক্রিয়াটা বলেছি।
দ্বিতীয় প্যারায় বলেছি--এই প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করে কিভাবে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে একটি কদর্য ভাষাকে চাপিয়ে দেয়ার দেষ্টা করছেন রইসু গংরা।
দেখুন--বায়ান্নোর শহীদদের স্মরণে একুশের সংকলনে লেখা কবিতাটি--'আম্মা', তার নামটি ধরে আর ডাকবে না। এখানে আম্মা শব্দের মধ্যে কি কেউ ধর্মশব্দ খুঁজেছে? এ শব্দটি আমাদের সমাজ জীবনের অংশ বলেই তা কবিতায় সহজভাবে চলে এসেছে। আবার পয়গামে যখন ৯৫% অচেনা উর্দু শব্দ ভরে দিয়ে বাংলাভাষা প্রচলনের চেষ্টা করেছিল--শোনা যায়, সে বাংর্দু বোঝার জন্য আবার নিচে বাংলা তর্জমা রাখা হত বা তর্জমাকারীর সাহায্য নেওয়া হত। ওটা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল বলেই কেউ গ্রহণ করেনি। অথচ দেখুন রামপ্রসাদ সেন লিখেছেন--'আমায় দেও মা তহবিলদারী।... See More
আমি নিমক হারাম নই শঙ্করী।।' এ গানতো এখনো সমানভাবে আদৃত। আবার আল্লা ম্যাঘ দে পানি দে রে তুই আল্লা--এ গানটিও সর্বধর্ম লোকজনেরইতো গান--বাঙালীর গান। এই গান শুনে কারো ওযু নষ্ট হয়েছে বলে শুনি নি।
সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জননী হওয়া সত্ত্বেও সংস্কৃত'র প্রয়োজনীয় অংশটুকুই নিয়েছেন পূর্বসূরীরা। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের যে সড়ক চালু করেছিলেন, সেখানে কিন্তু তিনি সংস্কৃত গদ্যরীতি গ্রহণ করেন নি।
ঐক্যের বিষয়টাই কিন্তু বড়। হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টানে ভেদ খুঁজে লাভ কি? যাঁরা খোজে তারা অসৎ উদ্দেশেই খোঁজে। এটা তো সভ্যতা নয়। আমি হিন্দু--তাই বলে আমি মুসলমানকে কেন ঘৃণা করব? আমার হিন্দুত্ব আমার কাছে। আপনার মুসলমানত্ব আপনার কাছে। উত্তরাধুনিকতা কী বলে? বলে, ব্যক্তি তার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করবে--অন্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ন না করেই। সমাজে যখন চলছি--তখন আপনি আমি আর অন্য সকলের মতই মানুষ। সহজ কথা। কবে কোন ব্রাহ্মণ শাসকশ্রেণী কোন ধর্ম-বর্ণকে নিপীড়ণ করেছিল, তার প্রতিশোধ নিতে কি এখন--এই সময়, খড়গ হস্ত হতে হবে? কবে কোন সুলতান সোমনাথ মন্দির ভেঙেছিল তার জন্য আমরা পাল্টা হিসাবে মসজিদ ভেঙে দেব? যারা এই ভেদনীতির বলে খড়গ হস্ত হয়েছিল, তারা কখনোই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না এদেশে। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই সমন্বয়বাদি এবং সমন্বয়ের পথে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হয়েছে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। বৈচিত্রর মধ্যে ঐক্যের সন্ধান--এই তো ইতিহাস। এটা অম্বীকার করে নিজামী, গোলাম আযম। কিন্তু আপনি কেন করছেন, টুকু?
৩. ভাবান্দোলন বইটি খুলে দেখুন-- মিলিয়ে দেখুন। দেখবেন--বইটির ভাবটা কিভাবে টুকলি করা হয়েছে। ঠগ বাছতে তো গা উজাড় হয়ে যাবে। গালিব বলুক--এই নোটটি তার নিজস্ব ভাবনা--তিনি ওই বই থেকে টুকলি করেন নি। তখন উদাহরণ সহযোগে না হয় বলা যাবে।
এ প্রঙ্গে মনে পড়েছে, ফ.ম. তার যে নয়াকৃষি আন্দোলন নামে বাংলাদেশে কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তকের দাবী করছেন, তাও কিন্তু তিনি টুকলি করেছেন জাপানি কৃষি বিশেষজ্ঞ মাসানবু ফুফুওকা'র ওয়ান স্ট্র রেভিলিউশন' থেকে। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলেছি--কাজী মামুনের নোটের মন্তব্য কলামে।
৪. 'মূলকে অনুসরণ করাকে মৌলবাদ বলে-- তাহলে দুনিয়ার সব শব্দই মৌলবাদি'--কথাটা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তার জনসভায় প্রায়শই বলেন। হা হা হা।
৫. ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পরে লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল--‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। এটা কি ভাই টুকু। এটা কোন কনসেপ্ট? কোন কনসেপ্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে রাঙাব?
9 hours ago ·
Khondakar Ashraf Hossain
Khondakar Ashraf Hossain
Firoz Ahmed,আপনার শ্লেষ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ক্লেশ। মুক্তিযুদ্ধের হিশাবের কথা বলছেন, সে হিসাব তো একাত্তরের যুদ্ধের ময়দানেই করেছি, পাশে থেকে যখন ভাই গুলি খেয়ে গড়িয়ে পড়েছে। নতুন হিসাব করুন আপনারা, যাদের তখন জন্মই হয়নি, যারা যুদ্ধের গল্প শুনেছেন শুধু, পড়েছেন বইএর পাতায় কিংবা তার ব্যাখা শুনেছেন কোন মতলব্বাজের তত্ত্ববো্ধিনী সভায়।
ঘন্টি নয়, বাজছে প্রবল ঘন্টা, they know quite well for whom the bell tolls.
6 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
ফরহাদ মজহার ধর্মীয় জঙ্গীবাদকে একধরনের আদর্শ বলছেন, এতে এ কর্মের প্রতি তার প্রেম প্রকাশিত হল। আর তাতে আমাদের কারও কারও ফ.র.-এর প্রতি সন্দেহ জাগ্রত হচ্ছে। এটি একধরনের বিবেচনার দিক।
অন্যদিকে, ভাবান্দোলন একটি গ্রন্থ_ডকুমেন্টারি এভিডেন্স। এতে ধর্মীয় মৌলবাদের বিষবাস্পে ভরা বলে যে আপনি মত প্রমাশ করেছিলেন আমি এর প্রমাণ চেয়েছিলাম। আশা করি, আপনি তা প্রমাণসহ জানাবেন। কারণ, বিষবাস্প তো বিমূর্ত বিষয় নয়, এর মান-ইজ্জত, গুণ-অগুণ, অবয়ব আছে। কাজেই ভাবান্দোলন-এ ধর্মীয় বিষবাস্প’র স্বরূপ দেখতে চাই।
5 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
আপাতত Kamruzzaman Jahangir ভাই এর সাথে একমত পোষন করে গেলাম। ব্যস্ততা এক্টু কমলে আবার ফিরে আসছি।
4 hours ago
Subrata Augustine Gomes
Subrata Augustine Gomes
কেউ চাইলে আমার নোটটা দেখতে পারেন: http://www.facebook.com/note.php?created&&suggest¬e_id=412465411290
4 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
দুদিন পর আজ মানিকগঞ্জ থেকে ফিরলাম।
এত প্রসঙ্গ এসে জড় হয়েছে, চেষ্টা করবো সবার কথারই উত্তর দিতে।
সুব্রতদার নোটটাও পড়লাম। বুঝতে পারি নাই কোন কোন পয়েন্টে তিনি দুঃখিত।
3 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
প্রথমে আসা যাক কুলদা প্রসঙ্গে।
কুলদা কাকু, আপনি যখন ফরহাদ মজহারের সঙ্গে আমারে জড়াতে চান, তখন ফরহাদের বয়ান আমার মুখনিঃসৃত হলে রা-রা করে ওঠেন কেন?
ভাবান্দোলনের একটি বাক্য নিয়া আপনে কার্টুন আঁকলে, আমার নোটে সেই ভাবান্দোলন তো প্রাসঙ্গিক হবেই, তাই না?...
ভি এস নাইপলের বঙ্গপ্রেতাত্মা কুলদা রায় ফররুখ সম্পর্কে যথারীতি, বাঙালি সেকুলারের পক্ষে যা করণীয়, শ্রী সনৎকুমার সাহা'র অভিযোগের প্রতিধ্বনি করেছেন।... See More
বিশিষ্ট অসাম্প্রদায়িক কুলদার বক্তব্য :
"ফররুখ আহমদ তার সমগ্র সাহিত্য কর্মের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানী দ্বিজাতিতত্ত্বেই আস্থা রেখেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতিকে সমর্থন দিয়েছেন, তাকে বাস্তবায়নে ভাষা সংস্কারে ব্রতী হয়েছেন রবীন্দ্রবিরোধীতায় জান কোরবান করেছেন এবং যারা বাঙালিদেরকে হত্যা করতে বর্বরভাবে নেমেছে সেই পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগীই থেকেছেন। এক্ষত্রে তিনি কি করে আধুনিক হন?"
তর্কের খাতিরে বলা যায়, ভাষাসংস্কার, রবীন্দ্রবিরোধিতা ও হানাদার-বাহিনীকে সহযোগিতার সঙ্গে আধুনিকতার কোনো বিরোধ আছে নাকি???
ঐতিহাসিক সত্যের দায়ে বলা উচিত, ফররুখ কোনোভাবেই ভাষাসংস্কার (মানে বাংলা উর্দুকরণ)-এর সাথে জড়িত ছিলেন না। এটা ডাহা মিছা। এবং সাম্প্রদায়িক বক্তব্য। (শ্রী সনৎকুমার সাহা ও কুলদা রায়)।
ফররুখ তার "পাকিস্তান : রাষ্ট্রভাষা ও সাহিত্য' প্রবন্ধে লিখছেন :
"পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, এ নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলোচনা হয়েছে। জনগণ ও ছাত্রসমাজ অকুণ্ঠভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং এটা দৃঢ়ভাবেই আশা করা যায় যে, পাকিস্তানের জনগণের বৃহৎ অংশের মতানুযায়ী পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্বাচিত হবে। যদি তা-ই হয়, তবে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, বাংলা ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।...পাকিস্তানের, অন্তত পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা যে বাংলা হবে এ কথা সর্ববাদীসম্মত হলেও এই পূর্ব পাকিস্তানেরই কয়েকজন তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তি বাংলা ভাষার বিপক্ষে এমন অর্বাচীন মত প্রকাশ করেছেন যা নিতান্তই লজ্জাজনক। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় রূপান্তরিত করলে ইসলামী ঐতিহ্যের সর্বনাশ হবে এই তাদের অভিমত।"
এবারে আসা যাক দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রসঙ্গে।
আহমদ ছফা লিখছেন :"...পাকিস্তান এবং ইসলাম নিয়ে আজকের বাংলাদেশে লেখেননি এমন কোনো কবিসাহিত্যিক নেই বললেই চলে। অন্য অনেককে বাদ দিয়েও কবি সুফিয়া কামালের পাকিস্তান এবং জিন্নাহর ওপর নানা সময়ে লেখা কবিতাগুলো জড়ো করে প্রকাশ করলে 'সঞ্চয়িতা'র মতো একখানা গ্রন্থ দাঁড়াবে বলেই আমাদের ধারণা।...আমরা বাংলাদেশের আরো একজন খ্যাতনামা কবির কথা জানি। যিনি পাকিস্তানি দখলদার সৈন্যদের তত্ত্বাবধানে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকটির সম্পাদকীয় রচনা করেছিলেন।...প্রসঙ্গত ভূতপূর্ব পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার কুখ্যাত বার্তা-সম্পাদক এ বি এম মুসার নাম বলতে পারি। এই মুসা সাহেব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোলকাতায় যেয়ে হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করেছিলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মন থেকে সে স্মৃতি এত তাড়াতাড়ি মুছে যায়নি।...সেই মুসা সাহেব এখন বাংলাদেশের সংসদসদস্য। ফররুখ আহমদের অপরাধ শেষ পর্যন্ত এই দাঁড়ায় যে, তিনি অন্যান্য বিশ্বাসঘাতকদের মতো স্লোগান বদল করতে পারেননি।"
(চলবে)
2 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>ফরুরখ আহমদ, রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরকারী চল্লিশজনের একজন---এমনটা আমরা শুনি। ঐ চল্লিশজনের বাকি উনচল্লিশ জন কারা, কুলদা জানাবেন আশা করি। প্রশ্ন জাগে, তারা কোন পরিস্থিতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। প্রসঙ্গত বলি, শাহরিয়ার কবির,..., সম্পাদিত/গ্রন্থিত 'একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়' বইটিতে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এমন কোনো ব্যা... See Moreক্তিত্ব নেই বললেই চলে, যিনি পাকিস্তানের পক্ষে ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে স্বাক্ষর করেন নি।
শেষ কথা, ফররুখ আহমদ পাক হানাদার বাহিনীর কীভাবে সহযোগী ছিলেন, তা বিস্তারিত জানাবেন কুলদা। এবং কী কী সুবিধা তিনি পাক সরকারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।
বরং পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের নজির আছে তার জীবনে।
about an hour ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
কুলদা বলেছেন, ফররুখের ধর্মচর্চা রাজনৈতিক, কমলকুমারের ধর্মচর্চা ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতা এবং তা অরাজনৈতিক।
---এর মাধ্যমে বোঝা গেল রাজনীতি সম্পর্কে তার ধারণা কত স্বচ্ছ!!!
প্রথম কথা, পৃথিবীর কোনো ধর্মই অরাজনৈতিক নয়। এমনকি মানুষের কোনো কর্মই নয় অরাজনৈতিক।
ধর্ম ব্যক্তিগত চর্চার বিষয় হতে পারে না। একইভাবে সাহিত্য ব্যক্তিগত চর্চার বিষয় নয়। ... See More
দ্বিতীয় কথা, রাজনীতি মানেই রাজপথ নয়। সংস্কৃতির ভেতরে যে রাজনীতি সে আরো গভীর। মননের রাজনীতি। সেইখানে আধ্যাত্মিকতার দ্রবণে যে রাজনীতির ব্যাপন হতে পারে, সেই ব্যাপনক্রিয়ায় কমলকুমারের অংশগ্রহণ। এত নিরীহ নয় ব্যাপারটা।
আধুনিকতা, যেহেতু আধিবিদ্যক সকল ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক খারিজ করে, সেহেতু ফররুখ বা কমল কেউই আশলে আধুনিক নন। প্রকৃতপক্ষে আধুনিকতাবাদের মর্মে রয়েছে নাস্তিকতা। কাজেই এদের আধুনিক বলাটা নাফরমানি ও নাজায়েজ হবে।
কিন্তু বাঙালি সেকুলার এমনকি বর্ণবাদী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে নিয়েও চিন্তিত নয়।
about an hour ago
Kulada Roy
Kulada Roy
কমলকুমারে বা ফররুখ আহমদের আধুনিতা নিয়ে তো আপনিই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন গালিব। আমি তো তুলি নাই। আপনার আধুনিকতার দৌড়টা আমি জানি। আধুনিকতাকে আপনি বলেছিলেন-- সমরূপতার দর্শন। ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, সকল ভূমি, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে সর্বজনীন একটি আর্তির প্রকাশ যা সকল মানুষকে এক করে বিবেচনা করতে হয়, ভীন্নতা ও বৈচিত্র্যকে ছেটে। তো, এটা পড়ে জানতে চেয়েছিলাম, ভাই-... See More-আধুনিকতার এই সংজ্ঞাটা কই পাইলেন। আপনি উত্তরে বলেছিলেন--তালাত আসাদের কাছ থিকা। আমি কি আর করি। চিন্তা নামে ফরহাদ মজহারের অনলাইন পত্রিকায় তালাত আসাদের লেখাটা আছে। অইখান থিকা আপনি মনে লইছেন। আমি যারে জিগাই, ভাই--এইটা কেমন হৈল। যারা শোনে আর অট্টহাসি দেয়। বলে, গাঞ্জা টানছো নাকি? ভাই, আমি জীবনে বিড়িও টানি নাই। এতকাল জানতাম, আধুনিকতা হল--প্রাতিস্বিকতা বা ব্যক্তি স্বতন্ত্রবোধ বা নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা করে দেখা। সোজা কথায় একলা চল রে। এজন্য অন্যের কিছু এল না গেল--তা নিয়ে ব্যক্তির কিছু যায় আসে না। এই সমস্যার কারণেই 'উত্তরাধুনিকতা' এসেছে। ব্যাক্তির অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা হবে--তবে সে জন্য অন্য ব্যক্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে নয়।
বুঝতে পারছি--আপনি তত্ব বা তথ্যে নিয়ে কারবার করতে চাচ্ছেন। যাচাই বাছাই না বুঝেই করছেন। এ জন্য গাজাখুরি কথা বার্তাও বলে ফেলছেন। আমাদের গ্রামে এইসব কথা বার্তাকে বলে চাটাম।
আর ফরহাদ মজহার আধুনিকতাকে তো পরিত্যাজ্য বলেছেন। সে বড় রগড়। অন্য সময়ে বলা হবে।
যাই হোক--মনে হচ্ছে, সাম থিং ইজ গড়বড় হ্যায়। কি গড়বড় হচ্ছে--সে ব্যাপারটা না হয়--সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের কাছ থিকাই শোনেন।
2 minutes ago ·
Kamruzzaman Jahangir
Subrata Augustine Gomes,
'কেউ চাইলে আমার নোটটা দেখতে পারেন: http://www.facebook.com/note.php?created&&suggest¬e_id=412465411290'
আমি চেষ্টা করেও এ নোটটি ওপেন করতে পারি নি। আশা করি তা পাঠের ব্যবস্থা করবেন।
50 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
Write a comment...@ Kamruzzaman Jahangir
“তারিক টুকুর একটা মনোযাতনা সহযোগেই আমি দুই-চারটা কথা বলি। বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের একাংশের বড়ো সমস্যায় থাকেন তা হচ্ছে, যখনই কেউ রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে কথা বলেন, তখনই তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরে ফেলে দেয়া হয়। তখন মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই হচ্ছে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করতে হবে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে সমস্ত সংগঠন লড়াই-সংগ্রাম (যেমন জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) করেছে, তারা কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণও করেছে। তাহলে তারা কি স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেল?
এ কথার অর্থ কি? আমি যা বুঝতে পেরেছি, তা’হল এই - মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হবার পিছনে যে সব নিয়ামক শক্তি কাজ করেছে তার পিছনে ‘রাজনৈতিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং তাদের প্রেরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ বাইরে অন্য শক্তিও ক্রিয়াশীল ছিল, আর সেটা হল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। আমার প্রশ্ন যারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তারা কি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে ছিলেন? তারা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে ছিলেন? তারা কি মনে করতেন যে, এ দুটো পৃথক ও পরস্পর বিরোধী বিষয়? আপনার কাছে যদি এরকম তথ্য থাকে তা’হলে হাজির করুন। আমি তো জানি কম্যুনিস্টরা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পূর্বশর্ত হিসেবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সেই বিচারে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের বিপরীতে ৫২’র ভাষাআন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয়েছিল তাকে তারা সমাজপ্রগতির অংশ হিসেবেই বিবেচনা করতেন। তার প্রমান মেলে ভাষা আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ততা দেখে, বামপন্থী লেখকদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় তাদের সৃষ্টিশীল ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখে। তিনি এখানে কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনের নাম উল্লেখ করেছেন (জাসদ, সর্বহারা পার্টি, মাওবাদীদের এক অংশ) এবং অন্য আরেকটি মন্তব্যে আরো কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনের প্রধান কমরেডদের নাম বলেছেন, যেখানে তিনি টুকুকে করা কুলদার প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছেন। কুলদার প্রশ্ন ছিল, ‘টুকু বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাটাতনের উপর দাড়িয়েই ১৯৭১ সালে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করা কি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়?’ কামরুজ্জামান প্রশ্ন করছেন: ‘আপনার এই উদ্ধৃতিকে মানলে তো মওলানা ভাসানী, মনি সিংহ, মোজাফফর আহম্মদ, মেনন, রণো আর তাদের অনুসারীদেরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল বলতে হয়।’ কামরুজ্জামান আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, উক্ত কমরেডরা বাঙালি জাতীয়তাবাদে আস্থাশীল ছিলেন না? এমন তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? ইতিহাস সম্পর্কে আর একটু জেনে কথা বলা কি ভালো না? আশা করি কুলদা এব্যাপারে আরো বিস্তারিত বলবেন। আমরা এও জানি যে, সর্বহারা পার্টি ও মাওবাদীদের কোনো কোনো অংশ মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই হিসেবে হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র কায়েমের নামে পাটের গুদামে আগুন দিতে ওস্তাদ ছিলেন। এই উগ্র বামপন্থীদের সাথে উগ্র মৌলবাদীদের কথা ও কর্মকাণ্ড কিভাবে মিলে যায়, তার একটা গবেষণা বাংলাদেশে হওয়া উচিত। ... See More
!
17 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
প্রতিটি মানুষের যেমন জন্মের ইতিহাস থাকে, প্রতিটি জাতিরও তেমনি জন্মের ইতিহাস থাকে। সেই জন্মের ইতিহাস বললে কিছু মানুষ যখন হিস্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীর মত আচরণ করে, তখন তাকে কি বলা যায়? আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন, ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব তাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রথম প্রেরণা? সেটা যারা অস্বীকার করে তাদের কোন শিবিরে রাখা আপনি যুক্তিযুক্ত মনে করেন? মুক্তিযুদ্ধের উপর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী ব্যবস্থা বলতে আপনি কি বোঝাতে চান? এসব কথার কি কোনো কি ব্যাখা হয়? আমরা কি কোথাও বলেছি যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুধুই ভাষা আর জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে সংঘটিত হয়েছিল? অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কি কোনো জাতির মুক্তিসংগ্রাম সম্পন্ন হতে পারে? বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ কি ছিল, তা পড়ে দেখুন। বাঙালি ৭০’র নির্বাচনে কি দেখে ভোট দিয়েছিল? যাদেরকে আপনি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তক বলছেন, তারা যে সংবিধান রচনা করেছিলেন তার অর্থনৈতিক মূলনীতি কি ছিল? কথা তো শুধু বললে হবে না, তার তো যুক্তিশৃংখলা থাকা চাই!
“কুলদা রায় ও তুষার গায়েন ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই মানব মুক্তির গ্রহণযোগ্য পথ মনে করছেন। তুষার গায়েন তো ধমনিরক্ষপেতা আর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে একরতি সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলছেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি নাকি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। আসলে এখানেই প্রাবল্যবাদ চরমভাবে কাজ করে, এধরনের উদাসীনতা থেকেই শেখ মুজিব পাহাড়িদের বাঙালি হয়ে যেতে উপদেশ দিয়েছিলেন।”
আমরা তো সমগ্র মানব মুক্তির পথ বাৎলাতে বসিনি। সমগ্র মানবমুক্তির সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সম্পর্ক কি? আমরা বাঙালি জাতির কিছু ঐতিহাসিক প্রত্যয় নিয়ে কথা বলছি, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও তার রাষ্ট্রগঠনের দুটো উপাদান মাত্র। এর সাথে অর্থনৈতিক মুক্তির প্রশ্নটি প্রধান বিবেচ্য ছিল। আর তাই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে চারটি মূলনীতির একটি ছিল: সমাজতন্ত্র। ... See More
2 minutes ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
Write a comment... See More...ধর্ম প্রশ্নে রাষ্ট্রের দুটি ব্যবস্থা হতে পারে: হয় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র অথবা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আপনি কোন ব্যবস্থার পক্ষে? কোন ব্যবস্থাটি উত্তম? আপনি যে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বললেন, তারা তো সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। তো সমাজতন্ত্র কি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে, না কি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে? আপনি বলছেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি এক আনাও সাপোর্ট করি না।” আপনি যদি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সাপোর্ট না করার কারণ কি? যুক্তি হিসেবে আপনি বলছেন, “পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মই প্রাবল্যবাদী, এরা অন্য ধর্মকে বিতাড়িত করেই নিজের জায়গাটি করে নেয়। ধর্মের ইতিহাস তা-ই।” ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে যেহেতু ধর্ম থেকে যায়, তাই মুস্কিল আসান হয় না, বিপদের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই তো? আপনি হয়তো আরো বলবেন, সমাজতন্ত্র কোন ধর্মে বিশ্বাস করে না। উত্তরে আমি এই বলতে পারি যে, স্টালিনের আমলে বহু গির্জা ভেঙে ফেলা হয়েছিল যার ডকুমেন্টারী আমার সোভিয়েতে পড়াকালীন সময়ে দেখার সুযোগ হয়েছে। মানুষ তা ভালোভাবে নেয় নি। কোন কিছু চাপিয়ে দিলে মানুষ তা ভালোভাবে গ্রহন করে না। আর আপনি যাদের পক্ষে কলম ধরেছেন, তারা তো ধর্মনিরপেক্ষতাই মানতে পারছেন না, ধর্মহীনতা মানবেন কিভাবে? আবার আপনি বলছেন, “তবে হ্যা, ধর্মনিরপেক্ষতার উপর ভিত্তি করে যদি ধর্মীয় উদাসীনতাকে এস্টাব্লিস্ট করা যায়, বিজ্ঞানকে যথাযথভাবে চর্চা করা হয়, তাহলে এর উপর ভিত্তি করে সমাজপ্রগতির কিছু কাজ হতে পারে।” ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কাজই তো তাই! আমি তো আপনার একটি কথার সাথে আরেকটি কথার কোনো মিলই খুঁজে পাচ্ছি না। এত স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ আপনার কথাবার্তা যে আমি কি উত্তর দেব, তাই বুঝতে পারছি না। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বাস্তবায়নে আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। ভালো কথা, ব্যর্থতা থাকলে সমালোচনা হবে। কিন্তু তাতে তো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আদর্শ ও সম্ভাবনা পাল্টে যাবে না। সমালোচনা থাকবে বলেই তো, সমাধান করার কথাও আসবে।
আমি কোথাও বলিনি যে, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিষয়টি স্বাধীনতার পূর্বে ছিল না। কিন্তু তা কি ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল যা ইতিহাস নিয়ন্ত্রনকারী? আমি বলেছি, ওই কালখণ্ডে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান নিয়ামকের ভূমিকায় ছিল, তাই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রশ্নটি সামনে আসে নি। আর বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন তা নিয়ে
সমালোচনা হয়ত করা যায়, তবে এটা তো তাঁর স্বভাবজাত আবেগ ও ভালোবাসার বহির্প্রকাশ হিসেবেও ধরা যেতে পারে। ‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
2 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
http://kejasre.blogspot.com/2010/04/blog-post_22.html
এখানে দেখুন যারা সুব্রত অগাস্টিন গোমেজের নোটে ঢুকতে পারছেন না তাদের জন্য --
অন্যন্য রিলেটেড লিংকও পাবেন।
2 seconds ago ·
Sohel Hasan Galib
তুষারদা, আপনার সামনে কয়েকটা প্রসঙ্গ তুলছিলাম, আপনি এড়ায়া গেছেন। ফলে রিপিট করছি---
"বাই দি ওয়ে, আপনি তো কানাডায় থাকেন (নাগরিক কি?)। কানাডার জাতীয়তা সম্পর্কে বলেন। সেখানকার রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে বলেন। ত্রি-জাতিতত্ত্ব সম্পর্কেও একটু আভাস দেন।
এবং এও বলেন, ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ায় আপনি সমরূপতা আনতে স্বপ্নবিদ্ধ কি না।... See More
আরো কন, সেকুলার চিন্তা বুর্জোয়া বিপ্লবের ফসল কি না। এখানে বাইবেল-বিজ্ঞানে দ্বন্দ্ব আছে কি না, চার্চে-রাজায় ঝগড়া আছে কি না।
এবং সেইরূপ ঘটনা বাংলাদেশে, কোরানে-বিজ্ঞানে ঘটছে কি না, মসজিদে-সংসদে ঘটছে কি না।
নইলে, সমরূপতা কেমনে আইবো দাদা?"
Yesterday at 11:11pm
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
@ Rahil Rohan,
বাঙালি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস না করলে যদি বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হয়, তাহলে পাহাড়ি-আদিবাসীরা নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের শত্রু!
@ Tushar Gayen,... See More
‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
---তাহলে আমি যদি কুলদা-গায়েনদের বলি আজ থেকে আপনারা মুসলমান হয়ে যান, তার মানে কি এই মেসেজ দেয়া : আপনারা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না।
প্রব্লেম লাইজ দেয়ার। এই হলো ফ্যাসিবাদ। অপরের আইডেন্টিটিকে স্বীকার না করা।
Yesterday at 11:19pm
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
পুনশ্চ : এদেশের কোনো আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো? কিংবা কোনো বামপন্থী?
Yesterday at 11:21pm
Kazi Mamun
Kazi Mamun
''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ কি?
20 hours ago
Jahed Sarwar
Jahed Sarwar
ভাই গালিব
‘আজ থেকে তোরাও বাঙালি হয়ে যা’- এই কথার ভেতর দিয়ে তিনি হয়তো পাহাড়ি জনগনকে এই মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন: তোমরা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না!
---তাহলে আমি যদি কুলদা-গায়েনদের বলি আজ থেকে আপনারা মুসলমান হয়ে যান, তার মানে কি এই মেসেজ দেয়া : আপনারা দেশের মূলস্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করো না।
... See More
ফ্যাসিবাদ কি বা আদিবাসীদের বাঙ্গালী হয়ে যেতে বলা ফ্যাসিবাদ কিনা সে তর্কে যাবার আগে একটা কথা কইতে চাই।
ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মনে হয় আলাদা। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের একটা সামগ্রীক রূপ থাকে। যেমন মুসলমান বা খ্রীস্টান বা ইহুদি তরিকা ধরলে সামগ্রীকভাবেই ধরা হয়। মুসলমান, খ্রীস্টান বা ইহুদি পৃথিবীর যেখানেই বাস করুক তার সামগ্রীক অর্থে এই এই তরিকার অর্ন্তভুক্ত।
বাঙ্গালী বা বাংলাদেশি জাতীয়তার কথা বলতে গেলে এই দেশীয় সীমানাভুক্ত মানুষদেরকেই বুঝায়। সে ক্ষেত্রে আদিবাসীদেরকে বাঙ্গালী হয়ে যেতে বলা আর কুলদা-তুষারকে মুসলমান হতে বলা এক জিনিস না।
19 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই,
পয়েন্ট আকারেই মতামতগুলো সেলাই করে নিচ্ছি :
২. "বাঙালির প্রতিপক্ষ ফুটবল দল নিজেদেরকে বাঙালি বা বিহারী কোনটাই না বলে স্রেফ মুসলমান পরিচয়টাতেই সবচে’ স্বাচ্ছন্দ্য পেত!"---একমত। কিন্তু একই স্বাচ্ছন্দ্য শরতের মধ্যে স্বাভাবিক হবে কেন?
"বাঙালি মুসলমানের অস্তিত্ব নিয়া তার সংশয় ছিল না"... See More
---অস্তিত্ব নিয়া সংশয় কিন্তু আলোচ্য না। বাঙালি মুসলমানকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে তর্কে উপস্থাপিত।
এই উদাহরণগুলি অপ্রাসঙ্গিক হবে না এবং আপনিও জানেন। শরৎ বলছেন :
ক. যে-কারণেই হোক, এতদিন বাঙলাদেশে হিন্দুরাই শুধু সাহিত্যচর্চা করে এসেছেন। মুসলমানসমাজ দীর্ঘকাল এদিকে উদাসীন ছিলেন।
(তাই নাকি? ফিরোজ ভাই, খেয়াল করেন, "হিন্দুরাই শুধু" এবং "মুসলমানসমাজ উদাসীন"।
এই বক্তব্য মূলত ফোর্টউইলিয়ামীয় পর্যবেক্ষণ। মানে ইংরেজের প্রকল্পে এসে সাহিত্যের "মূলধারা (?)" সৃষ্টিতে মুসলমানের অংশগ্রহণ না করার অসহযোগিতামূলক রাজনীতি এখানে আড়াল করছেন শরৎ, অন্যদের মতোই। এই মূলধারার বাইরে মুসলমানদের অংশগ্রহণ তার নজর এড়ায় কেন?
খ. একদিন মুসলমান লুণ্ঠনের জন্যই ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল, রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য আসে নাই। (সত্যি?) সেদিন কেবল লুঠ করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, মন্দির ধ্বংস করিয়াছে, প্রতিমা চূর্ণ করিয়াছে, নারীর সতীত্ব হানি করিয়াছে, বস্তুতঃ অপরের ধর্ম ও মনুষ্যত্বের উপরে যতখানি আঘাত ও অপমান করা যায়, কোথাও কোনো সঙ্কোচ মানে নাই।
দেশের রাজা হইয়াও তাহারা এই জঘন্য প্রবৃত্তির হাত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে নাই।...পাবনার বীভৎস ব্যাপারে অনেককেই বলিতে শুনি, পশ্চিম হইতে মুসলমান মোল্লারা আসিয়া নিরীহ ও অশিক্ষিত মুসলমান প্রজাদের উত্তেজিত করিয়া এই দুষ্কার্য করিয়াছে। কিন্তু এমনিই যদি পশ্চিম দেশ হইতে হিন্দু পুরোহিতের দল আসিয়া, কোনো হিন্দুপ্রধান স্থানে এমনি নিরীহ ও নিরক্ষর চাষাভূষাদের এই বলিয়া উত্তেজিত করিবার চেষ্টা করেন যে নিরপরাধ মুসলমান প্রতিবেশীদের ঘরদোরে আগুন ধরাইয়া সম্পত্তি লুঠ করিয়া মেয়েদের অপমান অমর্যাদা করিতে হইবে, তাহা হইলে সেই সব নিরক্ষর হিন্দু কৃষকের দল উহাদের পাগল বলিয়া গ্রাম হইতে দূর করিয়া দিতে একমুহূর্ত ইতস্তস্তঃ করিবে না। (হাহাহা... শরৎ-সাহিত্যের তরল আবেগ এখানে উথলাইয়া উঠিতেছে। হায় নাবালক!)
...হিন্দুস্থান হিন্দুর দেশ। সুতরাং এ দেশকে অধীনতার শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিবার দায়িত্ব একা হিন্দুরই। (!!!) মুসলমান মুখ ফিরাইয়া আছে তুরস্ক ও আরবের দিকে---এ দেশে চিত্ত তাহার নাই। যাহা নাই তাহার জন্য আক্ষেপ করিয়াই বা লাভ কি এবং তাহাদের বিমুখ কর্ণের পিছু পিছু ভারতের জলবায়ু ও খানিকটা মাটির দোহাই পাড়িয়াই বা কি হইবে! আজ এই কথাটাই একান্ত করিয়া বুঝিবার প্রয়োজন হইয়াছে যে, এ কাজ শুধু হিন্দুর---আর কাহারও নয়। মুসলমানের সংখ্যা গণিয়া চঞ্চল হইবার আবশ্যকতা নাই। সংখ্যাটাই সংসারে পরম সত্য নয়। ইহার চেয়েও বড় সত্য রহিয়াছে যাহা এক দুই তিন করিয়া মাথা-গণনার হিসাবটাকেই হিসাবের মধ্যে গণ্য করে না।
19 hours ago
Jahed Sarwar
Jahed Sarwar
যদিও আমি কোন অর্থেই উগ্র জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করছি না।
বাঙ্গাল পরিমণ্ডলে বাস করে একজন মুসলমান,খ্রীষ্টান,হিন্দু বাঙ্গালী হতে পারে কারন এটা একটা স্থানিক ভাষা,সংস্কৃতি,ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। কিন্তু একজন আরবী মুসলমান হলেও সে বাঙ্গালী হতে পারে না।
পৃথিবীতে এরকম বহুত রাষ্ট্র আছে বহুত কিসিমের সংস্কৃতি ও ভাষার পরও তারা পরস্পরের ভাষাও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা কর... See Moreে চলে। সে ক্ষেত্রে মুজিবের আদিবাসীদেরকে বাঙ্গালি হয়ে যেতে বলা উগ্রতার পরিচায়ক । এ জিনিস নাজিল হয় অজ্ঞতা আর আবেগের অন্ধকার থেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়তা ভাল জিনিস যতক্ষণ সে আত্মরক্ষা করে। আক্রমনাত্বক হলেই তার নাম হয় আগ্রাসন, ফ্যাসিবাদ। তখন তার চেহেরা হয় ভয়ংকর কোন দৈত্যর মতই।
19 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
সরওয়ার ভাই, আমি আপনার সঙ্গে একমত, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও ভাষা-জাতীয়তাবাদ এক নয়। একটির সঙ্গে আধিবিদ্যক ধারণাযুক্ত।
এখানে একটি কথা শুধু যুক্ত করি : 'আদিবাসী' এই প্রপঞ্চে (!) কেবল ভাষাই নয় কিন্তু, তার সাংস্কৃতিক অন্যান্য উপাদানও জড়িত। সেখানে ধর্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ কারণে, যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছে তারা কিন্তু 'আদিবাসী' পরিচয়ের বন্ধন থেকে বেরিয়ে পড়ছে।
এখন, এই আদিবাসীদের যদি মূলধারায় শামিল হতে ডাক দেয়া হয়, তবে কিন্তু তার অস্তিত্বের শেকড় ধরেই টান মারা হয়। আর মূলধারা-উপধারা এগুলা আগ্রাসী আধুনিকতাবাদ।... See More
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সম্পর্কে সমতা না থাকলে মিলন হয় না, গিলন হয়। মানে একটি আরেকটিকে অজগরের মতো গিলে ফেলে।
19 hours ago
Kazi Mamun
Kazi Mamun
''সেকুলারিজম। এর প্রাণনাথ হলো ইসলাম-বিদ্বেষ মানে মুসলমানী সংস্কৃতির বিরোধিতা। কারণ ৭১-এ ইসলামের ধুয়া ও ধ্বজা তুলেই নরহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ফলে এর মর্মমূলে রয়ে গেছে প্যারানয়াক হিন্দু-মনস্তত্ত্ব।'' এই লাইন তিনটির সরলার্থ কি?
17 hours ago
Imran Hossain Shuvo
Imran Hossain Shuvo
khub shikkhamulok alap alochone choltache. amra amjonota onkekichu janlam. galib vai apnake thank you, bondhu na korle to eigula porte partam na. ami to dhorme muslim, jatite bangalee, vasha amar bangla. tobe sobchaiya boro kotha amra manush, manush sobar upore ar amra vat chai, kapor chai, valovabe bachte chai.
16 hours ago
Kudrat E-Huda
Kudrat E-Huda
এইসব আলোচনা এতদিন কোথায় ছিল?তর্ক চলতে থাক।গালিবকে ধন্যবাদ বিষয়ের অবতারণার জন্য।
16 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
Kulada Roy, লিঙ্ক প্রদানের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা।
14 hours ago
Kamruzzaman Jahangir
Kamruzzaman Jahangir
তুষার গায়েন, আপনি আসলে একটা মতধারার প্রতি অন্ধ সাপোর্টার হয়ে আছেন, যার জন্য আমার মতামতের সমস্ত দিক পাঠের ধৈর্যও আপনি রাখেন নি।
১. আমি কারও পক্ষ হয়ে একটা কথাও বলি নি।
২. সর্বহারা পার্টি যে স্বাধীনতা সংগ্রামকে দুই কুকুরের লড়াই বলেছিল, এর কোনো প্রমাণ আছে আপনার কাছে? আসলে এটি বলেছিল চীন, এবং আবদুল হকদের ইপিসিপি তা সাপোর্ট করেছিল।
৩. কমিউনিস্ট পার্টি জাতীয়তাবাদকে সাপোর্ট করে না; যারা এ পার্টির অ, আ, ক, খ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারাও জানেন, তারা আন্তর্জাতিকতাবাদে আস্থা রাখেন। আর কমিউনিস্ট মতধারায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের কোনো চিন্তাবিদই বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নন_কৌশলগত কারণে এ ধারার সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন তারা করেছেন, কিন্তু কেউ বলেন নি যে, আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদে কবুল রাখলাম। কারণ তাতে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে খাটো করা হয়। একজন ব্যক্তি যদি একটা জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করে তবে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির মর্যাদার দাবিদার হবেন। আসলে আপনি যে ফ্যাসিবাদকে কিভাবে সাপোর্ট করেন তার প্রমাণ হচ্ছে, পাহাড়িদেরকে বাঙালি হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত শেখ মুজিবের আহ্বানকেও হয়তো মার্কা কথাযোগে সাপোর্ট করছেন।
৪. ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কী ধরনের হলে প্রগতির পক্ষে যেতে পারে, তাই বলেছি। আমি এও বলেছি, বর্তমান সময়ে তা হচ্ছে না। স্বাধীনতার পর পরও হয় নি। স্বাধীনতার পর সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা... ইত্যাদি বলাই হয়েছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জনজাগরণকে ঠেকানোর জন্য।... See More
আপনাকে এই অনুরোধই করব, মন্তব্য করার আগে নিখুঁতভাবে ওই লেখাটি পড়বেন এবং তথ্য-তত্ত্ব সহযোগে প্রত্যুত্তর করবেন।
14 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
@ জাহাঙ্গীর ভাই,
"স্বাধীনতার পর সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা... ইত্যাদি বলাই হয়েছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জনজাগরণকে ঠেকানোর জন্য।"
---দুর্দান্ত !
ফিরোজ ভাই,... See More
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে ঠিক মতো কমেন্ট লিখতে পারছি না। আবার ক্রমান্বয়ে কিছু কথা বলা যাক :
৩। বঙ্কিম-শরৎ-রবীন্দ্র-এর ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা প্রশমনের যে কথা আপনি বলছেন, তার কারণ কিন্তু বেশ ভালোভাবেই স্পষ্ট করেছেন সুমন রহমান, তার কমেন্টে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইংরেজসৃষ্ট হিন্দু মধ্যবিত্ত মুসলমান মধ্যবিত্ত দ্বারা রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হচ্ছিল। উনাদের নরম হয়ে আসার এটাই মূল কারণ। যেমন নারীবিদ্বেষী রবীন্দ্রনাথ (পুরুষতান্ত্রিক, সামন্তবাদী বয়ানের প্রেক্ষিতে) পরবর্তী সময়ে অল্প অল্প মৃদু মৃদু নারীবাদী হয়ে উঠছেন, কারণ ততদিনে কোলকাতায় বেশকিছু নারী-সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
চেতনা তো বিমূর্ত বিষয় না। সামাজিক সংঘাতবিনা তার উদ্ভব হয় কী করে?
বঙ্কিম-রবীন্দ্র-শরৎ-এর অপজিশন হিশেবে আপনি সিরাজী-মনসুর আহমদের নাম আনলেন---এই তুলনা কি ঠিক হলো? সিরাজী-মনসুরদের সৃষ্টিশীলতা, প্রতিভা নিয়ে আবেগী মুসলমানও কি ব্যাকুল হয়? তবে একথা সত্য যে, প্রতিক্রিয়াশীল মুসলমান চিন্তক ও লেখক তো রয়েছেনই। এটা আমরা অস্বীকার করবো কেন? আমরা দেখতে চাই, এখানে যা হেজেমনি তৈরি করতে পেরেছে, সেই সাহিত্যের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উপাদান কীভাবে রয়ে গেছে। এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ তাকে আবাহন ও আস্বাদন করছে কি না।
৫। যেহেতু উমরের লেখাটা পড়ি নাই, তাই এখানে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে একটা সরল প্রশ্ন রেখে যাই :
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে দেশে ফিরে আসা। তাহলে কবে তারা দেশে ছিল এবং কীভাবে দেশছাড়া হয়েছিল?
এই প্রশ্নের উত্তর আপনে নাও দিতে পারেন। কিন্তু, এলিট ও চাষা বাঙালি মুসলমানের স্বার্থের সম্মিলনই যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন :
(১) এই বাঙালিগণের আইডেন্টিটি কী কী প্রশ্নে কোলকাতার বাঙালিগণের আইডেন্টিটি থেকে আলাদা হচ্ছে?
(২) ষাটের দশকে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ শেষপর্যন্ত 'বীর-বাঙালি অস্ত্র ধরো' পর্যায়ে নিয়ে যায়, তার কোনো ডিসকোর্স আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়, লেখনীতে হাজির আছে কি? নাকি তা, কোলকাত্তাই বাঙালি জাতীয়তাবোধের এক্সটেনশন?
(৩) বাঙালি জাতীয়তাবাদ-এর ডিসকোর্স স্বাধীন সার্বভৌম গ্রেটার বেঙ্গল (ভারত-পাকিস্তানের বাঙলাখণ্ড) মুভমেন্টের ব্যাপারে নীরব কেন?
৬। ধীরে ধীরে জট খুলবে আশা করি।
৭। "বাপরে! পুরা একশ বছর!! আমার কিন্তু মনে হয় ইতিহাসে আগুপিছু নাই।"
---ইতিহাস নির্মাণে বা তার বাঁকপরিবর্তনে ব্যক্তি/ সম্প্রদায়ের ভূমিকার বদলে ব্যাপারটা কী তবে অমোঘ নিয়ম বা নিয়তি? এখানে কি কোনো নিয়ামক নাই?
একশ বছর পিছিয়ে পড়া বলতে আমি ঠিক কী বলতে চেয়েছি তা আবার একটু পরিষ্কার করি।
বাংলা লেখ্যভাষা যেভাবে ক্রমশ মৌখিক বুলির কাছাকাছি এসে হাজির হয়েছে, তা কিন্তু বিদ্যাসাগর-বঙ্কিমদের আগেই ঘটে গিয়েছিল। প্রাচীন দলিলদস্তাবেজ, চিঠিপত্রই শুধু নয়, আমি বলেছি, প্যারীচাঁদ বা কালীপ্রসন্নের হাতেও সে নিদর্শন আমরা পাচ্ছি।
কবিতার ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মাইকেল মধুসূদন, যার ভাষার সত্যিকার উত্তরাধিকার তৈরি হলো না---কারণ ভারতচন্দ্র বা রামপ্রসাদ---মানে একশ বছর আগে ভাষা যে সরসতা ও প্রাঞ্জলতা অর্জন করেছিল, সেখানে মাইকেল-এ যেন একটু ব্যাকফুটে চলে যাওয়া। এগুলিকে বলা হয় ইতিহাসের মধ্যখণ্ডন...ইত্যাদি।
অর্থাৎ, লক্ষ্যযোগ্য বিষয় হলো, সংস্কৃতের কৃত্রিম আধিপত্য, যা সংঘটিত হয়েছিল ইংরেজ প্রকল্পের আওতায়। আশ্চর্য!
Kamruzzaman Jahangir
Tushar Gayen... See More, বাম রাজনীতির পন্থি-টন্থি নিয়ে আপাতত পাঠ (কারণ তাতে মা'র সাথে মামুবাড়ির গপ্পো হয়ে যায় আর-কী) না নিলেও চলবে। আপনি এ তথ্য দিন যে, সিপিবি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আপনি কি এ সাধারণ তথ্যটুকু জানেন যে, সিপিবি-মোজাফফর-ছাত্র ইউনিয়ন আলাদা ফ্রন্ট করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল?
মস্কোপন্থিরা অনেককিছুই করেছে। তারা এ স্বপ্নই দেখেছিল, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে মানুষ করতে করতে র্যাডিকেল বামপন্ধি করতিএকদিন সাচ্চা কমিউনিস্ট করা যাবে! তারা আসলে ভাষাভিত্তিক বুর্জোয়া সংগঠণটির কালচারাল উইং (আমি সমকালের সিপিবি'র কথা বলছি না) হয়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত। এবং পৃথিবীর বাম ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একটা বুর্জোয়া সংগঠনের সাথে মার্জ করে নিজেদের অস্তিত্বের বিলোপ ঘোষণা করেছিল। আর চিনপন্থিরা তো চিনের প্রেসক্রিপশন নিতে নিতে, নিজেদের ভিতর ঝগড়া-ফ্যাসাদ করতে করতে, নিজেদেরই বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে।
3 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
বুঝতে পারছি-কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আপনি বামরাজনীতির ঠাকুরদা ঘরাণার লোক। এখানে একটি আলোচনা চলছে। আলোচনাকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য বিভিন্ন তথ্য হাজির করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন কেন? কেন বলছেন--বাম রাজনীতির পন্থি-টন্থি নিয়ে আপাতত পাঠ (কারণ তাতে মা'র সাথে মামুবাড়ির গপ্পো হয়ে যায় আর-কী) না নিলেও চলবে?' যে মা মামাবাড়ি থাকেনি--তাকে তো মামুবাড়... See Moreির গপ্প শোনানোর দরকার আছে।
পাকিস্তান আমলে কমিউনিষ্টরাই সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রের রোশানলে পড়েছে। অধিকাংশ সময়ই কমিউনিষ্টদের প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে দেওয়া হয়নি। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কমিউনিষ্টদের হাতকে পাকিশাসকরা আবিষ্কার করেছে। আর জেল জুলুম হুলিয়া দেয়া হয়েছে। স্বনামে তারা কাজ করতে পারেন নি। নাচোল সংগ্রাম ইলা মিত্রকে কিভাবে নির্যাচন করা হয়েছে--তা ইতিহাস। খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কমিউনিষ্ট পার্টিকর্মিকে। শাসকগোষ্ঠির অপপ্রচার এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যে, এক শিশু একজন কমিউনিষ্টকে দেখে বলে উঠেছিল, ও বাবা, ইনি তো মানুষ, কমিউনিষ্ট কোথায়। কমিউনিষ্টরা কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল, যুক্তফ্রন্টের সময়।
অভিজ্ঞতা থেকে কমিউনিষ্টরা বুঝেছিল, পাকিশাসকরা চরম প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক বলেই জনগণকে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল করতে হলে--জনগণের আকাঙ্খাকে ধারণ করতে হবে এবং সেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সেক্যুলারিজমের প্রশস্ত পথেই কমিউনিষ্টরা কাজ করতে পারবেন। সেজন্য তারা সাতচল্লিশের পর থেকে বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। যার ফলে দেখা যায় ১৯৪৮ সালে তাদের লোকজনই অসাম্প্রদায়িক যুবলীগ গড়ে তুলেছেন, ১৯৫২ সালে অসাম্প্রদায়িক ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের প্রভাবেই আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। আর শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এই মস্কোপন্থী কমিউনিষ্ট কর্মীরাই বাঙালি জাতীয়তাবাদি কর্মকাণ্ডকে অর্গানাইজড করে জনগণের কাছে মূর্ত করেছে। সংস্কৃতি সংসদ, ছায়ানট, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন, উদীচী, খেলাঘর, ইত্যাদি তার উদাহরণ।
একাত্তরে আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল অংশটি সিপিবি, মোজাফ্ফর ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার অপচেষ্টা করে। সেকারণেই তারা আলাদাভাবে ফ্রন্ট হিসাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। বেতিয়ারা যুদ্ধ তাদের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধকালে তারা আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে কাজ করেছেন। শিল্পী-সাহিত্যিকদের সংগঠিত করেছেন। আর চিনাবাদাম কেউ কেউ অলাতচক্র লিখেছেন--তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ত্রুটিবিচ্যূতি ঘাটতে।
এই চিনাবাদামরা ১৯৬২ সালে যখন ভাষানীর নেতৃত্বে আলাদা হয়ে গেল--তখন চিন্তা পন্থীরা ডোন্ট ডিস্টার্ব আয়ুব নীতি গ্রহণ করেছিল। সেই থেকে তারা বাঙালির আকাঙ্খাকে ধারণ না করে, মাও সেতুংকেই তাদের পার্টির চেয়ারম্যান বলেও মনে করত। তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অধিকাংশরাই পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছেন--কেউ কেউ (যাদু মিয়া) মুরগী সাপ্লাইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন (আনোয়ার জাহিদ), কেউ কেউ ভাষানীকে ভারত থেকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়ে হানাদারবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। আবার কেউ কেউ (সর্বহারা পার্টি) পাকবাহিনী ও
41 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
মুক্তিবাহিনী--উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এই চিনাবাদাম অংশটি সরাসরি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তকে শক্তিশালী করেছে। যারা দুদিন আগেও জাতীয়বাদি ছিল, তারা দেশ স্বাধীনের পরে রাতারাতি সমাজতান্ত্রের জ্যাঠা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দল গঠন করে ফেলল। ভাষানী সাহেব জ্বালাও পোড়াও সং... See Moreগ্রাম করে জিয়াকে আশীর্বাদ করে গেলেন। হক-তোয়হা তো পাকিন্তানে চিঠিই লিখে ফেলল, ভ্রাতঃ ভুট্টো, আমরা বাংলাদেশকে মানিয়া লই নাই। আমগো পার্টির নাম এথনও পূর্ব বাংলার ...পার্টি রাখিয়াছি। আপনে আমগো কিছু ট্যাকা রুপী আর অস্ত্র পাঠায়া দেন, বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে ফেরত পাঠায়া দেই। ঘটনা তো এই রকম।
তারপর? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই চিনাবাদামরাই পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে মিলে জিয়াউর রহমানকে মদদ যুগিয়েছেন--বন্দুকের নলের খোচায় সেক্যুলারিজম, সমাজতন্ত্র আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধান থেকে তাড়িয়েছে। একে একে একে একে এরশাদ খালেদা জিয়া সকলের সঙ্গে এই চিনাবাদামরাই মিশে গেছেন। যাদু মিয়া, লেঃ আকবর হোসেন, ক্যাপ্টেন হালিম, সিরাজুল হোসেন খান, হাজী দানেশ, কাজি জাফর, মান্নান ভুঁইয়া, আনোয়ার জাহিদ, ফরহাদ মজহার প্রমুখদের এই প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে শামিল হওয়াকে কি প্রমাণ করে? চিনাবাদামরা পকিস্তান আমল থেকেই প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় রাজনীতি করেছেন--তাদের শেষ পরিণতিও এই জিয়া, এরশাদ, খালেদা, নিজামীদের পদলেহন করে বাঙালির অর্জনকে---গণমানুষের আকাঙ্খাকে নস্যাৎ করা। তারা হল প্রতিক্রিয়াশীলতার পঞ্চম বাহিনী।
40 minutes ago ·
Kulada Roy
Kulada Roy
ফিরোজ আহমদকে প্রশ্ন করলেন গালিব, তিনি প্রথম দিকে অংশ নিলেও পরে আর আলোচনায় আসেন নি। আমাকে চ্যাটে বলেছিলেন, তিনি এই নোটটিতে ঢুকতে পারছেন না। তাকে ব্লক করা হলে কি করে তিনি উত্তর দিবেন, গালিব? সবার জন্য আলোচনার দরোজা খোলা রাখুন। আর আলোচনার নিয়মটা মেনে চলুন। আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেগুলো দিন। তারপর আপনি প্রশ্ন করুন। এটাই আলোচনার নিয়ম।
33 minutes ago ·
Farhad Mustafa
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর তো বেশ ভাল কথাবার্তা বলতে পরেন বলেই বোধ হচ্ছে। আপনার আলোচনা বেশ উপভোগ্য এবং বহুরৈখিক বলা যেতে পারে বলে কোন কোন গবেষক ধারণা করতে পারেন। তবে আপনি মাঠ ছেড়ে চলে গেলে বিপক্ষদলকে ওয়াকওভার দিলে চলবে কেমন করে এই আলোচনা? আলোচনাটা চালাইয়া যান। আমরা অনেক কিছু জেনে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে পারছি। আলোচনাটাইতো মূল বিষয় জাহাঙ্গীর ভাই--... See Moreগালিবের নোট পড়ে আপনি উদ্যোগী হয়ে গালিবের পক্ষে কথা বলতে এসে অনেক কথা বলছেন , কিন্তু আবার তুষার গায়েনের কিছু কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রায়মশায়ও কিছু তথ্য হাজির কর আলোচনাকেটাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একপি পরিণতির দিকে। রায়মশাই কি কোন অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়েছেন এইখানে--যদি দিয়ে থাকেন তাকে সেটা দিয়ে আপনি আবার তথ্য বিভিক্ত আলোচনায় ফিরে আসুন রেগে মেরে চলে গিয়ে।
সোহেল হাসান গালিব শূন্য দশকের কবি, আলোচক, গবেষক, সমাজতাত্ত্বিক, সম্পাদিক বলে ইতিমধ্যেই তার একটা জায়গা দখল নেওয়ার চেষ্টায় আছেন। কাব সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ এই কারণেই বোধকরি তার প্রতি প্রত্যাশা করে অনেক নির্ভর করে আশা হত হয়ে দুঃখিত বলে হাহাকার করেছেন--কেন করেছেন তা তার বিষয়। তবে কবি সোহেল হাসান গালিব--আপনি বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নারী বিদ্বেষী, মৃত্যঞ্জয় তর্কলংকারের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ না দিয়েই তাদেরকে এইসব অভিধা দিয়ে চলেছেন--আপনি সেগুলো কি দয় করে দেবেন?
2 seconds ago ·
Kulada Roy
ফরহাদ মুস্তফা, আপনি তো ভেহাসিকের পার্শ্বচর বটে। সাধু সাবধান।
11 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি ফিরোজ আহমদের নামে মিথ্যা কথা বললেন কেন?
11 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
খন্দকার আশরাফ, আপনার ঘন্টির আহলাদ দেখেই বুঝতে পারছি আপনাকে নিয়েই ইলিয়াস তার গল্পগুলো লিখেছিল, মুক্তিযুদ্ধত্তোর লুণ্ঠনের কাহিনীগুলোর উৎস মনে হয় আপনারাই তাহলে। ওহ হো, শহীদুল জহির আস্ত একটা উপন্যাস লিখেছিলেন আপনার কাণ্ড নিয়ে, জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা!
মুক্তিযুদ্ধে হিসাব কই চুকল? মালেক মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের যারা ক্ষমা করেছিল, তাদেরও শুদ্ধুও আমরা ক্ষমা করতে পারি না। আপনার ঘন্টির শব্দ তো বিচারালয়ের না, লুণ্ঠকের ফূর্তি বলেই ঠাহর হতেছে।
টুকু মেয়েরে মনে হয় চিনতে পারেন নাই, তাই শ্লেষ বলে ঠাহর করতে পারলেও শ্লেষের মর্মার্থ বুঝা আপানার কম্মো নয়। বুঝলে বুঝতেন বিচারখান আসলে কেন হবে না। টুকুরা জানিয়ে দেয় কিভাবে রাজাকার মতিনে পরিবার স্বাধীনতার পর রক্ষা পেয়েছিল, যেমন সাকা।... See More
বিস্তারিত খোজ নিয়ে জানবেন আশা করি। অবশ্য বুদ্ধিজীবীদের আজকাল অবস্থা যা দেখছি... দিব্যি ঘন্টি বাজিয়ে ভূড়িভোজে ব্যস্ত। চারিদিকে লুণ্ঠনের উৎসবের ছিটেফোঁটা তারাও পান শুনি।
11 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব, সংক্ষেপে বলি।
২. শরতে যে উদ্ধৃতিগুলো দিলেন, মনে হয় না দরকার ছিল। কারণ ওগুলো আমাদের আগের আলোচনাতেই স্পষ্ট। কথা এইটুকুই, যে লিখিত সাহিত্যরূপকে আমরা চিনি, মধ্যবিত্ত যার ভোক্তা এবং উৎপাদক, সেই অর্থে শরৎচন্দ্রের ওই অবজার্ভেশন তো ঠিকই। এইটা শুধু তো সাহিত্যের মূলধারা সৃষ্টির সাথে অসহযোগিতা না, বরং আমি যেটা প্রথম কমেন্টে বলেছিলাম, বাঙালি মধ্যবিত্ত... See More মুসলমান বলে তেমন সঙ্ঘবদ্ধ কিছু গড়ে না ওঠা, এবং বাঙালবাসী অভিজাত বলে পরিচিতদের উর্দু জবান নির্ভরতা। দেখবেন, বৃটিশ আমলের শেষ দিকেই এই উর্দুভাষী বাঙালি বেশ কিছু পরিবারে বাঙলা চালু হওয়া শুরু হয়েছে, কারণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে দানা বাধা। মফস্বলেও ইশকুলে মুসলমানদের মাঝে বাঙলা শিক্ষার চল শুরু হলো জোরেশোরে।
এখন আপনি যদি মনে করেন প্রথম যুগে মুসলমানরা অসহযোগিতা করেছে, তার প্রমাণ কি? সামন্ত-ধর্মীয় প্রভাবাধীন অভিজাতদের একটা বড় অংশ ইংরেজি শিক্ষাকে গোনাহ মনে করত, এই শুধু? আলীগড় আন্দোলনে ইতিহাস ঘেটে দেখেন, অভিজাত ও নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের মাঝে ইংরেজি শিক্ষা ও ইংরেজদের সাথে সহযোগিতার্ ইতিহাস উপনিবেশিক পর্বে বাংলা ভাষায় আত্মনিয়োগের চেয়ে বেশ পুরনো।
10 hours ago
Tarique Tuku
Tarique Tuku
এই টুকু কে,ফিরোজ ভাই ?
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আয় হায় শেখ কামালের বন্ধু টুকুকে চিনেন না? খন্দকার আশরাফ চেনেন, ওনারে শুধান। কয়দিন আগে এত জাক জমক করে তার কন্যার সাথে আরেক জন শেখসন্তানের বিয়ে হল তো।
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
গালিব পুরানা কমেন্টগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। স্মৃতি থেকে কিছু ক্লিয়ার করি।
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধীর আত্মজীবনীর কথা তুলেছিলাম স্রেফ এইটা বুঝানোর জন্য যে, হিন্দু মুসলমানের এই পরস্পর পরিচয়টা খুব সরল ছিল না, এক রৈখিকও না। দূর থেকে বহু বিষয়কেই সরল রেখা মনে হয়, যেমনটা সুমন রহমানের মনে হয়েছিল এই পরস্পের পরিচয়ের কথাটা, কিন্তু ওই আত্মজীবনীটা পড়লেই দেখবেন ব... See Moreিষয়টাতে যথেষ্টই জটিলতার মশলা আছে। পরস্পের শক্তি ক্ষমতা আর তাৎপর্য নিয়ে একটা দীর্ঘ আগুপিছু মোলাকাত আর উপেক্ষার চেষ্টার পরই এই ঐক্য সম্ভব হয়েছিল, আর সেইটাও আবার কোন অটুট ঐক্য না, তাও পরেরকার ইতিহাস দেখিয়ে দিলেও ভারতের সবচে সংগঠিত মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং তার সূত্রে ভারতব্যাপী ছড়ানো মাদ্রাসাগুলো কংগ্রেসের সমর্থক হিসাবেই রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছিল। এই বিষয়টা ভোলা গালিব অন্যায় হবে। তাদের রাজনৈতিক সংগঠন, জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দও সেই অনুযায়ী ভূমিকাই রাখে। এবং কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার বিকাশ ও চূড়ান্ত সীমাবদ্ধতা বোঝার জন্য এইটা ঘটনাটা খুব জরুরি গালিব। মোট কথা এই পরিচয়টা ঠিক নিয়তি আকারে ঘটে নাই, ঘটেছিল ঘটনাপ্রবাহে।
10 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আর শেষ যে বিষয়টা, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের, এইটা নিয়াও যাস্ট এইটা বলাই মনে হয় যথেষ্ট হবে যে, এইটা কেবল একটা শক্তিশালী অ্যলিগরি। উপনিবেশিক বাঙলালায় নজরুল ইসলামের মত আরও অনেক শক্তিশালী মুসলমান লেখক জন্মেছেন সত্যি, কিন্তু ভাবমানসে মূলধারার মুসলমানী সংস্কৃতিতে যে পরবাসী ভাবটা ছিল, সেইটাকে কাটিয়ে উঠেছেন তাজউদ্দীন আহমেদের মত রাজনীতিবিদদের প্রজন্ম। গাণ্ধীর ম... See Moreৃত্যুতে তাজউদ্দীনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আহমেদ কামাল একটা দারুণ লেখা লিখেছেন, ওই খানে পাকিস্তানী মোহ কাটিয়ে তরুন প্রজন্মের বাঙালি মুসলমান রাজনীতিবিদদের স্বভূমিকর্ষণের প্রবণতার ইঙ্গিতটা পাবেন। ওই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহারকে যুক্ত করে আবার খোলাসা করি, বিষয়টা এই না যে বাঙালি মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে বাঙালি হলো, এইটা ওনার সাধিত বক্তব্যবিকৃতি। বিষয় বরং এই যে, চিন্তার কেন্দ্রে স্বদেশ সংস্কৃতি এলো প্রধান ঘটনা হিসেবে।
আর এত লম্বা আলোচনার পর নতুন কিছু যোগ করতে ক্লান্ত লাগছে। আলোচনাও কেমন যেন হাল্কা চালের হয়ে যাচ্ছে, ঠিক করেছি এই লেখায় রসিকতা ছাড়া আর কিছু করব না।
10 hours ago
Rahil Rohan
Rahil Rohan
Sohel Hasan Galib @ Rahil Rohan,
বাঙালি জাতীয়তাবোধে বিশ্বাস না করলে যদি বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হয়, তাহলে পাহাড়ি-আদিবাসীরা নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের শত্রু!
Na- galib bhai, ami bolechilam বাঙালি জাতীয়তাবোধে chilo ONE OF THE MAIN FACTORS! chakma raja anti 71 hoileo as usual amader pahari bondhura shadhinotar pokkkhei chilen.... ... See More
but now situation is different - bangladesh ke ekhon aar oshikaar kore kon shalay? Jaamati, O jamaati, Hindu, muslim, ehudi - K na maney BANGLADESH!!!
now BANGLADESH rastrer shotru hoa bishoi na - bishoy holo BANGLADESH rastro ta nijer haat e rekhey er baki itihaash joto druto bodle deya jai!
bangladesh JINDA BAAD!
10 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
ফিরোজ ভাই, কাল সকালে কলেজ যাব এবং দুদিন মানিকগঞ্জ থাকবো। তারপর এসে হয়তো আলোচনায় ঢোকা যাবে।
যাবার আগে দুটো কথা।
২। এইখানে মতদ্বৈততা ঠিক কোন জায়গায়, স্পষ্ট নয়। মূলধারা, নব্য নগর-মধ্যবিত্ত ব্যাপারটাই যেহেতু ইংরেজসংশ্লিষ্টতায় সৃষ্ট, এখানে তাদের অব্যবহিত শত্রু মুসলমানদের না থাকবারই তো কথা, তাই না? ইংরেজের ফোর্ট-প্রকল্পে মুসলমান নাই।... See More
তাই এই ধারায় মুসলমান লেখক আসবে কোত্থেকে।
তার মানে কি এই সময়ে মুসলমানদের বাংলা চর্চা হয় নাই??? দ্রষ্টব্য : মধ্যযুগের বাংলাসাহিত্য/আহমদ শরীফ।
এমনকি মূলধারায় প্রবিষ্ট মীর মশারফ থেকে নজরুল অবধি সকলেই কোনো না কোনোভাবে পুথিসাহিত্যের উত্তরাধিকার বহন করেছেন।
এই ব্যাপারটা শরৎ বুঝতে পারেন নাই। রবীন্দ্রনাথ বুঝেছেন। কারণ ২২ বছর বয়স থেকে তিনি 'লোকসাহিত্য' সংগ্রহ করেছেন। এইখানে বলে রাখি, বাংলা কবিতার সংকলন অদ্যাবধি যা যা হয়েছে, আমার বিবেচনায় রবীন্দ্রনাথেরটাই শ্রেষ্ঠ। কারণ একমাত্র তার সংকলনেই মূলধারা-উপধারা, লিখিত-মৌখিক সকল সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব আছে।
"বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমান বলে তেমন সঙ্ঘবদ্ধ কিছু গড়ে না ওঠা, এবং বাঙালবাসী অভিজাত বলে পরিচিতদের উর্দু জবান নির্ভরতা। দেখবেন, বৃটিশ আমলের শেষ দিকেই এই উর্দুভাষী বাঙালি বেশ কিছু পরিবারে বাঙলা চালু হওয়া শুরু হয়েছে, কারণ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে দানা বাধা"
---আমরা এই কথাটাই বলতে চেয়েছি যে বাঙালি মুসলমানকে আদার হিশেবে দেখবার রেওয়াজ ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত সঙ্ঘবদ্ধ মুসলমান মধ্যবিত্ত গড়ে ওঠে নাই।
তার মানে এই নয় যে, এর আগে বাঙালি মুসলমান উর্দুভাষী ছিল।
ইংরেজি শিক্ষাকে গোনাহ মনে করা শুধু পাপপুণ্যের বয়ান বলে মনে হয় না। এর মধ্যে মর্মগতভাবে ইংরেজ-প্রত্যাখ্যানের ব্যাপার আছে।
ভারতে প্রতিবাদের রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুষঙ্গ ঐতিহাসিক ঘটনা।
পরবর্তীকালে ইংরেজি শিক্ষায় ব্যাকুলতা ব্যর্থ বঞ্চনার প্রতিক্রিয়া মাত্র, যা হিন্দুত্বের প্রতিযোগী।
পক্ষান্তরে, আনন্দমঠে পাচ্ছি এই নির্মীয়মাণ মধ্যবিত্তের প্রতি অসূয়া, আতঙ্ক।
(চলবে)
9 hours ago
Sohel Hasan Galib
Sohel Hasan Galib
>>>মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধীর আত্মজীবনী পড়ি নাই। এই প্রসঙ্গটা ঠিক কোন কথার প্রতিবাদে এল সেটাও বুঝি নাই। সুমন রহমান কিন্তু পরস্পরের পরিচয়ের কথা বলেন নাই। তিনি আপনাকে বলেছেন :
"ভাষাপ্রশ্নে বাঙলাদেশের মুসলমান ও হিন্দুর পরস্পরকে "খুব ধীরে" চেনার প্রক্রিয়ার কঘা বলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে তিনি রবীণ্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের সাহিত্যে মুসলিম চরিত্রদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে খেয়াল করছেন। একটা নিরালম্ব সাহিত্যিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখলে এই যুক্তিকে গ্রহণীয় লাগে। কিন্তু একে সমসাময়িক হিন্দু-মুসলিম রাজনীতির ঘাত প্রতিঘাতের সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে ধন্দ তৈরি হয়। যে মুহূর্তে সাহিত্যে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের ব্যাপারে সহনশীল হতে শুরু করেছে, ঠিক একই মুহূর্তে রাজনীতিতে কিন্তু হিন্দু মুসলিম পরস্পর থেকে দূরে যেতে/পরস্পর বিষয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। ফলে, রবীন্দ্রনাথ/শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক প্রকল্প মূলত একটি আকাঙ্ক্ষার প্রকল্প। রবীন্দ্রনাথের বাউল-প্রমোশন সেই প্রকল্পেরই অংশ।"
---এই বক্তব্যে ঠিক সমস্যা কোথায় বুঝি নাই।... See More
কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তুলে ধরলেন, কিন্তু চূড়ান্ত সীমাবদ্ধতা কী সেটা বললেন না।
পরিশেষে, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পয়েন্টে তিনটি প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তর দিলেন না। আগাম রসিকতার আভাস দিয়ে রাখলেন। কেন জানি না। তবু প্রশ্নগুলো রিপিট করছি :
এলিট ও চাষা বাঙালি মুসলমানের স্বার্থের সম্মিলনই যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন :
(১) এই বাঙালিগণের আইডেন্টিটি কী কী প্রশ্নে কোলকাতার বাঙালিগণের আইডেন্টিটি থেকে আলাদা?
(২) ষাটের দশকে যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ শেষপর্যন্ত 'বীর-বাঙালি অস্ত্র ধরো' পর্যায়ে নিয়ে যায়, তার কোনো ডিসকোর্স আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়, লেখনীতে হাজির ছিল কি? নাকি তা, কোলকাত্তাই বাঙালি জাতীয়তাবোধের এক্সটেনশন?
(৩) বাঙালি জাতীয়তাবাদ-এর ডিসকোর্স স্বাধীন সার্বভৌম গ্রেটার বেঙ্গল (ভারত-পাকিস্তানের বাঙলাখণ্ড) মুভমেন্টের ব্যাপারে নীরব কেন?
9 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
সুমন রহমান ওই রাজনীতি আর সাহিত্যের আকাঙ্খার মাঝের ফারাক দেখেই চিনে উঠার ধারণাটাকে নিরালম্ব বলছেন, ওইটাতেই আপত্তি। আগের কমেন্টগুলোতে খেয়াল করেন, যখনই সক্রিয় রাজনীতির শক্তি হিসাবে মুসলমানদের অভ্যুদয় ঘটলো, তার বিষয়ে সচেতন হবার প্রশ্নও তখন থেকেই শুরু। কিন্তু এইটা খুব দ্রুত বিকশিত হয় নাই বা এক রৈখিক বিস্তার/ বিকাশও ঘটে নাই। উনিশ শতকের শেষ দিকের ১৮৭২ সা... See Moreলের আদমশুমারীর আগে মুসলমানরা যে বাঙলা ভূখণ্ডে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় তা কেউ ভাবেনই নাই। কিন্তু মূলধারায় মুসলমাদের নিয়মিত রাজনৈতিক ক্রিয়া বলতে তখন কেবল অভিজাতদের দেন দরবার। আবার পরের শতকের তিরিশের দশকে সাধারণ প্রজা পর্যন্ত ভোটাধিকার পাওয়ার ঘটনাটায় সাধারণ চাষারও রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে অভ্যুদয়।
এখন দেখেন, এলিট মুসলমান নিজ সম্প্রদায়টা সংখ্যাগুরু জেনেও নিজেকে সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করারই চেষ্টা করেছে। আপনি যে ইংরেজি বর্জনকে বলছেন রাজনৈতিক প্রতিরোধ, আর কেউ সেইটাকে ফিউডাল রেমনেন্ট হিসাবেও দেখতে পারে। কারণ জাতিগত ভাবে সম্মিলিত প্রতিরোধ ঘটেছে বা আরও ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আধুনিক কালেই। আর সেইটা একটা সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির উপরে ওঠাকে একটা শর্ত হিসাবে নিয়েই। ওই স্থানেই দেওবন্দী সিন্ধীর প্রাসঙ্গিকতা। অর্থ খুব পরিস্কার, যে ইংরেজিবিদ্বেষী মুসলমানরে আপনি ইতিবাচক রাজনৈতিক অর্থে দেখতে চান, সে আর পরবর্তীকালেরে মুসলিম লীগের সাম্প্রাদায়িক ইংরেজ তোষক তো রাজনৈতিক দিক দিয়াই এক না! গালিব, আপনি কার উত্তরাধিকার?
মানে ধারা এইখানে এক ছিল না, দ্বন্দ্বের বিষয়ও একটা ছিল না। উলম্ব বিকাশের তাই প্রশ্নও আসে না। দ্বন্দ্ব যখন রাজনীতিকেও যথেষ্ট পরিমানে তেতো করল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আকাঙ্খার বিকাশ সাহিত্যে তখন সবচে বেশি ঘটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বঙ্গভঙ্গ এবং তা রদ হিন্দু সম্প্রদায়ের আপাত বিজয় হলেও মুসলমানের প্রবল সাম্প্রদায়গত শক্তিটাকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল, ফলে রাজনীতি যতই তপ্ত হোক, সাহিত্যে আকাঙ্খার ছাপ তো পড়বেই। কিন্তু এই আকাঙ্খাটারে কেবল সাহিত্যিক বলে ভাবার তো কারণ নাই। সাহিত্যে যখন ছিল, বাস্তবেও ওই ধারারও তাৎপর্যপূর্ণ উপস্থিতিও ছিল। কিন্তু কায়েমী স্বার্থের বিষয়ে ফায়সালা না করে হয়তো মিলন হয় না, পুরোনো হিন্দু মধ্যবিত্তের সাথে নতুন গজানো মুসলমান মধ্যবিত্তেরও হয় নাই।
3 hours ago
Firoz Ahmed
Firoz Ahmed
আর গালিব যে তিনটি প্রশ্ন করেছেন, প্রথমটার উত্তর আপনার কাছ থেকেই শুনতে আগ্রহী। দ্বিতীয়টাও নিশ্চয়ই ছিল। কেন তা কোলকাতার নিছক এক্সটেনশন হতে যাবে? প্রশ্নটার একটাই জটিলতা আছে, সেইটা হলো পূববাঙলায় ষাট দশকে বিকশিত বাঙালি জাতিয়তাবাদী সংস্কৃতিচর্চার মাঝে হীনমন্য কোলকাতা ঝোক, মুক্তিযুদ্ধেও সেইটা প্রবলতর ধারা ছিল বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবেই আরও বহু জাতির মাঝে রাজনীতি বিকাশের ভরকেন্দ্র নতুন নতুন অঞ্চলে সরে আসে, বিশেষ করে স্বাধীন রাষ্ট্র পুববাঙলাকে বাঙালি জাতির সবচে গতিশীল অংশে পরিনত করেছে বা আরও করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তো আমরা যদি সবচে গতিশীল অংশ হইও, আমাদেরই দায়িত্ব বাকিদের আতঙ্কগ্রস্ত না করা।
তৃতীয় প্রশ্নটা গালিব, সংক্ষেপে এই খানে আলোচনা করা সম্ভব না। এইটা শুধু এই অঞ্চলের জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের প্রশ্ন না, এইটা বৃহত ভারতীয় পুজির স্বার্থের সাথে অগুনিত ভারতীয় জাতির দ্বন্দ্বের প্রশ্ন, এবং এখনও এইটা দ্বন্দ্বের প্রধান দিকে পরিনত না হলেও ঘটনা প্রবাহ সেই দিকে যাচ্ছে বলেই ভরসা করি। সবগুলো স্বাধীন জাতির আঞ্চলিক সম্পর্ক নিশ্চয়ই পুরো প্রেক্ষিতটাই পাল্টে দেবে, ভারতীয়তা হয়তো তখন কেবল য়ুরোপীয়তার মতো একটা আঞ্চলিক পরিচয়ের মত হবে।
রাষ্ট্র হিসাবে ভারত ফ্যাসিস্টতর, কারণ তাকে দাড়িয়ে থাকতে হয় জাতিগত পরিচয়কে দলন করে। আশা করি গালিব, আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন, আমার মনে হয় না এই প্রশ্নে সকলে নীরব। কিন্তু এই রাজনীতি বিকাশের মাত্রা অনুযায়ীই বক্তব্য দেয়াটা বাস্তব সম্মত হবে, আগ বাড়িয়ে কথা বলার দরকারটা কী?... See More
আর রসিকতা কথাটা ঘন্টি-বাদ্য-বাজনা ইত্যাদির প্রসঙ্গে করা। স্বাধীনতার মোক্ষ যারা পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে, তাদের প্রতি ঈর্ষাবশতঃ। আমরা মুক্তির স্বাদ পাই নাই এখনো, আমাদের হিংসা তো স্বাভাবিক।
2 hours ago
Tushar Gayen
Tushar Gayen
@ Tarique Tuku
আমরা আলোচনা করছি বাংলা ভাষা ও তার রাজনীতি, জতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম ইত্যাকার বিষয় নিয়ে। এখানে ভাই-বেরাদরের প্রসঙ্গ আসে কেন, আমি তো বুঝতে পারি না। এই ধরণের প্রশ্ন কি আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক? কেউ কারো বাসায় বেড়াতে গেলে বা কারো সাথে আড্ডা দিলেই কি তার চিন্তা ও মতাদর্শে হয়ে দীক্ষিত যায়? এমন কথা কি কেউ কোনো দিন বলেছে? একজন মানুষ কি চিন্তা ও ভাবনা প্রকাশ করে, তা দিয়েই তার পরিচয়! সেটা কারো সাথে মিশেও হতে পারে, না মিশেও হতে পারে। আজ যদি আমি ঢাকায় যাই, আপনার সাথে আজিজ মার্কেটে বসে চা আর ফুচকা খাই, তার মানে কি এই হবে যে, আমি আপনার চিন্তা গ্রহন করলাম বা আপনি আমার মতাদর্শে দীক্ষিত হয়ে গেলেন?
আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন। ... See More
about an hour ago
Farhad Mustafa
Farhad Mustafa
সোহেল হাসান গালিবকৃত এই নোটটির সঙ্গে মন্তব্যাদি পাঠ করে কয়েকটি পর্যব্ক্ষেণ চোখে পড়ল--
১। নোটটির শীরোণামে বক্তিচরিত্রকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
২। জাতীয়তাবাদকে অন্ধ বলা হলেও অন্ধত্বের কারণকে সুসংগঠিতভাবে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করা হয় নাই।
৩। কুলদা রায়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি কোন ভাবেই প্রমাণ করা যায় নাই।
৪। খোন্দকার আশরাফ হোসেন সম্পর্কে আনীত অভিযোগটি অতিশয় গৌণ যার অজুহাতে তাঁর মত একজন প্রজ্ঞ, কবি, আলোচক, সম্পাদক ও অধ্যাপককে হেয় করতে পারেন না অপেক্ষাকৃত তরুণ কবি ও পরিচিতিকামী।... See More
৫। মূল আলোচনা হিসাবে ফরহাদ মজহারের ভাবান্দোলন নামের বইয়ের সারাংশকে হাজির করা হয়েছে বলে কোন মন্তব্যকারী অভিযোগ তুলেছেন নোটদাতা সোহেল হাসানের বিরুদ্ধে--তিনি অভিযোগটি অস্বীকার বা নাকচ করেন নাই।
৬। এখানে মারমুখীভাবে বাঙালি জাতীয়বাদ, সেক্যুলারিজম, মুক্তিযুদ্ধ, প্রমিত বাংলাভাষা, রবীন্দ্রনাথ, হিন্দু সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা হয়েছে যার কোনরূপ প্রামাণিক তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হয় নাই।
৭। সোহেল হাসানের বক্তব্য খাপছাড়া, অপ্রাসাঙ্গিক, এবং বিদ্বেষপূর্ণভাবে উপস্থাপিত এবং কোন কোন উপস্থাপনা বিশেষ কৌশলে হেয়ালীপূর্ণ যা সরালে বিষধর সাপের মত ভেদভাব ফোস করে ওঠে--এবং এর সরলার্থ জানতে চাইলেও নোটদাতার নীরবতা সন্দেহজনক যা নোটটির অসাধু উদ্দেশ্যের দিকে আঙুল উচিয়ে ধরে।
৯। দুজন পরিণত কবির অন্যতম সুমন রহমান কোন প্রকার সৎ যুক্তি ছাড়াই নোটদাতার ব্যক্তিবিদ্বেষকে সমর্থন করেছেন। আরেকজন কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ নোটদাতার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক উল্লেক করলেও নোটটির অসারতা ও বিপজ্জনক অন্ধ প্রতিক্রিয়াশীলতার মর্মটি অনুধাবন করে একটি এক্সিট ডোর খুঁজে বিদায় নিয়েছেন এই বলে যে, ভাষা বিষয়ক তর্কের কথা হলেও নোটটির মন্তব্যে এবং বক্তব্যে গালিগালাজের চর্চা হচ্ছে--সে কারণে তিনি নোটের বাইরে তার মর্মযাতনা প্রকাশ করে একটি স্বতন্ত্র নোট দিয়ে তার স্নেহের পাত্রের ভ্রান্তিকে অভূতপূর্ব স্নেহশীলতার মধ্যে দিয়ে 'দুঃখিত গালিব' বলে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। তাতেও তিনি পুরোপুরি কলুষমুক্ত নির্ভার ভাবতে পারেন নাই নিজেকে--এবং সেজন্য সোহেল হাসানের সাম্প্রতিক ওস্তাদ ফরহাদ মজহারের চরম প্রতিক্রিয়াশীল জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে তার লিখিত অপ্রকাশিত একটি নোট প্রকাশিত করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, তিনি ফরহাদ মজহারের লাইনের নয়। এবং নোটটি প্রকাশিত হলে তার অবস।তানকে সন্দেহ করার সুযোগ হত না।
১০। নোটদাতা সোহেল হাসান বছর খানের আগে যে সেক্যুলার বাঙালি ঘরাণার রাজনীতির গভীরে অবস্থান করতেন বলে আত্মশ্লাঘা বোধ করেছিলেন-- সে প্রসঙ্গ তুলে একজন মন্তব্যকারী অভিযোগ করে দেখিয়েছেন যে, প্রতক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ শেকল যখন কেউ বরণ করে নেন--- হিস্ট্রিয়াগ্রস্থতা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না।
>>চলমান>>
34 minutes ago ·
Farhad Mustafa
Farhad Mustafa
১১। নোটদাতা সোহেল হাসান বক্তব্যের পরিণতি না বুঝেই আক্রমণ করতে করতে এক পর্যায়ে ভয়াবহ কিছু শব্দ, বাক্য প্রয়োগ করে চলেছেন যা, চূড়ান্ত রকমের ভ্রান্ত, অসার এবং বিদ্বেষ বিষে পূর্ণ যা স্কুল পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্টাইলের চেয়েও নিম্নমানের এবং তিনি এক পর্যায়ে 'বাংলাদে'শ শব্দটির নামকরণ নিয়েও অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে বাংলাদেশকে 'জংলাদেশের' সমতুল্য করার অপচেষ্টা করেছেন। এখানে তার বুদ্ধিবৃত্তিক অপরিণতিটাই প্রকাশ করেছেন যাকে বলা হয় বালখিল্যপনা।
১২। সোহেল হাসান এই নোটে এবং মন্তব্যে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন এবং একটি আদর্শকে অসৎভাবে নাকচ করার চেষ্টা করেছেন। তার সহযোগী কবি তারিক টুকু মন্তব্যের মর্মকে আড়াল করে মন্তব্যকারীকে আক্রমণ করেছেন, যেমন কুলদা রায় মনে করেছেন যে, অতীতের মতো নোটদাতা সোহেল হাসান তার অভ্যাস মোতাবেক এই নোটটি থেকে তার প্রতিকূলে কোন মন্তব্য গেলে তাকে ডিলিট এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীকে ব্লক করতে পারেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা যাতে হয়ে ওঠে সেজন্য গল্পকার পাপড়ি রহমান সতর্ক করেছেন এবং কুলদা রায় বারবার আহবান করেছেন যেন, নোটিট নিয়ন্ত্রণ না করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, কিন্তু তারিক টুকু এই আহবানকে আমলে না নিয়ে কুলদা রায়কে মিথ্যেবাদি বলেছেন। কুলদা রায় যে ব্যক্তির নাম বলেছেন--তা ফিরোজ আহমদ/ রেজাউর রহমান/ মুজিব মেহদী/ কুলদা রায় হলেও হতে পারে , এখানে কোন ব্যক্তির নামটি মুখ্য নয় --বক্তব্যটিই মুখ্য এটা তারিক টুকু আড়াল করে কুলদা রায়কে 'মিথ্যে কথা বলছেন' বলেছেন যা তার চিন্তার সন্ত্রাসকেই প্রকাশ করছে।
১৩। তুষার গায়েন, কুলদা রায়, ফিরোজ আহমদ, রেজাউর রহমান, রাহিল রোহান প্রমুখ প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে তথ্য উপাত্ত যুক্তিসহকারে উপস্থান করছেন --যার মধ্যে সংযমতা ও পরিমিতি লক্ষ্যণীয়। অপর পক্ষে তারিক টুকু, সোহেল হাসান গালিবের বক্তব্য যুক্তিকে এড়ানো, অর্থহীন অপ্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তি আক্রমণাত্মক। তারা দুজনেই নির্বিচারে গালিগালাজ বর্ষণ করছেন যা সকল প্রকার শিষ্টতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।
১৪। কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের আলোচনায় কিছু সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেও নানা স্ববিরোধী ও লক্ষ্যহীনভাবে অসার বুঝতে পেরেই তিনি এক্সিট ডোর বেছে নিচ্ছেন বলে ঘোষণা করেছেন।... See More
১৫। যারা সাধারণত সোহেল হাসান গালিবের নোটে মুখর থাকেন--এ নোটে তারা লক্ষ্যণীয়ভাবে অনুপস্থিত-- এটা প্রমাণ করে যে, কোন প্রতিক্রিয়াশীলতা নয়, মানূষ পর্যন্ত সুস্থতার পক্ষেই অবস্থান করে।
about a minute ago ·
Tarique Tuku
এতো দেখি সোহেল হাসান গালিবের নোটের নামকরনের স্বার্থকতা প্রমান জাতিয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ফরহাদ মুস্তাফা। ক্লাস ফাইভের বাচ্চার কাজ।
ফরহাদ মুস্তাফা, আপনি দিতেছেন প্রক্সি। আপনার কথার উত্তর দেয়ার মানেই হয় না। কুলদারে আসতে কন। তিনি যে মিথ্যা কইছেন না যুধিস্টির হইছেন, তা প্রমান করতেসি।
11 hours ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
তুষার দা, হাসাইলেন। আমি তো জানি ফরহাদ মাজহারের সাথে তাপস দার সম্পর্ক আজিজ মার্কেটে দাড়াইয়া ফুচকা খাওার চেয়ে অনেক অনেক বেশি গভীর। এমনকি, তাপস দা ফরহাদ মাজহারের অনেক কথা রীতিমতো আমল করেন বলেও জানি। তাইলে কি এখন আপনার ভাই বইলা তারে রাজাকার বলন যাইব না?
11 hours ago · Report
Tushar Gayen
Tushar Gayen
এমনকি, তাপসদা ফরহাদ মাজহারের অনেক কথা রীতিমতো আমল করেন বলেও জানি।
ফরহাদ মাজহারের কি কি কথা তাপস আমল করে বলে আপনি জানেন, তার লিস্ট দেন ও প্রমান দেন।
10 hours ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
একটু নারিন্দা বাজারে আছি দুটো দশাসই কুমড়া কেনার জন্য। এই জন্য একটু বিজি আছি। টুকু, আপনে ভাই ফ্যাসাদের পুরনো কৌশলটা ধরেছেন। এ ছাড়া আপনার ঘটে তো কিছু নাই--তবে নন্দিভৃঙ্গির ভুমিকায় কেন? লেখাপড়া করে আসুন--নিজের পায়ে দাড়ান। আপনার ক্ষমতা মাসলবাজি থেকে বুদ্ধিবৃত্তিতে নিয়ে আসুন। দেখেছেন তো আপনার গুরুরা ফিরতে শুরু করেছেন।
2 hours ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
তুষার গায়েন, আপনি আগে প্রমান করেন তাপস গায়েন ফরহাদের শিষ্য ছিল না। তারপর বলেন, কেন তারে ও রাযাকার বলা যায় না? তারপর আমি আমার প্রমান দিব।
32 minutes ago · Report
Tarique Tuku
Tarique Tuku
কুলদা, আপনি নিজেই তো কুষ্মান্ড। কুমড়া কিনার কি দরকার। আমারে যত গালাগাল পারেন করেন, কিন্তু মিথ্যা বলার অপরাধে জাতির কাছে আগে ক্ষমা চান , হে মিথ্যুক।
28 minutes ago · Report
Tushar Gayen
টুকু, প্রত্যেকেরই ধৈর্যের সীমা আছে। আশা করি আপনি সীমা অতিক্রম করবেন না। এই পোস্টের সঙ্গে তাপসের নাম কিভাবে প্রাসঙ্গিক, আগে আপনি তাই বলুন? যুক্তি ও তথ্যে হেরে গিয়ে আপনি উন্মত্তের মত আচরণ করেছেন। ভাই-বেরাদর নিয়ে টানাটানি করেছেন। তাপস ফরহাদ মজহারের শিষ্য, এটা আপনার দাবী। তাহলে, এটা প্রমান করার দায়িত্ব কার? আপনার না আমার?
ফেসবুক চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করার জায়গা। মাস্তানি করার জায়গা নয়।
20 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
স্যরি ফিরোজ আহমদ, ভুলক্রমে রেজাউর নামের বদলে আপনার নামটা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য আমি আপনার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে ব্লক বিষয়ে আপনার সঙ্গে কিছু মজার বাতচিৎ হয়েছিল নেটে। আশা করছি আপনি স্মরণ করতে পারবেন। রেজাউর রহমান তাকে ব্লক করা বিষয়ে যে আমাকে জানিয়েছিলেন এবং স্পষ্টভাবে বলছেন যে তাকে গালিব ব্লক করেছেন তার প্রমাণ দেখুন। আশা করি টুকু আপনার মিথ্যাচার প্রমাণিত হল। রেজাউর রহমানের একদম নিচের মন্তব্য দেখুন--
Kulada Roy April 25 at 10:03am
সেদিন আপনি বলেছিলেন, যে গালিবের নোট আপনি দেখতে পারছেন না, আপনাকে আমি একটি লিংক পাঠালাম--আপনি কি এখনো গালিবের মূল নোটে ঢুকতে পারছেন? ওকি সত্যি সত্যি আপনাকে ব্লক করেছে।
... See More
Rezaur Rahman April 25 at 10:20am... See More
link ta tu den nai parle aber den.
Kulada Roy April 25 at 10:57am
ব্লকটা কি নিশ্চিত করেছে?
Rezaur Rahman April 25 at 12:44pm
je nirchit koreche....... apneder alochona bhalo hoche.thanks link deoer jonno......takte parle upokrito hotam....
3 minutes ago ·
18 minutes ago ·
Tarique Tuku
Tarique Tuku
আপনি তো দেখি বিরাট মিথ্যুক বাহে, কথার টেম্পারিং এ আপনার জুরি নাই। কোথায় রেজাউর রহমান আর কোথায় ফিরোজ আহমেদ।এই টেম্পারিং /মিথ্যা বলার জন্য আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
12 minutes ago · Report
Kulada Roy
Kulada Roy
টুকু এখন আমি একটু নারিন্দা বাজারে আছি দুটো দশাসই কুমড়া কেনার জন্য। এই জন্য একটু বিজি আছি ভাই--মনে কিছু নিবেন না। সব সময়তো নধরকান্তি কুমড়ো জোটানো মুশকিল। আর চাহিদাও তো দেখতে হবে। যে দিনকাল পড়েছে। পয়সা কড়ির টানাটানি। পয়সায়ও সব কিছু মেলে না। সব সময় কাহুদের দরকার পড়ে। কুমড়া ভর্তার খাওয়াটা কিন্তু খারাপ কিছু নয়। লগে দুটো পাঠা কিনতে পারলে মন্দ হত না। ফরহাদ মুস্তফা বলেছেন, প্রতিক্রিয়াশীলতা নয়--মানুষ কিন্তু সুস্থতার পক্ষেই থাকে।
11 minutes ago ·
এই নোটের পরবর্তী মন্তব্য পড়তে হলে নীল রঙে লেখা এই লিংক শব্দটিতে ক্লিক করুন--
No comments:
Post a Comment